আজব পৃথিবী

Wednesday, June 29, 2016

নগ্ন' মহিলার মত দেখতে গাছের ফল

আসল না নকল? যে প্রথমবার দেখবেন, সে চোখ কচলে আরও একবার দেখবেন। এমা! এটা কী? এরকম আবার কোনও গাছের ফল দেখতে হয় নাকি? সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলে দিয়েছে এই গাছ।বলা হচ্ছে, গাছের নাম 'নারীলতা'। অনেকে আবার একে লিয়াথামবারাও বলে থাকেন।  এই গাছের ফল দেখতে একদম ঠিক এক 'নগ্ন' নারীর মত। ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে এই গাছের দেখা মেলে। প্রতি ২০ বছর অন্তর অন্তর এই গাছে ফল ধরে। একজন 'নগ্ন' মহিলার মত দেখতে সেই ফল দেখলে চমকে উঠতে হয়।
কিন্তু অদ্ভুতভাবেই কোনও নেচার জার্নালে এই গাছের উল্লেখ নেই। আর সেখানেই রহস্য। গাছের অস্তিত্ব নিয়ে ধন্দে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও পৌরাণিক কাহিনী ও বিশ্বাস অনুযায়ী এই গাছের অস্তিত্ব রয়েছে।

Tuesday, June 21, 2016

বিয়ের আশায় ৪৭ বছর

বাড়ি ভারতের রাজস্থানে। একবার পণ করেছিলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস না করলে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না। এখন বয়স ৮২। কিন্তু এই বয়সেও মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাসের আশায় পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন ৪৭ বছর ধরে। কিন্তু শিব চরণের বিয়ের ভাগ্যের শিকা বোধ হয় আর ছিঁড়ল না। কারণ, এ বছরের মাধ্যমিকেও পাস করতে পারেননি এই হতভাগ্য মানুষটি।ঘটনার শুরু ১৯৬৯ সালে। সেবার প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন শিব চরণ। এরপর থেকে নিয়মিত পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু পাস করতে পারছেন না। একবার পণ করেছিলেন, মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করতে না পারলে বিয়ে করবেন না। এ যাত্রায় আর বোধ বিয়ে করা হলো না মন্দিরে বসবাস করা শিব চরণের।দেশটির মাধ্যমিক পরীক্ষার রাজস্থান রাজ্যে বোর্ডের ফল গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে। এবারও ব্যর্থ হলেন শিব চরণ।
রাজস্থানের বেহরোর শহরের কোহারি গ্রামে থাকেন শিব চরণ। ওই গ্রামের শিওজিরাম ও পাপ্পু বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্র এ গ্রাম থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে। তিনি ৪৭ বছর ধরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন।পণ করেছিলেন, পরীক্ষায় পাস না করলে বিয়ে করবেন না। যেহেতু এবারও পাস করতে পারলেন না। তাই তাঁর বিয়ে করাও হলো না। আজ সোমবার আইএএনএসকে শিব চরণ বলেন, জীবন থাকা পর্যন্ত আমি পাসের জন্য পরীক্ষা দিয়ে যাব। ‘এটা শুধু আমার কাছে পরীক্ষায় পাস করা নয়। এটা আমাকে বিয়ে করার সুযোগ করে দেবে।’ বলছিলেন শিব চরণ।শিব চরণের কোনো বাড়ি নেই। থাকেন জয়পুরের একটি মন্দিরে। তাঁর জীবন চলে রাজ্য সরকার থেকে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য দেওয়া পেনশনের অর্থে। বয়সের কারণে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে গেছে, কানেও কম শোনেন। কিন্তু এসব সমস্যা থাকলেও পাসের জন্য তিনি নিয়মিত পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে অনড়।শিব চরণ ১৯৯৫ সালে অঙ্ক বাদে বাকি সব বিষয়ে পাস করেছিলেন। এ বছর তিনি কোনো বিষয়ে পাস করতে পারেননি। কোনো কোনো বিষয়ে তিনি শূন্য পেয়েছেন।১৯৬৯ সালে প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন। ওই বছর পাস না করায় সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন এবং পাস করাই তাঁর জীবনের প্রধান লক্ষ্য।

Sunday, June 19, 2016

৬৯ সন্তান এক নারীর গর্ভে

বিশ্বজুড়ে রেকর্ডের শেষ নেই। কেউ সবচেয়ে বেশি বিয়ে করে রেকর্ড গড়েন। কেউ স্থুলকায় হয়ে রেকর্ড করেন। কেউ আবার শুক্রানু দানের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শত শত সন্তানের বাবা হয়ে রেকর্ড করছেন। তবে এবার যে রেকর্ডটির কথা বলবো তা শুনলে অবিশ্বাস্যই মনে হবে। একজন স্ত্রীর থেকে সর্বাধিক সন্তান পাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন এক বাবা। এ বাবার বাড়ি রাশিয়ার মস্কোয়। তার সন্তানের সংখ্যা ৬৯। এখানেই শেষ নয়। অনেকে ভাবতে পারেন প্রতিবছর একটা করে সন্তান জন্ম দিলেও তো ৬৯ বছর লেগে যাওয়ার কথা। সেটা সত্য। তবে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ফিওডোর তাকে ১৬ জোড়া যমজ, সাত সেট ট্রিপলেট (একসঙ্গে তিনটি বাচ্চা হওয়া) ও চার সেট কোয়াড্রুপ্লেট (একসঙ্গে চারটি বাচ্চা হওয়া) সন্তান উপহার দিয়েছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে ওই নারী কখনো কোন একক সন্তান জন্ম দেননি।

Tuesday, June 14, 2016

বাধ্যতামূলক অন্তঃসত্ত্বা বিয়ের আগেই

বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা বা মা হওয়া, এ কথা শুনলে সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন ওঠে মেয়েটির চরিত্র নিয়ে। এমন দুর্ঘটনায় সমাজের লোকলজ্জার ভয়ে গর্ভপাত করাতে বাধ্য হন অনেকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে, মেয়েদের বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা বা মা হওয়াটা বাধ্যতামূলক।সেখানে মাতৃত্বই দেয় পছন্দের সেই পুরুষকে বিয়ের অধিকার। এটাই রেওয়াজ পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার উত্তরপ্রান্তে ভূটান সীমান্তে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ‘টোটো’দের। ওই অঞ্চলটি টোটেদের জন্যই পরিচিত টোটোপাড়া নামে। মাত্রই কয়েক ঘর, জনসংখ্যায় সব মিলিয়ে হাজার দেড়েকের কিছু বেশি। কোনমতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছেন এই উপজাতিরা।টোটো সমাজে কোনো মেয়েকে পুরুষের বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। ছেলেটির পছন্দ হলে, মেয়েটিকে ওই পুরুষের সঙ্গে একবছর সহবাস করতে হবে। তার মধ্যে মেয়েটি গর্ভবতী হলে, তবেই বিয়ে করার উপযুক্ত হয়ে উঠবেন। তবে, বিয়ের বন্ধনে বাঁধা পড়ার আগে দুই পরিবারের অনুমতি নিতে হবে যুগলকে।

সমুদ্রে মুরগি ঘুরছে

মানুষকে সাত সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার কথা শোনা যায়। কিন্তু, তাই বলে মুরগী! অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি। দুই বছর ধরে এক মুরগি এক অভিযাত্রীর সঙ্গী হয়ে ঘুরছে নানা সমুদ্রে। ইতিমধ্যেই স্প্যানিশ শাষিত ক্যানারি দ্বীপ থেকে আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল হয়ে তারা ঘুরে বেড়িয়েছে ক্যারিবিয়ান আইল্যান্ডে। সেখানে উত্তর দিকে যাত্রা করে তারা গেছে আর্কটিক সাগরে। বর্তমানে তার অবস্থান করছে গ্রিনল্যান্ডে। খবর-বিবিসির।সৌভাগ্যবান ওই মুরগির নাম মনিক। আর তার সঙ্গীর নাম গাইরেক সুডি। ফ্রান্সের ব্রিটানি অঞ্চলে তার বাস। বিশ্ব ভ্রমণের গোড়ার দিকে ২০১৪ সালে ক্যানারি আইল্যান্ডে থেকে সে মনিককে তার জাহাজে ওঠায়। মনিকের কাজ হলো জাহাজের ডেকে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা।গাইরেক সুডি বলেন, "শুরুতে আমি ভেবেছিলাম এই অভিযানে সঙ্গী হিসেবে একটি বিড়াল নেয়া যায় কি না। কিন্তু ভেবে দেখলাম, বিড়াল নেয়ার ঝামেলা অনেক। কিন্তু তার অনেক দেখাশুনা দরকার হবে। কিন্তু মুরগির ক্ষেত্রে সেটা হবে না। আর বাড়তি পাওনা হবে ডিম।"সমুদ্রের পানিকে একটুও ভয় করে না মনিক। দিনের বেলা মনিক ৩৯ ফুট লম্বা জাহাজের পুরোটা নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ায়। আর রাত হলে, কিংবা আবহাওয়া খারাপ থাকলে, তাকে তার ছোট্ট ঘরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

স্ত্রীর ওপর রাগ ৪৮ বছর

স্ত্রীর ওপর রাগ করে ৪৮ বছর ধরে বনে বাস করছেন এক ব্যাক্তি। এটা কোনো ঠাকুরমার ঝুলির গল্প নয়। একেবারে বাস্তব। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ৭১ বছরের বৃদ্ধ কেন্নাচাপ্পা গৌড়া ঘর ছেড়েছিলেন সেই ১৯৬৮ সালে। এরপর থেকে একা একা তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে সুলিয়া এলাকার মারগাঞ্জ অভয়ারণ্যে বাস করছেন তিনি।সম্প্রতি ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুসন্ধানে উঠে আসে তাঁর বনবাস জীবন কাহিনী। এরপর তাঁকে নিয়ে খবর প্রকাশ করে দেশটির অনেক সংবাদমাধ্যমই।ভারতের সংবাদমাধ্যম জিনিউজ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সে ষাটষট্টি সালে বিয়ে করেছিলেন কেন্নাচাপ্পা। স্ত্রী উমা ছিলেন রাগী প্রকৃতির। একদিন কথা কাটাকাটির কারণে স্ত্রী তাঁকে পরিবারের সদস্যদের সামনে গায়ে হাত তোলেন। সেদিনই রাগে-ক্ষোভে বনবাসী হন কেন্নাচাপ্পা। বাড়ি ছাড়ার সময়ে প্রতিজ্ঞা করেন, যত দিন পর্যন্ত উমা না মারা যাবেন তত দিন তিনি বাড়ি ফিরবেন না। এরপর থেকে বনে বনেই কাটছে ৭১ বছর বয়েসী এই বৃদ্ধের জীবন।
এদিকে জিনিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, যে নারীর জন্য ঘর ছেড়েছেন কেন্নাচাপ্পা সেই নারী অর্থাৎ তাঁর স্ত্রী এখনো জীবিত। কয়েক বছর আগে স্বামীর সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে যাননি এবং তাঁর একমাত্র ছেলেকেও বাবার কাছে যেতে দেননি উমা। তাঁর বিশ্বাস, স্রষ্টা কপালে যা লিখে রেখেছেন তাই হবে।
এদিকে টেলিভিশন চ্যানেল ইন্ডিয়া টাইমসকে কেন্নাচাপ্পা গৌড়া জানান, নারকেল পাতা দিয়ে বানানো একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন তিনি। জঙ্গলে কৃষিকাজ করে উৎপন্ন আলু দিয়ে বানানো খাবার খেয়েই কাটে তাঁর দিন। এভাবেই এত বছর বেঁচে আছেন তিনি।

Sunday, June 12, 2016

বামনের প্রেমকাহিনী

ফেসবুকে প্রথম কথা, তারপর ভালো লাগা। মাঝে ১৮ মাসের বিরহ। সম্পর্ক কি আর আদৌ জোড়া লাগবে কাটুসিয়ার সঙ্গে! তাকে ব্লক করে দেয়ার পর এটাই মনে হয়েছিল ব্রাজিলের বামন পাওলো গ্যাবরিয়েল দ্যা সিলভা ব্যারোসের। কিন্তু একদিন নিজেই পুরোনো বন্ধু পাওলোর সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন কাটুসিয়া হোসহিনো। আর সেই সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে, তারপর বিয়ে বিয়ে। দেখতে দেখতে আট বছর কাটিয়ে দিয়েছেন এই বামন দম্পত্তি।তারা বামন হলেও কিন্তু প্রেমে টেক্কা দিতে পারেন নামকরা সিনেমার গল্পকেও। তারা লায়লা-মজনু কিংবা রোমিও জুলিয়েট নন, অথচ তাদের প্রেমকাহিনী শুনে অনেকেই অনুপ্রেরণা পান। অবশ্য সমাজ তাদের কোন চোখে দেখে, সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাতে কি, ভালোবাসা তো কমে না দু’জনের! আক্ষেপ অভিমান চেপে রেখে পাওলো বলেন, ‘আচ্ছা বামন বলে কি ভালোবাসতে নেই!’ বলতে বলতে চোখের কোণে পানি চিকচিক করছিল পাওলো গ্যাবরিয়েল দ্যা সিলভা ব্যারোসের।
স্ত্রী কাটুসিয়া হোসহিনোকে পাশে বসিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বামন, কিন্তু তাতে কী? আমরা আর পাঁচটা দম্পতির মতোই। জানেন, পার্থক্য শুধু আমাদের উচ্চতায়। আমরা একে অপরকে খুব ভালোবাসি। আমাদের সম্পর্কের সবথেকে বড় রসায়ন কী জানেন? আমরা একে অপরকে বুঝি, সবসময় নিজের বলে অনুভব করি।’বর্তমানে তাদের প্রেম কাহিনী শুনতে আসেন অনেকেই। স্বামীর হাতে হাত রেখে কাটুসিয়া বলেন, ‘পাওলোর সবচেয়ে বড় গুণ ও আমাকে খুব ভালোবাসে, বোঝে। আমি রেগে গেলে ও চুপ করে থাকে। পরে ও আমাকে বোঝায়। তখনই সব ঠিক হয়ে যায়।’

Friday, June 10, 2016

মাটির নীচের গোপন বীচ

বৈচিত্রময় এই পৃথিবীকে যত জানি ততই অবাক হই। এই জানার শেষ নেই, শেষ নেই বিস্ময়েরও। ছাপোষা জীবন থেকে চোখ তুলে একটু শুধু দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে। বিস্ময়ের ভান্ডার আর সময় দেবে না মন খারাপের। সাদামাটা আপনিও হয়ে উঠবেন রোমাঞ্চপ্রিয়। অবাক হওয়ার নেশার চাইতে বড় নেশা হয়ত কিছু নেই!মানুষ সুউচ্চ পর্বতের চূড়ায় উঠে যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। আবার কারও পছন্দ সমুদ্র। সে সার্ফিং করে, কায়াকিং করে, বিশ্বের বিভিন্ন বীচ থেকে ডাইভিং করে। কেন করে? এক পাহাড়ে উঠে কেন মেটে না স্বাদ? একই তো পাহাড়ী দৃশ্যগুলো সব! সমূদ্রের বীচগুলোও তো দেখতে একই। সেই নীল জল, সাদা বালির বীচ।সৌন্দর্য্যের নেশা একবার যাকে পেয়ে বসে সে জানে, প্রকৃতি কোথাও এক রকম নয় মোটেই। বরং প্রতি পদে পদে সে ভিন্ন। চূড়ায় চড়তে অনেক ঝুঁকি নিতে হয় সত্যি। কিন্তু একবার সেখানে পৌঁছে গেলে মন বলে, স্বর্গ বলে কিছু নেই। পৃথিবীই স্বর্গ, এই সৌন্দর্য্যই সর্বোচ্চ সৌন্দর্য্য!
 
বিস্ময়ের জাহাজে চড়ে আজ যাব এমন এক বীচে যাকে বলা হয় 'গোপন বীচ'। ভূমির মাঝে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল গহবর। ঘন সবুজ দ্বীপের ভূ-তলের এই গহ্বরে লুকিয়ে আছে প্রশস্ত ছায়াময় একটি বীচ, সূর্য্য এবং স্ফটিক স্বচ্ছ জলরাশি!মেরিটা দ্বীপমালা এক সারি দ্বীপের সমষ্টি যার উৎপত্তি হয়েছে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত থেকে। দ্বীপগুলো প্রত্যেকটিই বিস্ময়ের ঝুড়ি, কিন্তু বীচটি সেই ঝুড়িতে রত্ন।প্লায়া ডেল আমোর, Hidden beach হিসেবেই তার বহুল পরিচিতি। এর অবস্থান ম্যারিটো আইল্যান্ডে, মেক্সিকোর পশ্চিম পিওরতো ভালার্তায়, বান্দারাস বে এর মুখে। রটনা বলে, গোপন বীচটি একটি বিশাল বোমা বিস্ফোরনের ফল। মেরিটা দ্বীপমালা সবসময়ই জনবসতিহীন। ১৯ শতকের দিকে ম্যাক্সিকান সরকার দ্বীপগুলোকে বোমা পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা শুরু করে। অনেক গুহা এবং পাথুরে গঠনের কারণ এই যত্রতত্র বোমা বিস্ফোরণ এবং সম্ভবত গোপন বীচের উৎপত্তিও সেভাবেই।
 
১৯৬০ সালে বিজ্ঞানী জেকস কসটিউ দ্বীপগুলোতে অমানবিক ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। অবশেষে ২০০৫ সালে দ্বীপগুলোকে ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এখন সেখানে সাঁতার কাটা, কায়াকিং এবং সূর্য্যস্নানই একমাত্র আইনসঙ্গত কার্যক্রম। সামরিক কর্মকান্ডে অনেক ক্ষতি হলেও ধীরে ধীরে ফিরে আসছে দ্বীপের সবুজ এবং সামুদ্রিক স্বাভাবিক জীবন।গোপন বীচটি বাইরে থেকে দেখা যায় না এবং লম্বা পানির টানেল দিয়েই শুধু সেখানে যাওয়া যায় যা বীচটিকে যুক্ত করেছে প্রশান্ত মহাসাগরের সাথে। সেখানে পানির লেভেল থেকে ৬ ফুট উচ্চতা বিদ্যমান। তাই ভ্রমণকারীরা সাঁতার কেটে বা কায়াকিং করে বীচে পোয়ছতে পারবেন। দ্বীপগুলোতে এখনো কোন জনবসতি নেই, তাই উপভোগ করতে পারবেন সম্পূর্ণ নিরবতা।গোপন বীচটি প্রাকৃতিক বিস্ময় নাকি মানুষ্যসৃষ্ট তান্ডবের ফল তা জানা যায় নি এখনো। তবে অপরূপ প্রকৃতিকে ধ্বংস করে সেখানে সামরিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর কাজটি খুবই দুঃখজনক। এই ক্ষতি ভুগতে হবে বিশ্বকে, ভবিষ্যত বিশ্ববাসীকে।

Sunday, June 5, 2016

দুই মাথা, এক দেহ

এক ছেলে এবং এক মেয়ের পর তৃতীয়বার সন্তানসম্ভবা হয়ে খুবই উত্তেজিত ছিলেন ২৪ বছর বয়সী শিবরাজ দেবী। একইরকম ভাবে তৃতীয়বার বাবা হওয়ার আশায় প্রবল আনন্দে মেতেছিলেন ৩০ বছরের ছোট্টু সিং। বুধবার যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন শিবরাজ। আর তারপরেই দেখা দিল যাবতীয় সমস্যা।মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে গেল যাবতীয় আনন্দ। শিবরাজ দেবীর গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ যমজ দুই সন্তানের দেহ একটি। যমজ দুই জনের একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে। তাদের দুই জোড়া হাত থাকলেও পা রয়েছে একজোড়া। ওই দুই জনের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু অঙ্গও রয়েছে একটি করে।ভারতের বিহার রাজ্যের বক্সার জেলার বেসরকারি একটি হাসপাতালে ওই যমজ সন্তানের জন্ম হয়। পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় তাদের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাজ কুমার গুপ্তা বলেন, ‘তলপেটের নীচ থেকে তাদের অঙ্গ সব একসঙ্গে জুড়ে রয়েছে। একজনের যৌনাঙ্গ দেখে বোঝা যাচ্ছে সে মেয়ে। অন্য জনের যৌনাঙ্গ এখনও দেখা যায়নি। তবে মনে হচ্ছে অপরটি ছেলে।’সদ্যজাত এক শরীরের দুই সন্তানের শারীরিক অবস্থা একটু স্থিতিশীল হলে তাদের তিন ঘণ্টা দূরত্বের একটি বড় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য তাদের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন সেখানকার চিকিৎসকরা। নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মানো ওই দুই শিশুর চিকিৎসার খরচ চালানোর মতো অবস্থা নেই কারখানার শ্রমিক ছোট্টু সিংয়ের। সেই কারণে সন্তানদের বাড়ি নিয়ে যেতে চাইছেন ছোট্টু-শিবরাজ।ছোট্টু সিং জানান, গর্ভবতী অবস্থায় সবধরনের পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের যাবতীয় পরামর্শ মেনে চলেছিল শিবরাজ। একবারের জন্যেও বোঝা যায়নি যে শিবরাজের গর্ভে বড় হচ্ছে যমজ সন্তান।