ইতোপূর্বে আমরা নানা রকম বিশ্বরেকর্ড করার কথা শুনেছি। তবে এবার একটু ব্যতিক্রমী বিশ্বরেকর্ডের কথা শোনা গেলো আর তা হলো নারীর নখের বিশ্বরেকর্ড! আর এটি করেছেন এক নারী। তার নাম ক্রিস ওয়ালটন।যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিস ওয়ালটনের নখগুলো দেখেছেন? প্রায় ছয় মিটার লম্বা! সবচেয়ে বড় নখের মালিক হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।১৮ বছরে একবারও নখ না কেটে এই স্বীকৃতি পেয়েছেন ক্রিস। সংগীত শিল্পী ক্রিসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কী করলে নখ এত সুন্দর এবং বড় করা যাবে?ক্রিস হেসে বলেছেন, যথেষ্ট মিষ্টি খেলে এবং অনেক ধৈর্যশীল হলে। ১৮ বছরে একবারও নখ না কেটে নখের সাইজ এতো বড় করতে পেরেছেন তিনি। তার দীর্ঘদিনের সেই মর্যাদাও তিনি পেয়েছেন। অর্থাৎ এই স্বীকৃতি পেয়েছেন।
Tuesday, March 28, 2017
Sunday, March 19, 2017
কাগজের বাড়ি
আমরা সাধারণত পুরনো পত্রিকা নানান
কাজে ব্যবহার করে থাকি। আর ঝাল মুড়ি বা ঠোঙায় পেপার বা পত্রিকার ব্যবহার এখনো অত্যন্ত
জনপ্রিয়। কিন্তু নমনীয় ও হালকা এই খবরের কাগজ দিয়ে কী একটা বাড়ি বানানো সম্ভব?হ্যাঁ, এমনটাই করেছেন এলিস স্টেনম্যান নামের যুক্তরাষ্ট্রের
এক ব্যক্তি। সংবাদপত্রের কাগজ দিয়ে বিশালাকারের বাড়ি নির্মাণ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে
দিয়েছেন তিনি। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার স্টেনম্যান ১৯২২ সালে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটানোর
জন্যে একটি বাড়ি নির্মাণের চিন্তা করেছিলেন। পরবর্তীতে তৈরি করেন এই কাগজের বাড়ি।
পত্রিকার কাগজের তৈরি বাড়িটি অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের
ম্যাসাচুয়েটসে রকপোর্ট নামক এলাকায়। এই বাড়ি নির্মাণের সবকিছুতেই খবরের কাগজ ব্যবহার
করা হয়েছে। এমনকি বাড়ির মালিক এর নামও রেখেছেন ‘পেপার হাউস’।
একতলা এই লাল রঙের বাড়িতে ঢুকতেই প্রথমে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা। এরপর বামে মোড় নিলেই চোখে পড়বে খুব সাধারণ এক লগ কেবিন বা কাঠের কক্ষ। কিন্তু আসলে তা নির্মিত হয়েছে সাধারণ কাগজ দিয়ে। অন্য আর দশটা সাধারণ বাড়ির মতোই কাঠের খুঁটি, একচালা ছাদ এবং মেঝে ইত্যাদি দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে স্টেনম্যান নামের এই ব্যক্তির মাথায় নতুন বুদ্ধি খেলে। তিনি পুরনো খবরের কাগজ এক পরতের উপর আর এক পরত কাগজ আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেয়াল তৈরি করে ফেলেন। এবং তাতে সুন্দর করে বার্নিশ করে তার ‘পেপার হাউস’ নির্মাণ করেন।বাড়ির দেয়াল বানানোর পাশাপাশি তিনি পরবর্তীতে চেয়ারসহ অন্যান্য জিনিসপত্রও তৈরি করে ফেলেন। আর সেগুলো শুধুমাত্র কাগজ দিয়ে। এমনকি জানালার পর্দা ও দেয়ালের ঘড়িতেও সংবাদপত্রের কাগজ ব্যবহার করেন তিনি। শুধুমাত্র পিয়ানো এবং ফায়ার প্লেসের ইটগুলো ছাড়া সবই কাগজ দিয়ে তৈরি।
একতলা এই লাল রঙের বাড়িতে ঢুকতেই প্রথমে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা। এরপর বামে মোড় নিলেই চোখে পড়বে খুব সাধারণ এক লগ কেবিন বা কাঠের কক্ষ। কিন্তু আসলে তা নির্মিত হয়েছে সাধারণ কাগজ দিয়ে। অন্য আর দশটা সাধারণ বাড়ির মতোই কাঠের খুঁটি, একচালা ছাদ এবং মেঝে ইত্যাদি দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করতে গিয়ে স্টেনম্যান নামের এই ব্যক্তির মাথায় নতুন বুদ্ধি খেলে। তিনি পুরনো খবরের কাগজ এক পরতের উপর আর এক পরত কাগজ আঠা দিয়ে লাগিয়ে দেয়াল তৈরি করে ফেলেন। এবং তাতে সুন্দর করে বার্নিশ করে তার ‘পেপার হাউস’ নির্মাণ করেন।বাড়ির দেয়াল বানানোর পাশাপাশি তিনি পরবর্তীতে চেয়ারসহ অন্যান্য জিনিসপত্রও তৈরি করে ফেলেন। আর সেগুলো শুধুমাত্র কাগজ দিয়ে। এমনকি জানালার পর্দা ও দেয়ালের ঘড়িতেও সংবাদপত্রের কাগজ ব্যবহার করেন তিনি। শুধুমাত্র পিয়ানো এবং ফায়ার প্লেসের ইটগুলো ছাড়া সবই কাগজ দিয়ে তৈরি।
এমনকি বাড়িতে ব্যবহৃত আঠাও নিজে তৈরি
করেন ঘরে বসে। ময়দা, পানি আর আপেলের খোসা দিয়ে সেই আঠা তৈরি করেন তিনি। কিন্তু কী কারণে
স্টেনম্যান তার বাড়িতে সংবাদপত্রের কাগজ ব্যবহার করার ইচ্ছা করেছিলেন তা জানা যায়নি।
তবে তার সন্তানরা ধারণা করেন, তিনি খুব সস্তা এবং সহজলভ্য উপাদান দিয়ে কিছু করতে চেয়েছিলেন।
অথবা পুরনো জিনিস হয়তো নতুন করে ব্যবহারের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি। আবার ধারণা করা হয়, সংবাদপত্রের কাগজের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি। এমনকি তিনি একটি মেশিনের ডিজাইন করেন যা দিয়ে পেপার ক্লিপস বানানো যায়। মূলত তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন, বাড়ির বাইরের অংশ বিশেষ কিছু দিয়ে ঢেকে দিবেন কিন্তু যখন দেখলেন পেপার ক্লিপ দিয়ে বানানো দেয়াল ও ছাদ প্রথমবার শীতের ধকল কাটিকে টিকে গেল তখন অতিরিক্ত নিরাপত্তার খরচের চিন্তা বাদ দেন।
মাত্র দুই বছরের মধ্যেই স্টেনমেন তার কাগজের বাড়ি নির্মাণ শেষ করেন। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত সেখানে বসবাস করেন। প্রায় ১ লাখ সংবাদপত্রের কাগজ ব্যবহার করে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
বর্তমানে নব্বই বছরের অধিক সময় ধরে টিকে থাকা কাগজের বাড়িটির দেয়ালের চটা উঠতে শুরু করেছে। ১৯৪২ সালে স্টেনম্যানের মৃত্যুর পরে বাড়িটি এখন একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে।
অথবা পুরনো জিনিস হয়তো নতুন করে ব্যবহারের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি। আবার ধারণা করা হয়, সংবাদপত্রের কাগজের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এই বাড়ি নির্মাণ করেন তিনি। এমনকি তিনি একটি মেশিনের ডিজাইন করেন যা দিয়ে পেপার ক্লিপস বানানো যায়। মূলত তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন, বাড়ির বাইরের অংশ বিশেষ কিছু দিয়ে ঢেকে দিবেন কিন্তু যখন দেখলেন পেপার ক্লিপ দিয়ে বানানো দেয়াল ও ছাদ প্রথমবার শীতের ধকল কাটিকে টিকে গেল তখন অতিরিক্ত নিরাপত্তার খরচের চিন্তা বাদ দেন।
মাত্র দুই বছরের মধ্যেই স্টেনমেন তার কাগজের বাড়ি নির্মাণ শেষ করেন। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত সেখানে বসবাস করেন। প্রায় ১ লাখ সংবাদপত্রের কাগজ ব্যবহার করে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
বর্তমানে নব্বই বছরের অধিক সময় ধরে টিকে থাকা কাগজের বাড়িটির দেয়ালের চটা উঠতে শুরু করেছে। ১৯৪২ সালে স্টেনম্যানের মৃত্যুর পরে বাড়িটি এখন একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে।
ভাসমান গ্রাম
লেক বকোডি। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্ট
শহর থেকে প্রায় ৮০ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত বকোডি গ্রাম। সেই গ্রামেই লেক বকোডির অস্তিত্ব।
এটি একটি কৃত্রিম লেক, যা ১৯৬১ সালে গড়ে তোলে দেশটির বিখ্যাত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান
‘ওরোজলানি থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি’।বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি সেখানে
গড়ে তোলে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার কাজ ছিল লেক থেকে ঠান্ডা পানি কারখানায় টেনে এনে
তা গরম করে পুনরায় লেকে ফেরত পাঠানো। উদ্দেশ্য, প্রচণ্ড শীতল এই লেকের পানি যেন কখনো
জমে বরফ হয়ে না যায়। এমনকি শীতকালেও নয়।
মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে লেকটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে মাছ ধরার ক্ষেত্র হিসেবে। যারা মাছ ধরতে ভালোবাসেন তারা সেখানে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মাছ শিকার করতেন।
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্থানীয়রা এই লেকের পানির মধ্যে গড়ে তোলেন ছোট ছোট কিছু ভাসমান কাঠের নীড়, যা অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ। এসব ঘরে যাতায়াতের জন্য তারা দীর্ঘ কাঠের রাস্তাও তৈরি করেন। ক্রমেই এটি হয়ে ওঠে একটি ভাসমান গ্রাম।
ভাসমান বাড়িঘরের কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই লেকটি খুব অল্প সময়ে অত্যন্ত দর্শনীয় হয়ে ওঠে। ইন্টারনেটের সুবাদে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এর সৌন্দর্য। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিদেশি পর্যটক ও ফটোগ্রাফারদের ভিড়। স্থানীয়দের কাছে এটি হয়ে ওঠে বাড়তি আয়ের একটি উৎস।
কিন্তু ২০১৫ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয় ওরোজলানি থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি। ফলে এই লেকের পানি আর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকে না, ঠান্ডায় জমে যায়। বর্তমানে যা মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলছে এই পর্যটন শিল্পের ওপর।
মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে লেকটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশেষ করে মাছ ধরার ক্ষেত্র হিসেবে। যারা মাছ ধরতে ভালোবাসেন তারা সেখানে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মাছ শিকার করতেন।
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্থানীয়রা এই লেকের পানির মধ্যে গড়ে তোলেন ছোট ছোট কিছু ভাসমান কাঠের নীড়, যা অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ। এসব ঘরে যাতায়াতের জন্য তারা দীর্ঘ কাঠের রাস্তাও তৈরি করেন। ক্রমেই এটি হয়ে ওঠে একটি ভাসমান গ্রাম।
ভাসমান বাড়িঘরের কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই লেকটি খুব অল্প সময়ে অত্যন্ত দর্শনীয় হয়ে ওঠে। ইন্টারনেটের সুবাদে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এর সৌন্দর্য। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিদেশি পর্যটক ও ফটোগ্রাফারদের ভিড়। স্থানীয়দের কাছে এটি হয়ে ওঠে বাড়তি আয়ের একটি উৎস।
কিন্তু ২০১৫ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয় ওরোজলানি থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি। ফলে এই লেকের পানি আর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকে না, ঠান্ডায় জমে যায়। বর্তমানে যা মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলছে এই পর্যটন শিল্পের ওপর।
Saturday, March 18, 2017
বিশ্বের ‘নোংরাতম’ মানুষ
কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৬০ বছর। এবং এই সময়ে একবারের জন্যও তাঁর গায়ে এক ফোঁটাও জল পড়েনি। অবাক করা ঘটনাই বটে। তবে ‘দ্য তেহরান টাইমস’-এর রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ৮০ বছরের আমু হাজি-র এটাই সার সত্য। জল-সাবান গায়ে দেওয়াতে তাঁর ঘোরতর আপত্তি যে রয়েছে, শুধু তাই নয়। ‘স্নান’ শব্দটি শুনলেই হাজির কেমন পাগল পাগল লাগে। দক্ষিণ ইরানের ফারস জেলার একটি পরিত্যক্ত গ্রাম দেজগা। সেখানেই মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়ান বৃদ্ধ হাজি। এত বছরের অপরিষ্কার শরীরে যে মাটির আস্তরণ জমেছে, তাতে মাঝেমাঝে তাঁকে প্রকৃতির উপরে পড়ে থাকা পাথর বলে মনে হয়। এমন ভাবেই হাজিকে বর্ণনা করেছেন আশপাশের গ্রামীণ মানুষজন। নিজের বলতে কেউই নেই আমু হাজির। কানাঘুষো সোনা যায়, যুবক বয়সে প্রেমে আঘাত পেয়েই নাকি এই জীবন বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
আমু হাজির থাকা-খাওয়া বড় অদ্ভুত। শজারুর পচা মাংস খেয়ে পেট ভরান তিনি। আর প্রকৃতির কোলই তাঁর বিছানা। গ্রামের মানুষ ইট দিয়ে একটি ঘরের মত বানিয়ে দিয়েছে তার জন্য। ইচ্ছে হলে বুড়ো হাজি সেখানেও থাকেন মাঝেমধ্যে।বেড়ে যাওয়া চুল-দাড়ি কাটার কোনও প্রশ্নই নেই আমু হাজির। যখন মনে হয় চুল-দাড়ি বেড়ে গিয়েছে, তখন আগুনে পুড়িয়ে দেন। বিশ্বের সব থেকে ‘অপরিষ্কার’ মানুষের খেতাব এখন আমু হাজির কাছেই। এর আগে সেই খেতাবে জয় করেছিলেন ৬৬ বছরের এক ভারতীয়, কৈলাস সিংহ। ৩৮ বছর গায়ে জল-সাবান দেননি সিংহমশায়।
আমু হাজির থাকা-খাওয়া বড় অদ্ভুত। শজারুর পচা মাংস খেয়ে পেট ভরান তিনি। আর প্রকৃতির কোলই তাঁর বিছানা। গ্রামের মানুষ ইট দিয়ে একটি ঘরের মত বানিয়ে দিয়েছে তার জন্য। ইচ্ছে হলে বুড়ো হাজি সেখানেও থাকেন মাঝেমধ্যে।বেড়ে যাওয়া চুল-দাড়ি কাটার কোনও প্রশ্নই নেই আমু হাজির। যখন মনে হয় চুল-দাড়ি বেড়ে গিয়েছে, তখন আগুনে পুড়িয়ে দেন। বিশ্বের সব থেকে ‘অপরিষ্কার’ মানুষের খেতাব এখন আমু হাজির কাছেই। এর আগে সেই খেতাবে জয় করেছিলেন ৬৬ বছরের এক ভারতীয়, কৈলাস সিংহ। ৩৮ বছর গায়ে জল-সাবান দেননি সিংহমশায়।
কিম রাজার দেশের ৭ নিয়ম
১) উত্তর কোরিয়ায় আছে মাত্র তিনটি টিভি চ্যানেল: নরম বিছানায় গা এলিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা একের পর এক চ্যানেল পাল্টানোর বিলাসিতায় যারা অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য নরক কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি। সরকার অনুমুদিত মাত্র তিনটি চ্যানেল বরাদ্দ উত্তর কোরীয় জনগণের জন্য।
২) অপরাধে হাজতবাস তিন প্রজন্মের: কোনও অপরাধ করলে তার শাস্তি পেতে হবে অপরাধীর তিন প্রজন্মকে। এই নারকীয় বিধানে হাজার হাজার নির্দোষ ব্যক্তির জীবনাবসান হয়েছে অন্ধকার জেলে।
৩) চুল কাটতে হবে সরকারের নির্দেশ মতো: সেলুনে বসে কেতা করে চুল ছাঁটলে যেতে হবে হাজতে। স্বৈরাচারী কিমের দেশে সরকারের ঠিক করে দেওয়া আঠাশ’টি স্টাইল অনুকরণ করেই চুল ছাঁটতে হয় নাগরিকদের। ২০১৩ সাল থেকে এই নিয়ম চালু করা হয়।
৪) অনুমতি ছাড়া থাকা যাবে না রাজধানীতে: উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ থাকতে হলে নিতে হবে বিশেষ অনুমতি। ওই দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য নিষিদ্ধ রাজধানী। একমাত্র সমাজের উচ্চশ্রেণীর ব্যক্তিরাই ওখানে থাকার অনুমতি পান।
৫) বাচ্চাদের স্কুলে পাঠালে সঙ্গে দিতে হবে ডেস্ক-বেঞ্চ: শিক্ষার মত মৌলিক অধিকারের জন্য নাগরিকদের দিতে হয় বাড়তি টাকা। শুনলে অবাক হবেন, স্কুলে ভর্তি হতে গেলে সঙ্গে নিতে হবে ডেস্ক-বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু বইয়ের উপর ও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
৬) সঙ্গে বাইবেল রাখলে হবে সাজা: বাইবেল নাকি পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতিক। তাই উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ এই ধর্মগ্রন্থটি। বাইবেল বিতরণের অপরাধে একবার গুলি করে মারা হয়েছিল এক খ্রিস্টান মহিলাকে।
৭) জনপ্রিয় মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার পণ্যে নিষেধাজ্ঞা: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপল, সোনি ও মাইক্রোসফটের দ্রব্য নিষিদ্ধ উত্তর কোরিয়ায়। ওই বহুজাতিক সংস্থাগুলির নির্মিত আইফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যে ব্যবহার করলে প্রাণদণ্ডও হতে পারে ওই দেশে।
২) অপরাধে হাজতবাস তিন প্রজন্মের: কোনও অপরাধ করলে তার শাস্তি পেতে হবে অপরাধীর তিন প্রজন্মকে। এই নারকীয় বিধানে হাজার হাজার নির্দোষ ব্যক্তির জীবনাবসান হয়েছে অন্ধকার জেলে।
৩) চুল কাটতে হবে সরকারের নির্দেশ মতো: সেলুনে বসে কেতা করে চুল ছাঁটলে যেতে হবে হাজতে। স্বৈরাচারী কিমের দেশে সরকারের ঠিক করে দেওয়া আঠাশ’টি স্টাইল অনুকরণ করেই চুল ছাঁটতে হয় নাগরিকদের। ২০১৩ সাল থেকে এই নিয়ম চালু করা হয়।
৪) অনুমতি ছাড়া থাকা যাবে না রাজধানীতে: উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ থাকতে হলে নিতে হবে বিশেষ অনুমতি। ওই দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য নিষিদ্ধ রাজধানী। একমাত্র সমাজের উচ্চশ্রেণীর ব্যক্তিরাই ওখানে থাকার অনুমতি পান।
৫) বাচ্চাদের স্কুলে পাঠালে সঙ্গে দিতে হবে ডেস্ক-বেঞ্চ: শিক্ষার মত মৌলিক অধিকারের জন্য নাগরিকদের দিতে হয় বাড়তি টাকা। শুনলে অবাক হবেন, স্কুলে ভর্তি হতে গেলে সঙ্গে নিতে হবে ডেস্ক-বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু বইয়ের উপর ও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
৬) সঙ্গে বাইবেল রাখলে হবে সাজা: বাইবেল নাকি পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতিক। তাই উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ এই ধর্মগ্রন্থটি। বাইবেল বিতরণের অপরাধে একবার গুলি করে মারা হয়েছিল এক খ্রিস্টান মহিলাকে।
৭) জনপ্রিয় মার্কিন বহুজাতিক সংস্থার পণ্যে নিষেধাজ্ঞা: বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপল, সোনি ও মাইক্রোসফটের দ্রব্য নিষিদ্ধ উত্তর কোরিয়ায়। ওই বহুজাতিক সংস্থাগুলির নির্মিত আইফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যে ব্যবহার করলে প্রাণদণ্ডও হতে পারে ওই দেশে।
Thursday, March 16, 2017
উল্টো রেস্টুরেন্ট
কেউ
যখন নতুন কোনো
পণ্য মানুষের কাছে
তুলে ধরে তখন
প্রথম প্রশ্ন ওঠে,
মানুষ কেন ওই
নতুন পণ্যের প্রতি
আকৃষ্ট হবে? তা সেটা
খাবার অথবা রেস্টুরেন্ট যাই হোক না
কেন। এ কারণে
গ্রাহকের কাছে নিজেদের
একটু ব্যতিক্রমভাবে উপস্থাপন করতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে
তীব্র অথচ চাপা
প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে।
নিজেদের ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে সর্বক্ষণ চলে
সেই প্রতিযোগিতা। কোনো কিছু
যদি প্রথমত দেখে
ভালো না লাগে
তাহলে মানুষ তার
প্রতি সহজে আকৃষ্ট
হয় না। আর
এখন তো মানুষ
খোঁজে সব সময়
ভিন্ন কিছু। তারা
ভাবে তাদের পোশাক
থেকে খাবার সবই
ভিন্ন হবে। যারা
এমন ভিন্ন ও
আকর্ষণীয় সব কিছুর
খোঁজে রয়েছেন তাদের
বলছি, ঘুরে আসুন
জার্মানির উল্টো রেস্টুরেন্ট থেকে।
যারা নিউজিল্যান্ডের বল্ডুইন
স্ট্রিট দেখেছেন তারা
মনে করেন, পৃথিবীর সব
আশ্চর্য জিনিস তারা
দেখে ফেলেছেন। আসলে
তা নয়। সমগ্র
পৃথিবীটাই আশ্চর্যরকম জিনিসে
ভর্তি। কিছু আশ্চর্য
আছে সৃষ্টির জন্মলগ্ন থেকেই, আবার কিছু
জিনিস মানুষ নিজেই
তৈরি করেছে। ঠিক
তেমনি আশ্চর্য এক
ক্যাফে তৈরি করা
হয়েছে জার্মানিতে। ক্যাফেটিকে প্রথমে বলা হতো
‘টপেলস হাউস’। ‘টপেল’
পদবির একটি পরিবার
এই বাড়িটির মালিক।
তবে এটি বর্তমানে একটি ক্যাফে। এটির
অনন্য বৈশিষ্ট হলো-
এই ক্যাফের সব
কিছু উল্টো। ভাবছেন
মজা করছি, একাবারেই তা
নয়।
বাড়ির
আদলে এই ক্যাফেটি প্রথমত বাইরে থেকে
দেখতে উল্টো। আপনার
দেখে মনে হবে
বড় কোনো ঝড়ে
এটি উল্টে গেছে।
যদিও এটি তৈরি
করাই হয়েছে এমন
করে। আপনাকে এই
ক্যাফেতে ঢুকতে হবে
একটি এন্টিকের কাজ
করা জানালা দিয়ে।
তারপর বসার ঘর,
শোবার ঘর সব
জিনিস উল্টো। এমনকি
সিলিং ল্যাম্পগুলো মেঝের
সঙ্গে লাগানো। ভেতরে
ঢুকে মনে হবে
আপনি ছাদে দাঁড়িয়ে
আছেন আর সব
কিছু আপনার মাথা
নিচে।শুধু তাই নয়,
এখানে যে গ্লাসে
করে কফি অথবা
বিয়ার খেতে দেয়া
হয় সেটিও উল্টো।
সত্যি খুবই চমকপ্রদ
এই ক্যাফে। এবং
এটি আপনার জীবনে
একটি অন্য রকম
অভিজ্ঞতার স্মৃতি হয়ে
থাকবে।Wednesday, March 15, 2017
জঙ্গলে আকর্ষণীয় হোটেল
আমাজন জঙ্গলে এমন সুন্দর একটি হোটেল হতে পারে তা বোধহয় কেউ চিন্তাও করেনি। কিন্তু এবার সত্যিই এমন একটি খবর সকলকে চমকে দিয়েছে।জ্যাক কস্তু নামে এক ব্যাক্তি ছিলেন একজন জাত পর্যটক। ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি। একবার তিনি ঘুরতে এলেন আমাজনে। তখনই তার মাথায় এলো একেবারে ভিন্ন ধরণের একটা হোটেল বানানোর ভাবনা। তিনি পরিকল্পনা করলেন হোটেলটির অবস্থান হবে একদম আমাজন জঙ্গলের ভেতরে।ওই হোটেলে থাকার ব্যবস্থা থাকবে মাটি থেকে অনেক ওপরে অর্থাৎ গাছের গায়ে। পুরো হোটেলের মধ্যে আমাজনের স্থানীয় জীবনযাত্রার একটা ছাপও প্রতীয়মাণ হবে। তবে আরাম-আয়েশেরও কোনো অভাব থাকবে না হোটেলে।
তার এমন একটি ভাবনার কথা বললেন স্থানীয় এক হোটেল ব্যবসায়ীকে। ভাবনাটা তারও বেশ পছন্দ হয়ে গেলো। খরচ জোগাতেও রাজি হয়ে গেলেন তিনি। তারপর দ্রুতই বাস্তবায়িত হলো জ্যাক কস্তুর স্বপ্নের সেই পরিকল্পনাটি। সেই ১৯৮৫ সালের কথা। আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো সেই বিশেষ হোটেলটি।আমাজন জঙ্গলের ভেতরে অবস্থিত এই হোটেলটির নাম দেওয়া হলো ‘আরিয়াউ আমাজন জাঙ্গল টাওয়ার্স’। আমাজন জঙ্গলের বুক চিরে বয়ে গেছে আমাজন নদী। এই নদীর অন্যতম শাখা নদী হলো এই রিও নিগ্রো। এই রিও নিগ্রো যেখানে আরিয়াউ খাঁড়িতে এসে ঢুকেছে, তার ঠিক কাছেই অবস্থিত আরিয়াউ টাওয়ার্স।
শিশু হাসল সাত মাস পর
জন্মের প্রায় সাত মাস পর প্রথমবার হাসির সুখ পেল এক শিশু। জন্মের সময় তার নাক ও ঠোট একসঙ্গে জটিলভাবে সংযুক্ত ছিল। ঠোটের উপরের অংশ টাও অসম্পূর্ণ ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড এর বালতিমোর এলাকায় রিলি জন্সন নামের এক শিশু জন্মের সময় তার ঠোটে একপ্রকার অপূর্ণতা নিয়ে জন্মে। মাতৃগর্ভে থাকাকালীন তার নাক, মুখ ও ঠোটের উপরের অংশ সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে পারেনি।কিন্তু গতমাসে সার্জারির মাধ্যমে শিশুটির মুখে হাসি ফুটানো হয়েছে। এখন সে ইংরেজি অক্ষর এম উচ্চারণ করতে পারছে। তার হাসি যেন এখন থামতেই চাইছে না। তার মা এঞ্জেলা বলেন, ওকে যখন সার্জারির পর প্রথম দেখি, একবারে পরীর মত লাগছিল। আমি ওকে পেয়ে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। তার নাক-মুখ একত্রে থাকার ফলে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হত তার। তাই তার মুখে একটা ডিভাইস লাগানো হয়, যা তার নাকের সাইজ ঠিক করতে সাহায্য করে। এই অপারেশনের আগে আরও অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে। সারা মুখের অবয়ব পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে।এখন তার অনেক কষ্ট লাঘব হয়েছে। বাবুটা সারাক্ষণ হাসে, আর বারবার কথা বলার চেষ্টা করে। তার মুখের সমস্যা নিয়ে যা সমস্যা ছিল, তা দূর হয়েছে। এঞ্জেলা জানায়, মেয়েকে নিয়ে তার অনেক দুশ্চিন্তা ছিল। কিন্তু অপারেশন এর পর সব ঠিক হয়ে গেছে।
সবচেয়ে সুন্দর শহর ভিয়েনা
বসবাসের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর শহর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। দানিউব নদীর তীরে অবস্থিত মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ শহরে জীবনযাত্রার মানও সবচেয়ে ভালো। নিউ ইয়র্কভিত্তিক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান মার্সারের সবচেয়ে সুন্দর শহরের তালিকায় এই নিয়ে পরপর আটবার শীর্ষস্থান ধরে রাখল ভিয়েনা। অন্যদিকে বসবাসের জন্য সবচেয়ে খারাপ শহরের খেতাবটি পেয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। আর ২৩১ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ২১৪ নম্বরে। মার্সার ২৩১টি শহরের ওপর জরিপ চালিয়ে তালিকাটি করে। এটি করতে গিয়ে তারা রাজনৈতিক পরিবেশ, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা, অপরাধের মাত্রা, পরিবহন পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ, খাবার পানি, ডাকব্যবস্থা ও বিনোদনের ব্যবস্থার ওপর জোর দেয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছরই এই জরিপ করে থাকে।
‘নাইনটিন্থ অ্যানুয়াল কোয়ালিটি অব লিভিং সার্ভে’ শীর্ষক তালিকায় বৈশ্বিক কেন্দ্র বলে পরিচিত লন্ডন, প্যারিস, টোকিও ও নিউ ইয়র্কের জায়গা শীর্ষ ৩০-এর মধ্যে হয়নি। এগুলো জার্মানি, স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশ কিংবা কানাডার চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে।ভিয়েনার জনসংখ্যা ১৮ লাখ। খাবার, পরিবহন থেকে শুরু করে থিয়েটার, জাদুঘর ও অপেরার সব জায়গায়ই দেশটিতে ব্যয় পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় কম। সুগঠিত নগর কাঠামো, নিরাপদ রাস্তাঘাট আর ভালো গণস্বাস্থ্যসেবা ভিয়েনাকে বসবাসের জন্য বিশ্বের সেরা শহরে পরিণত করে তুলেছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।
শীর্ষ সুন্দর ১০ শহরের তালিকায় ভিয়েনার পরে রয়েছে যথাক্রমে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড, জার্মানির মিউনিখ, কানাডার ভ্যানকুভার, জার্মানির ডুসেলডর্ফ, ফ্রাংকফুর্ট, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেল।এশিয়ার শহরগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে এগিয়ে রয়েছে সিঙ্গাপুর। তালিকায় এটির ঠাঁই হয়েছে ২৫ নম্বরে। আবার ২৯ নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো। মার্কিন শহরগুলোর মধ্যে এটিই সেরা। আফ্রিকার সেরা শহর নির্বাচিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান। তালিকায় এর অবস্থান ৮৭ নম্বরে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান তালিকার নিচের দিকে, ২১৪ নম্বরে।
২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর থেকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সামপ্রদায়িক সহিংসতা বেড়ে চলেছে। মার্সারের বিবেচনায়, এ বছর শহরটি বসবাসের জন্য সবচেয়ে খারাপ বলে চিহ্নিত হয়েছে। অর্থাৎ তালিকায় সর্বনিম্ন ২৩১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে বাগদাদ। এ ছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক রয়েছে তালিকার নিচ থেকে সপ্তম স্থানে। এর মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের বাঙ্গুই, ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স, সুদানের খার্তুম ও চাদের এনজামেনা রয়েছে তালিকার একেবারে নিচের দিকে।
‘নাইনটিন্থ অ্যানুয়াল কোয়ালিটি অব লিভিং সার্ভে’ শীর্ষক তালিকায় বৈশ্বিক কেন্দ্র বলে পরিচিত লন্ডন, প্যারিস, টোকিও ও নিউ ইয়র্কের জায়গা শীর্ষ ৩০-এর মধ্যে হয়নি। এগুলো জার্মানি, স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশ কিংবা কানাডার চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে।ভিয়েনার জনসংখ্যা ১৮ লাখ। খাবার, পরিবহন থেকে শুরু করে থিয়েটার, জাদুঘর ও অপেরার সব জায়গায়ই দেশটিতে ব্যয় পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় কম। সুগঠিত নগর কাঠামো, নিরাপদ রাস্তাঘাট আর ভালো গণস্বাস্থ্যসেবা ভিয়েনাকে বসবাসের জন্য বিশ্বের সেরা শহরে পরিণত করে তুলেছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।
শীর্ষ সুন্দর ১০ শহরের তালিকায় ভিয়েনার পরে রয়েছে যথাক্রমে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড, জার্মানির মিউনিখ, কানাডার ভ্যানকুভার, জার্মানির ডুসেলডর্ফ, ফ্রাংকফুর্ট, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেল।এশিয়ার শহরগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে এগিয়ে রয়েছে সিঙ্গাপুর। তালিকায় এটির ঠাঁই হয়েছে ২৫ নম্বরে। আবার ২৯ নম্বরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো। মার্কিন শহরগুলোর মধ্যে এটিই সেরা। আফ্রিকার সেরা শহর নির্বাচিত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান। তালিকায় এর অবস্থান ৮৭ নম্বরে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান তালিকার নিচের দিকে, ২১৪ নম্বরে।
২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর থেকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সামপ্রদায়িক সহিংসতা বেড়ে চলেছে। মার্সারের বিবেচনায়, এ বছর শহরটি বসবাসের জন্য সবচেয়ে খারাপ বলে চিহ্নিত হয়েছে। অর্থাৎ তালিকায় সর্বনিম্ন ২৩১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে বাগদাদ। এ ছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক রয়েছে তালিকার নিচ থেকে সপ্তম স্থানে। এর মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের বাঙ্গুই, ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স, সুদানের খার্তুম ও চাদের এনজামেনা রয়েছে তালিকার একেবারে নিচের দিকে।
দৃষ্টিনন্দন কাঠের তৈরি মসজিদ
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কাঠের তৈরি হস্তশিল্পসমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মুসলিম স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী ‘মমিন মসজিদ’। পুরো মসজিদটি নির্মাণে কাঠের কারুকাজ ও ক্যালিওগ্রাফি খচিত সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। এগুলোর সংযোগ স্থাপনেও লোহা বা তারকাটা ব্যবহার করা হয়নি। সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহৃত হয়েছে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক রঙ।১৯১৩ সালে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার বুড়িরচর গ্রামের অধিবাসী মমিন উদ্দিন আকন নিজ বাড়িতেই এ মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯২০ সালে এ মসজিদটির নির্মাণ কাজ সাত বছরে শেষ হয়।
২১ জন সুদক্ষ কারিগরের নিরলস পরিশ্রমের ফসল কাঠশিল্পের অনন্য নিদর্শন মমিন মসজিদ। মসজিদটি ১৬ হাত দৈর্ঘ্য, ১২ হাত প্রস্থ এবং উচ্চতায় ১৫ হাত। চার পাশের বেড়া তিনটি অংশে বিভক্ত। যার উপর এবং নিচ কাঠের কারুকাজ দিয়ে তৈরি। দুই পাশ দিয়ে ডাবল বেড়া। ভেতরে একরকম আর বাইরে আরেক রকম। ভেতরের কারুকাজ করা বেড়া খুলে আলাদা করা যায়।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ মসজিদ বাঁশ-টিন, ইট-বালি-সিমেন্টে তৈরি হলেও কাঠের তৈরি মসজিদ খুবই বিরল। যদিও এ ধরনের কাঠের তৈরি মসজিদ এক সময় ভারতের কাশ্মীরে ছিল বলে জানা যায়।বুড়িচর গ্রামের যুবক মমিন উদ্দিন আকন বাড়ি থেকে দূরের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে কষ্ট হয় বিধায় একটি মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তার ইচ্ছানুযায়ী বিভিন্ন মসজিদ পরিদর্শনের মাধ্যমে কারুশিল্প ডিজাইন ও ক্যালিওগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা নেন।
সাদামাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত মমিন উদ্দিন সাধারণ ঘরে বসবাস করে অনিন্দ্য সুন্দর দৃষ্টিনন্দন ক্যালিওগ্রাফি ও প্রাকৃতিক ফুল, ফল এবং গাছের আদলে মসজিদ নির্মাণে নিজেকে নিয়োজিত করেন। মসজিদ নির্মাণের জন্য তিনি চট্টগ্রাম ও মিয়ানমার থেকে লোহা ও সেগুন কাঠ সংগ্রহ করেন। তৎকালীন সময়ে তিনি বরিশাল জেলার স্বরূপকাঠী থানা থেকে ২১ জন কারিগর নিয়োগ করেন। তার তত্ত্বাবধানে মসজিদের পুরো পরিকল্পনা, কারুকার্য, ক্যালিওগ্রাফি তৈরি করা হয়। মসজিদটির প্রবেশদ্বারে এবং মেহরাবে একটি করে ক্যালিওগ্রাফির নকশা বসানো হয়।
বৃষ্টি, বন্যা ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মসজিদটির রঙ ও স্থাপনার কিছু ক্ষতি হয়। মমিন উদ্দিন আকনের নাতি মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের যথাযথ তদারকির জন্য পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। ফলে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কাঠের তৈরি এ মসজিদটিকে পুরাকীর্তি ঘোষণা দিয়ে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে।প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সর্বশেষ ২০০৮ সালে মসজিদটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে।
২১ জন সুদক্ষ কারিগরের নিরলস পরিশ্রমের ফসল কাঠশিল্পের অনন্য নিদর্শন মমিন মসজিদ। মসজিদটি ১৬ হাত দৈর্ঘ্য, ১২ হাত প্রস্থ এবং উচ্চতায় ১৫ হাত। চার পাশের বেড়া তিনটি অংশে বিভক্ত। যার উপর এবং নিচ কাঠের কারুকাজ দিয়ে তৈরি। দুই পাশ দিয়ে ডাবল বেড়া। ভেতরে একরকম আর বাইরে আরেক রকম। ভেতরের কারুকাজ করা বেড়া খুলে আলাদা করা যায়।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ মসজিদ বাঁশ-টিন, ইট-বালি-সিমেন্টে তৈরি হলেও কাঠের তৈরি মসজিদ খুবই বিরল। যদিও এ ধরনের কাঠের তৈরি মসজিদ এক সময় ভারতের কাশ্মীরে ছিল বলে জানা যায়।বুড়িচর গ্রামের যুবক মমিন উদ্দিন আকন বাড়ি থেকে দূরের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে কষ্ট হয় বিধায় একটি মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। তার ইচ্ছানুযায়ী বিভিন্ন মসজিদ পরিদর্শনের মাধ্যমে কারুশিল্প ডিজাইন ও ক্যালিওগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা নেন।
সাদামাটা জীবন-যাপনে অভ্যস্ত মমিন উদ্দিন সাধারণ ঘরে বসবাস করে অনিন্দ্য সুন্দর দৃষ্টিনন্দন ক্যালিওগ্রাফি ও প্রাকৃতিক ফুল, ফল এবং গাছের আদলে মসজিদ নির্মাণে নিজেকে নিয়োজিত করেন। মসজিদ নির্মাণের জন্য তিনি চট্টগ্রাম ও মিয়ানমার থেকে লোহা ও সেগুন কাঠ সংগ্রহ করেন। তৎকালীন সময়ে তিনি বরিশাল জেলার স্বরূপকাঠী থানা থেকে ২১ জন কারিগর নিয়োগ করেন। তার তত্ত্বাবধানে মসজিদের পুরো পরিকল্পনা, কারুকার্য, ক্যালিওগ্রাফি তৈরি করা হয়। মসজিদটির প্রবেশদ্বারে এবং মেহরাবে একটি করে ক্যালিওগ্রাফির নকশা বসানো হয়।
বৃষ্টি, বন্যা ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মসজিদটির রঙ ও স্থাপনার কিছু ক্ষতি হয়। মমিন উদ্দিন আকনের নাতি মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের যথাযথ তদারকির জন্য পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। ফলে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কাঠের তৈরি এ মসজিদটিকে পুরাকীর্তি ঘোষণা দিয়ে এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে।প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সর্বশেষ ২০০৮ সালে মসজিদটি সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে।
Tuesday, March 7, 2017
২ ফিট ১১ ইঞ্চি লম্বা ৫১ বছর বয়সে
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা রোডে পিয়ারী মার্কেটে জমজম টেইলারিং হাউসে নিজের পোশাক তৈরীর জন্য বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে ২ ফিট ১১ ইঞ্চির শরীরে সাজুগুজু করে এসেছেন প্রতিবন্দি সৈয়দা বিথি খাতুন (৫১)। সৈয়দা বিথি খাতুনকে দেখতে তৎক্ষণাত সর্বস্তরের উৎসুক জনতা ভীর জমে যায়।জানা যায়, সাদুল্যাপুর উপজেলার ১১ নং খোদ্দকমরপুর ইউনিয়নের তরফজাহান গ্রামের লিকপাড়ার মৃত- সৈয়দ জয়নাল আবেদীন ও মাতা সৈয়দা জেবা আকতার ওরফে রুমি বেগমের কন্যা সৈয়দা বিথি খাতুন।সৈয়দা বিথি খাতুন ১১ নং খোদ্দকোমরপুর ইউনিয়নের তালিকা ভুক্ত শাররিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্দি ভাতাভোগী। রোববার দুপুরে কথা হয় সৈয়দা বিথি খাতুন এর মা সৈয়দা জেবা খাতুনের সঙ্গে। তিনি জানান, তার কন্যা শুধু মাত্র প্রতিবন্দি ভাতা পান যা দিয়ে আমার কন্যার জীবন যাপনে হিমশিম খেতে হয়। আমি যতদিন বেচে আছি ততদিন চিন্তা করি না। কিন্তু আমার স্বামীর মতো আমি যেদিন চলে যাবো না ফেরার দেশে সেদিন আমার কন্যা কে কে দেখবে, ওর কপালে কি ঘটবে, ভেবে আমি আরো অসুস্থ হয়ে যাই। আমি ওর জন্য আপনাদের কাছে দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি। সৈয়দা বিথি খাতুন এর স্বাভাবিক জীবনযাপনের লক্ষ্যে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ দেশে ও জেলার বৃত্তশালী ব্যক্তিদের সহযোগীতা কামনা করেন।
Sunday, March 5, 2017
৬৯তম সন্তানের জন্ম
মাত্র ৪০ বছর বয়সে ৬৯তম সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেলেন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার এক নারী। জীবনে কোনও দিন জন্মনিরোধক ব্যবহার করেননি তিনি। ১৬ বার যমজ, সাত বার ট্রিপলেটস (এক সঙ্গে তিন সন্তান) এবং চার বার কোয়াড্রপলেটস (এক সঙ্গে চার সন্তান) জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। ইতিহাস ও সমীক্ষা বলছে, তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সন্তান জন্মদানকারী নারী।তার আগে ৬৯টি সন্তানের জন্ম দেয়ার রেকর্ড ছিল ভাসিলায়েভা নামের এক রাশিয়ান নারীর। মৃত্যুর সেই রেকর্ড ছুঁয়ে গেলেন ফিলিস্তিনি এই নারী।
এক সঙ্গে ১৬০ জুটির বিবাহ বিচ্ছেদ
চীনের পূর্বাঞ্চলের একটি গ্রামে একই সঙ্গে ১৬০ জুটি বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিয়াংসু প্রদেশের জিয়াংবেই গ্রামে উচ্চ প্রযুক্তির একটি উন্নয়ন এলাকা প্রতিষ্ঠার প্রকল্পের জন্য বাড়ি ধ্বংস করতে বাধ্য হওয়ার পর ক্ষতিপূরণ পেতে তারা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।বিবাহ বিচ্ছেদ করে এককভাবে বাড়ি ধ্বংসের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করলে তারা দুটি নতুন বাড়ি এবং আরও অন্তত ১৯ হাজার ডলার নগদ পাবে। চীনা ওই দম্পতিদের মধ্যে কারও কারও বয়স ৮০ বছরের ওপরে। তাদের বেশিরভাগই একসঙ্গে বাস করার পরিকল্পনা করেছে।এলাকাটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাস করে আসা পরিবারগুলো বাধ্য হয়েই স্থানীয় সরকারের দেওয়া নতুন হাউজিং এ সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। প্রতিটি দম্পতিই ২২ স্কয়ার মিটারের বাড়ি পাচ্ছে। কিন্তু ওই পরিবারগুলো হিসাব করে দেখেছে, তারা আদালতের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের পদক্ষেপ নিলে আরও ৭০ স্কয়ার মিটারের সম্পত্তি দাবি করাসহ নগদ অর্থও ক্ষতিপূরণ পাবে।একটি ল ফার্ম দম্পতিদের বিবাহবিচ্ছেদের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য ২ হাজার ডলারের বেশি অর্থ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে চায়না ডেইলি। দম্পতিদের প্রায় সবাই বিচ্ছেদের কিছুদিন পর পুনরায় বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছে। পরবর্তীতে কি করা হবে সেটা তখনই দেখা যাবে, বলেন এক গ্রামবাসী।তবে দম্পতিরা আসলেই বাড়তি ক্ষতিপূরণ পাবেন কিনা তা স্পষ্ট জানা যায়নি। কর্মকর্তারা বলছেন, আইনের ফাঁকফোকর আছে সেটি তারা জানেন। তবে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি পরিবর্তন হবে কিনা তা জানেন না।
Wednesday, March 1, 2017
সৌন্দর্য বাড়াতে আঙ্গুল কাটলেন
সৌন্দর্য বা চেহারার জন্য মানুষ কত কিছুই না করেন। তাই বলে নিজের হাতের আঙ্গুল কাটতে হবে! অবিশ্বাস্য হলেও ঘটনাটি সত্য। ওপরে ছবিতে প্রকাশিত এই নারীর নাম টর্জ রেনল্ডস। ব্রিটেনের এসেক্স এর ২৯ বছর বয়সী এই বাসিন্দা নিজের রূপ নিয়ে একটু বেশিই সচেতন। সারা শরীরে চোখ, মুখ, নাক, ঠোঁট, হাত শরীরের কোনও অংশেই ট্যাটু থেকে বাদ যায়নি। কিন্তু আচমকাই তাঁর এক অবাক সখ হয়।মনে হয়, বাঁ হাতের ছোট আঙুলটি যেন বেমানান। তাঁর রূপের সঙ্গে ঠিক মিলছে না। তাই একদিন নিজেই নিজের ওই ছোট আঙুলটি কেটে ফেলার বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ধারালো ছুরির কোপে আঙুলটি কেটে ফেলেন। যন্ত্রণা হয়েছিল কি না জানাননি টর্জ রেনল্ডস।ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে কাটা আঙ্গুল ও আঙ্গুল কাটা হাতটির ছবি তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তার সঙ্গে লিখেন, তিনি খুব খুশি। এই আঙ্গুল কাটার পিছনে আর কোনও কারণ নেই। দেখতে ভাল লাগবে ভেবে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পরে তিনি নতুন ‘লুক’ পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)