একজন নারী গর্ভবতী হলে সাধারণত সন্তান জন্ম দিতে সময় লাগে ৩৭ থেকে ৪১ সপ্তাহ অর্থাৎ ৯ মাস ১০ দিন থেকে ১০ মাস ১০ দিন। এই সময়ের মধ্যেই পরিপূর্ণ হয় শিশুর শারীরিক গঠন। এর পরেই একটি ফুটফুটে শিশু পৃথিবীর আলো দেখে।তবে অনেক সময় এই সময়ের ব্যতিক্রমও হতে পারে অর্থাৎ এর আগে পরেও শিশুর জন্ম হতে পারে।কিন্তু তাই বলে ১৭ মাস ধরে গর্ভধারণ? এও কি সম্ভব? নিশ্চই অবাক হচ্ছেন? কিন্তু এমন ঘটনা সত্যিই ঘটেছে। চীনের এক নারী ১৭ মাস ধরে গর্ভবতী। সন্তান জন্ম দেয়ার সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেলেও এখনও নাকি তার ভ্রূণের গঠন সম্পূর্ণ হয়নি!ঐ নারীর দাবি, তিনি ১৭ মাস ধরে গর্ভবতী রয়েছেন। মধ্য চীনের হুনান প্রদেশের বাসিন্দা ওয়াং শি নামের ওই গর্ভবতী নারীর দাবি, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ তিনি গর্ভবতী হন। কিন্তু ডাক্তাররা বলছেন, এখনও নাকি তার ভ্রূণের গঠন সম্পূর্ণ হয়নি। আর তাই সিজার করাও তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু এখন আর অপেক্ষা করতে চান না তিনি। তিনি চান যে কোন মূল্যে পৃথিবীর আলো দেখুক তার সন্তান।কিন্তু ভ্রুণের গঠন সম্পূর্ণ না হওয়ায় তার সন্তানের জন্মের বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তিনি। সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে আর কত সময় অপেক্ষা করতে হবে তা নিয়ে খুব চিন্তিত ওয়াং শি।
Sunday, August 21, 2016
Saturday, August 20, 2016
১০১ বছর বয়সে সন্তান
১০১ বছর বয়সে সন্তানের জন্ম দিয়ে রীতিমত আলোচনার জন্ম দিলেন এক বৃদ্ধা। চামড়া ঝুলে গেছে, শরীর ভঙ্গুর। এই বয়সে যেখানে নিজের দেখভাল করতেই সক্ষম নন কেউ সেই বয়সে ইতালির আনাতোলিয়া ভার্তাদেলার কোল আলো করে এলো ফুটফুটে পুত্রসন্তান। তবে ওভারি ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে মা হয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন শতায়ু এই বৃদ্ধা।ইউরোপীয় আইন অনুযায়ী ওভারি ট্রান্সপ্লান্ট বেআইনি। তবে আনাতোলিয়া জানিয়েছেন, তুরস্কের এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি তার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তুরস্কে ওভারি ট্রান্সপ্লান্ট বৈধ। তবে যেখানে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সেই ক্লিনিকের নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি।
তিনি বলেন, যারা আমার অস্ত্রোপচার করেছেন সেই চিকিৎসকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এতদিন ধরে আমার ভগবানের কাছে নিজেকে অপ্রয়োজনীয় মনে হতো। ৪৮ বছর বয়সে ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আমি আর সন্তানের জন্ম দিতে পারিনি। মাঝে মাঝে ভাবতাম মাত্র ১৬টি সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য ভগবান আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন। কিন্তু ভগবানের কৃপায় আবারও আমি মা হতে পারলাম। ১৭তম সন্তান এল আমার কোলে। কথাগুলো বলতে বলতে কেঁদে ফেলেছিলেন আনাতোলিয়া।তার চিকিৎসক আলেক্সান্দ্রো পোপোলিচি জানান, তিনি ফুটফুটে এক শিশুর জন্ম দিয়েছেন। অবশ্যই এটা ভগবানের উপহার। তুরস্কে এই অস্ত্রোপচার সম্পূর্ণ আইনি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই তার অস্ত্রোপচার করেছেন। এই বয়সেও তার স্বাস্থ্য বেশ ভালো। আশা করছি আরও বেশ কিছু বছর বেঁচে থাকবেন তিনি।
১৯৯৮ সালে আনাতোলিয়ার স্বামী মারা যান। ইন্টারনেটে শুক্রাণুদাতা খুঁজতে গিয়ে ২৬ বছরের এক ক্যাথলিক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এই বৃদ্ধার। এটাই তার কাছে যথেষ্ট ছিল। তিনি শুধু চেয়েছিলাম তার সন্তানকে যেন ক্যাথলিক চার্চ গ্রহণ করে। তিনি বলেন, তিনি তার সন্তান ফ্রান্সেস্কোর বাবাকে বিয়ে করেননি। তার সন্তানের জীবনেও ওই যুবকের কোনো ভূমিকা থাকবে না। এই কথা তিনি পোপকে লিখে জানিয়েছিলাম। পোপের নামানুসারে সন্তানের নামও রেখেছেন। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস, পোপ আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। এখনও আমি আমার মৃত স্বামীকে ভালোবাসি। যত দিন বাঁচবো তার বিধবা হয়েই বাঁচতে চাই। সদ্যজাতকে বুকে জড়িয়ে কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন সবচেয়ে বয়স্ক ওই মা।বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার রেকর্ড করেছেন আনাতোলিয়া। এত দিন এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মালেগওয়ালে রামোকগোপা। ৯২ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন ওই নারী। তার সেই রেকর্ড ভাঙলেন ১০১ বছর বয়সী আনাতোলিয়া।
Thursday, August 18, 2016
বিশ্বের বৃহত্তম হোটেল
বিশ্বের বৃহত্তম হোটেল তৈরি করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের দখল এখন মালয়েশিয়ার। তবে এই রেকর্ড খুব শিগগিরই ভাঙতে যাচ্ছে সৌদি আরব। দেশটির সরকার আগামী বছরের মধ্যে পবিত্র মক্কায় বিশ্বের দীর্ঘতম হোটেল ও প্লাজা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে আবরাজ কুদিয়া। ১০ লাখ ৪০ হাজার বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই হোটেলে মোট কক্ষের সংখ্যা ১০ হাজার। যেখানে মালয়েশিয়ার হোটেলে কক্ষ সংখ্যা ৭ হাজার ৩৫১টি।আবরাজ কুদিয়া নামে এ হোটেল নির্মাণের প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে সাড়ে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। লাস ভেগাসের পালাজু ও ভেনেশিয়ান (৭ হাজার ১১৭ কক্ষ) তো বটেই, মালয়েশিয়ার হোটেলের (৭ হাজার ৩৫১) থেকেও বড় হবে এই ভবন। প্রতি বছর গড়ে ২ কোটি মানুষ আসেন মক্কায়। এর মধ্যে শুধু হজের সময়েই আসেন ২০ লাখ তীর্থযাত্রী। তাদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই হোটেল।মোট ৪৫ তলা বিশিষ্ট এ হোটেলের ৫টি ফ্ল্যাট সংরক্ষিত থাকবে সৌদি রাজ পরিবারের জন্য। ভবনটিতে রয়েছে ১২টি টাওয়ার। ৭০টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। হোটেল চত্বরের মধ্যে ৪টি হেলিপ্যাডও তৈরি করা হয়েছে। শুধু রেস্তোরাঁ নয়, মনোরঞ্জনের জন্য এতে থাকছে বিলাসবহুল বলরুমও।
Saturday, August 6, 2016
সবচেয়ে লম্বা কুকুরের ক্ষুদে বন্ধু
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কুকুর জুটি বেঁধেছে ব্রিটেনের ক্ষুদ্রতম কুকুরের সঙ্গে। ওয়েলসে গ্রেট ড্যান মেজরের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো ক্ষুদে চিহুয়াহুয়া ডিজনি। মেজরের মালিক পেনমাইনবাসী ব্রায়ান উইলিয়ামসের (৫৫) বিশ্বাস, মেজর বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কুকুর। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্বীকৃতি পেতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সে। পেছনের দু’পায়ে ভর করে দাঁড়ালে মেজরের উচ্চতা হয় সাত ফুট এক ইঞ্চি। যেখানে বামন ডিজনি অনায়াসে তার চারপায়ের মাঝখান দিয়ে ছোটাছুটি করতে পারে।উইলিয়ামস জানান, তিন বছর বয়সী মেজরের ওজন সাড়ে ৭৬ কেজি। সে বিশ্বের সবচেয়ে সুদর্শন কুকুর। কখনও একটা মাছিকেও আঘাত করেনি মেজর। ছোট ডিজনির সঙ্গে তাকে খুব মানায়।
এদিকে ১৯ মাস বয়সী ডিজনির ওজন মাত্র ০.৮২ কেজি। জন্মের আট সপ্তাহ বয়সকালে সে যা ছিলো, এখনও তাই রয়ে গেছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কুকুরের স্থান দখল করার প্রত্যাশী মেজর। প্রতিদিন তার খাদ্য তালিকায় রয়েছে- ছয়টি ডিম, দুই কিলো মাংসের কিমা ও দেড় লিটার দুধ। এদিকে ডিজনিকে দিনে এক এগ কাপ ড্রাইফুড দিলেই যথেষ্ট। ডগ গ্রুমার নাতালি ভেইন (২৮) ডিজনিকে পশ্চিম মিডল্যান্ডের বিলস্টন থেকে ওয়েলসে নিয়ে যান মেজরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে। বড়-ছোটর এই বন্ধুত্ব দেখে নাতালি বলেন, বিশ্বাস করা কঠিন, এত সুন্দরভাবে তারা মিশে গেছে। এটি সুন্দর বন্ধুত্বের শুরু!
Subscribe to:
Posts (Atom)