বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই শহরে বাস করেন। আর শহরবাসীর কাছে নিরাপত্তার বিষয়টি সবচে অগ্রাধিকার পায়।শহরের নিরাপত্তার ওপর সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর আমেরিকার শতকরা ৮২ শতাংশ মানুষই শহরে বাস করেন। ইআইইউ প্রায় ৪০টি সূচককে বিবেচনায় নিয়ে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সূচকগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, অবকাঠামোগত নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা। জরিপের অন্তর্ভুক্ত ৫০টি শহরের মধ্যে প্রথম ১৫টি শহর নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার। তাদের প্রতিবেদনে উঠে আসা শহরগুলো হচ্ছে…
টোকিও
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এ শহরটি ইআইইউ-এর তথ্যানুযায়ী সবচেয়ে নিরাপদ শহর। ৩৮ মিলিয়ন মানুষের বসবাসের এ শহরটিতে জীবনযাপন সস্তা নয়, তবে নিরাপদ।
সিঙ্গাপুর
ব্যবসায়িক পরিবেশ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শহরটির অবস্থান দ্বিতীয়।
ওসাকা
ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে জাপানের ওসাকা শহরটি দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও সাইবার নিরাপত্তার দিক থেকে শহরটির অবস্থান পঞ্চম।
স্টোকহোম
সুইডেনের স্টোকহোম সাইবার নিরাপত্তার দিক থেকে শীর্ষ দশে অবস্থান করা একমাত্র ইউরোপীয় শহর। সাইবার নিরাপত্তায় শীর্ষ দশে থাকা বাকি শহরগুলোর সবগুলোই এশিয়া এবং আমেরিকার।
আমস্টারডাম
আট লাখেরও কম লোকের বসবাস নেদারল্যান্ডের এ শহরটিতে। নিরাপদ শহরের তালিকায় তার অবস্থান পঞ্চম।
সিডনি
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দিক থেকে খুবই নিরাপদ এ শহরটির অবস্থান ষষ্ঠ। যান চলাচলের নিরাপত্তার দিক থেকে এ শহরটির অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।
জুরিখ
সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরটি অভ্যন্তরীণ এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য প্রথম অবস্থানে থাকলেও মোটের উপর শহরটির অবস্থান সপ্তম।
টরেন্টো
ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং জীবনযাপনের ব্যয়ভারের দিক থেকে কানাডার এই শহরটির অবস্থান পঞ্চম। তবে সার্বিক দিক থেকে শহরটির অবস্থান অষ্টম।
মেলবোর্ন
অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং কম সড়ক দুর্ঘটনার কারণে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরটি বসবাসের জন্য খুবই নিরাপদ। তালিকায় এ শহটির অবস্থান নবম।
নিউ ইয়র্ক
তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের শহরটির অবস্থান দশম হলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিক থেকে শহরটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো ধরনের মহামারি মোকাবিলার জন্য শহরটির অবস্থান দ্বিতীয়।
হংকং
সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শহরটি বিশ্বের প্রথম পাঁচ শহরের একটি। সার্বিক জরিপে এর অবস্থান একাদশ।
সান ফ্রান্সিসকো
তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের এ শহরটির অবস্থান দ্বাদশ।
তাইপেই
নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে তাইওয়ানের রাজধানী শহরটির অবস্থান চতুর্থ। তবে নিরাপত্তার সার্বিক দিক বিবেচনায় শহরটির অবস্থান ১৩তম।
মন্ট্রিল
ব্যবসায়িক পরিবেশের দিক থেকে কানাডার এ শহরটির অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ এবং খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে অষ্টম। তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় শহরটির অবস্থান ১৪তম।
বার্সেলোনা
তিন বছর আগে সাবওয়ে এবং রাস্তায় পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় স্পেনের এই শহরটির কর্মকর্তারা। এর ফলে দেশটিতে অপরাধের মাত্রা কমে গেছে প্রায় ৩২ শতাংশ। তালিকায় শহরটি অবস্থান করছে ১৫তম স্থানে।
No comments:
Post a Comment