আজব পৃথিবী

Tuesday, February 28, 2017

নানারকম ডিম দেবে এক মুরগিই

নিপাট বাদামি পালকের হৃষ্টপুষ্ট মুরগিটিকে দেখে তার ভেল্কির কথা ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না আপনি। সাধারণ মুরগির সঙ্গে এর তুলনা করলে চলবে না মোটেই। ছোট্ট একটি জিনের সামান্য নড়াচড়ায় এখন রীতিমতো তারকা এই মুরগি। নানা প্রজাতির ডিম একাই পাড়তে পারে জেনেটিক্যালি মডিফ্যায়েড এই মুরগি। শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।নিজেদের গবেষণাগারে এমনই হাইব্রিড মুরগির জন্ম দিলেন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটসের আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্স-এর এক সম্মেলনে এই অভিনব বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরেন বিজ্ঞানীরা। এ সম্মেলনেই তারা জানান, জেনেটিক কারিগরির ফলে জন্ম নেওয়া হাইব্রিড এই মুরগি বিভিন্ন প্রজাতির ডিম পাড়তে পারবে।
শুধু তাই নয়, বার্ড ফ্লু’র মতো রোগও অনায়াসেই প্রতিরোধ করতে পারবে এই মুরগি। অর্থাৎ এর ডিম থেকে জন্ম নেওয়া কোনও মুরগিই বার্ড ফ্লু’র বাহক হবে না।এডিনবরার বিজ্ঞানীরা জানান, পাখিদের প্রজননে মুখ্য ভূমিকা নেয় ডিডিএক্স৪(DDX4) নামক জিনটি। জিন এডিটিং পদ্ধতিতে মডিফাই করা হয়েছে এই জিনটিই। তবে নিজের ডিম পাড়তে পারবে না হাইব্রিড এই মুরগি। তাহলে কীভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির জন্ম দেবে সে?এডিনবরাহাইব্রিড ওই মুরগির দেওয়া কয়েক প্রজাতির ডিম।বিজ্ঞানীদলের প্রধান গবেষক মাইক ম্যাকগ্রিউ জানান, এই মুরগি আসলে সরোগেট মাদারের ভূমিকা পালন করবে। সেটা ঠিক কী রকম? যদি অন্য কোনো প্রজাতির মুরগির স্টেম সেল এনে হাইব্রিড মুরগির গর্ভে স্থাপন করা হয় তাহলে সেই প্রজাতির ডিম নিজের দেহে তৈরি করবে এই হাইব্রিড মুরগি। এবং সেই প্রজাতির মুরগির ডিম দেবে সে।
কিন্তু হঠাৎ কেন এই ধরনের মুরগি তৈরির কথা মাথায় আসল বিজ্ঞানীদের? ম্যাকগ্রিউ বলেন, ‘আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বিলুপ্ত প্রজাতির মুরগি সংরক্ষণ।’যেহেতু এই মুরগি অন্য প্রজাতির ডিমও পাড়তে পারে, তাই বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি সংরক্ষণ করতে নতুন এই হাইব্রিড মুরগি সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।ইতিমধ্যেই ‘রাম্পেল্স গেম’, ‘স্কটস ডাম্পি’, ‘সিসিলিয়ান বাটারকাপ’, ‘ওল্ড ইংলিশ ফেজ্যান্ট ফাউল’ প্রভৃতি বিরল প্রজাতির মুরগির ডিম পেড়েছে এই হাইব্রিড মুরগি। বিজ্ঞানীরা জানান, অদূর ভবিষ্যতে বিরল ও লুপ্তপ্রায় প্রজাতিকে ফের নতুন করে বাঁচিয়ে তুলবে এই মুরগি।

১২৫ কেজি ওজনের পোয়া মাছ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় শাহপরীর দ্বীপে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১২৫ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ।  জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ হাসানের মালিকানাধীন একটি নৌকায় জেলে খুরশিদ আলম, রশিদ আহমদ ও নজির আহমদ মাছ ধরতে যান। নাফ নদীর মোহনা–সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে জাল পাতেন। সকালে জালে পোয়া মাছটি ধরা পড়ে।   এটির ওজন ১২৫ কেজি। জেলেরা জানান, মাছটি নিয়ে শাহপরীর দ্বীপের জেটিঘাটে ফিরে আসার পর উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়।  নৌকার মালিক মোহাম্মদ হাসান জানান, টেকনাফের মাছ ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিনসহ কয়েকজন মিলে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।  ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার টেকনাফের বড় মাছ বাজারে মাছটি কেটে বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রির জন্য বুধবার মাইকিং করা হবে। এরই মধ্যে বেশ কিছু মাছ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।  বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাছটি বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করা হবে বলেও তিনি জানান।  শাহপরীর দ্বীপের স্থানীয় ব্যবসায়ী শরিফ হোসেন বলেন, এ রকম বড় মাছ গত দু যুগেও এ ধরনের বড় পোয়া মাছ তাঁরা দেখেননি। এ মাছ  মাছ খেতে বেশ  সুস্বাদু।  টেকনাফ উপজেলা  মৎস্য কর্মকর্তা সুজাত কুমার চৌধুরী বলেন, এ মাছ গভীর সাগরে পাওয়া যায়। নাফ নদীর মোহনায় সাধারণত পাওয়ার কথা নয়। মাছটি পথ হারিয়ে হয়তো এখানে ধরা পড়েছে। 

টাক সম্মেলনে অদ্ভুত রশি টানাটানি

জাপানের কেশহীনদের এক বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন ৩০ ব্যক্তি। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চলে অদ্ভুত রশি টানাটানি প্রতিযোগিতা। এর সদস্য সংখ্যা ৬৫। প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাদের মাথায় একটি সাকশন কাপ লাগায় যার একপ্রান্তে থাকে লাল পাতলা রশি। এরপর দুজন দুপাশ থেকে সেই রশি টানতে থাকেন। ‘বল্ড মেন ক্লাব’ বা কেশবিহীনদের এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিতি হয়েছে ১৯৮৯ সালে। জাপানে টোকো লোকদের সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্য নিয়ে এই ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত হয়। 

Sunday, February 26, 2017

হোটেল থেকে কম নয় যে জেলগুলি

ব্যাস্টয় প্রিজন, নরওয়ে –  ব্যাস্টয় দ্বীপের উপর অবস্থিত এই জেলে ১০০ জন কয়েদি থাকার স্থান রয়েছে৷ এখানে নিরাপত্তার তেমন প্রয়োজন পড়ে না৷ ছোট ছোট কটেজের মতো জেল, টেনিস কোর্ট, মাছ ধরার লেক, রেসকোর্স – এত কিছু রয়েছে এখানে কয়েদিরা প্রায় ভুলেই যান যে তাঁরা জেলে রয়েছেন৷ 
এইচএমপি এডিওয়েল, স্কটল্যান্ড – ৭০০ জন কয়েদি থাকতে পারে এই জেলে এবং তারা রাজকীয়ভাবেই থাকে৷ সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা সময় প্রত্যেক কয়েদিকে আলাদা করে দেওয়া হয়৷ যখন তাঁরা মুক্তভাবে নিজেদের মতো করে কাটাতে পারে৷ 
ওটাগো কারেকশন ফেসিলিটি, নিউজিল্যান্ড – জেল না বলে একে সংশোধনাগার বলা ভাল৷ এখানে প্রত্যেক কয়েদিকে আলাদা করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় গঠনমূলক কাজের জন্য৷ যাতে ছাড়া পেয়ে তাঁরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরে যেতে পারেন৷ তবে এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ কড়া৷ 
জাস্টিস সেন্টার লিওবেন, অস্ট্রিয়া – এখানে সাধারণত অহিংস কয়েদিদেরই রাখা হয়৷ আর এই কয়েদখানার প্রত্যেকটি কামরা এক একটি ওয়ান বেডরুম ফ্ল্যাটের মতো৷ আলাদা রান্নাঘর ও অ্যাটাচড বাথরুম সহ৷ 
জেভিএ ফুলসবুয়েট্টেল প্রিজন, জার্মানি – সাধারণত যারা যাবজ্জীবনের সাজা কাটছে তারাই এখানে থাকে৷ বিশাল এই জেলের ক্যাম্পাস যেন কয়েদিদের কাছে ছোট্ট একটা শহরই৷ ঘরে সুন্দর খাটের পাশে বসার জায়গা, পড়ার টেবিল, বাথরুমে শাওয়ার সবই আছে৷ কয়েদিদের জন্য লন্ড্রি মেশিনও রয়েছে৷ আলোচনা-পর্যালোচনা ও বিনোদনের জন্য রয়েছে আলাদা ঘর৷ 

Monday, February 13, 2017

ছাগলের বিশ্বরেকর্ড

অস্ট্রিয়ার এক ছাগল সম্প্রতি গড়েছে বিশ্বরেকর্ড। ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালে (ইউপিআই) প্রকাশিত একটি খবরে জানা যায়, ছাগলটির নাম রাশপুতিন। রাশিয়ার জার দ্বিতীয় নিকোলাসের উপদেষ্টা রাশপুতিনের নামানুসারে তার এই নামকরণ। তবে এই রাশপুতিন নামের ছাগলটির বয়স এখন আট বছর। তার শিং মেপে দেখা গেছে, তার সেটা বিস্তৃত প্রায় ৫৩.২৩ ইঞ্চি! এর ফলে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্তৃত শিংয়ের অধিকারী হিসেবে গিনেস বুক অব রেকর্ডের খাতায় নাম উঠে গেছে তার। এর আগে যে ছাগলটি সবচেয়ে বিস্তৃত শিংয়ের বিশ্বরেকর্ড করেছিল, তার নাম ছিল আংকেল সেম। যুক্তরাষ্ট্রের সেই ছাগলটির শিং বিস্তৃত ছিল ৫২ ইঞ্চি। অর্থাৎ রাশপুতিনের শিংয়ের ব্যবধান এক  ইঞ্চিরও বেশি।  ছাগল রাশপুতিনের মালিক মার্টিন পারকার তাঁর এক বন্ধুর কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই মূলত রেকর্ড ভাঙার আশা নিয়ে ছাগলটির শিং মাপা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘ছাগলটির বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন থেকে আমি তার শিং মাপতে শুরু করি। আমার এক সুইস কলিগ তাঁর ছাগলের শিং দিয়ে রেকর্ড ভাঙার জন্য চেষ্টা করছিলেন, তাঁকে দেখে আমিও আমার ছাগলের শিং মাপতে থাকি।’ মার্টিন জানান, তাঁর ছাগলটি চমৎকার। ছাগলটি কখনো শিং দিয়ে কাউকে আঘাত করে না। 

Saturday, February 11, 2017

যুবকের মাথা সিংহের মুখে

নিজের পোষা সিংহের মুখের ভেতর হুমাইদ কখনও তার হাতটি ঢুকিয়ে দিচ্ছেন, কখনও বা আস্ত মাথাটাই রাখছেন সিংহের হাঁ-মুখের মধ্যে। আর তার পরই ঘটে যাচ্ছে অবিশ্বাস্য ঘটনা। বিপদের সঙ্গে খেলা করাই কিছু মানুষের নেশা। অ্যাডভেঞ্চারের তাগিদে বিপদকে আলিঙ্গন করেন তারা। তাতেই তাদের আনন্দ। পার্সিয়ান গালফ অঞ্চলে ধনীদের মধ্যে বর্তমানে এক নতুন অ্যাডভেঞ্চারের নেশা দানা বেঁধেছে। তারা বাড়িতে চিড়িয়াখানা তৈরি করে সেখানে বাঘ-সিংহকে পোষ্য করে রাখা শুরু করেছেন। হুমাইদ আলবুকাইশ তাদের মধ্যে একজন। পার্সিয়ান এই ধনকুবেরের আয়ের উৎস অজানা, কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় তার পোস্ট করা ভিডিওগুলো এখন বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার সঙ্গত কারণও রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের আরও অনেক ধনকুবেরের মতোই তিনিও নিজের বাড়িতে চিড়িয়াখানায় পূর্ণায়ত বাঘ-সিংহকে পোষ্য করে রেখেছেন। এই সমস্ত হিংস্র জন্তু তার কাছে একেবারে শান্ত আকার ধারণ করে। তাদের সঙ্গে হুমাইদের খেলাধুলোর ভিডিও এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কিন্তু কী করছেন তিনি তার পোষ্যদের সঙ্গে? তার কীর্তিকলাপ দেখে হাড় হিম হয়ে যাচ্ছে দর্শকদের।একটি বেশ দীর্ঘায়ত ভিডিও নিজের সোশাল মিডিয়া পেইজে পোস্ট করেছেন হুমাইদ। তাতে দেখা যাচ্ছে, নিজের পোষা সিংহের মুখের ভিতর হুমাইদ কখনও তার হাতটি ঢুকিয়ে দিচ্ছেন, কখনও বা আস্ত মাথাটাই রাখছেন সিংহের হাঁ-মুখের মধ্যে। সিংহটিও একান্ত বাধ্য পোষ্যর মতোই আঁচড়ও আসতে দিচ্ছে না তার মালিকের শরীরে।একা হুমাইদকেই অবশ্য এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তা নয়, তার বন্ধুবান্ধবরাও বেড়াতে গিয়েছেন তার চিড়িয়াখানায়, সেই দৃশ্যও ধরা পড়েছে সেই ভিডিওতে। বন্ধুরাও তার মতোই অসমসাহসী। তারাও হুমাইদের মতোই অনায়াসে খেলায় মেতে যাচ্ছেন মাংসাশী জন্তুদের সঙ্গে। কেবল এক তরুণীকে দেখা গিয়েছে যিনি সিংহীর আদরে ভয়ের চোটে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলেন। 

খেয়ে বিশ্বরেকর্ড

মুরগির মাংস বা চিকেন সুস্বাদু খাবার হওয়ায় অনেকেরই কাছে এটি প্রিয় একটি খাবার। কিন্তু যতই প্রিয় হোক না কেন, কতটুকুই আর খাওয়া যেতে পারে এই চিকেন। যদি বলি একই জায়গায় বসে একই সময়ে খাওয়া যেতে পারে ৪০৯ পিস চিকেন উইং। অবাস্তব মনে হলেও বব সাউডেট নামের এক ব্যাক্তি এই কাজ করে গড়ে ফেলেছেন বিশ্বরেকর্ড। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় ‘উইং বোউল ২৫’ শিরোনামে মুরগির পাখা বা চিকেন উইং খাওয়ায় একটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম হন ৫০ বছর বয়সী বব সাউডেট। আর তারা জন্য তিনি খেয়েছেন ৪০৯ পিস চিকেন উইং।এই জয়লাভ করে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে সাউডেট জিতেছেন মেডেল, নগদ ১০ হাজার ডলার ও একটি গাড়ি। 

৪০ জন স্ত্রীর সঙ্গে গোসল

বৈভব আর রাজকীয় অর্থ নয়-ছয়ের ইতিহাসে আজও কুখ্যাতই হয়ে রয়েছেন রাজস্থানের ভরতপুরের রাজা কিষণ সিংহ। রাজস্থান মানেই বীর রাজপুতদের জায়গা। মহারানা প্রতাপ সিংহ থেকে সংগ্রাম সিংহ একের পরে এক বীরপুঙ্গবের জন্মের জায়গা হিসেবে আজও রাজস্থানের নাম গর্বভরে নেওয়া হয়।  শুধু বৈভব বা অর্থ নয়-ছয় করা নয়, রাজা কিষণ সিংহ যেভাবে নারীসঙ্গ উপভোগের জন্য এইসব করতেন, তার জন্য আজও তাকে ধিক্কার দেন রাজস্থানবাসী। ১৮৮৯ সালে জন্ম রাজা কিষণ সিংহের। দেওয়ান জারামানি দাসের লেখা বই থেকে রাজা কিষণ সিংহের নারীসঙ্গের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।  
জানা যায়, রাতের অন্ধকারে সুইমিং পুলে নগ্ন হয়ে স্ত্রীদের সঙ্গে গোসল করতে নামতেন কিষণ সিংহ। এটা ছিল নাকি তার প্যাশন। রাজা কিষণ সিংহের রাজমহলে ৪০ জন রানি থাকতেন। রাজার গোসলের এই রানিরাও নাকি নগ্ন হয়ে পুলে নেমে পড়তেন।বিলাসবহুল এই জীবনকে আরও রঙিন করতে রাজমহলের সামনে গোলাপি মার্বেলে সুইমিং পুল বানিয়েছিলেন কিষণ সিংহ। এমনকী, সেই সুইমিং পুলে যাওয়ার রাস্তা বাঁধানো হয়েছিল চন্দন কাঠে। সুইমিং পুলে নামার জন্য চন্দন কাঠের সিঁড়িও বানানো হয়েছিল। পুলের মধ্যে ২০টি চন্দনকাঠের পাটাতন এমনভাবে রাখা হয়েছিল যে, এক একটি পাটাতলে ২জন করে রানি আরামসে দাঁড়াতে পারতেন।  
রাজা কিষণ সিংহের নির্দেশে প্রত্যেক রানিকেই হাতে মোমবাতি নিয়ে পুলের সিঁড়ি থেকে একদম সিড়ির শেষ ধাপ পর্যন্ত দাঁড়াতে হতো। মোমবাতি হাতে রানিরা পুলে এসে হাজির হলে নিবিয়ে দেওয়া হত রাজপ্রাসাদের সমস্ত আলো। রানিরা পুলের সামনে এসে দাঁড়ানোর পরে রাজা পুলে আসতেন। সুইমিং পুলে নামার সময়ে এক এক করে রানিদের পুলে ছুড়ে দিতেন রাজা। কেবল একজন রানিকে বাহুডোরে নিয়ে নিতেন। রাজা পুলে নামলে নগ্ন অবস্থায় হাতে মোমবাতি নিয়ে নৃত্য পরিবেশন করতে হত রানিদের। রানিদের উদ্দেশে কিষণ সিংহের কঠোর নির্দেশ ছিল মোমবাতি যেন না নেবে। নাচের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত যে রানির হাতের মোমবাতি জ্বলত, তাঁকে নিয়ে নিজের খাসমহলে যেতেন রাজা। এর মানে, ওই রানি সেই রাতে রাজার সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ পেতেন।

Wednesday, February 8, 2017

কুকুরের দুধ পান

মোহিতের বয়স যখন বছর চারেক, তখন এক দিন রাস্তার কুকুরদের সঙ্গে খেলতে খেলতে হঠাতই এক সময়ে সে একটি মাদি কুকুরের স্তনে মুখ লাগিয়ে দুধ খেতে শুরু করে।শিশুরা তার মাতৃস্তন্য পান করবে এটাই জীবজগতের সত্য । কিন্তু ধানবাদের বাসিন্দা ১০ বছরের মোহিত কুমার এই নিয়মের এক আজব ব্যতিক্রম। কারণ, মানবশিশু হওয়া সত্ত্বেও ছোটবেলা থেকেই রাস্তার কুকুরের স্তন্যপান করা তার অভ্যেস। মোহিতের বাবা সুবেদার সিংহ রাস্তার ধারের একটি খাবার দোকানে কাজ করেন। মা পিঙ্কি কুমারী বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন। তাঁদেরই ছেলে মোহিত চার বছর বয়স থেকেই রাস্তার কুকুরদের দুধ খেতে অভ্যস্ত। সুবেদার সিংহ জানাচ্ছেন, মোহিতের বয়স যখন বছর চারেক, তখন এক দিন রাস্তার কুকুরদের সঙ্গে খেলতে খেলতে হঠাতই এক সময়ে সে একটি মাদি কুকুরের স্তনে মুখ লাগিয়ে দুধ খেতে শুরু করে। সেই শুরু। তার পর আর সেই অভ্যাস ছাড়েনি মোহিত। মোহিতের বাবা-মা জানাচ্ছেন, বহু বার নানা ভাবে ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তাঁরা, বকাঝকাও করেছেন, তবুও এই অদ্ভুত অভ্যেস ছাড়তে পারেনি মোহিত। এখনও সে সুযোগ পেলেই মাদি কুকুরদের ধরে জোর করে তাদের দুধ খায়।কুকুরের দুধ খেতে গিয়ে অনেক বার কুকুরের কামড়ও খেতে হয়েছে মোহিতকে। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, এই অভ্যেসের ফলে শুধু যে মোহিতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে তা-ই নয়, তার মধ্যে রেবিজের মতো মারাত্মক রোগের আশঙ্কাও বাড়ছে।ছোট্ট মোহিত অবশ্য সেই সব নিয়ে ভাবতে নারাজ। সে জানাচ্ছে, কুকুরের দুধ খেতে ভাল লাগে বলেই সে এই কাজ করে থাকে।  

Tuesday, February 7, 2017

লম্ব বনাঞ্চল

একে বলা হচ্ছে 'লম্ব বনাঞ্চল'। আকাশছোঁয়া ভবনের পুরোটাই যেন এক বাগান। দূর থেকে বনের মতোই লাগে। চীনের নানজিংয়ে এমন ভবন বানানো হচ্ছে। প্রতিদিন এই মাটি থেকে আকাশে উঠে যাওয়া বন থেকে অক্সিজেন উৎপাদিন হয় ১৩২ পাউন্ড। এগুলো দেখলে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে ন।
চীনে এই ভবগুলোকে বলা হয় 'নানজিং টাওয়ার্স'। ২০১৮ সালে ভবগুলোর নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষ হলে এরাই হবে এশিয়ার 'ভার্টিক্যাল ফরেস্ট'। নকশা করেছেন ইতালির স্থাপত্যবিদ স্টেফানো বোয়েরি। এমন দুটো টাওয়ারের উচ্চতা ৬৫৬ ফুট ও ৩৫৪ ফুট। এদের মাঝে অবস্থার করছে ১০০০টি উদ্ভিদ। ২৩টি ভিন্ন স্থানীয় প্রজাতির ২৫০০ গুল্মজাতীয় উদ্ভিদকে বাছাই করা হয়েছে এসব ভবনে স্থাপন করার জন্য।
বড় টাওয়ারে থাকছে জাদুঘর, একটি গ্রিন আর্কিটেকচার স্কুল এবং রুফটপ ক্লাব। আর ছোটটিতে থাকছে রুফটপ পুল এবং ২৪৭টি কক্ষের হায়াত হোটেল। এদের ব্যালকনিতে শোভা পাচ্ছে দারুণ সুন্দর সব গাছ। বাইরে থেকে এসব ভবনের সৌন্দর্য বয়ানের ভাষা মিলবে না। পুরো একটা বনের মতোই লাগে যা লম্বভাবে উঠে গেছে। স্থানীয় বায়োডায়ভারসিটি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই পরিকল্পনা।
অবশ্য স্টেফানো এই প্রথমবারের মতো যে খাড়াভাবে উঠে যাওয়া বনের ডিজাইন করেছেন তা নয়। ইতিমধ্যে মিলানে এমন দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এমনই কিছু ভবনের পরিকল্পনা রয়েছে সুইজারল্যান্ডের লসেনেতে বানানোর। ক্রমশ দূষিত হয়ে ওঠা এই পৃথিবীকে আরো বাসযোগ্য করতে এসব বন ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলেই  আশা করা হচ্ছে। 

গর্তে থেকেও সুখী

দুনিয়া জুড়ে দুই ধরনের মানুষ রয়েছেন। একদল সব পেয়েও অসুখী। আর আরেকদল কিছু না পেয়েও সুখী। দ্বিতীয় দলের মধ্যে পড়েন 'কলম্বিয়ার সুখী দম্পতি'। এই দম্পতি নর্দমার গর্তে বাস করছেন। কিন্তু তাও জীবন নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই! বিশ্বাস করাটা কঠিন, কিন্তু এটাই সত্য, বিগত ২২ বছর ধরে নর্দমার গর্তে বাস করে আসছেন মারিয়া গার্সিয়া ও তার স্বামী মিগুয়েল রেস্ট্রেপো। বিলাসী জীবনযাপনের সামর্থ্য নেই তাদের, স্বপ্নটা পর্যন্ত নেই! আর স্বপ্ন না থাকায় এভাবে বছরের পর বছর দিন গুজরান করেও নিজেদের বেঁচে থাকা নিয়ে অসন্তুষ্ট নন তারা। 
কলম্বিয়ার মেডেলিনে প্রথম পরিচয় মারিয়া-মিগুয়েলের। জীবনের ওই সময় তারা মাদকাসক্ত ছিলেন। আর যে এলাকায় এই দুটো মানুষের কাছে আসার ও ভালোবাসার শুরু ওই এলাকাটা সংঘর্ষ-সংঘাত ও মাদক পাচারের জন্য কুখ্যাত। ওই দিনগুলোতে রাস্তায় থাকতেন তারা এবং মাদকের ছোবলে ধ্বংস হচ্ছিলো তাদের জীবন। মনো-বেদনার ওই দিনগুলোতে পরস্পরের সান্নিধ্যে ভিন্নভাবে বাঁচার প্রেরণা খুঁজে পান দুজন এবং সিদ্ধান্ত নেন মাদক ত্যাগের। 
যেহেতু আশ্রয় দেয়ার মতো দুজনের পরিবারের কোনো পরিজন ছিলো না, ছিলো না আর্থিকভাবে সাহায্য করার মতো কোনো বন্ধু সেহেতু ঘর বাঁধার তীর্থ হিসেবে ওই নর্দমার গর্ত-ই বেছে নেন মারিয়া-মিগুয়েল। এখানেই তারা সম্পূর্ণভাবে মাদকের মরণ-নেশা থেকে বেরিয়ে আসেন এবং পরস্পরের মাঝে নতুন জীবনের সন্ধান পান। 
কাঠকয়লা-ধুলোময়লার রঙে এই গর্তে ভালো থাকার স্বর্গ এঁকেছেন মারিয়া-মিগুয়েল। এখানে জায়গা অনেক সীমিত, তাও একে খুব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে আরাম-আয়েশে রূপ দিয়েছেন। গর্তের মধ্যেই বিদ্যুৎ ও টিভি দেখার ব্যবস্থাও করেছেন তারা। 

পাখির জন্য পুরো বিমান ভাড়া

বিমানের আসনে ৮০টি বাজপাখি বহনের ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর সৌদি আরবের এক প্রিন্সের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বাজপাখি পরিবহনের জন্য পুরো বিমান ভাড়া করায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই সৌদি প্রিন্স। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে বলেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেড্ডিটে ল্যান্সো নামের একটি অ্যাকাউন্টে বিমানের আসনে বেঁধে ৮০টি বাজপাখি পরিবহনের ছবি আপলোড করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, একজন ক্যাপ্টেন বন্ধু পাখিগুলো পাঠিয়েছেন। সৌদি আরবের এক প্রিন্স এসব বাজপাখি পরিবহনের জন্য বিমানটি ভাড়া করেছিলেন। তবে সৌদি  এই প্রিন্সের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।  বিমানের আসনে বসানো প্রত্যেক বাজপাখির ডানা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল; যাতে বিমানের ভেতরে উড়তে না পারে। কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে করে এসব পাখি পরিবহন করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিমানে করে বাজপাখি পরিবহনের অনুমতি রয়েছে। কাতার এয়ারওয়েজের বিমানের ইকোনমিক ক্লাসের আসনে ছয়টি বাজপাখি পরিবহন করা যায়; এক্ষেত্রে গন্তব্য অনুযায়ী প্রত্যেক পাখির জন্য ৯০ থেকে ৫০০ ব্রিটিশ পাউন্ড গুণতে হয়।বিমানে বাজপাখি পরিবহনের ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর সৌদি প্রিন্সের সমালোচনায় মেতে উঠেছেন অনেকেই। 

Wednesday, February 1, 2017

এক ডিমে ৫টি কুসুম

একটা ডিম কিনে আরো চারটা কুসুম ফ্রি! এমন নজির কখনো দেখেছেন না শুনেছেন! চীনের হুবেই প্রদেশের এমএস তাও নামে এক ভদ্রমহিলা সাক্ষী থাকলেন সেই বিরলতম ঘটনার। ওমলেট করার জন্য ডিম ফাটিয়ে যখন পাত্রে ফেলেন চক্ষু ছানাবড়া তাও-র। একটা-দুটো নয়, একেবার পাঁচ পাঁচটা কুসুম! প্রত্যেকটাই অক্ষত এবং স্বতন্ত্র। তাও এবং তার ৮০বছরের বৃদ্ধা মা-র তো সেই দেখে ভিমড়ি খাওয়ার অবস্থা। তাও জানান, স্থানীয় বাজার থেকেই কিনে এনেছিলেন এই ডিম। আর পাঁচটা ডিমের মতোই দেখতে। প্রত্যেকটি ডিমের কুসুম ছিল প্রায় ১.৫ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের।
 হুজহং এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির ফুড সায়েন্স এবং প্রযুক্তি বিদ্যার প্রফেসর জিন গুয়োফেং বলেন, “একটি ডিমের মধ্যে দু’টি কুসুম প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু একটি ডিমের পাঁচটি কুসুম একেবারেই বিরল ঘটনা। ” তার মতে, “এটি মুরগির এক ধরনের ডিজঅর্ডার বলা যেতে পারে। ” কিন্তু এই ডিমের কুসুম যে চোখ বুজে খেতে পারেন, সে আশ্বাসও দেন প্রফেসর গুয়োফেং। ২০১৫ সালে ব্রিটেনে জ্যান লং নামে এক মহিলা একাধিক কুসুম খুঁজে পান একটি ডিমের ভিতর। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কুসুমের সংখ্যা ছিল চারটি।
 ৫টি কুসুম পেয়ে তাও-এর পরিবার কিন্তু বেজায় খুশি। এই ঘটনাকে নতুন চীনা বছরে তাঁদের পরিবারে সমৃদ্ধি আসার লক্ষণ হিসাবে দেখছেন তারা। চীনা সোশ্যাল মেসেঞ্জার উইচ্যাটে আপলোড করার পর ভাইরাল হয়ে ওঠে এই ছবি। আগামী ২৮ তারিখ চীনা নববর্ষ। তাও জানিয়েছেন, পাঁচ কুসুমের ভাজা খেয়ে চীনা নববর্ষ পালন করবেন। 

জীবন্ত মানুষকে আস্ত গিলে খেল সাপ

আস্ত অভিযাত্রীকে গিলে ফেলে সাপটি। কিন্তু তার পরেই ঘটে এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা। অজগরের পেটের ভিতর উঠে বসেন ওই অভিযাত্রী।দক্ষিণ আমেরিকার অরণ্য-অধ্যুষিত এলাকার ঘটনা। এক অভিযাত্রী জঙ্গলের ভিতরে গিয়েছিলেন নিজের গবেষণার স্বার্থে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক সহযোগী। হঠাৎই একটি গাছের ডাল থেকে নেমে আসে সাক্ষাৎ মৃত্যুদূতের মতো এক অ্যানাকোন্ডা সাপ। প্রায় ২০ ফুট দীর্ঘ সাপটির দিকে তাকিয়ে প্রায় সম্মোহিতের মতো হয়ে যান অভিযাত্রী। ভয়ে নড়াচড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন তিনি। সেই সুযোগে আস্তে আস্তে তাঁকে পেঁচিয়ে ধরে দানবিক সাপটি। বিশাল হাঁ করে একটু একটু করে গলাধঃকরণ করতে থাকে ভদ্রলোককে। তাঁর সঙ্গী তখন ভয়ে দিশেহারা। সঙ্গে বন্দুক ছিল, কিন্তু কোনও কারণে সেই মুহূর্তে তাঁর বন্দুকটিও অকেজো হয়ে যায়। আস্ত অভিযাত্রীকে গিলে ফেলে সাপটি। কিন্তু তার পরেই ঘটে এক অত্যাশ্চর্য ঘটনা। অজগরের পেটের ভিতর উঠে বসেন ওই অভিযাত্রী। বাইরে থেকে তাঁর সঙ্গী স্পষ্ট বুঝতে পারছিলেন সাপের পেটের ভিতর কী ঘটে চলেছে।ভদ্রলোক উঠে বসতেই তিনি ক্যামেরা বার করে ঘটনাটির একটি ছবি তুলে ফেলেন। কিন্তু তাঁর বিস্ময়ের তখনও বাকি ছিল। তিনি দেখেন, সাপের পেটের চামড়া আস্তে আস্তে হাঁ হয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে সাপের পেট চিরে বাইরে বেরিয়ে আসেন প্রায় সম্পূর্ণ অক্ষত অভিযাত্রী। সাপের পেটের ভিতরে থাকা পাচন রস গা থেকে মুছে ফেলে হেসে অভিযাত্রী তাঁর সঙ্গীকে বলেন, অ্যানাকোন্ডা বা অজগর জাতীয় সাপেরা তাদের শিকারকে চিবোয় না, সরাসরি গিলে ফেলে। তিনি তাই সাপের পেটের ভিতরেও অক্ষত ছিল। জ্ঞানও হারাননি। উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে পকেট থেকে ছুরি বার করে তিনি চিরে ফেলেন সাপের পেটের চামড়া। বাইরে বেরিয়ে আসেন অক্ষত দেহে।