আজব পৃথিবী

Tuesday, May 31, 2016

দীর্ঘতম পাতাল রেলপথ

নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে। খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার। কাজ করেছেন প্রায় ২ হাজার ৪০০ শ্রমিক। অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম এবং গভীরতম সুড়ঙ্গ রেলপথ বা টানেল। প্রকৌশলবিদ্যার এই বিস্ময়কর অর্জনের গৌরব সুইজারল্যান্ডের। দেশটিতে আগামী বুধবার উদ্বোধন হচ্ছে ৫৭ কিলোমিটার লম্বা ওই টানেল। আল্পস পর্বতমালায় নির্মিত এই টানেলের ভেতর দিয়ে দিনে ৩২৫টি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিটি ট্রেন ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার বেগে মাত্র ২০ মিনিটে ওই সুড়ঙ্গপথ অতিক্রম করবে। গথার্ড বেস টানেল নামের ওই রেলপথের কয়েকটি অংশের অবস্থান আল্পসের চূড়া থেকে সোয়া দুই কিলোমিটার নিচে। গভীরতার হিসাবে এটি বিশ্ব রেকর্ড। এত দিন বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গপথের রেকর্ডটি ছিল জাপানের সেইকান টানেলের, যার দৈর্ঘ্য গথার্ড বেসের চেয়ে তিন কিলোমিটারেরও কম।ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে মানুষের যাতায়াতের ধরন পাল্টে দেবে সুইজারল্যান্ডের নতুন টানেলটি। ৭ হাজার ফুট উঁচু গথার্ড পর্বতের ভেতর দিয়ে এটি বানাতে প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টন পাথর খুঁড়ে বের করতে হয়েছে। ১৯৪৭ সালে সুইস প্রকৌশলী কার্ল এদুয়ার্দ গ্রুনে প্রথম ওই টানেল নির্মাণের ধারণা দিয়েছিলেন। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের অর্থায়ন নিয়ে ১৯৯৮ সালে ভোটাভুটি হয়। তখন ৬৪ শতাংশ সুইস ভোটার এ প্রকল্পের পক্ষে মত দেন। নতুন টানেলের ভেতর দিয়ে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ থেকে ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় মিলান শহরে পৌঁছানো সম্ভব হবে। ফলে এ রেলপথে ভ্রমণে এখনকার চেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা সময় বাঁচবে। কমবে পরিবেশদূষণও। সুইস রেলওয়ে বিভাগ বলছে, টানেলটি নির্মাণের ফলে তাদের যাত্রীসংখ্যা প্রতিদিন ৯ হাজার থেকে বেড়ে ২০২০ সালে ১৫ হাজারে পৌঁছাবে। 
বুধবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ, ইতালীয় প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি এবং সুইস কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। নতুন টানেলটি পুরোদমে চালু হবে আগামী ডিসেম্বরে।

Wednesday, May 18, 2016

সমুদ্রের বিস্ময়

একমাত্র বিপুল সম্পদের মালিকরাই এ স্বপ্ন দেখতে পারেন। যদি ২৫০ মিলিয়ন ডলার অলস পড়ে থাকে, তবে আপনি হতে পারেন সাত সমুদ্রের বিস্ময় এক মনোমুগ্ধকর ইয়টের মালিক।এর ডিজাইন করেছেন গ্যাব্রিয়েল তেরুজি। ইয়টটি 'শাদ্দি' নামে পরিচিত। হিব্রু ভাষায় এ শব্দের অর্থ সর্বশক্তিমত্তাসম্পন্ন। এটি দেখতে ঠিক বোটের মতো নয়। মনে হবে আধুনিক কোনো ভাস্কর্য।এর প্রতিটা অংশের সাজসজ্জা করা হয়েছে কেবলমাত্র বিলিয়নিয়ারদের কথা মাথায় রেখে। এর ভেতরে বিশাল আকারের টেলিভিশন, পুল ক্লাব, ঘোরার আকর্ষণীয় জায়গা। বোটের মধ্যে ঘুরতেই মুগ্ধতায় ছেয়ে যাবে মন।ইয়টের মূল কাঠামো থেকে ওপরের দিকে উঠে যাওয়া ১২৫ ফুটের পাখার মতো অংশটি দেখলে দম আটকে যাবে। এ পাখার ওপরে রয়েছে মাস্টার স্যুইট আর ১১৩০ বর্গফুটের টেরেস।  অনেকটা সায়েন্স ফিকশন ছবির কোনো যান বলে মনে হয়। যেন ভবিষ্যৎ ইয়ট দেখছে পৃথিবী। সমসাময়িক আর্কিটেকচারের শৈল্পিক ছোঁয়া রয়েছে এতে। পাখার ওপরে উঠে সূর্যস্নান বেশ উপভোগ্য। তবে কাচের দেয়ালে ঘেরা পুলের পানিকে শীতল করা যায় ঝরনার মাধ্যমে। একটি ঝরনাও রয়েছে ভেতরে। পানির নিচের জগৎটাকে দেখতে নিচের আরেকটি পুলে যেতে হবে। সেখানে আছে এক দানব অ্যাকুরিয়াম।ইয়টটি এখনো বানানো হয়নি। এটি বানাতে খরচ পড়ে যাবে ২৫০ মিলিয়ন ডলার। নিউ ইয়র্ক সিটির একটি বিলাসবহুল অ্যাপর্টমেন্টও এর চেয়ে কম দামে মেলে। তবে এ পরিমাণ অর্থ যদি খরচ করা যায়, তবে বাস্তবতায় মিলবে স্বপ্ন।এএম ইয়ট ডিজাইনে কাজ করেন তেরুজি। প্রতিষ্ঠানের মালিক আলবার্তো ম্যাচিনির মতে, এই প্রজেক্টটি তেরুজির ব্যক্তিগত প্রজেক্ট হিসাবেই পরিচালিত হবে।

Wednesday, May 11, 2016

সেরা ভাসমান রেস্টুরেন্ট

মজাদার নানা ধরণের খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য ভোজন রসিকরা নানা ধরণের রেস্টুরেন্টে ঘুরে বেড়ান। একটি রেস্টুরেন্ট ভাল কি মন্দ তা কি শুধু খাবারের স্বাদের উপর নির্ভর করে? খাবারের স্বাদের সাথে এর পরিবেশ, রেস্টুরেন্টের কর্মীদের ব্যবহার আরও অনেক কিছু নির্ভর। বিশ্বজুড়ে নানা রকম অদ্ভুত রেস্টুরেন্টের দেখা পাওয়া যায়। পৃথিবীতে এমন কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে আপনি পাবেন মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ। এমনি কিছু ভাসমান রেস্টুরেন্টের সাথে আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব।
১। Kettuvallams
ভারতের কেরালা রাজ্য কালো পানির জন্য বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত। এই কালো পানির মাঝে ভাসমান কেরালার Kettuvallams রেস্টুরেন্টটি।
২। Sea Palace
ইউরোপের প্রথম ভাসমান রেস্টুরেন্ট সি প্যালেস। আর্মস্টার্ডামের সেন্ট্রাল স্টেশনের কাছে অবস্থিত এই রেস্টুরেণ্টটি। রাতের বেলায় এর চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা মুগ্ধ করে খেতে আসা গ্রাহকদের। এতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার রয়েছে।
৩। Plastic Dining Room
বিশ্বের প্রথম রেস্টুরেন্ট এটি যেটি ১৬৭২ প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি হয়েছে। এখানে ১২ জন মানুষ একসাথে বসতে পারে। ছোট হলেও এই অদ্ভুত সুন্দর রেস্টুরেন্টটি কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের অবস্থিত।
৪। Cloud9
বিশ্ব সেরা ভাসমান রেস্টুরেন্টগুলোর মধ্যে ফিজিতে অবস্থিত ক্লাউড9  অন্যতম। এই রেস্টুরেন্টে নির্দিষ্ট কোন খাবারের মেন্যু নেই। আপনি যখন যাবেন সেই মুহূর্তে যে পিজ্জাটি তৈরি হবে সেটি হবে সেদিনের খাবার। ১০০ জন লোকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এই রেস্টুরেন্টের। পিজ্জা খেতে পছন্দ করলে ঘুরে আসতে পারেন এই ক্লাউড9  থেকে।
৫। Rustar Dhow
দুবাইয়ের বড় এবং বিলাশবহুল রেস্টুরেন্টের মধ্যে রুসটার ডো অন্যতম। এই বিলাসবহুল ইয়টের ডেকে ৪০০ লোক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বিশ্ব বিখ্যাত বেশ কিছু ব্র্যান্ডের খাবারের দোকান এখানে দেখতে পাবেন।

Saturday, May 7, 2016

দুই বোনের এক মাথা

ইন্দোনেশিয়ার এক হাসপাতালে একসঙ্গেই জন্মেছিল তিন জন। তিন বোন। স্বাভাবিক ভাবে এই ট্রিপলেটের জন্ম হলেও, জন্মের পর এদের দেখে অবাক হয়ে যান ডাক্তাররা।  একজন আলাদা আর বাকি দু'জন একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। শরীর দুটো আলাদা হলেও মাথা একটা, মাথার ভেতরে রয়েছে একটাই খুলি।মাথা একটা হলেও দু'জনের ব্রেন আলাদা। তাই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশু দুটিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করে দিলে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। বাবা-মা এখন তাই অস্ত্রোপচার করানোর জন্য ব্যকুল হয়ে পড়েছেন। কিন্তু শিশু দুটি সুস্থ হলেও ওদের ওজন খুব কম। সঠিক ওজন না হলে অস্ত্রোপচার সম্ভব নয়। অন্তত ছয় থেকে আট বয়স না হলে ওদের অস্ত্রোপচার করা যাবে না। অস্ত্রোপচারে রয়েছে বিপদের সম্ভাবনা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরণের অস্ত্রোপচারে দু'জনকেই বাঁচানো সম্ভব হয় না।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ধরণের যমজ খুব কম দেখা যায়।
২ লক্ষ শিশুর জন্মে এমন একটা  কেস দেখা যায়। এই যুক্ত শিশুদের ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ মৃত জন্মায়। যারা বেঁচে থাকে তাদের ৩৫ শতাংশ একদিনের বেশি বাঁচে না। কিন্তু শিশু দুটির ক্ষেত্রে ব্রেন আলাদা হওয়ায় তারা এখনো সুস্থ। বাবা-মা তাদেরকে আলাদা করে সুস্থ জীবনে দেখার জন্য দিন গুনছেন।

Tuesday, May 3, 2016

৩১টি হাত-পায়ের আঙুল

গুনে গুনে হাতে-পায়ে ৩১ আঙুল! প্রি-ন্যাটাল স্ক্যানে যদিও এমন কোনও অস্বাভাবিকতার আভাস ছিল না। যে কারণে সন্তানের জন্মের পর বিস্ময়ের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায় চীনা দম্পতির।চীনের হুনান প্রদেশের এই দম্পতির একমাত্র ছেলের বয়স এখন তিন মাস। মা-বাবা আদরের হংহং-এর দু-হাতেই রয়েছে ১৫টি আঙুল। পায়ে আরও ১৬। সব মিলিয়ে ৩১ আঙুলের অধিকারী সে। আঙুলের সঙ্গে ভারসাম্য রাখতে, দুটি করে তালু দু-হাতে। এমন ভাবে জুড়েছে, নেই একটিও বুড়ো আঙুল।হংহং-এর বাবা-মা চান হাতে-পায়ে অস্ত্রোপচার করিয়ে, সন্তানকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেবেন। হুনানের স্থানীয় হাসপাতালের ডাক্তারের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছেন। তবে, এখনও আশাব্যঞ্জক কিছু শোনাতে পারেননি ডাক্তাররা। সদ্যোজাত শিশুর পলিড্যাক্টিলি (নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে বেশি আঙুল) বিরল নয়। তবে, হংহংয়ের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, তা অস্ত্রোপচার করে স্বাভাবিকে ফিরিয়ে দেওয়াটা চাপের বলেই মনে হচ্ছে ডাক্তারদের।

Sunday, May 1, 2016

ভাই-বোনের বিয়ে হয় যে বঙ্গে

সভ্যতার ঊষালগ্নে মানুষের মধ্যে কোনো প্রকার বৈষম্য ছিল না। না ছিল শ্রেণি বৈষম্য না ধন বৈষম্য না লিঙ্গ বৈষম্য। সেই ব্যবস্থাকে বলা হত আদিম সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা। তারও আগে এই ভারতভূমে যে পরিবার ব্যবস্থা বা যৌথ ব্যবস্থা চোখে পড়ে সেখানে নারী-পুরুষের কিংবা রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বাড়তি কোনো স্পর্শকাতরতা ছিল না। ভাইয়ের সাথে বোনের অথবা বর্তমানে কল্পনাই করা যায় না এমন সম্পর্কের মানুষদের মধ্যেও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠতো অনায়াসে। পারস্পরিক আবেদনে সাড়া দেয়া ছিল তখন প্রকৃতিগত অকৃত্রিম ব্যাপার। কিন্তু আজকের দুনিয়ায় যান্ত্রিকতা, কৃত্রিমতা মানুষকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরলেও মায়ের পেটের বোনের সঙ্গে বিয়ে করার কথা কেউ ভাবতেই পারেন না। সেটা না পারাই তো স্বাভাবিক। আদিম যৌথ জীবন থেকে অগ্রসরমানতার পথে প্রয়োজনের তাগিদে ক্রমশই মানুষের মধ্যে ব্যক্তিতান্ত্রিকতা বিস্তার লাভ করে। তার পর ধীরে ধীরে ভারী হয়ে আসে বিভেদ আর বৈষম্যের আকাশ। তবে কম অংশে হলেও আজও কেউ কেউ অতীতকে আঁকড়ে রাখতে চায়। শিক্ষার হার কম থাকায় এখনো বিশ্বের কোথাও কোথাও চোখে পড়ে যুথবদ্ধ সমাজব্যবস্থা। সেই সমাজে হয়তো এখনো ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ে কিংবা শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বাধাবন্ধহীনভাবে। আমাদের তথাকথিত আধুনিক সমাজে মায়ের পেটের না হলেও ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ের বিষয়টি প্রায়শই দেখা যায়। কিন্তু এ কেমন বিবাহ ব্যবস্থা! যেখানে খুড়তুতো, পিসতুতো, মাসতুতো, মামাতুতো এ রকম তুতো বোনকেই বিয়ে করেন যুবকরা। অবশ্য বিয়ের আগে অবশ্য এক বছর সংসার করতে হয়। আর তারপর পছন্দ না হলে বোনকে ছেড়েও দেয়া যায়। আর এই একবছর সহবাসের ফলে যদি সন্তানের জন্ম হয়েও যায়, তাহলেও বোনকে ছাড়া যায়। তবে নিয়ম মাফিক ভাইকে করতে হয় প্রায়শ্চিত্ত। এ আজব নিয়ম এখনো ঠিকে আছে টোটো নামে ভারতের এক জনজাতির মধ্যে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো জনজাতি টোটো। তাদের মধ্যেই এই বিয়ের প্রাচীন নিয়ম বর্তমান আজও। তবে টোটোদের জনসংখ্যা কমতে কমতে এখন তলানিতে। বর্তমানে টোটোদের জনসংখ্যা ১,৫৭৪। তার মধ্যে পুরুষ ৮১৯ জন ও মহিলা ৭৫৫ জন।অবিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলার মাদারিহাট ব্লকের টোটোপাড়ায় এই টোটো জনজাতির বাস। টোটোদের মধ্যে শিক্ষিতের হার কম। সেজন্যই নাকি তাদের মধ্যে প্রাচীন এই প্রথা চলে আসছে আজও। নিয়ম অনুযায়ী, পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন মেয়েকেই বিয়ে করতে হয় যুবকদের।কেমন সেই বিয়ের নিয়ম? কোনও টোটো যুবক রাতের অন্ধকারে তার আত্মীয় অর্থাৎ মামার মেয়ে বা পিসির মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে চলে আসেন নিজের ঘরে। তারপর মেয়েটির অর্থাৎ তুতো বোনের বাড়িতে খবর দেয়া হয়, তাদের মেয়েকে নিয়ে চলে এসেছেন ওই যুবক। এক বছর মেয়েটির সঙ্গে ঘর করার পর যদি যুবকের মেয়েটিকে পছন্দ না হয় কিংবা এক বছর সংসার করার পর যদি মেয়েটির সন্তান হয়, তাহলেও মেয়েটিকে ছেড়ে দিতে পারেন ওই যুবক। এরপর মেয়েটিকে ফের বাপের বাড়ি চলে যেতে হবে। আর যুবককে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় পশুবলি দিয়ে।সম্প্রতি সুজন টোটো তার মামাতো বোন গোপী টোটোকে মামারবাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে চলে এসেছেন। একবছর সংসার করার পর গোপীকে বিয়ে করেছেন সুজন। কিন্তু কেন? অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, টোটোদের মধ্যে শিক্ষিতের হার কম। সেই কারণে প্রাচীন নিয়ম চলে আসছে আজও।তবে টোটো কল্যাণ সমিতির প্রধান গোকুল টোটো বলেন, ‘ইদানিং ছবিটা বদলাচ্ছে। যারা লেখাপড়া শিখছেন তাদের অনেকেই এখন এ রীতি মানছেন না। ভিন জাতিতে বিয়ের প্রবণতা বাড়ছে।’