একমাত্র বিপুল সম্পদের মালিকরাই এ স্বপ্ন দেখতে পারেন। যদি ২৫০ মিলিয়ন ডলার অলস পড়ে থাকে, তবে আপনি হতে পারেন সাত সমুদ্রের বিস্ময় এক মনোমুগ্ধকর ইয়টের মালিক।এর ডিজাইন করেছেন গ্যাব্রিয়েল তেরুজি। ইয়টটি 'শাদ্দি' নামে পরিচিত। হিব্রু ভাষায় এ শব্দের অর্থ সর্বশক্তিমত্তাসম্পন্ন। এটি দেখতে ঠিক বোটের মতো নয়। মনে হবে আধুনিক কোনো ভাস্কর্য।এর প্রতিটা অংশের সাজসজ্জা করা হয়েছে কেবলমাত্র বিলিয়নিয়ারদের কথা মাথায় রেখে। এর ভেতরে বিশাল আকারের টেলিভিশন, পুল ক্লাব, ঘোরার আকর্ষণীয় জায়গা। বোটের মধ্যে ঘুরতেই মুগ্ধতায় ছেয়ে যাবে মন।ইয়টের মূল কাঠামো থেকে ওপরের দিকে উঠে যাওয়া ১২৫ ফুটের পাখার মতো অংশটি দেখলে দম আটকে যাবে। এ পাখার ওপরে রয়েছে মাস্টার স্যুইট আর ১১৩০ বর্গফুটের টেরেস। অনেকটা সায়েন্স ফিকশন ছবির কোনো যান বলে মনে হয়। যেন ভবিষ্যৎ ইয়ট দেখছে পৃথিবী। সমসাময়িক আর্কিটেকচারের শৈল্পিক ছোঁয়া রয়েছে এতে। পাখার ওপরে উঠে সূর্যস্নান বেশ উপভোগ্য। তবে কাচের দেয়ালে ঘেরা পুলের পানিকে শীতল করা যায় ঝরনার মাধ্যমে। একটি ঝরনাও রয়েছে ভেতরে। পানির নিচের জগৎটাকে দেখতে নিচের আরেকটি পুলে যেতে হবে। সেখানে আছে এক দানব অ্যাকুরিয়াম।ইয়টটি এখনো বানানো হয়নি। এটি বানাতে খরচ পড়ে যাবে ২৫০ মিলিয়ন ডলার। নিউ ইয়র্ক সিটির একটি বিলাসবহুল অ্যাপর্টমেন্টও এর চেয়ে কম দামে মেলে। তবে এ পরিমাণ অর্থ যদি খরচ করা যায়, তবে বাস্তবতায় মিলবে স্বপ্ন।এএম ইয়ট ডিজাইনে কাজ করেন তেরুজি। প্রতিষ্ঠানের মালিক আলবার্তো ম্যাচিনির মতে, এই প্রজেক্টটি তেরুজির ব্যক্তিগত প্রজেক্ট হিসাবেই পরিচালিত হবে।
No comments:
Post a Comment