আজব পৃথিবী

Wednesday, November 30, 2016

স্বর্ণের হরফে কুরআন লিখে রেকর্ড

মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে পুরনো পাণ্ডুলিপি গত বছর যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়া যায়। ‘প্রথম কুরআন’-এর খোঁজ মেলায় সে সময় বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে যায়। এবার স্বর্ণের অক্ষরে কুরআন লিখে ইতিহাস গড়ে সংবাদের শিরোনাম হলেন আজারবাইজানের শিল্পী তুনজালে মেমেদজাদে। 
১৬৪ ফুটের স্বচ্ছ কালো সিল্কের ওপর সোনা এবং রুপা দিয়ে কোরআন লিখেছেন তিনি। এতে সময় লেগেছে প্রায় ৩ বছর। সিল্কের ওপর স্বর্ণের অক্ষরে কুরআন এই প্রথম লেখা হলো বলে জানান ৩৩ বছর বয়সী এই শিল্পী।
১১.৪ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৩ ফুট প্রস্থের এই কুরআনের হরফ লেখা হয়েছে স্বর্ণ এবং রুপা দিয়ে। প্রত্যেকটি হরফ নিজের হাতে লিখেছেন মেমেদজাদে। প্রতিটি পাতায় ফুটে উঠেছে ইসলামের শিল্পকলা। তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স দিয়ানেট থেকে স্বর্ণের হরফে লেখা কুরআনের প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। 

Sunday, November 6, 2016

এমনই হওয়া উচিত ভালবাসা

ভালবাসার আসল ব্যাপার দেহ নয়, মনই হওয়া উচিত। মাত্র তিন ফুট সাত ইঞ্চি উচ্চতার ২৮ বছরের জেমস লুসটেডকে ভালবেসে বিয়ে করেছেন ২২ বছরের প্রেমিকা চোল। চোলের উচ্চতা পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি। ৩ বছরের প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা।বিয়ের সময় উচ্চতার কারণে বিপাকে পড়েন প্রেমিক জেমস। উচ্চতায় ছোট হওয়ায় কনেকে চুমু দেওয়া বা আংটি পরাতে পারছিলেন না। অবশেষে মইয়ে চড়ে কনেকে চুমু খাওয়া ও আংটি পরানোর কাজ সারলেন জেমস। ব্রিটেনের উত্তর ওয়েলেসে সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে।

উত্তর ওয়েলসের জনপ্রিয় গির্জা সেন্ট মার্গারেটে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বামন জেমসকে বিয়ে না করতে অনেকেই চোলেকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু ভালোবাসা কোনো বাঁধা মানে না। তাই ভালোবাসার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে চোলে ও জেমসের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়।নিজের বানানো মই সম্পর্কে জেমস বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে মইটি বানিয়েছি। মইটি আমাকে চোলের চেয়ে কয়েক ইঞ্চি লম্বা দেখাতে সাহায্য করে। এটিতে চড়ে অন্যান্য দম্পতির মত চুমু খাওয়া ও আংটি পরানোর কাজ সহজেই করা যায়।’ভালোবাসা একজন মানুষকে অসাধ্য সাধন করতে সাহায্য করে। আর এ অসাধ্য সাধন করেছেন চোলে। পরিবারের বাঁকা কথা শোনার পরও বামন বরকে বিয়ে করেছেন তিনি। কাজটি খুবই কঠিন ছিল। কিন্তু জেমস ‍লুসটেডকে বিয়ে করে তিনি খুবই খুশি।

চোলে বলেন, ‘আমাদের দুজনের মধ্যে উচ্চতার ব্যবধান দুই ফুট। কিন্তু আপনি যখন প্রেমে পড়বেন তখন এই সামান্য ব্যাপার বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।’জেমস পেশায় একজন মুখাভিনেতা আর চোলি শিক্ষিকা। দুজনই ধর্মপ্রাণ খ্রিষ্টান। তাই উত্তর ওয়েলসের সেন্ট মার্গারেট চার্চে তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন।বিয়ের দিন সম্পর্কে জেমস বলেন, ‘দিনটি খুবই চমৎকার ছিল। বিয়েতে ৮০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। রাতের অতিথির সংখ্যা বেড়ে ১২০ জন হয়েছিল। বিষয়টি খুবই চমৎকার ছিল।’জেমস লুসটেড ড্রায়াসট্রোফিক ডেসফ্লাসিয়া নামের জেনেটিক সমস্যা নিয়ে জন্মেছিলেন। তার বাবা-মাও এ রোগে আক্রান্ত। তার ভাইয়েরও এ সমস্যা আছে। তাই অনেকে ধারণা করছেন তাদের সন্তানরাও বামন হবে।

তবে বিষয়টি বড় করে দেখছেন না চোলি। তিনি বলেন, ‘সংসার করার ইচ্ছা সবারই থাকে। তাই আমরা আর দেরি করতে চাচ্ছি না। আমাদের সন্তানরাও যদি আমার স্বামীর মত অর্থাৎ বামন হয়, তাহলেও কোনো সমস্যা নেই।’বর জেমস লুসটেড ড্রায়াসট্রোফিক ডেসফ্লাসিয়া নামের জেনেটিক সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা মাও এ রোগে আক্রান্ত ছিলেন।জেমস ও চোলির ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে খুব সমস্যা হয়েছে। কারণ, চোলির পরিবার এ বিয়েতে রাজি ছিলেন না। কোন পরিবারই চায় না তার মেয়ে একজন বামনকে বিয়ে করুক। আর আত্মীয়স্বজনরাও চাচ্ছিলেন না বিয়েটি হোক। কিন্তু জেমস ও চোলির দৃঢ়তায় তারা শেষ পর্যন্ত মত দেন।চোলির মা সারাহ বলেন, ‘একদিন চোলে আমাকে বলে, সে জেমসকে ভালোবাসে। তার সাথে সংসার করতে চায়। কিন্তু আমি তার সিদ্ধান্তে ‍খুশি ছিলাম না, কারণ ছেলেটি বামন। আমি তাকে শুধু একবার দেখেছি। মেয়ের নিজের সিদ্ধান্তেই বিয়ে করেছে। এ বিষয়ে খুব বিস্তারিত আমি জানি না।’

Wednesday, November 2, 2016

মৃত ব্যক্তির হাড়দিয়ে স্যুপ

পৃথিবীতে আজও এমন বেশ কিছু রীতি বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত রয়েছে, যা সভ্য সমাজে বসে বিশ্বাস করা কঠিন। এইসব রীতি শুধু প্রাচীন নয়, সভ্য সমাজের দৃষ্টিকোণ থেকে বহুলাংশে ভয়াবহ, এবং অমানবিকও।
১) কোবরা গোল্ড: প্রতি বছর থাইল্যান্ড, আমেরিকা, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সাউথ কোরিয়া, মালেশিয়ার মতো দেশগুলি থেকে সৈন্যরা থাইল্যান্ডে যান একটি ১১ দিন ব্যাপী মিলিটারি এক্সারসাইজে অংশগ্রহণ করতে। এই যৌথ সেনা মহড়ার নাম কোবরা গোল্ড।এই মহড়ায় সেনাদের শেখানো হয় কীভাবে চরম প্রতিকূল অবস্থাতেও বেঁচে থাকা যায়। তারই অংশ হিসেবে বিষাক্ত কেউটে সাপ মেরে তার রক্তপান, জ্যান্ত মুরগির মাথা চিবিয়ে খাওয়া কিংবা কাঁকড়া বিছে খাওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
২) মৃতদেহের সঙ্গে বসবাস: থাইল্যান্ডের তোরাজা উপজাতির মানুষরা বছরে একবার করে কবরস্থ আত্মীয়দের মৃতদেহ তুলে আনেন কবর থেকে।মৃতদেহগুলি পরিস্কার করে নতুন পোশাকে সজ্জিত করা হয়। তারপর সুসজ্জিত মৃতদেহগুলিকে নিয়ে চলে শোভাযাত্রা। তোলা হয় মৃতদেহের সঙ্গে সেলফিও। তারপর পুনরায় তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় কবরে। তোরাজা উপজাতির মানুষদের বিশ্বাস, এমনটা করলে খুশি হয় মৃত প্রিয়জনের আত্মা।
৩) নরমাংস ভক্ষণ: পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে নরমাংস ভক্ষণ আইনত নিষিদ্ধ হলেও ইন্দোনেশিয়ান নিউ গিনিতে বসবাসরত কোরোওয়াই উপজাতির মধ্যে এখনও মানুষের মাংস খাওয়ার রীতি রয়ে গিয়েছে। এরা তাদের সমাজভুক্ত ওঝাদের মাংস খেয়ে থাকে। ওঝার মাথার ঘিলুটাই সবার আগে খাওয়ার রীতি রয়েছে।এছাড়াও অ্যামাজনের ইয়োনোমামি উপজাতির মধ্যেও নরমাংস খাওয়ার রীতি প্রচলিত। এরা মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে হাড়গুলি বার করে শুকিয়ে নেয়। মৃত্যুর ৪৫ দিন পরে শুকনো হাড় গুঁড়ো করে কলার স্যুপের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়। মৃত্যুর এক বছর পরে সংরক্ষিত মৃতদেহের মাংস পুড়িয়ে সেই ভস্ম সেবন করে এরা। ইয়োনোমামিদের বিশ্বাস, এমনটা করলে মৃত ব্যক্তির আত্মার স্বর্গলাভের পথ প্রশস্ত হয়।