আজব পৃথিবী

Wednesday, June 21, 2017

রাজার জন্য স্ত্রী বাছতে প্রকাশ্যে কুমারিত্ব পরীক্ষা

প্রতি বছর রাজা একজন করে নতুন রানি বেছে নেন । বছরের নির্দিষ্ট সময়ে । তার জন্য প্রকাশ্যে পরীক্ষা করা হয় নাবালিকাদের কুমারিত্ব । পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে একজনকে রানি হিসেবে মনোনীত করেন রাজা ।আরব্য রজনীর গল্প নয় । এটা বাস্তব ঘটনা আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ডে । আফ্রিকার দক্ষিণ অংশে এই ছোট্ট দেশটা সোয়াজি উপজাতি অধ্যুষিত । দেশের সিংহাসনে আসীন রাজা তৃতীয় সোয়াতি । প্রচলিত রীতি হল‚ বছরের নির্দিষ্ট সময়ে রাজা নতুন রানি বেছে নেবেন ।সেই উপলক্ষে রাজার সামনে অবিবাহিতা নাবালিকারা ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে প্যারেড করেন । এরপর শুরু হয় উমহ্লাংলা উৎসব । রাজার সামনে নাচ গানে মেতে ওঠে ওই টপলেস-কন্যেরা । তারপর প্রকাশ্যে ওই মেয়েদের কুমারিত্ব বা ভার্জিনিটি পরীক্ষা করা হয় ।আন্তর্জাতিক মহলে এই রীতি নিন্দনীয় হলেও সোয়াজিল্যান্ডে কোনও পরিবর্তনের চিহ্ন চোখে পড়েনি । সোয়াতি তৃতীয়-র বাবা রাজা দ্বিতীয় সোভুজার ছিলেন ১২৫ জন রানি । গত বছর ১৫ জন স্ত্রী‚ ৩০ জন কচিকাঁচা এবং শতাধিক পরিচারক নিয়ে ইন্ডিয়া আফ্রিকা সামিটে এসে ভারতে অতিথি হয়ে ছিলেন রাজা তৃতীয় সোয়াতি‚ নিজে । তিনি বিশ্বের ধনকুবের শাসকদের মধ্যে অন্যতম ।

Sunday, June 18, 2017

প্রবালের ৭টি অজানা তথ্য

১। সমুদ্র সৈকত রক্ষা করে প্রবালপ্রাচীর: উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক মানুষের বসবাস। তাদের অধিকাংশই জানেন না, প্রবালপ্রাচীর সমুদ্র সৈকতকে ঘূর্ণিঝড়, ঢেউ, বন্যাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে, সেই সঙ্গে রক্ষা করে সৈকতের মানুষগুলোকে এবং তাদের সহায়-সম্পদ। 
২। অধিকাংশ প্রবালই রঙহীন: উজ্জ্বল রং প্রবালপ্রাচীরকে আকর্ষণীয় করে তোলে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, বেশিরভাগ প্রবালেরই কিন্তু কোনো রং নেই। প্রবালের গায়ে জমে থাকা নানা রঙের নানা প্রজাতির শ্যাওলার কারণেই প্রবালপ্রাচীরের রং এমন উজ্জ্বল দেখায়। 
৩। কিছু প্রবাল তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে মানিয়ে নেয়: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি অধিকাংশ প্রবালের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। কিন্তু এর মধ্যে আশার খবর হল, কিছু প্রবাল সমুদ্রের তাপ বৃদ্ধির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে টিকে থাকতে পারে। 
৪। সমুদ্রের নার্সারি প্রবালপ্রাচীর: পুরো পৃথিবীর সম্পূর্ণ জলজ পরিবেশের ১% এরও কম অংশ প্রবালপ্রাচীর। কিন্তু এই প্রবালপ্রাচীর ২৫% জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বাসস্থান। এক চতুর্থাংশ সামুদ্রিক মাছের জন্য নার্সারির মতো কাজ করে প্রবালপ্রাচীর। 
৫। অর্থনৈতিক গুরুত্ব: ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, ভিয়েতনাম এবং চীনের এক মিলিয়নের বেশি মানুষ প্রবালপ্রাচীর বা তার কাছাকাছি এলাকায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রবালপ্রাচীর এলাকার মাছ থেকে বছরে ২.৪ বিলিয়ন ডলার আয় হয়। ২০১০ সালে পুরো বিশ্বে পর্যটন খাতে প্রবালপ্রাচীর এলাকা থেকে আয় ছিল ১১.৫ বিলিয়ন ডলার। 
৬। প্রাকৃতিক থ্রিডি প্রিন্টার: বর্তমানে থ্রিডি প্রিন্টার নিয়ে মেতে আছে গোটা দুনিয়া। মজার ব্যাপার হল, প্রবাল কিন্তু প্রাকৃতিক থ্রিডি প্রিন্টার। প্রবালের মধ্যে থাকা পলিপ সমুদ্রের পানি থেকে ক্যালসিয়াম সংগ্রহ করে তা কার্বন ডাই অক্সাইডের সঙ্গে মিশিয়ে চুনাপাথরের কঙ্কাল তৈরি করে যা প্রবালপ্রাচীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 
৭। প্রবাল মাংসাশী প্রাণী: প্রবাল কিন্তু মাংসাশী প্রাণী। তারা ছোট মাছ, ছোট জলজ প্রাণী, এমনকি ছোট ছোট কাঁকড়াও খেয়ে থাকে।

যে শিশুরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাতায়াত করে

১। সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
ছবিটি দেখে আঁতকে উঠছেন? মনে হচ্ছে, শিশুটি এখনি পানিতে পড়ে যাবে? ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা এলাকার শিশুরা প্রতিদিন এই রাস্তা ধরে স্কুলে যাতায়াত করে। নদীর ৩০ ফিট উপর স্টিলের তার ধরে বনের ভিতর দিয়ে সাত মাইল রাস্তা পাড় করে স্কুলে যেতে হয় সুমাত্রার শিশুদের। দুর্যোগের সময় দুর্ঘটনা এমনকি মৃত্যুর মতো ঘটনা এখানে ঘটে থাকে।
২। পিলি, চীন
চীনের পিলি গ্রামের প্রায় ৮০ জন শিশু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে ১২৫ মাইল দূরে অবস্থিত স্কুলে যাতায়াত করে। শিশুদেরকে দেখাশোনা করার জন্য সহচর বা প্রহরী থাকে। 
৩। সিলাংকাপ, ইন্দোনেশিয়া
সিহেরং নদীর ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার পর থেকে সিলাংকাপ গ্রামের শিশুরা একটি পাতলা বাঁশের ভেলা দিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করে। ২০১৩ সালে ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে এইভাবে স্কুলে যাওয়া আসার পথ করে নিয়েছে তারা। 
৪। কলম্বিয়া
স্টিলের ক্যাবল দিয়ে রি নেগ্রো নদী এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যুক্ত। আর এই ক্যাবল পাড় করে স্কুলে যাতায়াত করে শিশুরা। রাজধানী  বোগোটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই গ্রামে খুব কম সংখ্যক পরিবার বাস করে। ফট্রোগ্রাফার ক্রিস্টোফ অটো এই দুই ভাইবোনের (ডেসি মোরা এবং তার ভাই জামিদের) ছবি তোলেন। ডেসি মোরা তার ৫ বছরের ছোট ভাইটিকে থলের ভিতরে ঢুকিয়ে তারপর নদী পাড় করছে। 
৫। ঝং জিয়াওয়ান গ্রাম, দক্ষিণ চীন
ঝাং জিয়াওয়ান গ্রামের শিশুরা এই সরু মই বেয়ে পাহাড় অতিক্রম করে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করে। 
৬। লেবাক, ইন্দোনেশিয়া
সিবাইলং নদীর ওপারে সাঙ্গিয়ান তানজুং গ্রামের শিশুরা ভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করে। আরেকটি পথে স্কুলে যাওয়া আসা করতে সময় লাগে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট। তারা ধীর গতিতে ভাঙ্গা ব্রিজটি অতিক্রম করে। 
৭। জানস্কার,  ভারতীয় হিমালয়
বরফের আস্তরের উপর দিয়ে হেঁটে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া আসা করে হিমালয় গ্রামের শিশুরা। বরফ ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে এই পথে। 
৮। গুলু, চীন
পাহাড়ি গ্রাম গুলু শহরের শিশুরা এই পাহাড়ি আঁকা বাঁকা রাস্তা অতিক্রম করে স্কুলে যাওয়া আসা করে। 
৯। মেঘালয়, ভারত
বিশ্বের অন্যতম বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা মেঘালয়, যেখানে প্রতি বছর ৪৬৭ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়ে থাকে। বিগত কয়েক বছর ধরে, মাওসিনরাম গ্রামবাসী এবং তার আশে পাশের এলাকাবাসীরা মিলে রাবার গাছের শিকড় দিয়ে ব্রিজ তৈরি করেন। যা “জীবন্ত ব্রিজ” নামে পরিচিত। কাসীর শিশুরা প্রতদিন এই রাবার ব্রিজ অতিক্রম করে স্কুলে যাওয়া আসা করে। 

যে দেশ মাত্র ৫৬ মিনিটে চক্কর দেয়া যায়

দেশের বাসিন্দারা সারা দিনে নিজেদের দেশকে একবার নয়, অনেকবারই চক্কর লাগান! এ এক অদ্ভুত দেশ। ঝকঝকে নীল আকাশের নিচে অবস্থিত এই দেশটি পায়ে হেঁটে পুরোটা ঘুরতে লাগবে মাত্র ৫৬ মিনিটফ্রান্সের একেবারে পাশের দেশ মোনাকো। ফ্রান্স ঘিরে রেখেছে দেশটির তিনদিক। আর অন্য পাশে রয়েছে ইতালি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তের পর্যটককে আকর্ষণ করবেই এই দেশ। কিন্তু দেশটির আয়তন মাত্র ২.০২ বর্গ কিলোমিটার!  ২০১৫ সালে হওয়া আদশশুমারী অনুযায়ী, জনসংখ্যা মাত্র ৩৮,৪০০! আয়তনের দিক দিয়ে এই দেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। তালিকায় ভ্যাটিকানের পরেই এর স্থান। যদিও আয়তনের তুলনায় এ দেশের জনঘনত্ব অনেকটাই বেশি। সেই দিক থেকে এই দেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ।পৃথিবীর সব থেকে ছোট নামের ভ্রমণস্থল, যাবেন নাকি একবার! মোনাকোর বাসিন্দারা সারা দিনে দেশকে একবার নয়, অনেকবারই চক্কর লাগান! দেশের বাসিন্দারা সবাই প্রায় ধনী। সেই কারণে এখানে ফর্মূলা ওয়ান কার রেসিং খুবই জনপ্রিয়। দারুণ ঝাঁ চকচকে সব ক্যাসিনো রয়েছে এখানে। এদেশের মানুষদের কোনও আয়কর দিতে হয় না।সব মিলিয়ে মোনাকো আয়তনে যতই ছোট হোক, পর্যটকদের কাছে তা দারুণ আকর্ষণীয়। এক ঘণ্টারও কম সময়ে যে দেশকে পুরোটা চক্কর কেটে ফেলা যায়, সেখানে আসতে তাই পর্যটকদের উৎসাহের কমতি নেই। 

Saturday, June 17, 2017

অক্টোপাস রাস্তা

দূর থেকে মনে হবে যেন অক্টোপাস তার আট পা মেলে দিয়েছে চারদিকে। কেউ কেউ গায়ে গায়ে লেগে থাকা সাপও বলতে পারেন, যেন এঁকেবেঁকে চলেছে। পাঁচ স্তরের রাস্তা বানিয়ে চমকে দিয়েছে বেইজিং।সবচেয়ে উঁচু রাস্তাটি মাটি থেকে ৩৭ মিটার উপরে। এক স্তর থেকে অপরটিতে পৌঁছাতে তৈরি রয়েছে ১৫টি র‌্যাম্প। আটটি মুখে রাস্তা ধরে বেরিয়ে যাবে গাড়ি। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে 'বার্ডস নেস্ট' নামে অলিম্পিক ভিলেজ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল চীন। পাখির বাসার মতো দেখতে সেই স্টেডিয়ামের স্থাপত্যে মুগ্ধ হয়েছিল বিশ্ব।  এবার আট বছরের প্রচেষ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর চংকিংয়ে বানানো হয়েছে আধুনিক স্থাপত্যের বিস্ময় পাঁচ স্তরে হুয়াংজুয়েন রাস্তাটি। তবে তাক লাগাতে এই রাস্তা বানানো হয়েছে, এমনটা নয়। চংকিংয়ের গ্রাম ও শহরের নির্মাণ কমিটি জানিয়েছে, বিমানবন্দর, এক্সপ্রেস রাস্তা, মূল সড়কের মধ্যে যোগাযোগ রাখতেই এমনটা বানানো হয়েছে। একেকটি রাস্তা ধরে পৌঁছে যাওয়া যাবে একেকটি গন্তব্যে। তবে রাস্তা পার হতে গেলে নেভিগেশন ব্যবস্থার সাহায্য নিতে হবে। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ওয়েবো জানিয়েছে, কেউ যদি একটি পথ ভুল করে তাহলে আবার ফিরে এসে গন্তব্যে পৌঁছাতে একদিন লেগে যাবে। 

Thursday, June 1, 2017

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মরুভূমিতে শেষ হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম বিমান ‘পল অ্যালেন’র প্রাথমিক নির্মাণকাজ। এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান ছিল হাওয়ার্ড হুগসের ‘স্প্রুস গুজ’। বুধবার প্রথমবারের মতো চাকায় ভর করে হ্যাঙ্গার থেকে বেরিয়ে আসে পল অ্যালেন।মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটির দুই পাশের পাখনার দৈর্ঘ্য ৩৮৫ ফিট করে, যা একটি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। এর উচ্চতা ৫০ ফিট এবং জ্বালানিবিহীন অবস্থায় ওজন ৫ লাখ পাউন্ড। এটি আড়াই লাখ পাউন্ড জ্বালানি বহনে সক্ষম। ওজন বহনের সক্ষমতাসহ এটির মোট ওজন হতে পারে সর্বোচ্চ ১৩ লাখ পাউন্ড।
২৮টি চাকা আছে পল অ্যালেনের। আছে বোয়িং ৭৪৭-এর ছয়টি জেট বিমান। বিমানটি এতই বড় যে এর জন্য বিশেষ নির্মাণ নির্মাণ ছাড়পত্র দিতে হয়েছে মার্কিন সরকারকে। যে কোনও ব্যক্তি সামনে বিমানটি পাহাড়ের মতো মনে হবে।বিমানটি নামকরণ করা হয়েছে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিয়াটল সিহকের মালিক পল অ্যালনের নামে। এর কারণ, তার অর্থায়ন ও উদ্যোগেই নির্মিত হয়েছে এই বিশালাকৃতির ‘দানব’।
তবে এই বিরাট বিমান কিন্তু কোনও যাত্রী বহন করবে না। এতে বহন করা হবে রকেট। আকারে বড় কোনও রকেট, বা একসঙ্গে অনেকগুলো রকেট বহনের জন্য ব্যবহৃত হবে এটি।বর্তমানে ‘অরবিটাল এটিকে’ নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে মিলে মহাকাশে স্যাটেলাইট প্রেরণের পরিকল্পনা করছে অ্যালেনের ‘স্ট্রাটোলাঞ্চ’ কোম্পানি। ওই স্যাটেলাইট পাঠানোর ক্ষেত্রে একেকটি রকেটের ওজন হবে ১ হাজার পাউন্ড। ওইসব রকেট বহনের কাজেই ব্যবহৃত হবে এই বিমান।