আজব পৃথিবী

Wednesday, December 28, 2016

মাথা কাটার পরেও ১৮ মাস ধরে জীবিত মুরগি

লয়েড দ্বিতীয় কোপ বসানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন, এমন সময়ে যা ঘটল, তাতে প্রায় ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হল তাঁর। তিনি দেখলেন, মাথা-কাটা মাইক দৌড়ে পালাচ্ছে। পৃথিবীতে এমন অত্যাশ্চর্য ঘটনাও ঘটে যা অনেক সময়ে নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাস করা যায় না। এমনই এক ঘটনা ঘটে গিয়েছিল ৭০ বছর আগেকার আমেরিকায়, যেখানে মাথা কাটা যাওয়ার পরেও ১৮ মাস বেঁচে ছিল একটি মুরগি।  ঠিক কী ঘটেছিল? ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ তারিখে ফ্রুইটা কলোরাডো নিবাসী কৃষক লয়েড ওলসেন প্ল্যান করছিলেন নিজের শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে বসে বিকেলের খাওয়াটা সারবেন। কিন্তু কী খাওয়া যায়? লয়‌েডের স্ত্রী বললেন, ‘এক কাজ করো। পিছনের খামার থেকে একটা মুরগি ধরে আনো। আজ মুরগি রাঁধি।’ খামারে গিয়ে লয়েড একটা মুরগি পছন্দ করলেন। সে দেশের খামারে পোষা মুরগিদেরও নাম থাকে। যে মুরগিটা দিয়ে বিকেলের খিদে মেটাবেন বলে ঠিক করলেন লয়েড, সেটির নাম মাইক। মুরগিটার বয়েস তখন সাড়ে পাঁচ বছরের মতো।  মুরগিটাকে ধরে একটা ছোট হাত-কুঠার দিয়ে সেটাকে জবাই করবেন বলে স্থির করলেন লয়েড। কিন্তু যেই না মাইককে চেপে ধরে সজোরে কুঠারটা নামাবেন তার গলা লক্ষ্য করে, ছটফটিয়ে উঠল সে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হল লয়েডের কুঠার।
মাইকের গলার উপরে না পড়ে, কুঠার গিয়ে পড়ল তার মাথায়। মাথার আদ্ধে‌কটা গেল উড়ে।  লয়েড দ্বিতীয় কোপ বসানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন, এমন সময়ে যা ঘটল, তাতে প্রায় ভিরমি খাওয়ার জোগাড় হল তাঁর। তিনি দেখলেন, মাথা-কাটা মাইক দৌড়ে পালাচ্ছে। আসলে, বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষার পরে জানা যায়, কুঠারের কোপে মাইকের মাথার অধিকাংশটা বাদ গেলেও তার শরীরের জাগুলার ভেইনটি কাটা যায়নি। একটি কান এবং মগজের ঘিলুর অধিকাংশটাও অক্ষত থেকে যায়। তার ফলেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল মুরগিটি।এর পরে আর মাইককে হত্যার করার চেষ্টা করেননি লয়েড। বরং দয়াপরবশ হয়ে তিনি মুরগিটির দেখাশোনা শুরু করেন। রোজ একটা আই-ড্রপারে করে দুধ আর জলের মিশ্রণ খাওয়াতেন তিনি মুরগিটিকে। মাঝে মাঝে দিতেন ছোট ছোট ভুট্টা দানা।  এই ভাবে ১৮ মাস বেঁচেছিল মাইক। তত দিনে টাইম কিংবা লাইফ-এর মতো নামজাদা পত্রপত্রিকায় তাকে নিয়ে ছবি-সহ খবর প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে লোক ছুটে আসতে শুরু করেছেন ‘মাইক দা হেডলেস চিকেন’ নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই মুরগিকে।  মুণ্ডহীন অবস্থায় ১৮ মাস বেঁচে থাকার পরে এক দিন মাঝরাতে শ্বাসনালীতে একটা শস্যদানা আটকে মারা যায় মাইক। কিন্তু তার পরেও তার অত্যাশ্চর্য কাহিনি অমর হয়ে রয়েছে। আজও কলোরাডোর মানুষের মুখে মুখে ফেরে মাথা-কাটা মুরগির কথা।  

Tuesday, December 13, 2016

জীবন্ত মানুষকে কবর

একেবারে খাঁটি খ্রিষ্টান শেষকৃত্য অনুষ্ঠান চলছে। চার জনের কাঁধে বাহিত হয়ে এগিয়ে চলেছে একটি কফিন। কফিনের ঢাকনা বন্ধ, শুধু এক দিকের উন্মুক্ত একটি অংশ দিয়ে দেখা যাচ্ছে কফিনের ভিতরে শায়িত মানুষটির মাথা। চোখ বোজা অবস্থায় নিথর হয়ে রয়েছে সেই মাথা। কফিনের পিছন পিছন চলেছেন কিছু মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কিছু পাকা মাথার বৃদ্ধাও, যাঁরা বুক চাপড়ে হাহাকার করে কাঁদছেন। বোঝাই যাচ্ছে, মৃত মানুষটির শোকেই তাঁরা আকুল। কিন্তু আর পাঁচটি অন্তিমযাত্রার সঙ্গে এই শোভাযাত্রার কিছু ভয়াবহ পার্থক্যও রয়েছে। প্রথমত, একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, কফিনের পেছনে ক্রন্দনরতা বৃদ্ধাদের সহযাত্রী হিসেবে রয়েছেন আরও কিছু মানুষ, যাঁদের চোখেমুখে শোকের লেশমাত্রও নেই। বরং মদের বোতল হাতে নেশায় টলমলায়মান অবস্থায় হর্ষধ্বনি আর হাততালির মাধ্যমে তাঁরা উজ্জীবিত করে চলেছেন একে অন্যকে। আর তার থেকেও ভয়াবহ তথ্য যেটি, সেটি হল এই যে, কফিনের ভিতরে যিনি শুয়ে রয়েছেন, তিনি আদৌ মৃত নন, বরং জলজ্যান্ত একটি মানুষ।কিউবার রাজধানী হাভানা থেকে ১২ মাইল দূরবর্তী সান্তিয়াগো দে লাস ভেগাস গ্রামে অনুষ্ঠিত 'ব্যুরিয়াল অফ প্যাচেন্দো' নামের এক বিচিত্র উৎসবের অংশ হিসেবেই কবর দেওয়া হয় এক জন জীবন্ত মানুষকে। ১৯৮৪ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে পালিত হয়ে আসছে এই উৎসব। বছরের গোড়ার দিকেই গ্রামের এক জনকে নির্বাচন করা হয় 'প্যাচেন্দো' হিসেবে, অর্থাৎ উৎসবের দিনে যাঁকে কবর দেওয়া হবে। তারপর নির্দিষ্ট দিনে কফিনের মধ্যে তাঁকে শোওয়ানো হয়। শুরু হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ মানুষই থাকেন নেশার ঘোরে। চলে হাততালি, গান, উল্লাস। কিন্ত একটি অন্তিমযাত্রায় অংশ নেওয়া সকলেই তো আর আনন্দে উৎরোল হতে পারেন না। তাই শোভাযাত্রায় রেখে দেওয়া হয় কিছু মহিলাকেও, যাঁদের দায়িত্ব ওই 'প্যাচেন্দো'র বিধবা স্ত্রী হিসেবে শোকবিহ্বলতার অভিনয় করা।
শোভাযাত্রা সহ কফিন পৌঁছয় উৎসবের জন্যই আলাদাভাবে তৈরি করা কবরস্থানে। খোঁড়া হয় ছ'ফুট গভীর একটি কবর। উপস্থিত থাকেন ধর্মযাজকও। যথাবিহিত রীতি মেনে মানুষ সমেত কফিনটিকে শোওয়ানো হয় মাটির গভীরে। কিন্তু ওই পর্যন্তই। ভূগর্ভে শায়িত কফিনকে ঘিরে কিছুক্ষণ হইহুল্লোড়ের পরেই আবার জীবন্ত মানুষটি সমেত কফিনটিকে তুলে আনা হয় উপরে। কিন্তু এই বিচিত্র উৎসবের তাৎপর্য কী? কে-ই বা এই প্যাচেন্দো? স্থানীয় বাসিন্দা অ্যালভেরো হার্নান্দেজ দিলেন সেই প্রশ্নের উত্তর। তিনি জানালেন, "প্যাচেন্দো একেবারেই কল্পিত একটি চরিত্র। আসলে ১৯৮৪ সালে গ্রামবাসীরা একটি স্থানীয় কার্নিভালের অন্তসূচক একটি অনুষ্ঠান পালন করবে বলে স্থির করে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয়, একটি ছদ্ম-অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করা হবে। সেই সময়ে শহরে একটা নাটক এসেছিল 'ব্যুরিয়াল অফ প্যাচেন্দো' নামে। গ্রামবাসীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল সেই নাটক। হঠাৎ করে কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের অনুষ্ঠানের নাম আমরা স্থির করি 'ব্যুরিয়াল অফ প্যাচেন্দো'। ৫ ফেব্রুয়ারিকে যে এই বার্ষিক অনুষ্ঠানের জন্য স্থির করা হয়, সেটাও ওই রকম আকস্মিক সিদ্ধান্তেরই ফল।" গ্রামবাসী ডিভাল্ডো অ্যাগুইয়ার বিগত তিরিশ বছরে বেশ কয়েকবার এই অনুষ্ঠানে 'প্যাচেন্দো' হয়েছেন। তিনি বললেন, "আদপে এটা কোনও শোকানুষ্ঠানই নয়, বরং জীবনকে ভালবাসার উৎসব। কবর থেকে যখন উঠে আসি, তখন যেন নতুন করে জীবনকে ফিরে পাই, নতুন করে বুঝতে পারি জীবনের মূল্য। 'প্যাচেন্দো'র মধ্য দিয়ে জীবনের মূল্য উপলব্ধি করেন প্রত্যেক গ্রামবাসীও।" অতএব শোক নয়, বরং জীবন্ত 'প্যাচেন্দো'কে কবর দিয়ে জীবনেরই জয়গান গেয়ে যেতে চান সান্তিয়াগো দে লাস ভেগাসের মানুষজন।  

Monday, December 5, 2016

সবচেয়ে নিরাপদ ১৫ শহর

বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই শহরে বাস করেন। আর শহরবাসীর কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি সবচে অগ্রাধিকার পায়।শহরের নিরাপত্তার ওপর সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর আমেরিকার শতকরা ৮২ শতাংশ মানুষই শহরে বাস করেন। ইআইইউ প্রায় ৪০টি সূচককে বিবেচনায় নিয়ে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সূচকগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা। জরিপের অন্তর্ভুক্ত ৫০টি শহরের মধ্যে প্রথম ১৫টি শহর নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার। তাদের প্রতিবেদনে উঠে আসা শহরগুলো হচ্ছে…
টোকিও

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এ শহরটি ইআইইউ-এর তথ্যানুযায়ী সবচেয়ে নিরাপদ শহর। ৩৮ মিলিয়ন মানুষের বসবাসের এ শহরটিতে জীবনযাপন সস্তা নয়, তবে নিরাপদ।
সিঙ্গাপুর

ব্যবসায়িক পরিবেশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শহরটির অবস্থান দ্বিতীয়। 
ওসাকা

ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে জাপানের ওসাকা শহরটি দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও সাইবার নিরাপত্তার দিক থেকে শহরটির অবস্থান পঞ্চম।
স্টোকহোম

সুইডেনের স্টোকহোম সাইবার নিরাপত্তার দিক থেকে শীর্ষ দশে অবস্থান করা একমাত্র ইউরোপীয় শহর। সাইবার নিরাপত্তায় শীর্ষ দশে থাকা বাকি শহরগুলোর সবগুলোই এশিয়া এবং আমেরিকার।
আমস্টারডাম

আট লাখেরও কম লোকের বসবাস নেদারল্যান্ডের এ শহরটিতে। নিরাপদ শহরের তালিকায় তার অবস্থান পঞ্চম।
সিডনি

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দিক থেকে খুবই নিরাপদ এ শহরটির অবস্থান ষষ্ঠ। যান চলাচলের নিরাপত্তার দিক থেকে এ শহরটির অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। 
জুরিখ

সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরটি অভ্যন্তরীণ এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য প্রথম অবস্থানে থাকলেও মোটের উপর শহরটির অবস্থান সপ্তম। 
টরেন্টো

ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং জীবনযাপনের ব্যয়ভারের দিক থেকে কানাডার এই শহরটির অবস্থান পঞ্চম। তবে সার্বিক দিক থেকে শহরটির অবস্থান অষ্টম।
মেলবোর্ন

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং কম সড়ক দুর্ঘটনার কারণে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরটি বসবাসের জন্য খুবই নিরাপদ। তালিকায় এ শহটির অবস্থান নবম।
নিউ ইয়র্ক

তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের শহরটির অবস্থান দশম হলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিক থেকে শহরটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো ধরনের মহামারি মোকাবিলার জন্য শহরটির অবস্থান দ্বিতীয়।
হংকং

সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শহরটি বিশ্বের প্রথম পাঁচ শহরের একটি। সার্বিক জরিপে এর অবস্থান একাদশ।
সান ফ্রান্সিসকো

তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের এ শহরটির অবস্থান দ্বাদশ। 
তাইপেই

নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে তাইওয়ানের রাজধানী শহরটির অবস্থান চতুর্থ। তবে নিরাপত্তার সার্বিক দিক বিবেচনায় শহরটির অবস্থান ১৩তম।
মন্ট্রিল

ব্যবসায়িক পরিবেশের দিক থেকে কানাডার এ শহরটির অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ এবং খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে অষ্টম। তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় শহরটির অবস্থান ১৪তম।
বার্সেলোনা

তিন বছর আগে সাবওয়ে এবং রাস্তায় পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্পেনের এই শহরটির কর্মকর্তারা। এর ফলে দেশটিতে অপরাধের মাত্রা কমে গেছে প্রায় ৩২ শতাংশ। তালিকায় শহরটি অবস্থান করছে ১৫তম স্থানে।

পৃথিবীর অবিশ্বাস্য জায়গা

এখানে পা রাখা মাত্রই পর্যটকদের চোখে ঝলসে ওঠে বেগনি-নীল-আশমানি-সবুজ-হলুদ-কমলা-লালের বাহার। আকাশে নয় এই রংমহল পাহাড়ের গায়েই। বঙ্কিমচন্দ্রের দাদা সঞ্জীবচন্দ্রের অনুসরণে যদি কোউ বলে বসেন, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, রামধনু অন্তরীক্ষে’, তাহলে তাঁকে হার মানতে হবে এক জায়গায়। শুধু আকাশে নয়, মাটিপাথরের ধরাতেও দেখা দিতে পারে রামধনু। গোটা একটা পর্বতশ্রেণি রেঙে উঠতে পারে সাতরঙের বাহারে। না কোনও কৃত্রিম কাণ্ড নয়, প্রকৃতির আজব খেয়ালে রামধনু পর্বত সত্যিই তৈরি হয়েছে চিনে। চিনের ঝাংগিয়ে দাংজিয়া ল্যান্ডফর্ম জিওগ্রাফিক্যাল পার্ক বিশ্বের বিস্ময় বলেই পরিগণিত। এখানে পা রাখা মাত্রই পর্যটকদের চোখে ঝলসে ওঠে বেগনি-নীল-আশমানি-সবুজ-হলুদ-কমলা-লালের বাহার। আকাশে নয় এই রংমহল পাহাড়ের গায়েই। মনে হয়ে কেউ যেন দানবীয় তুলিতে রং বুলিয়েছে পাহাড়ের গায়ে। 
ভূবিজ্ঞানীদের বক্তব্য— এই রঙিন পাহাড় তৈরি হতে সময় লেগেছে ২৪ মিলিয়ন বছর। টেকটনিক প্লেটের সরণের ফলে এই পাহাড়ের খাড়াইগুলো তৈরি হয়। কিন্তু তার গায়ে এই বিচিত্র রঙের বাহার ধরে অন্য কারণে। এই পর্বত মূলত বেলেপাথরে তৈরি।  হিমালয় গঠনের অনেক আগে থেকেই এই পাহাড় তৈরি শুরু হয়েছিল। বালি পাথরে জমাট বাঁধার সময়ে তাতে মিশে গিয়েছিল বিভিন্ন খনিজ, গাছপালার অবশেষ ইত্যাদি। সেই মিশ্রণগুলিই এই রঙিন দুনিয়া তৈরি করে। এই পাহাড়ের প্রাথমিক রংটি কিন্তু টকটকে লাল। তার উপরেই ক্রমে জমেছে অন্য রঙের উপকরণ। ক্রমাগত আবহবিকারেই এই পাহাড় তার বর্তমান রূপটি পরিগ্রহ করে বলে জানান ভূ-বিজ্ঞানীরা। উত্তর-পশ্চিম চিনের এই অঞ্চল আজ জনপ্রিয় পর্যটক ক্ষেত্র। 

Sunday, December 4, 2016

‘আত্মহত্যার গাছ’

ড্রেনড্রকনাইট মরডেইস নামক গুল্ম প্রজাতির গাছটির পাতা কিংবা কাণ্ডের স্পর্শ শরীরে এতো যন্ত্রণা সৃষ্টি করে যে, মানুষ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় তাই গাছটিআত্মহত্যার গাছবলে পরিচিতগাছটি অস্ট্রেলিয়ায় বেশি দেখা যায় এটি গেম্পি গেম্পি, দ্য সুইসাইড প্লান্ট এবং মুনলাইটার নামেও পরিচিত গাছটির পাতা কাণ্ড এক ধরনের কাঁটায় আচ্ছাদিত ওই কাঁটা শরীরে উচ্চ নিউরোটক্সিন নির্গত করে যা এক দুঃসহ যন্ত্রণার সৃষ্টি করে   গাছের হুল শরীরে বিঁধলে যে ব্যথা শুরু হয় তা দুই বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ব্যথায় কোনো কাজ তো দূরের কথা ঘুমানোও অসহনীয় হয়ে ওঠে। ব্যথা অন্য যেকোনো ব্যথার চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশি ভয়ানক। এজন্য আক্রান্ত মানুষ আত্মহত্যার চিন্তা করতে বাধ্য হয়