আজব পৃথিবী

Wednesday, April 17, 2019

৩ বছরের শিশুর কোরআন মুখস্থ


তার নাম জাহরা আজারবাইজানের বছরের ছোট্ট ফুটফুটে শিশু এতো অল্প বয়সেই মুখস্থ করেছে পবিত্র কোরআন শরীফ ফলে সেই হচ্ছে ওই দেশের কনিষ্ঠ হাফেজতার ধরনের পারদর্শিতায় ইতিমধ্যে আজারবাইজানসহ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেআজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে বসবাস করে জাহরার পরিবার। এতো অল্প বয়সে কোরআনের হাফেজ হওয়ায় জাহরার মা জানান, জাহরা যখন তার গর্ভে তখন তিনি বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করতাম। উচ্চস্বরের কুরআনের তেলাওয়াত মনোযোগ সহকারে শুনতাম
জাহরার জন্মের পর ছড়া কিংবা কবিতার পরিবর্তে তাকে ঘুম পাড়াতে কুরআনের ছোট ছোট সুরাগুলো তেলাওয়াত করতেন বলে জানান জাহরার মা

জাহরার মা আরও বলেন, জাহরার বয়স যখন বছর তখন থেকেই লক্ষ্য করি, তার তেলাওয়াত করা ছোট ছোট সুরাগুলো তার সঙ্গে তেলাওয়াতের চেষ্টা করছে। মেয়ের আগ্রহ দেখে সে কুরআন তেলাওয়াত বাড়িয়ে দেই। আর এভাবেই বছর বয়সে কোনো শিক্ষক ছাড়াই আমার কাছ থেকে শুনে শুনে জাহরা পবিত্র কুরআনের ৩৭টি সুরা মুখস্থ করে ফেলেজাহরার কুরআন মুখস্থে তার মায়ের অবদানই সবচেয়ে বেশি। কারণ তার জন্মের আগে থেকে মায়ের নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত এবং জন্মের পর ঘুম লাগানোর সময় কোরআনের অবিরাম তেলাওয়াতই জাহরাকে কুরআনের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে


Wednesday, February 27, 2019

গাছেই লাইব্রেরি

বই পড়াকে উৎসাহিত করতে চালু হওয়া অনেক সংগঠনের একটি হচ্ছে ‘লিটল ফ্রি লাইব্রেরি’। বিশ্বজুড়ে খুদে সব লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করে এই সংগঠন। বর্তমানে ৮৮টি দেশে ৭৫ হাজার পাঠাগার তৈরি হয়েছে এই বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে। এই হাজার হাজার লাইব্রেরির মধ্যে কোনো কোনোটি বেশ বিচিত্র। আর এগুলোর মধ্যে অন্যগুলোকে ছাড়িয়ে গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যের শার্লি হাওয়ার্ডের লাইব্রেরি। 

বাড়ির সামনের বিরাট একটা মরা শিমুল গাছ নিয়ে কী করবে বুঝতে পারছিলেন না শার্লি। ১১০ বছর বয়সী এই গাছটাকে পুরোপুরি কেটে ফেলতেও মন সায় দিচ্ছিল না। কাজেই গাছের গুঁড়িটা নিয়ে মেতে উঠলেন শার্লি। আর যেহেতু তিনি একজন লাইব্রেরিয়ান এবং শিল্পী মজার এক আইডিয়া এলো মাথায়। তাঁর পরিকল্পনা বস্তবায়নে সাহায্য করল লিটল ফ্রি লাইব্রেরি।গাছটার গুঁড়িটার ভেতরটা খুঁড়ে এখন বানানো হয়েছে পাঠাগার। যে কেউ চাইলেই এই পাঠাগার থেকে বই নিয়ে পড়তে পারেন। ওপর দিকে একটা ছাউনিও দিয়ে দেয়া হয়েছে। বই দিয়ে দারুণ সাজানো গাছ-পাঠাগারের ভেতর আর বাইরের আলোক সজ্জা দেখে যে কেউ চমকে উঠবেন। এটাও ভাবতে পারেন রূপকথার জগৎ থেকে হাজির হলো নাকি আশ্চর্য এই লাইব্রেরি।

Tuesday, February 26, 2019

রহস্যময় দ্বীপ

স্কটল্যান্ডের অদূরে উত্তাল সমুদ্রে স্টাফা দ্বীপপুঞ্জে ‘ফিংগাল’স কেভ’র অবস্থান। কেউ বাস করে না সেই দ্বীপে। নাবিকেরা তাকে দেখছে হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে। এক সময় ‘সমুদ্র নেকড়ে’ ভাইকিংরা এই দ্বীপের নাম রেখেছিল ‘ফিংগাল’স কেভ’।

প্রকৃতির আশ্চর্য খেয়ালের কারণে ‘ফিংগাল’স কেভ’-এর ভেতরে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খিলান। এ ব্যাপারে ভূতত্ত্ববিদরা মনে করেন, আজ থেকে প্রায় ছয় কোটি বছর আগে লাভা থেকে এই গুহার সৃষ্টি। এর গলিত পাথর খড়িমাটির ওপর দিয়ে যাওয়ায় গুহাটি এই বিশেষ আকৃতি পায়।

অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ডের ‘জায়ান্ট’স কজওয়ে’ নামের অপর স্থানের সঙ্গেও এর আশ্চর্য রকমের মিল রয়েছে। যদিও ভূতত্ত্ববিদদের মতে, এদের মধ্যে মিল নাকি আপতিক নয়। তবে তাদের ধারণা, এই দুই প্রাকৃতিক বিস্ময়ের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। তারা মনে করেন, একই লাভাস্রোত থেকে এই দুই গুহার সৃষ্টি হয়। এমনকি দু'টি গুহার সঙ্গে সংযোগ ছিল বলেও উপকথা রয়েছে। পরে নাকি সেই সেতু ধ্বংস হয়ে যায়।