আজব পৃথিবী

Saturday, January 27, 2018

টাইটানিকের চেয়ে পাঁচগুণ বড় প্রমোদতরী

বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম বিলাসবহুল জাহাজের নাম ‘ওয়েসিস অব দ্য সিজ’। জাহাজটি আকারে টাইটানিকের চেয়ে পাঁচগুণ বড়। রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের হাতে এই প্রমোদতরীর মালিকানা রয়েছে। ‘এসটিএক্স ইউরোপ’-এর তৈরি এ জাহাজটির অন্দরমহল দেখলে চমকে যাবেন।‘ওয়েসিস অব দ্য সিজ’-এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে। ২০০৮ সালের শেষে প্রথম জলে ভাসে বিশাল এই বিলাসবহুল জাহাজটি। ২ লাখ ২৫ হাজার ২৮২ টনের এই জাহাজটি লম্বায় ১১৮৭ ফুট, চওড়ায় ২০৮ ফুট। এ ছাড়া জলের নিচে প্রায় ৩০ ফুট কাঠামো রয়েছে জাহাজটির।এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় দেড়শ কোটি ডলার।২২ তলা এই জাহাজটিতে রয়েছে ১৬টি ডেক এবং ২৭০০টি বিলাসবহুল ক্যাবিন। মোট ৬৩০০ যাত্রী বহনে সক্ষম জাহাজটিতে রয়েছেন ২১০০ জন কর্মী।এতে রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক, পুল, ফিটনেস সেন্টার, একাধিক পানশালা, রেস্তোরাঁ, ক্যাসিনোসহ একাধিক বিনোদন কেন্দ্র।
রয়েছে একটি আস্ত ভাসমান উদ্যান। যেখানে ১২ হাজার চারা গাছ এবং ৫৬টি বড় গাছ রয়েছে। জাহাজের পেছনের অংশে রয়েছে ৭৫০ আসনবিশিষ্ট থিয়েটার, রয়েছে চারটি সুইমিংপুল।বিলাসবহুল এই জাহাজে উত্তর ক্যারিবিয়ান সাগরে মোট ৯ রাত ৯ দিন ঘুরতে ক্যাবিন ভাড়া লাগবে ১৪৫৮ মার্কিন ডলার। বুকিং করতে হবে অন্তত দুবছর আগে।

দীর্ঘতম আর ক্ষুদ্রতম মানব

একজনের উচ্চতা ৮ ফিট ১ ইঞ্চি। আর একজনের উচ্চতা ২ ফিট। বিশ্বের দীর্ঘতম মানুষ, তুরস্কের সুলতান কোসেনের সঙ্গে দেখা হল বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মানুষ, ভারতের বাসিন্দা জ্যোতি আমগে'র। মিশনের বিখ্যাত গির্জা পিরামিডের সামনে দাঁড়িয়ে ছবিও তুললেন তারা।সুলতান ও জ্যোতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মিশরের পর্যটন বিভাগের পক্ষ থেকে। তার পরে তারা কায়রোর একটি পাঁচতারা হোটেলের সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন। ২০১১ থেকে সুলতান ও জ্যোতি যথাক্রমে বিশ্বের দীর্ঘতম ও ক্ষুদ্রতম মানুষের বিশ্বরেকর্ড দখল করে রয়েছেন।৩৫ বছরের সুলতান থাকেন তুরস্কের আঙ্কারায়। তিনি ৭ ফিট ৯ ইঞ্চি লম্বা জি শিনের কাছ থেকে দীর্ঘতম মানুষের খেতাব ছিনিয়ে নেন। জ্যোতির জন্ম ১৯৯৩ সালে ভারতের নাগপুরে।

Sunday, January 21, 2018

যার অভ্যাস ৮৮ বছর ধরে মাটি খাওয়া

প্রতিদিন ভাত-রুটি না হলেও চলে কিন্তু মাটি না খেয়ে  একদিনও থাকতে পারেন না ভারতের ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের অধিবাসী  কারু পাশোয়ান। বিচিত্র স্বভাবের অধিকারী কারুর বয়স এখন ৯৯ বছর। তিনি জানান, তার বয়স যখন  মাত্র ১১ বছর ছিল তখন থেকেই তার মাটি খাওয়া শুরু। প্রথম দিকে দারিদ্রের কারণে মাটি খাওয়া শুরু করলেও পরে তা অভ্যাসে পরিণত হয়।

কারু পাশোয়ান বলেন, 'আমি আমার আর্থিক অবস্থা নিয়ে খুব হতাশায় ভূগতাম। ছেলেবেলা থেকেই দারিদ্রের মধ্যে বড় হয়েছি। একটুকরো রুটি ভাইবোনের মুখে তুলে দিতে নিজে মাটি খেয়ে পেট ভরাতাম। যত বড় হয়েছি দারিদ্রের চাপ আরও বেড়েছে। দশ ছেলেমেয়ের সংসার আমার। তাদের ঠিকমতো খাবার দিতে পারতাম না। মনে হতো, মরে যাই। একসময় খাবারের অভাবে মাটি খেতে শুরু করি। ধীরে ধীরে এটা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়। খাবারের অভাব ঘুচলেও আমি মাটি না খেয়ে থাকতে পারি না।'

কারুর বড় ছেলে সিয়া রাম পাশোয়ান বলেন, 'আমরা বাবাকে মাটি খাওয়া থেকে বিরত করতে অনেকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি কারও কথাই শোনেন না। তিনি যেখান সেখান থেকে এক টুকরো মাটি তুলে খেতে শুরু করেন।' অবাক কাণ্ড হলো,এত দীর্ঘ সময় ধরে মাটি খেলেও কারুর কোনদিনই সমস্যা হয়নি। বরং এরই বয়সেও তিনি শারীরিকভাবে বেশ সবল। এই বিরল খাদ্যাভ্যাসের জন্য ২০১৫ সালে বিহারের সবর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বিশেষ সম্মাপনা প্রদান করেছে।

Tuesday, January 9, 2018

সাড়ে তিন ফুট মডেল

সাড়ে তিন ফুট উচ্চতা নিয়েই মডেলিং দুনিয়া মাতাচ্ছেন ড্রু প্রেস্টা। আমেরিকার নেভাডার রেনো শহরে জন্ম ড্রু প্রেস্টার। তবে কর্মসূত্রে এখন লস অ্যাঞ্জেলসে থাকেন ড্রু। ২১ বছরের ড্রু জন্ম থেকে একোনড্রোপ্লাসিয়ার শিকার। এটি এক ধরনের বামনত্ব রোগ। প্রাপ্ত বয়স্ক হলেও ড্রুয়ের উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৪ ইঞ্চি। পেশার জন্য রেনো ছেড়ে লস অ্যাঞ্জেলসে চলে আসেন ড্রু। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে ড্রু বলেন, মডেল ইন্ডাস্ট্রির উচিত সকলকে খোলা মনে গ্রহণ করা। সকলেই যেন তাদের স্বপ্ন পূরণের সুযোগ পায়। গত বছর তাকে নিয়ে আলোড়ন ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রচুর মানুষ তার ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করেন। মডেলিং এ ক্যারিয়ার তৈরি করে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন শারীরিক সীমাবদ্ধতার কাছে হার না মেনে কি করে এগোতে হয়।

বামন পরিবার

জিনগত কারণে ভারতের একটি পরিবারের ১১ সদস্যের মধ্যে ৯ জনই বামন। একটা সময় পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছিল ২১জন। সে সময় ২১ জনের মধ্যে ১৮ জনই ছিল বামন। চিকিৎসকরা বলছে, অ্যাকোন্ড্রাপ্লাসিয়া নামক জিনগত শারীরিক সমস্যা কারণে পুরো পরিবারটির এমন অবস্থা। শরীর ও হাত-পায়ের আকৃতি ক্ষুদ্রাকায় করে ফেলার জন্য খুবই পরিচিত রোগ অ্যাকোন্ড্রাপ্লাসিয়া। ভারতের এই পরিবারটির সদস্যরা বংশানুক্রমে এই অসুখটি বয়ে বেড়াচ্ছেন। সাত বোন এবং চার ভাইয়ের মধ্যে আটজনই এই সমস্যায় আক্রান্ত। এরমধ্যে পরিবারের বড় ভাই পৃথ্বিরাজসহ বেশ কয়েকজন মারাও গেছেন। বর্তমানে ৫২ বছর বয়সী রামরাজ তার ১০ সদস্যের পরিবার নিয়ে ভারতের হায়দরাবাদের ওল্ড সিটিতে বসবাস করছেন। নিজেদের পারিবারিক এই অসুখের কারণে প্রচুর মানুষ কৌতুহলী হয়ে পড়ে এই পরিবারটিকে নিয়ে।