আজব পৃথিবী

Monday, October 31, 2016

জুমাবারে নতুন মসজিদ বানাতেন মুসা

গোটা বিশ্বের মানবজাতির ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে তিনি হলেন পশ্চিম আফ্রিকার মালি সাম্রাজ্যের অধিপতি মানসা মুসা।তার সম্পদ এত বেশি ছিল যে তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না। তিনি অত্যন্ত দানশীল ব্যক্তিও ছিলেন। কথিত আছে, প্রতি জুমাবারে মুসা একটি করে মসজিদ তৈরি করতেন। বিশ্বের বড় বড় ধনী ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের কারো কারো সম্পত্তির কোনো হিসাব-নিকাশ নেই। যেমন বিল গেটস, মুকেশ অম্বানি কিংবা সৌদি আরবের শেখরা। কিন্তু মানবজাতির ইতিহাসে সবসেচে ধনী কে ছিলেন তা খুঁজে বের করতে সম্প্রতি সমীক্ষা চালিয়েছিল একটি সংস্থা। Celebrity Net Worth নামের ওই সংস্থাটির সমীক্ষায় হিসাবটা এভাবে করা হয়েছে যে ১৯১৩ তে যদি সম্পত্তির পরিমাণ থাকে ১০০ মিলিয়ন ডলার, ২০১৩-এর হিসাবে সেটা হবে ২২৯৯.৬৩ বিলিয়ন ডলার।
এই হিসাবে দেখা গেছে ২৫ জন সর্বকালের ধনী ব্যক্তির মধ্যে ১৪ জনই আমেরিকান। আর এদের মধ্যে একমাত্র বিল গেটসই জীবিত। তিনিই সবচেয়ে ধনী আমেরিকান। তবে গোটা বিশ্বের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে যার নাম উঠে এসেছে তার তা অনেকেই শোনেননি। তিনি হলেন মানসা মুসা। পশ্চিম আফ্রিকার মালি সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলেন তিনি। মালি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সান্দিয়াতা কেইতার ভাগ্নে ছিলেন সম্রাট মানসা মুসা। ১৩০৭ সালে তিনি সিংহাসনে বসেন। তিনি প্রথম আফ্রিকান শাসক যিনি ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। তার সম্পদ এত বেশি ছিল যে তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না। আনুমানিক ৪০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি ছিল তার।প্রচলিত আছে, ১৩২৪ সালে তিনি যখন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যান, তখন তার হজবহরের ৬০ হাজার লোক ছিল শুধু রসদপূর্ণ ব্যাগ বহনের জন্য। সঙ্গে ছিল ৫০০ গোলাম, যারা প্রত্যেকে একটি করে সোনার দণ্ড নিয়ে গিয়েছিল। ৮০ থেকে ১০০টি উট ছিল, যেগুলো প্রত্যেকটি প্রায় ১৪০ কেজি সোনা বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। 
তার এই যাত্রাপথে তিনি প্রায় কয়েক শ’কোটি টাকা মূল্যের সোনা বিতরণ করেছিলেন। কায়রোতে তিনি এত বেশি সোনা বিতরণ করেছিলেন যে, বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে সোনার দাম অনেক কম ছিল। মুসার সফরে তার প্রথম স্ত্রী সঙ্গী হন। মুসার স্ত্রীর সেবায় ৫০০ দাসী নিযুক্ত ছিল। এই কাফেলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষক, চিকিৎসক, সরকারি কর্মকর্তা ও সঙ্গীত শিল্পীও ছিলেন। মক্কায় হজের পর মক্কার জ্ঞান-বিজ্ঞানে অভিভূত হয়ে পড়েন তিনি। মক্কা থেকে উট বোঝাই করে চিকিৎসা, জোতির্বিদ্যা, দর্শন, ভুগোল, ইতিহাস, গণিতশাস্ত্র এবং আইনের ওপর প্রচুর বই নিয়ে আসেন। এবং মক্কা থেকে মেধাবী এবং সেরা গণিতবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আর্কিটেক্টদের আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসেন।
বলা হয়ে থাকে মুসা ওই ঐতিহাসিক হজে ১,৫০,০০০ পাউন্ড সোনা ব্যয় করেছিলেন। তিনি মালি সাম্রাজ্যের প্রায় ৪০০টি শহরকে আধুনিক করে গড়ে তোলেন। তার তৈরি স্থাপত্যের মধ্যে শংকর মাদ্রাসা বা ইউনিভার্সিটি অফ শংকর, হল অডিয়েন্স, গ্রান্ড প্যালেস উল্লেখযোগ্য। মুসার মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল, তা স্পষ্টভাবে জানা যায় না। তবে শোনা যায়, তিনি ২৫ বছর ধরে রাজত্ব করেছিলেন।

Tuesday, October 25, 2016

দুবার জন্ম নেয়া একই শিশু

এক জীবনেই দুবার জন্ম হয়েছে তার। না, সে কোনো দেব-দেবী বা ঈশ্বরের অবতার নয়। প্রকৃত মানবশিশুই সে।এমন অসম্ভব ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের প্লানোতে। তাই তো শিশুটির মা মার্গারেট বোয়েমার বলেছেন, প্রতিবছর দুটি জন্মদিন পালন করবেন তার মেয়ের।মার্গারেটের গর্ভাবস্থার ১৬ সপ্তাহ পার হলে নিয়মিত আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর চিকিৎসকেরা সমস্যা দেখতে পান। ওই ভ্রূণে একটি টিউমার ধরা পড়ে। এর আট সপ্তাহ পরে মাতৃগর্ভ থেকে শিশুটিকে অস্থায়ীভাবে বের করা হয় টিউমার অস্ত্রোপচারের জন্য।সার্জনরা মাতৃগর্ভ থেকে ১ দশমিক ৩ পাউন্ড ওজনের শিশুটি বের করেন ২০ মিনিটের জন্য। জীবন-মরণের ঝুঁকি নিয়ে তার অস্ত্রোপচার করেন। এরপর আবারও জরায়ুতে তাকে স্থাপন করা হয়। বলতে হয়, পৃথিবীতে এমন ঘটনা খুবই বিরল।এরপর মার্গারেটকে ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত পূর্ণ বিশ্রামে রাখা হয়। শিশুটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুস্থভাবেই দ্বিতীয়বারের মতো জন্ম নেয়।জন্মের সময় লিনলি হোপ নামে ওই শিশুর ওজন ছিল সাড়ে পাঁচ পাউন্ড।মার্গারেট জানান, আল্ট্রাসনোগ্রামের ফলাফলের পর তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। গর্ভধারণের ১৬ সপ্তাহে স্ক্যান করার পর চিকিৎসকেরা জানান একটি মারাত্মক সমস্যা রয়েছে গর্ভের শিশুর। শিশুটির স্যাক্রোকোসসিজাল টেরাটমা হয়েছে।তিনি বলেন, ‘আমরা খুব ভয় পেয়েছিলাম। কারণ এত বড় লম্বা শব্দটার (স্যাক্রোকোসসিজাল টেরাটমা) মানে আমরা জানতাম না। আমাদের কী করতে হবে তাও জানতাম না।’

ছেলেশিশুদের চেয়ে মেয়েশিশুদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। যদিও এর কারণ জানা যায়নি। টেরাটমা আক্রান্ত প্রতি ৩ লাখ থেকে ৭ লাখ শিশুর মধ্যে মাত্র একটি শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।তবে কখনো কখনো চিকিৎসকেরা শিশুর জন্ম না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন অস্ত্রোপচারের জন্য। কিন্তু লিনলির ক্ষেত্রে দেখা গেছে টিউমারটি তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বড় হচ্ছিল।এ রকম ক্ষেত্রে দেখা যায় টিউমারটি বড় হয় এবং হৃৎপিণ্ড অকেজো হয়ে পড়তে থাকে। ফলে একসময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং শিশুটি মারা যায়।মার্গারেট বলেন, ‘যখন গর্ভধারণের ২৩ সপ্তাহ চলছিল, চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তখন অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত ছাড়া উপায় ছিল না। ২৪ সপ্তাহে দেখা যায় শিশুটির আকারের সমান হয়ে গেছে টিউমারের আকার। আমরা তার জীবন বাঁচাতে চেয়েছিলাম, তাই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিই।’যদিও সম্পূর্ণ অস্ত্রোপচারে ৫ ঘণ্টা সময় লেগেছিল কিন্তু শিশুটি বাইরে ছিল মাত্র ২০ মিনিটের মতো।এই অস্ত্রোপচারের ১২ সপ্তাহ পর একটি পরিপূর্ণ শিশু হিসেবে পৃথিবীতে আসে লিনলি হোপ। সিজারিয়ানের মাধ্যমে তার এই জন্মকে মার্গারেট বলেন দ্বিতীয়বার জন্ম। তাই তিনি মেয়ের জন্মদিন হিসেবে দুটি দিনই পালন করবেন বলে জানান।

Saturday, October 22, 2016

যেখানে ধূমপান করে বানর

আশ্চর্য হলেও সত্য যে বানরও এখন ধুমপান করছে এবং রীতিমত ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে বলা যায়। সম্প্রতি বানরের সিগারেট খাওয়ার দৃশ্য দর্শণার্থীদের চোখে পড়ে দক্ষিন কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়েং সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত চিড়িয়াখানায়।ঊনত্রিশ বছরের একটা শিম্পাঞ্জি দর্শণার্থীদের দেখিয়ে দিচ্ছে সিগারেট খাওয়ার জন্য কীভাবে লাইটার ব্যবহার করতে হয়। যদি লাইটার না থাকে সেক্ষেত্রে পরিত্যাক্ত সিগারেটের আগুন নিয়ে তার সিগারেট ধরিয়ে নিচ্ছে।একটা শিম্পাঞ্জি ধুমপান করতে করতে এমন একটা পর্যায়ে এসেছে যে এখন কম করে হলেও দিনে ২০ বার ধুমপান করে থাকে।দক্ষিন কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়েংর চিড়িয়ার সুপারস্টার বানরের নাম এ্যাজালি। যিনি সিগারেট খাওয়া, ফুঁক দেয়া, ধরানো সহ নানান ধরনের কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছেন চিড়িয়াখানায় আগত দর্শণার্থীদের।
সে বর্তমানে দিনে এক প্যাকেট সিগারেট পেয়ে থাকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে যা দিয়ে তিনি সারা দিন চলতে পারেন।চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শক আসে বানরের কার্যকলাপ দেখার জন্য। বানর ছাড়াও ঐ চিড়িয়াখানায় রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির হাতি, জিরাফ, পেঙ্গুইনসহ অন্যান্য বিচিত্র প্রাণী।এই চিড়িয়াখানায় আরও একটি উল্লেখওযোগ্য প্রাণী হল কুকুর যাদেরকে লালন পালন করা হয় জার্মানীর মেষপালের মত। তাছাড়া,চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নিয়মিত তাদের বিভিন্ন খেলাধুলাসহ নানান কৌশল শিখিয়ে থাকে যাতে করে তারা দর্শণার্থীদের আনন্দ দিতে পারে।

Wednesday, October 19, 2016

বয়স ৯২ বছর স্ত্রীর সংখ্যা ৯৭

নাইজেরিয়ার নাগরিক বেলো আবু বকরের বয়স ৯২ বছর। এই নাগরিকের স্ত্রীর সংখ্যা ৯৭। কিন্তু এ সংখ্যা নাকি বিশেষ কিছুই নয় তার কাছে। বেঁচে থাকা পর্যন্ত আরো বিয়ে করতে চান তিনি।এই ধর্মযাজক বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন মোট ১০৭ বার। এর মধ্যে ১০টি সম্পর্ক টেকেনি।বিয়েকে স্বর্গীয় আশীর্বাদ বলে মন্তব্য করেছেন। শুধু তাই নয়, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আরো বিয়ে করতে চান আবু বকর।বর্তমানে তার ঘরে রয়েছে ১৮৫ সন্তান।

Wednesday, October 5, 2016

মাথাভর্তি চুল দুই মাস বয়সী শিশুর

শিশু জুনিয়র কক্স নুন অন্য সব শিশুদের চেয়ে বেশ আলাদা। সে মাথাভর্তি এক গাদা চুল নিয়ে জন্মেছে। এখন তার বয়স মাত্র ২ মাস। অথচ তার মাথাভর্তি চুল দেখে মনে হবে তার না জানি কত বয়স। একটু ঠাট্টা করেই তার মা বলেন, ওর মাথায় এত চুল যে ওকে নিয়ে কোথাও গেলে লোকজন ব্যস্ত হয়ে পড়ে।তিনি আরো বলেন, আমি ওকে নিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে সবাই ওর প্রতি খুব আগ্রহ দেখায়। আর ওকে একটু ধরে দেখতে চায় সবাই। আর এতে আমাকে এক গাদা ঝক্কি পোহাতে হয়। কয়েক ঘণ্টার আগে আমি কোনো মতেই কেনাকাটা শেষ করতে পারি না।জুনিয়রের মাথায় এত চুল যে স্বাভাবিকভাবে চুল শুকায় না। ওকে গোসল করানোর পর হেয়ার ড্রায়ার ছাড়া কখনোই ওর চুল শুকায় না। মাঝে মাঝে ঝক্কি এড়াতে জুনিয়রের মা বাধ্য হয়েই ওর মাথায় ক্যাপ পড়িয়ে ওকে নিয়ে বাইরে বের হন। তাতে কেউ ওর চুল দেখতে পাননা আর ওর প্রতি এত কারো আগ্রহও দেখা যায় না তখন।

Sunday, October 2, 2016

৫ বছর বয়সেই সন্তানের মা

মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সন্তানের জন্ম দিয়ে ইতিহাসে নাম লেখালো লিনা মেডিনা নামের একটি মেয়ে। হ্যাঁ, দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর এই মেয়েটিই বিশ্বের সর্ব কনিষ্ঠ মা।১৯৩৯ সালের কথা। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে একটি ছেলের জন্ম দিয়েছিল লিনা। চিকিৎসা বিজ্ঞান আজও সেই রহস্যের কিনারা করতে পারেনি। পেরুতে ৭ হাজার ৪০০ ফুট ওপরে পাহাড়ের চূড়ায় বাস ছিল লিনার পরিবারের। ক্রমশ পেট ফুলে উঠা দেখে টিউমার ভেবে তাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় তার বাবা-মা। পাঁচ বছরের লিনাকে পরীক্ষা করে হতবাক হয়ে যান চিকিৎসকরা। ছোট মেয়েটির শরীরে বেড়ে উঠছে আরও একটা প্রাণ!পাঁচ বছরের লিনা তখন সাত মাসের অন্তস্বত্ত্বা বলে জানান চিকিৎসকরা। জানা যায় মাত্র আড়াই বছর বয়সেই পিরিয়ড হয়ে গিয়েছিল মেয়েটির। কিন্তু কীভাবে গর্ভবতী হল ছোট মেয়েটি?নিজের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল তার বাবাকে। কিন্তু প্রমাণের অভাবে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বড় হয়ে লিনা নিজেও কখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেনি। লিনার সন্তানের বায়োলজিক্যাল বাবার নাম কখনোই জানা যায়নি। লিনার জন্ম দেওয়া সন্তান ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচেছিল। প্রথমদিকে লিনাকে সে নিজের দিদি বলে জানত। পরে তার ১০ বছর বয়স হওয়ার পর সব সত্যি তাকে জানানো হয়।