আজব পৃথিবী

Sunday, June 18, 2017

প্রবালের ৭টি অজানা তথ্য

১। সমুদ্র সৈকত রক্ষা করে প্রবালপ্রাচীর: উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক মানুষের বসবাস। তাদের অধিকাংশই জানেন না, প্রবালপ্রাচীর সমুদ্র সৈকতকে ঘূর্ণিঝড়, ঢেউ, বন্যাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে, সেই সঙ্গে রক্ষা করে সৈকতের মানুষগুলোকে এবং তাদের সহায়-সম্পদ। 
২। অধিকাংশ প্রবালই রঙহীন: উজ্জ্বল রং প্রবালপ্রাচীরকে আকর্ষণীয় করে তোলে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, বেশিরভাগ প্রবালেরই কিন্তু কোনো রং নেই। প্রবালের গায়ে জমে থাকা নানা রঙের নানা প্রজাতির শ্যাওলার কারণেই প্রবালপ্রাচীরের রং এমন উজ্জ্বল দেখায়। 
৩। কিছু প্রবাল তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে মানিয়ে নেয়: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি অধিকাংশ প্রবালের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। কিন্তু এর মধ্যে আশার খবর হল, কিছু প্রবাল সমুদ্রের তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে টিকে থাকতে পারে। 
৪। সমুদ্রের নার্সারি প্রবালপ্রাচীর: পুরো পৃথিবীর সম্পূর্ণ জলজ পরিবেশের ১% এরও কম অংশ প্রবালপ্রাচীর। কিন্তু এই প্রবালপ্রাচীর ২৫% জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বাসস্থান। এক চতুর্থাংশ সামুদ্রিক মাছের জন্য নার্সারির মতো কাজ করে প্রবালপ্রাচীর। 
৫। অর্থনৈতিক গুরুত্ব: ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, ভিয়েতনাম এবং চীনের এক মিলিয়নের বেশি মানুষ প্রবালপ্রাচীর বা তার কাছাকাছি এলাকায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রবালপ্রাচীর এলাকার মাছ থেকে বছরে ২.৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়। ২০১০ সালে পুরো বিশ্বে পর্যটন খাতে প্রবালপ্রাচীর এলাকা থেকে আয় ছিল ১১.৫ বিলিয়ন ডলার। 
৬। প্রাকৃতিক থ্রিডি প্রিন্টার: বর্তমানে থ্রিডি প্রিন্টার নিয়ে মেতে আছে গোটা দুনিয়া। মজার ব্যাপার হল, প্রবাল কিন্তু প্রাকৃতিক থ্রিডি প্রিন্টার। প্রবালের মধ্যে থাকা পলিপ সমুদ্রের পানি থেকে ক্যালসিয়াম সংগ্রহ করে তা কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে মিশিয়ে চুনাপাথরের কঙ্কাল তৈরি করে যা প্রবালপ্রাচীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 
৭। প্রবাল মাংসাশী প্রাণী: প্রবাল কিন্তু মাংসাশী প্রাণী। তারা ছোট মাছ, ছোট জলজ প্রাণী, এমনকি ছোট ছোট কাঁকড়াও খেয়ে থাকে।

No comments:

Post a Comment