আজব পৃথিবী

Wednesday, September 28, 2016

যে জায়গায় থাকার জন্য টাকা পাওয়া যায়

ডেট্রয়েট: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অটোমোবাইল রাজধানী এই শহর। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে শহরটি জৌলুস হারাতে শুরু করে। দিনে দিনে জনমানবহীন হয়ে যায়। কিন্তু ফের সেখানে জীবন ফিরিয়ে আনতে নেওয়া হয়েছে ‘চ্যালেঞ্জ ডেট্রয়েট’। এই প্রোজেক্টে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে বিনামূল্যে থাকার সুযোগ তো দেওয়াই হবে, তাদের জন্য কাজের ব্যবস্থাও করা হবে।
আলাস্কা: আপনি কি শীত ভালবাসেন? শ্বেত তুষারাবৃত ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে আলাস্কা। এখানে সরকারের একটি আলাদা ফান্ড রয়েছে। পেশাদার লোকেরা আলাস্কায় বাস করতে চাইলে সরকার তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করবে। আপনাকে একটি শর্ত পালন করতেই হবে। তা হল, অন্তত এক বছর থাকতে হবে ওখানে।
নায়াগ্রা ফলস: পৃথিবীর সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের কাছে থাকার সুযোগ দেয় স্থানীয় প্রশাসন। সরকার গ্রাজুয়েটদের সাত হাজার ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে। শর্ত একটাই ফলসের কাছাকাছি গড়ে ওঠা কোনও প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে হবে।
পনগা: উত্তর-পূর্ব স্পেনের সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে থাকা এই গ্রামটিতে জনবসতি খুবই কম। অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি যুগলকে এখানে এসে থাকার জন্য তিন হাজার ইউরো দেওয়া হয়।
উট্রেচট: নেদারল্যান্ডসের এই শহরে প্রতিটি নাগরিককে এক হাজার ডলার করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সাস্কাটচেয়ান: কানাডার এই প্রদেশ সুযোগটি দিচ্ছে শুধুমাত্র যোগ্যতাসম্পন্ন গ্রাজুয়েট ছেলে-মেয়েদের জন্য। যারা এখনও তাদের কেরিয়ার কী ভাবে গড়বেন ঠিক করেননি তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুযোগ। তারা সাত বছর পর্যন্ত ২০ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাবেন এখানে থাকা এবং কাজ করার জন্য।
নেবরাস্কা: মার্কিন মুলুকের এই জায়গায় ঘটেছে মজার একটা বিষয়। প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের সুযোগ দিয়েছে, তারা জমি বিনামূল্যে পাওয়ার আবেদন করতে পারবেন। বিনিময়ে সেখানকার উন্নতির জন্য কী কী গঠনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে হবে।

যে গ্রামে পুরুষের জুতা ধোয়া পানি খান মেয়েরা

শুধু জুতা ধোয়া পানি খাওয়াই নয়, তার আগে মাইলের পর মাইল সেই জুতা মাথায় করে হেঁটে মন্দিরে আসতে হয়। এরপর প্রায় ২০০টি সিঁড়ি ভেঙে নামতে হয় মন্দির সংলগ্ন পুকুরে। এর পরে জুতা ধুয়ে পানি খাওয়ার পালা। সেখানেই শেষ নয়। এরপরে ফের জুতা মুখে ও মাথায় করে নিয়ে বাড়ি ফেরা। সব কিছুই নাকি অশুভ শক্তির থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায়।ভারতের দক্ষিণ রাজস্থানের ছোট্ট একটা গ্রাম ভিলওয়ারা। সেখানকার ‘বাংকায়া মাতার মন্দিরে গেলেই দেখা যাবে পুরুষের জুতা মুখে করে পানি খাচ্ছেন মেয়েরা।এই মন্দিরে খুব সাধারণ দৃশ্য এটা। এখানে মেয়েরা আসেন অশুভ শক্তির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায়। আর সেই মুক্তির জন্যই তারা এমন সব রীতি মানেন যা প্রত্যক্ষ করাও অত্যন্ত অপ্রীতিকর।

Monday, September 26, 2016

৪০০ কেজির ওজনের অ্যানাকোন্ডা

বিস্ফোরণের মাধ্যমে গুহাকে ফাটিয়ে বিল্ডিং তৈরির পরিকল্পনা ছিল। সেইমত গুহার ভিতর নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওমা! এরপরেই সাঙ্ঘাতিক ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর ধুলো মাখা এক ৩৩ ফুটের লম্বা সাপ বেরিয়ে আসে গুহা থেকে। মানে 'কেঁচো খুড়তে কেউট''র মত 'বোম ফাটিয়ে অ্যানাকোন্ডা' বেরিয়ে আসা আর কী। ৪০০ কেজি অ্যানাকোন্ডাটা দেখে ভয় পেয়ে যান সবাই। বহুদিন ধরেই সাপটি ওই গুহায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।এক নির্মাণ কর্মী খবর দেন বন দফতরে। মোটা শিকল দিয়ে অ্যানাকোন্ডাটিকে বেঁধে ক্রেনের সাহায্যে তুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য জায়গায়। ওই ক্রেনটা আনা হয়েছিল বিল্ডিং তৈরির কাজে। ধরা পড়া অ্যানাকোন্ডাটি ৩৩ ফুট লম্বা এবং তিন ফুট মোটা। সাপটিকে ধরতে সারাদিন লেগে যায় বলে জানান এক নির্মাণকর্মী।

সবচেয়ে বড় ফুল

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুল কি বলতে পারেন? পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুলের নাম রাফ্লেশিয়া আরনোল্ডি। এই ফুলটি ফুটেছে সুমাত্রায়। ব্যাংকুলুর দুটি ভিন্ন জায়গায় এই ফুল ফুটেছে। খবর দ্য জাকার্তা পোস্টের যারা বিরল এই ফুলটি দেখতে চান তারা ব্যাঙ্কুলুর তেঙ্গা জেলার তাবা পেনানযুং বনে যেতে হবে। অথবা আপনি যেতে পারেন ক্যাপাহিয়াং জেলার তিবাত মনোক বনে।মঙ্গলবার ফোটা এই ব্যতিক্রমী ফুল দেখতে চাইলে দর্শনার্থীদের বৃহস্পতিবারের মধ্যে যাওয়ার উপদেশ দিয়েছেন বন কর্মকর্তারা। কারণ দুই দিনের মধ্যে ফুলটি চুপসে যাবে।ফুলটি বনের গভীরে ফোটেনি দেখে ফোটার শুরুর দিন থেকে অনেক দর্শনার্থী ফুলটি দেখতে আসছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

৯০০ কেজি ওজনের কুমড়া

ওজনের দিক দিয়ে যেন সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি চীনের হুনান প্রদেশে উন্মুক্ত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম কাঁচের সেতুর। আর এবার যুক্তরাষ্ট্রে জন্মেছে ৯০০ কেজি ওজনের কুমড়া!দেশটির ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কুমড়া নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় একটি প্রদর্শনী। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত বড় বড় কুমড়া নিয়ে চাষীরা অংশ নেন। এবারের প্রদর্শীতে সবচেয়ে বড় কুমড়াটির ওজন ছিল ১৯৬৯ পাউন্ড বা প্রায় ৯০০ কেজি।

Tuesday, September 20, 2016

এক দেহে ২ টি মুখ‚ ৪ টে চোখ !

গোয়ালঘরে ঢুকে চমকে উঠলেন স্ট্যান ম্যাককাবিন । তার পোষা গাভী প্রসব করেছে এক অদ্ভুতদর্শন বাছুর । শাবকটির দেহে দুটি মুখ ! মাথা একটি । কিন্তু দুটি মুখে চারটি চোখ ! স্ত্রী শাবকটির নামকরণ করা হয়েছে লাকি ।আমেরিকার কেন্টাকির টেলর কাউন্টিতে ।চারটি চোখ নিয়ে জন্ম হলেও লাকি দেখতে পায় দুটি চোখে । চতুর্থ চোখটি আবার লোমে ঢাকা । বাইরে থেকে তাকে দেখলে মনে হয় তেচোখো বাছুর । অবশ্য খাওয়ার সময় সে খেতে পারে দুটি মুখ দিয়েই ।একে দৃষ্টিশক্তির সমস্যা । তার উপর পায়ে দুর্বলতা । ফলে লাকি ঠিক করে হাঁটতে পারে না । তাকে ধরে থাকতে হয় । তারপরে অল্প অল্প হাঁটতে পারে । এছাড়া আর কোনও সমস্যা নেই ।লাকিকে নিয়ে স্থানীয় পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ম্যাককাবিন । কিন্তু বাছুরটি কতদিন জীবিত থাকবে সে বিষয়ে চিকিৎসকরা সন্দিগ্ধ । সে যে জন্মের পরে এতদিন সুস্থ রয়েছে তাতেই বিস্মিত চিকিৎসকরা বলছেন‚ এটা চিকিৎসাশাস্ত্রে মিরাক্যল ।