১। সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
ছবিটি দেখে আঁতকে উঠছেন? মনে হচ্ছে, শিশুটি এখনি পানিতে পড়ে যাবে? ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা এলাকার শিশুরা প্রতিদিন এই রাস্তা ধরে স্কুলে যাতায়াত করে। নদীর ৩০ ফিট উপর স্টিলের তার ধরে বনের ভিতর দিয়ে সাত মাইল রাস্তা পাড় করে স্কুলে যেতে হয় সুমাত্রার শিশুদের। দুর্যোগের সময় দুর্ঘটনা এমনকি মৃত্যুর মতো ঘটনা এখানে ঘটে থাকে।
২। পিলি, চীন
চীনের পিলি গ্রামের প্রায় ৮০ জন শিশু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে ১২৫ মাইল দূরে অবস্থিত স্কুলে যাতায়াত করে। শিশুদেরকে দেখাশোনা করার জন্য সহচর বা প্রহরী থাকে।
৩। সিলাংকাপ, ইন্দোনেশিয়া
সিহেরং নদীর ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার পর থেকে সিলাংকাপ গ্রামের শিশুরা একটি পাতলা বাঁশের ভেলা দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করে। ২০১৩ সালে ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এইভাবে স্কুলে যাওয়া আসার পথ করে নিয়েছে তারা।
৪। কলম্বিয়া
স্টিলের ক্যাবল দিয়ে রি নেগ্রো নদী এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যুক্ত। আর এই ক্যাবল পাড় করে স্কুলে যাতায়াত করে শিশুরা। রাজধানী বোগোটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই গ্রামে খুব কম সংখ্যক পরিবার বাস করে। ফট্রোগ্রাফার ক্রিস্টোফ অটো এই দুই ভাইবোনের (ডেসি মোরা এবং তার ভাই জামিদের) ছবি তোলেন। ডেসি মোরা তার ৫ বছরের ছোট ভাইটিকে থলের ভিতরে ঢুকিয়ে তারপর নদী পাড় করছে।
৫। ঝং জিয়াওয়ান গ্রাম, দক্ষিণ চীন
ঝাং জিয়াওয়ান গ্রামের শিশুরা এই সরু মই বেয়ে পাহাড় অতিক্রম করে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করে।
৬। লেবাক, ইন্দোনেশিয়া
সিবাইলং নদীর ওপারে সাঙ্গিয়ান তানজুং গ্রামের শিশুরা ভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করে। আরেকটি পথে স্কুলে যাওয়া আসা করতে সময় লাগে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট। তারা ধীর গতিতে ভাঙ্গা ব্রিজটি অতিক্রম করে।
৭। জানস্কার, ভারতীয় হিমালয়
বরফের আস্তরের উপর দিয়ে হেঁটে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসা করে হিমালয় গ্রামের শিশুরা। বরফ ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এই পথে।
৮। গুলু, চীন
পাহাড়ি গ্রাম গুলু শহরের শিশুরা এই পাহাড়ি আঁকা বাঁকা রাস্তা অতিক্রম করে স্কুলে যাওয়া আসা করে।
৯। মেঘালয়, ভারত
বিশ্বের অন্যতম বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা মেঘালয়, যেখানে প্রতি বছর ৪৬৭ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছর ধরে, মাওসিনরাম গ্রামবাসী এবং তার আশে পাশের এলাকাবাসীরা মিলে রাবার গাছের শিকড় দিয়ে ব্রিজ তৈরি করেন। যা “জীবন্ত ব্রিজ” নামে পরিচিত। কাসীর শিশুরা প্রতদিন এই রাবার ব্রিজ অতিক্রম করে স্কুলে যাওয়া আসা করে।
No comments:
Post a Comment