আজব পৃথিবী

Tuesday, March 31, 2015

বউ স্যুটকেসে!

ফ্রান্সের এক ব্যক্তি রাশিয়ায় বিয়ে করেছেন এবার বউকে নিয়ে দেশে ফেরার পালা কিন্তু বাদ সেধেছে বউয়ের পাসপোর্ট ফ্রান্স ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশ হলেও রাশিয়া নয় তাই বউকে নিয়ে দেশে ফেরার অভিনব এক বুদ্ধি আঁটেন তিনি বড় একটা স্যুটকেসে বউকে ভরে রওনা হলেন কপাল মন্দ পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষীদের হাতে ধরা পড়লেন এই দম্পতি

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, বেলারুশ সীমান্তবর্তী পোল্যান্ডের তেরেসপোল শহরের রেলস্টেশন থেকে ৬০ বছরের ওই ব্যক্তিকে গত শুক্রবার আটক করা হয়সীমান্তরক্ষীদের মুখপাত্র দারিউসজ সিইনিককি জানান, বিশালাকৃতির লাগেজটি দেখে কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। এরপর স্যুটকেস খুলে তো কর্মকর্তারা হতবাক। ভেতর থেকে বেরিয়ে এলেন ওই ব্যক্তির ৩০ বছর বয়সী রাশিয়ান স্ত্রীওই মুখপাত্র জানান, ওই নারী বেঁচে আছেন এবং সুস্থ আছেন। তাঁর কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়নি। ওই দম্পতি ফ্রান্সের উদ্দেশে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ট্রেনে করে রওনা হন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের মুক্তি দিয়ে বেলারুশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

তিনি আরও জানান, ফ্রান্সের ওই ব্যক্তি তাঁর পাশে বসিয়ে স্ত্রীকে আনতে পারতেন। কারণ ইইউভুক্ত দেশের নাগরিকেরা ইইউবহির্ভূত দেশের স্বামী বা স্ত্রীকে নিয়ে বিনা পাসপোর্টেই ইইউভুক্ত দেশগুলোতে আনতে পারেন। জন্য তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্কের প্রমাণ দিতে হতো। অথচ সেটা তাঁরা না করে সীমান্ত নিরাপত্তা ভাঙতে চেয়েছেন। কারণে তাঁদের তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারেদারিউসজ বলেন, জীবনে প্রথম এমন কাউকে ভ্রমণ করতে দেখলাম। ওই নারী মানব পাচারের শিকার হতেও পারতেন

২১ বছর বয়সে ১১ সন্তানের মা !

মায়ের বয়স ২১ কিন্তু সন্তান তার ১১টি! ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দা নাঈমা বয়স তার ২১ বছর সাত বছর আগে রাদ (২৫) নামের একজনের সাথে তার বিয়ে হয়েছেসাত বছরের সংসারেই দম্পতির সন্তান এখন ১১টি। তবে ১১ টি সন্তানকে জন্ম দিতে নায়লা গর্ভধারন করতে হয়েছে মাত্র দুইবারসম্প্রতি সৌদি আরবের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাঈমা বলেছেন, বার বার গর্ভধারণ করতে বাচ্চা জন্ম দিতে চাই না আমি। আমি অন্য মায়েদের মতই পাঁচটি সন্তান চেয়েছিলাম

প্রথমবারের গর্ভধারনে তিনি জন্ম দেন একসাথে ৬টি সন্তান, আর পরের বার ৫টি। সন্তানদের দেখাশোনা করতে গিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন না বলে জানান।নাঈমা বলেন, দিনের বেশির ভাগ সময়ই বাচ্চাদের দেখাশোনায় কাটাতে হয়। যমজদের জন্য আরো বেশিযত্ন এবং সময় দিতে হয়। রাতটাও কাটে বাচ্চাদের খাওয়ানো নিয়েনাঈমার স্বামী একজন সরকারি কর্মচারী মাসে প্রায় ৫০০ ডলার আয় করেন তিনি বেতনের অর্ধেকই চলে যায় শিশুদের প্যাম্পার কিনতেতবে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছ থেকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা পান বলেও জানান নাঈমা