প্রাকৃতিক এই সুইমিং পুলটি সুয়া ওশ্যান ট্রেঞ্চ। এটি সামোয়াতে অবস্থিত।
অসাধারণ সুন্দর নীলের রাজ্য, সাবাহ, মালয়েশিয়া।
স্বচ্ছ পানিতে পাথরের কারুকাজ, জেনি লেক, ওয়ওমিং।
ব্রাজিলের অপরূপ নীল সৌন্দর্য। বোনিতো, ম্যাতো গ্রোসো দো সুল, ব্রাজিল।
ফ্রান্সের স্বচ্ছ নীলের হাতছানি। ক্যালানকে ডে সোরমিওউ, ফ্রান্স।
জাপানের নীল পানির স্বচ্ছতা কাঁচকেও হার মানায়। পানারি আইল্যান্ড, ওকিনাওয়া, জাপান।
স্বচ্ছ নীল পানি আর দূর দ্বীপের দেশ, পুরোটাই রূপকথার ছবি। কায়োস কোচিনোস, হন্ডুরাস।
হাওয়াইয়ের সমুদ্র সৈকত অনেক আগে থেকেই বেশ জনপ্রিয়। আর এখনো হানাউমা সৈকত, ওয়াহু নিজের সৌন্দর্য ধরে রেখেছে।
গ্রিসের অসাধারণ সমুদ্র সৈকত কোরফু।
অসাধারণ স্বচ্ছ পানির সৈকত লিনাপাক্যান আইল্যান্ডের ছবি। এর অবস্থান ফিলিপাইনে।
মালদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জের অসাধারণ স্বচ্ছ নীল পানির সৈকত।
স্বচ্ছ নিলের সমারোহ। বোড্রাম, তুর্কি।
কায়ো কোকো, কিউবা।
অসাধারণ এই স্বচ্ছ নীল পানি দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তে ইচ্ছে করবে সকলেরই। এটি কালা ম্যাকারেল্লেটা, মেনোরকা, স্পেনে অবস্থিত।
Sunday, June 15, 2014
৭টি দারুণ সুন্দর বুকশপ
লাইভ্রারিয়া লিলো বুকশপ : এই বুকশপটি পর্তুগালের একটি কফি শপে অবস্থিত। এটি স্থাপত্য নিদর্শনের আদলে ১৮৮১ সালে তৈরি করা হয়।
ডমিনিক্যান বুকশপ : এই বুকশপটি একটি বাই সাইকেল স্টোরে অবস্থিত। এটি হল্যান্ডের ডোমিনিক্যান গির্জার পাশে ১৩ শতকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পর ২০০৭ সালে গোথিক বিল্ডিং আমস্টারডাম ভিত্তিক ডিজাইন ফার্ম এর বইয়ের পুনঃবিন্যস্ত করে।
দ্য বুক বাজ : বই এর দোকান নদীতে ?শুনতে কি অদ্ভুত লাগছে? একটি ৬০ ফুট খালের নৌকায় করে বইয়ে চলেছে একটি বুকশপটি। এটি যুক্তরাজ্যে অবস্থিত।এখানে প্রায় সব ধরনের বই পাওয়া যাবে। নৌকায় বসে চা পান এর সাথে আলাপচারিতার পাশাপাশি পছন্দের কোন লেখকের বই কিনতে পারবে লোকজন। এই বুকশপটির দায়িত্বে আছেন হেনশো নামের এক ইংরেজ ভদ্রলোক।
বার্টস বুকশপ : এটি ওজাই কালিফর্নিয়ায় অবস্থিত।প্রায় ৫৫ বছরের পুরোনো একটি বাড়িতে ৫৫ হাজার বইয়ের সংগ্রহশালা দিয়ে এই বুকশপটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বার্টার বুকশপ : এই বুকশপটি ইংল্যান্ডের ভিক্টোরিয়ান ট্রেন স্টেশনে অবস্থিত। ১৮৮৭ সালে ভিক্টোরিয়ান ট্রেন স্টেশন এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্রেতাদের জন্য রয়েছে সুন্দর চেয়ার,সোফার ব্যবস্থা।
এল এটিনিও গ্রান্ড স্পিলিন্ডিড : প্রকৃতপক্ষে এটি সঙ্গীত জলসার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯১৯ সালে। প্রায় এক শতক পর ২০০০ সালে এই জলসা ঘরটি বিখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গ্রুপো ইশা এর কাছে লিজ দেয়া হয়। লিজ নেয়ার পর জলসা ঘরটি সংস্কার করে বইয়ে সজ্জিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে এখানে বছরে প্রায় দুই লাখের মত লোক আসে।
লা কাভার্ন বুক শপ : দুইটা ট্রেনকে সংযুক্ত করে এই বইয়ের সংগ্রহশালাটি তৈরি করা। এটি উত্তর প্যারিসে অবস্থিত।
ডমিনিক্যান বুকশপ : এই বুকশপটি একটি বাই সাইকেল স্টোরে অবস্থিত। এটি হল্যান্ডের ডোমিনিক্যান গির্জার পাশে ১৩ শতকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পর ২০০৭ সালে গোথিক বিল্ডিং আমস্টারডাম ভিত্তিক ডিজাইন ফার্ম এর বইয়ের পুনঃবিন্যস্ত করে।
দ্য বুক বাজ : বই এর দোকান নদীতে ?শুনতে কি অদ্ভুত লাগছে? একটি ৬০ ফুট খালের নৌকায় করে বইয়ে চলেছে একটি বুকশপটি। এটি যুক্তরাজ্যে অবস্থিত।এখানে প্রায় সব ধরনের বই পাওয়া যাবে। নৌকায় বসে চা পান এর সাথে আলাপচারিতার পাশাপাশি পছন্দের কোন লেখকের বই কিনতে পারবে লোকজন। এই বুকশপটির দায়িত্বে আছেন হেনশো নামের এক ইংরেজ ভদ্রলোক।
বার্টস বুকশপ : এটি ওজাই কালিফর্নিয়ায় অবস্থিত।প্রায় ৫৫ বছরের পুরোনো একটি বাড়িতে ৫৫ হাজার বইয়ের সংগ্রহশালা দিয়ে এই বুকশপটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বার্টার বুকশপ : এই বুকশপটি ইংল্যান্ডের ভিক্টোরিয়ান ট্রেন স্টেশনে অবস্থিত। ১৮৮৭ সালে ভিক্টোরিয়ান ট্রেন স্টেশন এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্রেতাদের জন্য রয়েছে সুন্দর চেয়ার,সোফার ব্যবস্থা।
এল এটিনিও গ্রান্ড স্পিলিন্ডিড : প্রকৃতপক্ষে এটি সঙ্গীত জলসার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯১৯ সালে। প্রায় এক শতক পর ২০০০ সালে এই জলসা ঘরটি বিখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গ্রুপো ইশা এর কাছে লিজ দেয়া হয়। লিজ নেয়ার পর জলসা ঘরটি সংস্কার করে বইয়ে সজ্জিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে এখানে বছরে প্রায় দুই লাখের মত লোক আসে।
লা কাভার্ন বুক শপ : দুইটা ট্রেনকে সংযুক্ত করে এই বইয়ের সংগ্রহশালাটি তৈরি করা। এটি উত্তর প্যারিসে অবস্থিত।
সৌন্দর্যের কয়েকটি স্থান
জিংপিং, গোয়াংঝি প্রভিন্স, চীনে অবস্থিত বয়ে চলা অসাধারণ সুন্দর ‘লী’ নদী ।
লাল-কমলা ফুলে ছেয়ে থাকা চীনের প্রাচীর।
‘সাদা বালুর পাহাড়’ বা ‘হোয়াইট স্যান্ড মাউন্টেন’। এটি ঝিংজিয়ানে অবস্থিত।
‘ইয়ামড্রক লেক’। সত্যিই দমবন্ধ করা অসাধারণ সুন্দর পরিবেশ।
‘লাল পাথরের উপত্যকা’ (রেড রক ভ্যালী), এটি অবস্থিত ইউনতাইশানে।
তিব্বতের ‘স্নো মাউন্টেন’ এবং লেক।
আকাশ ও পাহাড়ের এইরকম মিলন মেলা দেখতে চাইলেও যেতে হবে চীনে ।
নীলের সুদ্ধতা। এটিও ইয়াং ঝউ অং কউ লেকের একটি দৃশ্য।
পাহাড় ও নদীর অপূর্ব মিলন। এই স্থানটি তিব্বতের পাহাড়ের পাদদেশে। এই লেকটির নাম ইয়াং ঝউ অং কউ।
এই স্থানটিকে বলা হয় ‘হেভেন সুওয়াংওয়াই’।
সবুজের সমারোহে পাহাড়। এটি চীনের জুইলিনে অবস্থিত।
‘বেকডুসান হেভেন লেক’ । নামের মতোই স্বর্গীয় সুন্দর এই লেকটি।
‘ঝোউয়ের মাউন্টেন’। এই স্থানটি পুরোটাই তৈরি হয়েছে রেড স্যান্ডস্টোন দিয়ে।
কৈলাস পর্বত।
তিব্বতের পাহাড়ের নানা ধরণ অসাধারণ করে তুলেছে এই স্থানটি ।
লাল-কমলা ফুলে ছেয়ে থাকা চীনের প্রাচীর।
‘সাদা বালুর পাহাড়’ বা ‘হোয়াইট স্যান্ড মাউন্টেন’। এটি ঝিংজিয়ানে অবস্থিত।
‘ইয়ামড্রক লেক’। সত্যিই দমবন্ধ করা অসাধারণ সুন্দর পরিবেশ।
‘লাল পাথরের উপত্যকা’ (রেড রক ভ্যালী), এটি অবস্থিত ইউনতাইশানে।
তিব্বতের ‘স্নো মাউন্টেন’ এবং লেক।
আকাশ ও পাহাড়ের এইরকম মিলন মেলা দেখতে চাইলেও যেতে হবে চীনে ।
নীলের সুদ্ধতা। এটিও ইয়াং ঝউ অং কউ লেকের একটি দৃশ্য।
পাহাড় ও নদীর অপূর্ব মিলন। এই স্থানটি তিব্বতের পাহাড়ের পাদদেশে। এই লেকটির নাম ইয়াং ঝউ অং কউ।
এই স্থানটিকে বলা হয় ‘হেভেন সুওয়াংওয়াই’।
সবুজের সমারোহে পাহাড়। এটি চীনের জুইলিনে অবস্থিত।
‘বেকডুসান হেভেন লেক’ । নামের মতোই স্বর্গীয় সুন্দর এই লেকটি।
‘ঝোউয়ের মাউন্টেন’। এই স্থানটি পুরোটাই তৈরি হয়েছে রেড স্যান্ডস্টোন দিয়ে।
কৈলাস পর্বত।
তিব্বতের পাহাড়ের নানা ধরণ অসাধারণ করে তুলেছে এই স্থানটি ।
ডুব দিলেই কঙ্কাল !
নদীর বহমান পানির দৃশ্য, সাঁতার কাটা অনেক মজার একটা অনুভূতি। শৈশবে নদীতে ঝাপিয়ে পড়ার অপরূপ স্মৃতি সত্যিই অনেক মজাদার।আপনি কি কখনও ভেবেছেন যদি এমন হয় যে, নদীতে ডুব দিলেন আর ভেসে উঠে দেখলেন আপনার গায়ে কিছুই নেই। শুধু হাড়গুলোই অবশিষ্ট আছে। তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে?অবাক করা হলেও সত্য স্পেনে এমন একটি নদী আছে, যেখানে ডুব দিলে কঙ্কাল হয়ে উঠতে হবে। এ নদীর পানি অত্যন্ত আম্লিক (pH-1.7-2.5) এবং ভারী ধাতু সমৃদ্ধ। এ কারণেই নদীটি অত্যন্ত ভয়ানক। এ নদীর কারণেই দেশটির অনেক গ্রাম স্থানান্তর করতে হয়েছে। এমনকি নদীটি বেশ কয়েকটি আস্ত পাহাড়ও গ্রাস করেছে।নদীটি মাইন (রিও টিনটো) খননের সময় উৎপন্ন হয়েছে। এই মাইনটি ব্যাপ্তি এতোটাই ব্যাপক যে এর আশেপাশের গ্রামগুলোকে অন্যত্র সড়িয়ে ফেলতে হয়েছে। এই খননের প্যাটার্ন অর্থাৎ নদীটি এতোটাই দৃষ্টি নন্দিত যে দেখলে মনে হবে আপনি চাঁদে আছেন।
Wednesday, June 11, 2014
জীব বৈচিত্র্যে অনন্য ১০টি আশ্চর্যজনক দ্বীপপুঞ্জ
কিউবা : কিউবা পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম ও পশ্চিমে অবস্থিত দ্বীপ। আশপাশের অনেকগুলো ছোট দ্বীপের সঙ্গে মিলে কিউবা প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছে। ক্যারিবীয় সাগর ও মেক্সিকো উপসাগরের মধ্য দিয়ে সব সমুদ্রপথের ওপর দেশটি অবস্থিত। কিউবা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বহিঃবিশ্বের সাথে বিছিন্ন হলেও এর রয়েছে অঢেল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বিভিন্ন বিরল প্রজাতির বন্য প্রানী।ক্যারিবিয়ান জলাভুমির জাপাটায় রয়েছে অতি বিরল প্রজাতির কিউবিয়ান কুমির। এছাড়া কানিমার নদীতে আছে বিরল প্রজাতির কয়েকশ কাঁকড়া ও মাছ ।
দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপ : এন্টার্কটিকা দ্বীপপুঞ্জ এর অন্তর্ভুক্ত। রয়েছে প্রানী বৈচিত্র্য। দক্ষিণ জর্জিয়া এর উপকূলীয় জলে ১৪৪৫ টি সামুদ্রিক প্রজাতির মাছ পাওয়া গেছে। আছে ক্রিমির মত উদ্ভট জীব, আইসফিস এবং সমুদ্র মাকড়সা। অন্য প্রানীদের মধ্যে পেঙ্গুইন উল্লেখযোগ্য।
গালাপাগোস : দক্ষিন আমেরিকার সমুদ্র উপকুল হতে আনুমানিক এক হাজার কিলোমিটার পশ্চিমে ইকুয়েডর এর নিকটবর্তী আগ্নেয়শিলা দ্বারা গঠিত ভূমিখণ্ডের দ্বীপগুচ্ছ নিয়ে রহস্যময় যে দ্বীপগুলো পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে তাই “গালাপাগোস” নামে পৃথিবীজুড়ে পরিচিত।এই দ্বীপ ভ্রমণে আসেন বিখ্যাট বিবর্তন বিজ্ঞানী ডারউইন। দ্বীপপুঞ্জে থাকার শেষ দিনগুলোতে ডারউইন ভাবতে শুরু করেছিলেন, একেক দ্বীপে ফিঞ্চ ও কচ্ছপের এই বৈচিত্র্য প্রজাতির পরিবর্তন সম্পর্কে নতুন ধারণার জন্ম দিতে পারে। ইংল্যান্ডে ফিরে এসে ডারউইন গালাপাগোস সহ ভ্রমণের সময় বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলো অভিজ্ঞ জীববিজ্ঞানী ও ভূতত্ত্ববিদদের দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে দেখতে পেলেন, গালাপাগোসের ফিঞ্চগুলো বিভিন্ন প্রজাতির এবং দ্বীপ অনুযায়ী তাদের বৈশিষ্ট্য অনেক ভিন্ন। এই তথ্যগুলোই ডারউইনকে তার প্রাকৃতিক নির্বাচন এর মাধ্যমে বিবর্তন প্রমাণের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। এ ধারণা থেকেই তিনি তার সবচেয়ে বিখ্যাত বই অন দি অরিজিন অভ স্পিসিস রচনা করেন ।
বোর্নিও : পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। বোর্নিও মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রুনেইয়ের মধ্যে বিভক্ত। দ্বীপটির মোট আয়তন ৭৫১,১০০ বর্গকিমি বা ২৯০,০০০ বর্গ মাইল। দ্বীপে বানর প্রজাতির স্তন্যপায়ী ১০টি প্রজাতি, ৩৫০ ধরনের পাখি, ১৫০ ধরনের সরিসৃপ ও উভচর ছাড়াও আছে ৬ হাজার প্রজাতির বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রায় একশ এর বেশি কীটপতঙ্গ পাওয়া গেছে।
সুমাত্রা : সুমাত্রা ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত একটি দ্বীপ। আয়তন প্রায় ৪,৭৩,৪৮১ বর্গ কিলোমিটার এবং এটি আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর দ্বীপগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ। সুমাত্রার জীববৈচিত্র্য বিস্ময়করভাবে সম্বৃদ্ধ। বাঘ, হাতি, হনুমান, গন্ডার, ওরাংওটাং ও অন্যান্য বন্য প্রজাতির নিরাপদ আবাসস্থল বলে ধরে নেয়া হয় এই দ্বীপটিকে।সুমাত্রান বাঘকে এই অঞ্চলের একটি বিশেষ প্রজাতির প্রানী হিসেবে ধরা হয়। এখানে প্রায় ৪০০ বিরল প্রজাতির প্রানী বাস করে।
মাদাগাস্কার : মাদাগাস্কার, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ। আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৪১ বর্গ কিমি। মাদাগাস্কার সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত এর অসাধারণ আর অদ্ভুতুড়ে জীববৈচিত্র্যের কারণে। মাদাগাস্কারের জীবজন্তুগুলোর ৮০ ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। মাদাগাস্কারে প্রায় ৬০০ প্রজাতির জীব আছে। এই দ্বীপের ৬০০ প্রজাতির জীবের মধ্যে নানারকম গাছপালা আছে ৩৮৫ প্রজাতির, কীটপতঙ্গ আছে ৪২ প্রজাতির, মাছ আছে ১৭ প্রজাতির, উভচর প্রাণী আছে ৬৯ প্রজাতির, সরীসৃপ আছে ৬১ প্রজাতির আর স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে ৪১ প্রজাতির।বিজ্ঞানীদের হিসাবমতে, মাদাগাস্কারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ লক্ষ প্রাণী এবং গাছ আছে, যার মধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ প্রজাতিই পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৫ প্রজাতির লেমুর, ৩৬ প্রজাতির পাখি এবং আরো অনেক অদ্ভূত অদ্ভূত সব প্রাণী। আবার মাদাগাস্কারের অসংখ্য ব্যাঙের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগই শুধু মাদাগাস্কারেই পাওয়া যায়।
নিউজিল্যান্ড : অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড। দেশটির পরিবেশ এবং প্রাণীকূল বৈচিত্র্যময়। কিইউ পরিচালক পিটার জ্যাকসনের বিখ্যাত সিনেমা 'লর্ড অফ রিংগস' এ নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব জীব বৈচিত্র্যের দেখা পাওয়া যায়। দেশটিতে রয়েছে বিরল প্রজাতির প্রায় বাদুর,সরিসৃপ আর ফিসওয়াটার মাছ। এছাড়াও রয়েছে ২০ হাজার প্রজাতির ছত্রাক।
তাসমানিয়া : তাসমানিয়া একটা অস্ট্রেলিয়ান দ্বীপ রাজ্য যা মূল ভূমি থেকে ২৫০ কিমি দক্ষিনে, বস প্রনালী দ্বারা বিভিক্ত। এইটা হলো পৃথিবীর ২৬ তম বৃহত্তম দ্বীপ। তাসমানিয়াকে বলা হয় তার দেশের জীববৈচিত্রের হটস্পট।তাসমানিয়ায় রয়েছে মাংশাসী প্রানী; যেগুলোকে বলা হয় তাসমানিয়ান শয়তান। এছাড়াও রয়েছে হুয়ান পাইন গাছ,যেগুলো খুব ধীরে বড় হয় কিন্তু বেচে থাকে অবিশ্বাস্যভাবে প্রায় ৩ হাজার বছর।আরো আছে পেঙ্গুইন, তোতা এবং বিরল প্রজাতির সুদর্শন পামলিক গাছ ।
পালাউ : পালাউ প্রজাতন্ত্র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের একটি স্বাধীন প্রজাতান্ত্রিক দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটি কালো দ্বীপপুঞ্জ নামেও পরিচিত। আয়তন মাত্র ১৭০ বর্গ মাইল।কিন্তু আয়োতন কম হলে হবে কি, দ্বীপটির জলে আর স্থলে রয়েছে প্রাকৃতিক সব বন্যপ্রানীতে ভরপুর। উপকুলবর্তী অঞ্চলে রয়েছে কোরাল ও ক্রাস্টেসিয়ান এর সমারোহ। আরো আছে ওয়াটার ফিস, জেলি ফিস ।
কোইবা দ্বীপ, পানামা : পানামার মূল ভূখণ্ড থেকে ১৫ মাইল দূরে অবস্থিত ১ লাখ ২২ হাজার একর বিস্তৃত ইসলা কোইবা পানামার সবচেয়ে বড় দ্বীপ। এই দ্বীপের চারদিকের সমুদ্রে রয়েছে হাঙরের অবাধ বিচরণ। এখানকার মতো এমন ম্যানগ্রোভ বন, আদিম বেলাভূমি পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। কোইবা দ্বীপ হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র স্থান যেখানে এখনও লম্বা লেজওয়ালা লাল রঙের টিয়ে পাখি এবং ঝুঁটিওয়ালা ঈগল টিকে আছে। ২০০৫ সালে ইউনেস্কো ৩৭টি ছোট ছোট দ্বীপ পরিবেষ্টিত কোইবা ন্যাশনাল পার্ককে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।কোইবা দ্বীপে প্রায় ৭০০ এর মত সামুদ্রিক মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপ : এন্টার্কটিকা দ্বীপপুঞ্জ এর অন্তর্ভুক্ত। রয়েছে প্রানী বৈচিত্র্য। দক্ষিণ জর্জিয়া এর উপকূলীয় জলে ১৪৪৫ টি সামুদ্রিক প্রজাতির মাছ পাওয়া গেছে। আছে ক্রিমির মত উদ্ভট জীব, আইসফিস এবং সমুদ্র মাকড়সা। অন্য প্রানীদের মধ্যে পেঙ্গুইন উল্লেখযোগ্য।
গালাপাগোস : দক্ষিন আমেরিকার সমুদ্র উপকুল হতে আনুমানিক এক হাজার কিলোমিটার পশ্চিমে ইকুয়েডর এর নিকটবর্তী আগ্নেয়শিলা দ্বারা গঠিত ভূমিখণ্ডের দ্বীপগুচ্ছ নিয়ে রহস্যময় যে দ্বীপগুলো পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে তাই “গালাপাগোস” নামে পৃথিবীজুড়ে পরিচিত।এই দ্বীপ ভ্রমণে আসেন বিখ্যাট বিবর্তন বিজ্ঞানী ডারউইন। দ্বীপপুঞ্জে থাকার শেষ দিনগুলোতে ডারউইন ভাবতে শুরু করেছিলেন, একেক দ্বীপে ফিঞ্চ ও কচ্ছপের এই বৈচিত্র্য প্রজাতির পরিবর্তন সম্পর্কে নতুন ধারণার জন্ম দিতে পারে। ইংল্যান্ডে ফিরে এসে ডারউইন গালাপাগোস সহ ভ্রমণের সময় বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত নমুনাগুলো অভিজ্ঞ জীববিজ্ঞানী ও ভূতত্ত্ববিদদের দ্বারা পরীক্ষা করিয়ে দেখতে পেলেন, গালাপাগোসের ফিঞ্চগুলো বিভিন্ন প্রজাতির এবং দ্বীপ অনুযায়ী তাদের বৈশিষ্ট্য অনেক ভিন্ন। এই তথ্যগুলোই ডারউইনকে তার প্রাকৃতিক নির্বাচন এর মাধ্যমে বিবর্তন প্রমাণের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। এ ধারণা থেকেই তিনি তার সবচেয়ে বিখ্যাত বই অন দি অরিজিন অভ স্পিসিস রচনা করেন ।
বোর্নিও : পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। বোর্নিও মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রুনেইয়ের মধ্যে বিভক্ত। দ্বীপটির মোট আয়তন ৭৫১,১০০ বর্গকিমি বা ২৯০,০০০ বর্গ মাইল। দ্বীপে বানর প্রজাতির স্তন্যপায়ী ১০টি প্রজাতি, ৩৫০ ধরনের পাখি, ১৫০ ধরনের সরিসৃপ ও উভচর ছাড়াও আছে ৬ হাজার প্রজাতির বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রায় একশ এর বেশি কীটপতঙ্গ পাওয়া গেছে।
সুমাত্রা : সুমাত্রা ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত একটি দ্বীপ। আয়তন প্রায় ৪,৭৩,৪৮১ বর্গ কিলোমিটার এবং এটি আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর দ্বীপগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ। সুমাত্রার জীববৈচিত্র্য বিস্ময়করভাবে সম্বৃদ্ধ। বাঘ, হাতি, হনুমান, গন্ডার, ওরাংওটাং ও অন্যান্য বন্য প্রজাতির নিরাপদ আবাসস্থল বলে ধরে নেয়া হয় এই দ্বীপটিকে।সুমাত্রান বাঘকে এই অঞ্চলের একটি বিশেষ প্রজাতির প্রানী হিসেবে ধরা হয়। এখানে প্রায় ৪০০ বিরল প্রজাতির প্রানী বাস করে।
মাদাগাস্কার : মাদাগাস্কার, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ। আয়তন ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৪১ বর্গ কিমি। মাদাগাস্কার সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত এর অসাধারণ আর অদ্ভুতুড়ে জীববৈচিত্র্যের কারণে। মাদাগাস্কারের জীবজন্তুগুলোর ৮০ ভাগই পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। মাদাগাস্কারে প্রায় ৬০০ প্রজাতির জীব আছে। এই দ্বীপের ৬০০ প্রজাতির জীবের মধ্যে নানারকম গাছপালা আছে ৩৮৫ প্রজাতির, কীটপতঙ্গ আছে ৪২ প্রজাতির, মাছ আছে ১৭ প্রজাতির, উভচর প্রাণী আছে ৬৯ প্রজাতির, সরীসৃপ আছে ৬১ প্রজাতির আর স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে ৪১ প্রজাতির।বিজ্ঞানীদের হিসাবমতে, মাদাগাস্কারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ লক্ষ প্রাণী এবং গাছ আছে, যার মধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ প্রজাতিই পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৫ প্রজাতির লেমুর, ৩৬ প্রজাতির পাখি এবং আরো অনেক অদ্ভূত অদ্ভূত সব প্রাণী। আবার মাদাগাস্কারের অসংখ্য ব্যাঙের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগই শুধু মাদাগাস্কারেই পাওয়া যায়।
নিউজিল্যান্ড : অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড। দেশটির পরিবেশ এবং প্রাণীকূল বৈচিত্র্যময়। কিইউ পরিচালক পিটার জ্যাকসনের বিখ্যাত সিনেমা 'লর্ড অফ রিংগস' এ নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব জীব বৈচিত্র্যের দেখা পাওয়া যায়। দেশটিতে রয়েছে বিরল প্রজাতির প্রায় বাদুর,সরিসৃপ আর ফিসওয়াটার মাছ। এছাড়াও রয়েছে ২০ হাজার প্রজাতির ছত্রাক।
তাসমানিয়া : তাসমানিয়া একটা অস্ট্রেলিয়ান দ্বীপ রাজ্য যা মূল ভূমি থেকে ২৫০ কিমি দক্ষিনে, বস প্রনালী দ্বারা বিভিক্ত। এইটা হলো পৃথিবীর ২৬ তম বৃহত্তম দ্বীপ। তাসমানিয়াকে বলা হয় তার দেশের জীববৈচিত্রের হটস্পট।তাসমানিয়ায় রয়েছে মাংশাসী প্রানী; যেগুলোকে বলা হয় তাসমানিয়ান শয়তান। এছাড়াও রয়েছে হুয়ান পাইন গাছ,যেগুলো খুব ধীরে বড় হয় কিন্তু বেচে থাকে অবিশ্বাস্যভাবে প্রায় ৩ হাজার বছর।আরো আছে পেঙ্গুইন, তোতা এবং বিরল প্রজাতির সুদর্শন পামলিক গাছ ।
পালাউ : পালাউ প্রজাতন্ত্র পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের একটি স্বাধীন প্রজাতান্ত্রিক দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটি কালো দ্বীপপুঞ্জ নামেও পরিচিত। আয়তন মাত্র ১৭০ বর্গ মাইল।কিন্তু আয়োতন কম হলে হবে কি, দ্বীপটির জলে আর স্থলে রয়েছে প্রাকৃতিক সব বন্যপ্রানীতে ভরপুর। উপকুলবর্তী অঞ্চলে রয়েছে কোরাল ও ক্রাস্টেসিয়ান এর সমারোহ। আরো আছে ওয়াটার ফিস, জেলি ফিস ।
কোইবা দ্বীপ, পানামা : পানামার মূল ভূখণ্ড থেকে ১৫ মাইল দূরে অবস্থিত ১ লাখ ২২ হাজার একর বিস্তৃত ইসলা কোইবা পানামার সবচেয়ে বড় দ্বীপ। এই দ্বীপের চারদিকের সমুদ্রে রয়েছে হাঙরের অবাধ বিচরণ। এখানকার মতো এমন ম্যানগ্রোভ বন, আদিম বেলাভূমি পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। কোইবা দ্বীপ হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র স্থান যেখানে এখনও লম্বা লেজওয়ালা লাল রঙের টিয়ে পাখি এবং ঝুঁটিওয়ালা ঈগল টিকে আছে। ২০০৫ সালে ইউনেস্কো ৩৭টি ছোট ছোট দ্বীপ পরিবেষ্টিত কোইবা ন্যাশনাল পার্ককে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।কোইবা দ্বীপে প্রায় ৭০০ এর মত সামুদ্রিক মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে।
Monday, June 9, 2014
বিশ্বের সবচাইতে সুরেলা ৫ পাখি
ককটেইল - গায়ক পাখিদের মধ্যে অন্যতম ওরা। ক্যানারী ও গোল্ডফিনচ থেকে আকারে বড় অস্ট্রেলিয়ান এ পাখির কন্ঠ বেশ মিষ্টি। ওদের শরীরে ক্রেস্ট রয়েছে, যখন ওরা উত্তেজিত কিংবা ভয় পায় তখন ক্রেস্টটি ফুলে ওঠে। প্রায় ১৫টিরও বেশী রংয়ের হতে পারে এ পাখি। ককটেইল কথাও বলতে পারে ভালো। ঠিকমতো প্রশিক্ষন দিলে সুন্দর গান গাইতে ওরা যা নিঃশন্দেহে মনে ধরবে আপনার।
আফ্রিকান গ্রে - মাঝারি আকারের এ পাখির দাম যেমন বেশী তেমনি পোষ মানাতেও সময় লাগে অপেক্ষাকৃত বেশী। বেশ বড় খাঁচা প্রয়োজন ওদের। মূলত সাদা ও কালোর মিক্সড রংয়ের হয়ে থাকে গাঢ ধূসর চোখের এ পাখি। দু হাজারেরও বেশী শব্ধ বলতে সক্ষম এ পাখির গান নিঃশন্দেহে আকৃষ্ট করবে আপনাকে।
ক্যানেরী - পৃথিবীর অন্যতম সুরেলা এক গায়ক পাখির নাম ক্যানেরী। বহু শতাব্দী ধরেই গান গাওয়ার জন্য বেশ সুনাম রয়েছে ছোট্ট আকৃতির এ পাখির। স্পেনের নাবিকদের দ্বারা প্রথম ক্যানেরী স্পেনে আসে। ওদের নামকরণ করাও হয়েছে স্পেনের ক্যানেরী আইসল্যান্ড থেকে। পূর্বে মূলত ধনী ব্যাক্তিদের শখ হিসেবেই পরিচিত ছিল ওদের। মিষ্টি কন্ঠের গান দিয়ে মানুষের মনে বেশ ভালো আনন্দের তৈরী করে এ পোষা পাখি।
প্যারাকেট - ছোট্ট এ পাখিটির গান খুব সহজের মনে ধরবে আপনার। 1891 সালে আমেরিকাতে আবিষ্কৃত এ পাখি বেশ অল্প জায়গায়ই বেড়ে ওঠতে পারে । তাই খুব সহজেই পোষ মানানো যায় ওদের। সবুজ হলুদসহ অনেক রংয়ের হতে পারে এ পাখি। ওরা দলবদ্ধ হয়ে খাবার সংগ্রহ করতেই বেশী পছন্দ করে। পোষা পাখি হিসেবে সুনাম রয়েছে ওদের।
গোল্ডফিনচ - রঙিন এ পাখিটিও বেশ ভালো গান গাইতে পারে। পুরুষ গোল্ডফিনচটি বেশী রঙিন তবে পুরুষ স্ত্রী দু'জনেই চমৎকার গান করে। দেখতে সুন্দর হওয়ায় পোষা পাখি হিসেবে খুব চাহিদা রয়েছে ওদের। সামাজিক পাখিও বলা হয় নর্থ আমেরিকান এ পাখিকে। বেশ দলবদ্ধ হয়েই খাবার সংগ্রহ করে ওরা। সব পেট স্টোরেই পাওয়া যায় ওদের তাই বেশ সহলভ্যই বলা চলে গোল্ডফিনচকে।
আফ্রিকান গ্রে - মাঝারি আকারের এ পাখির দাম যেমন বেশী তেমনি পোষ মানাতেও সময় লাগে অপেক্ষাকৃত বেশী। বেশ বড় খাঁচা প্রয়োজন ওদের। মূলত সাদা ও কালোর মিক্সড রংয়ের হয়ে থাকে গাঢ ধূসর চোখের এ পাখি। দু হাজারেরও বেশী শব্ধ বলতে সক্ষম এ পাখির গান নিঃশন্দেহে আকৃষ্ট করবে আপনাকে।
ক্যানেরী - পৃথিবীর অন্যতম সুরেলা এক গায়ক পাখির নাম ক্যানেরী। বহু শতাব্দী ধরেই গান গাওয়ার জন্য বেশ সুনাম রয়েছে ছোট্ট আকৃতির এ পাখির। স্পেনের নাবিকদের দ্বারা প্রথম ক্যানেরী স্পেনে আসে। ওদের নামকরণ করাও হয়েছে স্পেনের ক্যানেরী আইসল্যান্ড থেকে। পূর্বে মূলত ধনী ব্যাক্তিদের শখ হিসেবেই পরিচিত ছিল ওদের। মিষ্টি কন্ঠের গান দিয়ে মানুষের মনে বেশ ভালো আনন্দের তৈরী করে এ পোষা পাখি।
প্যারাকেট - ছোট্ট এ পাখিটির গান খুব সহজের মনে ধরবে আপনার। 1891 সালে আমেরিকাতে আবিষ্কৃত এ পাখি বেশ অল্প জায়গায়ই বেড়ে ওঠতে পারে । তাই খুব সহজেই পোষ মানানো যায় ওদের। সবুজ হলুদসহ অনেক রংয়ের হতে পারে এ পাখি। ওরা দলবদ্ধ হয়ে খাবার সংগ্রহ করতেই বেশী পছন্দ করে। পোষা পাখি হিসেবে সুনাম রয়েছে ওদের।
গোল্ডফিনচ - রঙিন এ পাখিটিও বেশ ভালো গান গাইতে পারে। পুরুষ গোল্ডফিনচটি বেশী রঙিন তবে পুরুষ স্ত্রী দু'জনেই চমৎকার গান করে। দেখতে সুন্দর হওয়ায় পোষা পাখি হিসেবে খুব চাহিদা রয়েছে ওদের। সামাজিক পাখিও বলা হয় নর্থ আমেরিকান এ পাখিকে। বেশ দলবদ্ধ হয়েই খাবার সংগ্রহ করে ওরা। সব পেট স্টোরেই পাওয়া যায় ওদের তাই বেশ সহলভ্যই বলা চলে গোল্ডফিনচকে।
Subscribe to:
Posts (Atom)