ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের বালক তারিক। বয়স ১২ বছর। জন্মের সময় থেকেই তার দুহাতে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। স্বাভাবিকের চেয়ে তা ১২ ইঞ্চি বেশি লম্বা। হাতের আঙ্গুলও অস্বাভাবিক লম্বা ও মোটা।তার এ হাত দেখলে অন্য বাচ্চারা ভয় পায় বলে তাকে স্কুলে ভর্তি করানো যায় নি। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তারিকের বন্ধুবান্ধব ছিল। কিন্তু তারা যখন দেখেছে, তার এ অসুখ ভালো হওয়ার নয়, তখন তারা তাকে ছেড়ে চলে গেছে।তাকে স্থানীয়রা ‘ডেভিল’ বা অশরীরি বা দুষ্টচক্রের মানুষ বলে আখ্যায়িত করে। তাকে মনে করা হয় অভিশপ্ত হিসেবে। কিন্তু তারিক জানে তার এ রোগ সারার মতো। তবে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ নেই পরিবারের। তার পিতা মারা গেছেন। এরপর থেকে তারিককে নির্ভর করতে হয় তার ভাইয়ের ওপর।
সে নিজে কাপড় পরতে পারে না। খেতে পারে না। গোসল করতে পারে না। সবই করে দেয় তার ভাই। তার এ রোগ কি ধরনের তা পরীক্ষাও করা হয় নি। তবে কিছু ডাক্তার আন্দাজ করছেন তারিক ‘এলিফ্যান্ট ফুট’ নামের একটি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। তারিক বলে, ‘এ অবস্থা থেকে আমি মুক্তি পেতে চাই। অন্য ছেলেমেয়ের মতো আমিও হতে চাই। প্রতিদিন স্কুলে যেতে চাই। খেলতে চাই। আমি স্বপ্ন দেখি, একদিন আমার স্বাভাবিক হাত হবে। এক সময় আমার বন্ধু ছিল। এখন কেউ নেই। সবাই আমাকে দেখে ভয় পায়। মানুষ মনে করে কোনো অভিশাপের ফল আমার এই অবস্থা।’তারিকের ভাই হরজ্ঞানের ভাষায়, ‘ওকে কোনো স্কুলই ভর্তি করাতে রাজি হয় নি। তারা বলেছে, ওর এত বড় হাত দেখে অন্য ছাত্রছাত্রীরা ভয় পাবে। আসলে তারিকের হাত অনেক বড়। আমার জীবনে আমি এত বড় হাত দেখিনি কখনো। এ হাত নিয়ে তারিকের জীবন স্থবির হয়ে আছে।’