১. চারকোনা ঘর
ঘর বা দালান তো চারকোনাই হবে। সেটাই তো সবসময় হয় আর হয়ে এসেছে। কিন্তু কানাডার হ্যাবিটেট ৬৭ নামের এই দালানটি কেবল একটি চারকোনা নয়, বরং বিশাল বিশাল অনেকগুলো চারকোনা ঘরের সমষ্টি। আর সেই ঘরগুলো মোটেই অন্যান্য স্বাভাবিক দালানের মতন এক সারিতে দাড়িয়ে নেই। অনেকটা বাচ্চারা কিউব খেলার সময় যেমন উল্টো-পাল্টা অনেকগুলো চারকোনা অংশ এখানে সেখানে জোড়া দিয়ে দেয়, এ দালানটির অবস্থাও অনেকটা সেরকম। তবে অনেক বেশি অন্যরকম হলেও বাস্তবে এখানে বসবাস করতে খুব একটা সমস্যা হয়না কারো। এই আর্টিকেলের প্রচ্ছদে দেখে নিন এই দালানের ছবিটি।
২. আঁকাবাঁকা দালান
ভাবছেন দালান- সে আর কত আঁকাবাঁকা হতে পারে? এর আগের নাচুনে দালানটাওতো বাঁকাই ছিল। তাহলে? হ্যাঁ, সেটা তো বাঁকা ছিলই। তবে এ বাঁকা দালানটা একটু অন্যরকমেরই বাঁকা। প্রথম দেখায় পুরোপুরি কার্টুনের জগত্ থেকে তুলে আনা কোন ঘরই মনে হবে দালানটিকে। অনেকটা পানির ঢেউ এর মতন এঁকেবেঁকে দোল তোলা অদ্ভূত এ দালানটি নির্মিত হয় ২০০৩ সালে। জ্যান মার্কিন জেনসার ও পার ডাহলবারের চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পোল্যান্ডের সপোটে নির্মান করা হয় দালানটি। যেটি কিনা বর্তমানে ক্রুকড হাউজ বলেই বেশি পরিচিত।
৩. নাচুনে দালান
দুপাশের দুটো স্বাভাবিকভাবে দাড়িয়ে থাকা দালানকে মাঝখান থেকে অনেকটা নাচের ভঙ্গীতে দাড়িয়ে রয়েছে কোমর বাঁকানো এক দালান। জড়িয়ে রয়েছে পাশের দালানটাকে। শুনতে অদ্ভূত লাগছে? সত্যিই অবাক করা এই নাচুনে দালানটি আছে আর প্রতিনিয়ত আকর্ষণ করে চলেছে হাজার হাজার দর্শককে চেক রিপাবলিকের প্রাগের দিকে। আজ থেকে অনেক বছর আগে ভিন্ন কিছু করার চিন্তা থেকেই ফ্রাঙ্ক গেহরীর সহযোগিতায় এই দালানকে নাচতে শেখান আরেক স্থপতি ভ্লাডো মিলুনিক। সেই শুরু! আজ অব্দি পৃথিবীর অদ্ভূত আর রোমান্টিক দালানের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে এই নাচুনে দালান।
৪.পাথরে চ্যাপ্টা দালান
পাথর দ্বারা নির্মিত দালান নিশ্চয় দেখেছেন এর আগে। দেখেছেন পাথরের তৈরি গুহাও। কিন্তু এমন কোন দালান কি দেখেছেন যেটাকে প্রথম দেখায় মনে হবে পাথরের ভেতরে পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া কিছু একটা? দেখে না থাকলে চলে যান পর্তুগাল আর দেখে নিন পাথরের তৈরি এই অদ্ভূত স্থাপনাকে। দালানটির আর সবকিছু স্বাভাবিক আর দশটা দালানের মতন হলেও এর চারপাশে ঘিরে রয়েছে বিশাল বিশাল কিছু পাথর। যেগুলো কেবল ঘিরে থেকেই সন্তুষ্ট হয়নি, অনেকটা মিশে গিয়েছে দালানটির সাথে। পিষে দিয়েছে। কোথাও কোথাও দেয়ালের তোয়াক্কাও করেনি। তবে পাথরের গায়ে গা মিশিয়ে থাকুক কিংবা অন্যকোনভাবেই থাকুক, পাথরে চ্যাপ্টা হওয়া পর্তুগালের এই দালানটিতে নিরাপত্তার কোন অভাব হবেনা আপনার। একেতো পাথরে তৈরি। তারওপর রয়েছে বুলেটপ্রুফ জানলা আর ইস্পাতের দরজা!
Sunday, January 31, 2016
১২২ যমজের বাস একটি গ্রামেই
ইউক্রেনের একটি ছোট্ট গ্রাম। জনসংখ্যা ৪ হাজার। নাম 'যমজ ভূমি'। নামের বিশেষত্ব এই গ্রামে বাস করে বিশ্বের সবচেয় বেশি যমজরা। সংখ্যাটা ১২২। যা বিশ্বের আর কোথাও নেই। ৬১ জোড়া জমজের বাসস্থান 'যমজ ভূমি' আগেই ইউক্রেনের রেকর্ড বুকেও নাম লিখিয়েছে।এবার চলতি বছরের মে মাসে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও নাম লেখাতে যাচ্ছে এই গ্রামটি। ২০০৪ সালে ওই গ্রামে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যমজের জন্ম হয়েছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, প্রতি বছরেই ওই গ্রামে এক থেকে দুটি করে যমজ সন্তানের জন্ম হয়।
২৮ বছর পর শহরে প্রথম সন্তান
দীর্ঘ ২৮ বছর পর এই প্রথম এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে ইতালির উত্তরাঞ্চলের শহর ওসটানায়। তার নাম রাখা হয়েছে পাবলো। গত সপ্তাহে তুরিন নামের এক হাসপাতালে পাবলোর জন্ম হয়েছে। তার জন্মের মধ্য দিয়ে শহরের জনসংখ্যা একজন বেড়ে দাঁড়াল ৮৫। ইটালির সংবাদপত্র ‘লা স্টাম্পা’র খবরে এ তথ্য জানা যায়।ওসটানার মেয়র গিয়াকোমো লোমবার্দো জানান, গত শতকের শুরুতে এই শহরে জনসংখ্যা ছিল এক হাজারের মতো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে শহরের জনসংখ্যা কমতে থাকে। ১৯৭৫ সাল থেকে শহরের জনসংখ্যা দ্রুত কমতে থাকে। পরের ১০ বছরে, ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে এই শহরে জন্ম নেয় মাত্র ১৭টি শিশু।ইতালির প্রায় সব ছোট শহরে জনসংখ্যা কমছে। এর কারণ তরুণরা কাজের সন্ধানে ছোট শহর ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছে বড় শহরে। নতুন শিশু পাবলোর বাবা জোসে ও মা সিলভিয়াও বছর পাঁচেক আগে এ শহর ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু শহরের পাশে পাহাড়ে চাকরি পেয়ে যাওয়ায় তারা থেকে যান।
মাত্র ১১ মিনিটে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক
চার্লস বম্বারডিয়ার একটি হাইপারসনিক জেট বিমানের নমুনা নকশা করেছিলেন যেটা কিনা ম্যাক-১০ গতিবেগে (শব্দের চেয়ে ১০ গুণ গতিতে) চলতে পারে। স্কিমার নামের এই বিমানটি লন্ডন শহর থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্কে পৌছুতে পারবে মাত্র দেড় ঘণ্টায়। কিন্তু চার্লস এবার আরেকটি হাইপারসনিক বিমান তৈরির কথা জানিয়েছেন। এটা লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে পারবে অবিশ্বাস্য ১১ মিনিটে। চার্লস বম্বারডিয়ার কানাডার এয়ারক্র্যাফট কোম্পানি বম্বারডিয়ার ইন করপোরেশানের সাথে যুক্ত। তিনি বলেছেন, এই নতুন বিমানটির গতিবেগ পৌঁছাবে ম্যাক-২৪। এই গতি স্কিমারের গতির দ্বিগুণেরও বেশি এবং কনকর্ড বিমানের চেয়ে ১২ গুণ বেশি। তত্ত্বমতে তিনি দাবি করেছেন, এই বিমান এক ঘণ্টারও কম সময়ে ২০ হাজার কিমি ভ্রমণ করতে পারবে ১০ জন যাত্রী নিয়ে।
কানাডার এই বিমান প্রকৌশলী হাইপারসনিক স্কিমারের নকশা করেছিলেন গত বছর। চার ডানার ঐ বিমান ৭৫ জন যাত্রী নিয়ে ম্যাক-১০ গতিতে চলতে সক্ষম। কোন বিমানের গতি যদি শব্দের গতির চেয়ে বেশি হয় তাকে বলা হয় সুপারসনিক বিমান। কিন্তু সেই গতিবেগ বেড়ে যদি শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ হয় তাহলে সেটাকে বলে হাইপারসনিক বিমান। ম্যাক-১ গতি হচ্ছে ঘণ্টায় গড়ে ১১৯৫ কিমি। এটাই শব্দের গতি। যে বিমান ম্যাক-২ গতিতে চলে তার গতি শব্দের দ্বিগুণ।
দুই বউ ঘরে না আনলে সারা জীবন জেল
আইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এরিত্রিয়ার সমস্ত পুরুষকে ন্যূনতম দু’টি বিবাহ করতেই হবে। যদি দেশের কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান, তা হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।একে চন্দ্র, দুয়ে পক্ষ। এক্ষেত্রে প্রথম পক্ষ এবং দ্বিতীয় পক্ষ, দুটোই বাধ্যতামূলক। এমনই আজব আইনে সিলমোহর দিল এরিত্রিয়া সরকার।আরবিক দেশগুলির মধ্যে এরিত্রিয়াতেই শুধুমাত্র এমন আজব আইন জারি করা হয়েছে। রীতিমতো ধর্মীয় আইনের মাধ্যমে এই নির্দেশকে মান্যতা দিলেন গ্র্যান্ড মুফতি।আইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এরিত্রিয়ার সমস্ত পুরুষকে ন্যূনতম দু’টি বিবাহ করতেই হবে। যদি দেশের কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান, তা হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশে পুরুষের আকাল পড়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন ইথিওপিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে অনেক পুরুষ হারিয়েছে এরিত্রিয়া। ক্রমশ পুরুষশূন্য হয়ে পড়ছে এই দেশ। তাই দেশের স্বার্থেই এই আইন বলবৎ করল সরকার।
Thursday, January 28, 2016
ধূমপানে দীর্ঘায়ু!
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মরণব্যাধি ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগের কারণ ধূমপান। চিকিৎসকদের এই সতর্কবাণী সবারই জানা। কিন্তু নেপালে ১১২ বছরের এক বৃদ্ধা দাবি করছেন, ধূমপান করলে মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকে। তার প্রমাণ তিনি নিজে। ৯৫ বছর ধরে তিনি ধূমপান করছেন। ধূমপানের কারণেই নাকি এত দীর্ঘদিন বেঁচে আছেন তিনি! বুধবার দি সান পত্রিকা এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, বাতুলি লামিচান নামের ওই নারী প্রতিদিন ৩০টির বেশি সিগারেট খান। এভাবেই ধূমপান করে আসছেন ৯৫ বছর ধরে। এই ধূমপানের জন্যই তিনি এত দিন বেঁচে আছেন!
১৯০৩ সালে জন্ম নেয়া এই নেপালি নারী ১৭ বছর বয়সে ধূমপানে আসক্ত হন। বাতুলির ভাষ্য, “আমার বয়স কত তা কখনোই গ্রাহ্য করি না। আমার দীর্ঘ জীবনে অনেক পরিবর্তন দেখেছি। আমি ৯৫ বছর ধরে ধূমপান করছি। ধূমপানে আসলেই কোনো ক্ষতি নেই।”ধূমপানের ঝুঁকি সম্পর্কে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের সতর্কবাণীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাতুলি নিয়মিতই ধূমপান করে যাচ্ছেন। তবে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি সিগারেট না খাওয়ার জন্য ধূমপায়ীদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বাতুলি নিজেও এই ধরনের সিগারেট এড়িয়ে চলেন। স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘বিডিস’ নামের এক ধরনের সিগারেট খান তিনি। এর ভেতরে টেন্ডু নামের এক পাতা থাকে, যা তামাকপাতা দিয়ে মোড়ানো থাকে। বাতুলির স্বামী আট দশক আগে তাকে ছেড়ে ভারতে চলে যান। তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলের বয়স ৮৪ বছর। অন্য চার সন্তান অনেক আগেই মারা গেছে। গত বছরের ভয়াবহ ভূমিকম্পে বাতুলির বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর থেকে একটি মন্দিরে বসবাস করছেন তিনি। বাকি জীবনটা এখানেই কাটানোর বাসনা তার।বাতুলি মনে করেন, আধুনিক যুগের ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি হতাশা ও চাপের মধ্যে থাকে। তারা বেশি কাজ করতে পারে না। বৃদ্ধ বয়সে অলস হয়ে যায় তারা। ফলে তারা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে না।বাতুলির কথামতে, দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে হলে আপনাকে হতে হবে কর্মক্ষম। একই সঙ্গে হতাশা ও চাপমুক্ত জীবন যাপন করতে হবে। সব সময় আপনাকে হাসিখুশি ও সুখী থাকতে হবে। তাহলেই দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন আপনি।
Tuesday, January 26, 2016
হারিয়ে যাওয়া প্রেম ফিরে এল ৭০ বছর পর
সালটা ১৯৪৪। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাথায় নিয়ে দিন কাটছে পৃথিবীর। তখন সদ্য ২১ পেরিয়েছেন নরউড থমাস। তিনি প্রেমে পড়েছিলেন সপ্তদশী জয়েস মরিসের। যুদ্ধ তাঁদের দূরে সরিয়ে দেয়। এতো পর্যন্ত এই গল্পে অভিনবত্ব কিছুই নেই। ছিলও না। অন্তত গত ৭২ বছর। আর তারপর? হঠাত্ পূণর্মিলন। হ্যাঁ। প্রেম পরিণতি না পেলেও হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকাকে খুঁজে পেয়েছেন ৯৩ বছরের থমাস।
অস্ট্রেলিয়ায় নিজের বাড়িতে বসেই ছেলের কাছে বায়না ধরেন ৮৮ বছরের মরিস। অনলাইনে খোঁজ করতে হবে হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকের। খুঁজেও পেয়ে যান। মরিসকে খুঁজে পেয়েই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান থমাস। শুধু এক বার জড়িয়ে ধরবেন। তাঁদের স্বপ্নপূরণে এই সপ্তাহে স্কাইপ কল সেট আপ করেছিলেন থমাসের ছেলে স্টিভেন থমাস ও মরিসের ছেলে রবার্ট মরিস। তারপরই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্কাইপ। থমাসকে লন্ডন থেকে অস্ট্রেলিয়ার ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডে পৌঁছে দিতে পারে তার জন্য ফান্ডরেজিং ক্যাম্পেন শুরু হয়েছে স্কাইপে। কী কথা হয়েছিল দু’জনের? স্কাইপ চ্যাট বলছে,
থমাস: তুমি আমাকে দেখতে পাচ্ছো?
মরিস: না, আমি পরিষ্কার দেখতে পাই না।
থমাস: আচ্ছা, আমি বলছি, আমি হাসছি…
সাত দশক পর মরিসের মুখে ‘টমি’ ডাক শুনে আপ্লুত হয়ে পড়েন থমাস।
মরিস: না, আমি পরিষ্কার দেখতে পাই না।
থমাস: আচ্ছা, আমি বলছি, আমি হাসছি…
সাত দশক পর মরিসের মুখে ‘টমি’ ডাক শুনে আপ্লুত হয়ে পড়েন থমাস।
আলুর দাম সাড়ে ৮ কোটি
ভাতের উপর চাপ কমাতে আলু খাওয়ার কথা বলতে শোনা যায়। অথচ সেই আলুর দাম যদি হয় ৭৫৭ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা) তাহলে বিস্ময় তো আকাশ স্পর্শ করবেই। অবশ্য এ আলু মূলত একটি ছবি অর্থাৎ আলুর ছবি। ফটোগ্রাফার কেভিন অ্যাবোস তুলেছেন ছবিটি।৪৭ বছর বয়সী আইরিশ এই ফটোগ্রাফার একসময় হলিউড তারকা জনি ডিপ, স্টিভেন স্পিলবার্গদের ছবি তুলতেন। ফাঁকে ফাঁকে তুলতেন নিজের শখের ছবি। ব্ল্যাক ব্যাকগ্রাউন্ডের ওই আলু ছবিটি টানানো ছিল কেভিনের প্যারিসের স্টুডিওর দেওয়ালে। সেটা পছন্দ হয়ে যায় দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ীর। সেই ব্যবসায়ী আলুর ছবিটি কিনে নেন সাড়ে ৮ কোটিতে!
Monday, January 25, 2016
মাত্র ৬০ হাজারে গোটা দ্বীপের মালিক
ম্যাপে ভালো করে লক্ষ না করলে মিস করে যেতে পারেন। এমনকী সমুদ্রযাত্রা করার সময়ও খুব ভালো করে খেয়াল করতে হয় ১২৫ একরের এই ছোট্ট 'প্যারাডাইস'কে। আপনিও অনায়াসে এখানে কাটিয়ে আসতে পারেন দিন কতক। ভাড়া? মাত্র ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।ফিলিপিন্সের ৭ হাজার দ্বীপের মধ্যে এই আরারিয়া দ্বীপটি বিশেষভাবে সমাদৃত হচ্ছে পর্যটকদের মধ্যে। প্রাইভেট পার্টি করার এর থেকে ভালো জায়গা আর হতে পারে না। যাবেন কী ভাবে? প্রথমে ম্যানিলা থেকে এক ঘণ্টা প্লেনে। তার পর সড়ক পথে আরও এক ঘণ্টা। তার পর 'মায়া মায়া' নামে দ্বীপেরই বিলাসবহুল লঞ্চে করে পৌঁছে যাবেন আরারিয়ায়।আগে থেকে বলা থাকলে আপনার জন্য সবই প্রস্তুত থাকবে। থাকার জন্য বিচ কটেজ থেকে জঙ্গল রিসর্ট সবই পাবেন সেখানে। তার পর যদি বিশেষ কোনও আবদার থাকে, যেমন কোনও পছন্দের শ্যাম্পেন বা যোগ ইন্সট্রাক্টার সবই নিমেষে হাজির হয়ে যাবে আপনার সামনে। হ্যাঁ, তবে সব কিছুর জন্য কড়া-ক্রান্তি গুণে দিতে হবে।এক ব্রিটিশ দম্পতি চার্লি এবং ক্যারি ম্যাকুলোক-এর প্রচেষ্টায় আরারিয়া এখন পর্যটন ম্যাপে একটা অন্যতম প্রধান আকর্যণ হয়ে উঠছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, ইংল্যান্ড, কোরিয়া প্রভৃতি দেশে থেকে বহু পর্যটক বহুবার এখানে এসে থেকে যাচ্ছেন। তবে কম পর্যটকই বেশি পছন্দ করছেন তাঁরা। কেন? চার্লির উত্তর, পাঁচ বছর বা ১০ বছর বাদেও আরারিয়াকে 'আনটাচড্' এবং 'আনস্পয়েলড্' দেখতে চান। ঠিক যে রকমটা এখন রয়েছে।
বয়ফ্রেন্ড যখন বাঘ!
পৃথিবীতে অনেকে বিভিন্ন ধরণের প্রাণী পালন করে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ বিড়াল, কুকুর, পাখি ও অন্যান্য নিরীহ পশু-পাখি পালন করে থাকে। অনেক কম সংখ্যক লোক হিংস্র প্রাণী পালন করে থাকে। তবে আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার মত দেশে বাঘ, কুমির, সিংহ ইত্যাদি সব হিংস্র প্রানির সাথেই যেন মানুষের বসবাস।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একজন নারী বাঘ পালন করেন। যেন তেন নয়, সে রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে পালন করেন। সেই বাঘ কখনও তার কোলবালিশ, কখনও তার চুমু দেয়ার বন্ধু। বাঘের সাথে তার সময় কাটানোর মুহূর্ত দেখলে আপনিও চিন্তায় পরে যাবেন। এই বাঘগুলো তার সাথে কামড়-কামড় খেলা করে। আসলে কি এগুলো বাঘ নাকি এখন এই নারীর পাল্লায় পরে বিড়াল হয়ে গেছে তা বোঝা মুশকিল।
দুই পা-বিশিষ্ট মাছ
মাছেরও নাকি আবার পা হয়! অবিশ্বাস্য হলেও এটিই সত্যি। নিউজিল্যান্ডে পাওয়া গেছে একটি দুই পা বিশিষ্ট মাছের সন্ধান। দেশটির অকল্যান্ডে সাগর তীরে রহস্যময় মাছটির সন্ধান পেয়েছেন দুই সাতারু।মার্কিন গণমাধ্যম ‘গ্রিন্ড টিভি’ জানিয়েছে, সাতারু জেমস বিউভিঙ্ক (২০) এবং তার প্রেমিকা ক্লদিয়া হওসি (১৯) সাগর তীরে বেড়ানোর সময় অদ্ভুত প্রজাতির এই মাছটি দেখতে পান এবং তাদের নৌকার মধ্যে তুলে নেন। মাছটি ধীর গতিতে সেখানে হাঁটাহাটি করিছল।বিউভিঙ্ক গণমাধ্যমকে বলে, ‘আমি তার ছোট ছোট দুটি পা দেখেছি। এর আগে এর মতো কিছু আমি দেখিনি। এটা ছিল খুবই শান্ত। এটা আমার ধরা বড় কোনো মাছ না, কিন্তু খুবই অদ্ভুত ধরনের।’মাছটিকে তারা নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে ‘টি পাপা টংগারেওয়া’ জাদুঘরে পাঠিয়েছে। জাদুঘরের সংগ্রহ বিভাগের ব্যবস্থাপক অ্যান্ড্রু স্টুয়ার্ট এটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এর একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে। আর এর পরপরই তা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।এক ই-মেইল বার্তায় স্টুয়ার্ট গ্রিন্ড টিভিকে জানিয়েছেন, এটি ডোরাকাটা ‘অ্যাঙ্গলারফিশ’ প্রজাতির মাছ। মাছটি ডোরাকাটা ‘ফ্রগফিশ’ নামেও পরিচিত।২০০৮ সালে একই রকম একটি মাছ জাদুঘরটিতে পাঠানো হয়েছিল। তখন থেকেই এই রহস্যময় মাছটি সম্পর্কে জানতো জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। আটলান্টিক, ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং অর্ধ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় এ প্রজাতির মাছ দেখতে পাওয়া যায়। এটি দেখতে সম্পূর্ণ কালো।
যেকোনো মেরুদণ্ডী প্রাণির তুলনায় দ্রুত কামড়াতে পারে মাছটি। .২২ বোরের রাইফেলের গুলি ছোড়ার মতো দ্রুত মুখ খুলতে ও বন্ধ করতে পারে মাছটি। ছোট ছোট মাছকে আকৃষ্ট করতে এটি তার আকর্ষণীয় পাখাকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে। ছোট মাছেরা এর দিকে ছুটে আসে। তখনই নিজের মুখটি খুলে দেয় এই মাছটি। ছোট মাছগুলো ঢুকে যায় এর মুখে। আর তাদের গোগ্রাসে গিলে নেয় এটি।
কলা খেয়ে জরিমানা!
রাস্তায় ছিল ট্রাফিক জ্যাম। তাই ক্ষুধা মেটাতে চালকের আসনে বসে কলা খাচ্ছিলেন নারী গাড়িচালক। ব্যস! তাতেই ১৬ হাজার ১৬৫ টাকা (১৪৫ পাউন্ড) জরিমানা গুণতে হলো ওই নারীকে। তার বিরুদ্ধে আনা হলো তিনটি অভিযোগ। যুক্তরাজ্যে এই ঘটনা ঘটেছে।ইলসা হ্যারিস (৪৫) নামে ওই নারীর বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তার অভিযোগ, চালকের আসানে বসার পরও মনোযোগের ঘাটতি ছিল। কলা খাওয়ার সময় গাড়ির স্টিয়ারিং এ হাত ছিল না ইলসার।অবশ্য ইলসা হ্যারিস তাৎক্ষণিক জরিমানার বিরুদ্ধে ওয়েমাউথ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করেন। শেষ পর্যন্ত আইনজীবীর পরামর্শে আপিলের শুনানিতে সে নিজের দোষ স্বীকার করে নেন।প্রথমে তাকে ১১ হাজার (১০০ পাউন্ড) টাকা জরিমানা করা হলেও সে আপিল করায় জরিমানার অংক বেড়ে যায় পাঁচ হাজার টাকা।এই ব্যাপারে ইলিসা হ্যারিস বলেন, পুরো বিষয়টি আমার কাছে নিষ্ঠুর মনে হয়েছিল। তাই বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। আমার এক আইনজীবী বন্ধু সঙ্গে পরামর্শ করার পর সে অপরাধ স্বীকার করে নিতে বলল। সে জানাল, এই মামলা জেতা সম্ভব নয়।
Wednesday, January 20, 2016
বেড়ালের সাথে বাস করেন যে নারী
প্রাণি পোষার শখ আছে অনেকেরই। বিশেষ করে কুকুর, বেড়াল ধরনের প্রাণি। তবে একসাথে এক হাজার বেড়াল পোষার শখ আছে কার? কারো শখ না থাকলেও খুঁজে পাওয়া গেছে এমনই এক সৌখিন নারী।৪ হাজার ২০০ বর্গফিটের বাড়িতে ১ হাজার বেড়াল নিয়ে বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী লিনিয়া লাতানজিও। ইতিমধ্যে ‘বেড়ালপ্রেমী’ খেতবও পেয়েছেন তিনি।লিনিয়া তার বাড়িটির নাম দিয়েছেন ‘ক্যাট হাউজ অন দ্য কিংস’। এটি ক্যালিফোর্নিয়ায় বেড়ালদের সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য। ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তাঘাটে ফেলে দেয়া সব বেড়ালদের আশ্রয় হয় এখানেই। আর এগুলো পোষার জন্য তার আছে একটি স্বেচ্ছাসেবক দলও। তারা প্রতিদিন এখানকার ৮০০ বয়স্ক এবং ৩০০ বাচ্চা বেড়ালের দেখাশোনা করেন।
১৯৯২ সাল থেকে বেড়াল পোষা শুরু করেন লিলিয়া। আর এখন তিনি হয়ে উঠেছেন রীতিমতো একজন
প্রাণিবিশেষজ্ঞ। এর মধ্যে পশু চিকিৎসার ওপর একটি প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রিও নিয়েছেন তিনি। স্বল্পমূল্যে অন্যদের পোষা প্রাণিদের চিকিৎসা সেবা দেন লিলিয়া।তার এই পোষা প্রাণিদের আশ্রয়স্থলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার বেড়াল এবং ৭ হাজার কুকুরকে প্রাণে বাঁচিয়েছেন লিলিয়া। ব্রিটিশ গণমাধ্যম টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, ‘পাগলাটে বেড়াল নারীদের তালিকায় আমি শীর্ষে। আমি ভাবতেই পারিনা ২৪ বছরে কেউ ২৮ হাজার বেড়ালের সাথে বাস করবে। এটা সম্ভবত একটা রেকর্ড।’তিনি আরো বলেন, ‘আমি বেড়াল ভালোবাসি কারণ ওরা স্বাধীন, ওরা সুন্দর এবং কোমল।’ তিনি জানান, প্রথমে তার এতাগুলো বেড়াল নিয়ে বাস করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। তবে পর্যায়ক্রমে বেড়ালের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
Monday, January 18, 2016
লাশের সঙ্গে বিয়ে!
বেহুলা-লখিন্দরের গল্প মনে আছে তো! সেই যে বাসর রাতে লখিন্দরকে সাপে কাটল। নববধূ বেহুলা তখন মরদেহ চিতায় ওঠানোর বদলে স্বামীর লাশের সঙ্গে ভেসে চললেন অজানার উদ্দেশে। এটা তো লোককথা মাত্র। এসব কি আর বাস্তবে হয়! বাস্তবে কিন্তু এরচেয়েও মর্মস্পর্শী ঘটনা ঘটেছে। প্রযুক্তির এই চরম উৎকর্ষতার যুগে মৃত প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এক আবেগাপ্লুত নারী। সম্প্রতি এই অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে থাইল্যান্ডে।চাচোয়েনগসাও প্রদেশের মেয়ে নান থিপফারত। তাঁর প্রেমিক ফিয়াট হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। নানের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। কয়েক মাসের মধ্যেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু মৃত্যুর কাছে নিজের ভালবাসাকে হেরে যেতে দিতে রাজি নন। তিনি ফিয়াটের লাশকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ফিয়াটের শেষকৃত্যের দিন নিয়ম কানুন মেনেই বিয়ে করেন নান। যদিও আইন মৃত ব্যক্তির সঙ্গে বিয়েকে স্বীকৃতি দেয় না। তাতে কী! ভালবাসা কি কোনও নিয়ম মানে? সে তো লাগাম ছাড়া।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিয়ের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই হাজার হাজার মানুষ নানের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। নান তার বিয়ে নিয়ে ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি আমাদের বিয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম। দেখেছিলাম, একে অপরের হাত ধরে আছি। শান্তিতে থেকো। আমি তোমায় খুব ভালবাসি ফিয়াট। শুধু এটুকু জেনে রেখো যে, আমাদের স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’ আর এভাবেই নিজের প্রেমকে সম্মান জানালেন নান। তার ভাষায়,‘এটি ছিল ফিয়াটের প্রতি আমার ভালোবাসার অর্ঘ্য। কারণ আমি জানি একদিন আমরা আবারও মিলিত হব।’
Friday, January 15, 2016
জুতার আকৃতিতে গির্জা
তাইওয়ানে মেয়েদের হাই-হিল জুতার আকৃতিতে কাচ নির্মিত বিশাল আকারের একটি গির্জা নির্মাণ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। অধিক পরিমাণ নারীকে আকৃষ্ট করতেই মেয়েদের জুতার আকারে ১৬ মিটার লম্বা এই গির্জাটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ১০ মিটার প্রশস্থ এই গির্জাটি র্নিমাণ করতে ৩২০টির বেশি রঙিন কাচের প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি চীনের নববর্ষ উপলক্ষে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। স্থানীয় একটি গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গির্জাটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, ১৯৬০ সালে ওয়াং নামের ২৪ বছরের এক দরিদ্র মেয়ে পায়ের রোগে আক্রান্ত হয়। আর এ কারণে কেটে ফেলতে হয় তার দুই পা’ই। পা না থাকায় বাতিল হয়ে যায় মেয়েটির বিয়ে। এরপর সে অবিবাহিত অবস্থায় একটি গির্জায় তার জীবন কাটিয়ে দেয়। এ ঘটনা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে গির্জাটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তাইওয়ানের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র ‘সাউথইস্ট কোস্ট ন্যাশনাল সিনিক এরিয়া’তে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় গত বছরের জুনে। তবে এর বিনোদন বিভাগের ব্যবস্থাপক প্যান সুই-পিং জানিয়েছেন, নিয়মিত কর্মকাণ্ডে এটি ব্যবহার করা হবে না। শুধু বিবাহ-পূর্ব ফটোগ্রাফি এবং বিয়ের অনুষ্ঠানেই এটি ব্যবহার করা হবে। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা, এটিকে স্বর্গীয় ও রোমান্টিক একটি স্থান হিসেবে তৈরি করা। প্রত্যেক মেয়ে বুঝতে পারবে, কনে সাজে তাকে কেমন দেখায়।’
পাইথনের পেটে চাপ দিয়ে ছাগল উদ্ধার!
অ্যানাকোন্ডা সিরিজের ছবিগুলো যারা দেখেছেন, তারা অজগর সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা রাখেন। তবে এখন পর্যন্ত আস্ত মানুষ গিলে খাওয়ার মতো সাপের দেখা না মিললেও ছাগল, খরগোশ গিলে খাওয়ার মতো পাইথন কিন্তু ঠিকই আছে।সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এমনই এক পাইথন গিলে খেল স্থানীয় এক কৃষকের দু-দু’টো ছাগল। কৃষকও নাছোড়। জীবিত অথবা মৃত, গৃহপালিত পশু দু’টো তার ফেরত চাই-ই চাই। আর তাই শিকার শেষে সাপটা যখন ফিরে যাচ্ছিল, গ্রামের সড়কে এটিকে ঠিকই ধরে ফেলেন তিনি। শুধু কি তাই, সেই সাপের উদরে চাপ দিয়ে বের করে আনেন ছাগল দু’টোকে।এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দু’পায়ের মাঝে সাপটাকে ফেলে তার পেটে চাপ দিচ্ছেন ওই কৃষক। একটা পর্যায়ে সাপের মুখ হা করিয়ে তিনি ছাগল দু’টোকে বেরও করে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে ধরাধাম ত্যাগ করেছে প্রিয় ছাগলগুলো।ধারণা করা হচ্ছে, পাইথনটি কৃষকের ছাগল দু’টোকে শিকারের পর মহাসড়ক পর্যন্ত যেতে পেরেছিল। ততক্ষণে গ্রামবাসী টের পেয়ে তাড়া করে এটিকে। এদিকে, ক্ষুধার তাড়নায় শিকারের সময় সাপটিও বুঝতে পারেনি, প্রয়োজনের চেয়ে ঢের বেশি খেয়ে ফেলছে। ফলে পালাতে ব্যর্থ হয় এটি। ছাগল দু’টোর পরিণতি সম্পর্কে জানা গেলেও ছয় ফুট লম্বা পাইথনটার শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল, তা জানা যায়নি।
Sunday, January 10, 2016
একজন মেয়ের জন্য রেলওয়ে স্টেশন!
জাপানের একটি জনহীন রেলওয়ে স্টেশন শুধুমাত্র এক ছাত্রীর জন্য এখনও চালু রয়েছে। যাতে সে ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারে। জায়গাটি জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের একদম উত্তর প্রান্তের কামি শিরাতাকি স্টেশন।নিতান্তই অজ পাড়া-গাঁ বলতে যা বোঝায় অনেকটা তাই কামি শিরাতাকি স্টেশন। যাতায়াতের জন্য অন্যান্য মাধ্যম থাকায় রেলপথে কেউই খুব একটা কোথাও যাওয়া-আসা করেন না। এ কারণেই রেল দপ্তর ওই স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু পরিদর্শকরা তখন লক্ষ করেন, একটি মেয়ে সারা বছর ট্রেন ধরে স্কুলে যাতায়াত করে। ট্রেন না চললে তাঁর স্কুলে পৌঁছতে খুবই কষ্ট হবে। তাই ওই ছাত্রীর জন্যই একটি গোটা স্টেশন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।শুধু তাই নয়, মেয়েটি যাতে সঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারে তার জন্য ট্রেনের টাইমও পাল্টে দেওয়া হয়। সারাদিনে ওই একটি ট্রেন তাঁকে স্কুলে পৌঁছে দেয় এবং বিকেলে তাঁকে ফের ওই জনহীন স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে যায়। রেল দপ্তর এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যত দিন না মেয়েটি স্নাতক হচ্ছে, তত দিন এই ট্রেন পরিষেবা চালু রাখা হবে।
Tuesday, January 5, 2016
বিয়ের বয়স ৩৪, প্রেগন্যান্ট ২৮ বার!
১৯৮১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর এক বছর না যেতেই জন্ম দেন প্রথম সন্তানের। এরপর টানা ৩৪ বছরে গর্ভে সন্তান এসেছে ২৮ বার। ৭ বার অকাল গর্ভপাত ছাড়া ২১ সন্তান প্রসব করেছেন তুর্কি নারী রাজিয়ে গুনগোর। এর মধ্যে অসুস্থতায় মারাও গেছে ৪ জন। তুরস্কের গাজিআন্তেপ জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের খবর এটি। আব্দুল কাদির (৫৫) ও রাজিয়ে গুনগোর (৫১) জুটির দুনিয়া আলোড়িত করা এই সংখ্যায় ঘাবড়ে যায় প্রতিবছর নতুন করে জরিপে আসা স্থানীয় আদমশুমারি কর্তৃপক্ষও। এমনকি সর্বশেষ সন্তানের নিবন্ধন করার জন্য শুমারি খাতার ছক পাল্টাতে হয়েছে তাদের।
নিবন্ধন তালিকার জন্য বরাদ্দ দেয়া জায়গা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে ছক কেটে নাম লেখা হয়েছে। বর্তমানে ১৭ সন্তান ও ২৪ নাতি-নাতনিসহ ছেলের বউ কিংবা মেয়ের জামাই মিলে তাদের এই প্রজন্মই ৫১ জনের একটি বড় গোত্র তৈরি করেছে গ্রামটিতে। ৯ ছেলে আর ৮ মেয়ের বাবা-মা হিসেবে কোন আক্ষেপ নয়, বরং গর্ব করেন এই দম্পতি। ৩৩ থেকে ১ বছরের ব্যবধানের ১৭ ভাই বোনের মাঝে বিয়ে হয়েছে ৮ জনের। সবাইকে নিয়ে সুখেই আছেন আব্দুল কাদির। নিজের আর পরিবারের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন তিনি।
বন্ধুত্ব বাঘে-ছাগলে !
বাঘের সামনে ছাগল পড়লে রক্ষা নেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি বিপরীত চরিত্রের এই দুই প্রজাতির প্রাণী্ একসঙ্গে ঘুমায়, একসঙ্গে ঘুরে বেড়ায় তাহলে বিশ্বাস করা কঠিনই বটে। অথচ এমনই এমনই এক ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ার একটি চিড়িয়াখানায়।বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস খানেক আগে রাশিয়ার একটি সাফারি পার্কে আমুর নামের একটি বাঘকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল একটি জ্যান্ত ছাগল। কিন্তু তিমুর নামের ছাগলকে না খেয়ে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পেতে বসেছে বাঘটি। এমনকি বন্ধু ছাগলের জন্য নিজের ঘুমানোর জায়গাটিও ছেড়ে দিয়েছে বাঘ আমুর।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এখন এই বাঘ ও ছাগলকে একসঙ্গেই রাখছে।চিড়িয়াখানায় আসা দর্শনার্থীদের অনেকে হিংস্র পশু বাঘ আর নিরীহ ছাগলের বন্ধুত্বের ভক্ত হয়ে গেছেন অনেকে। ওয়েবক্যামের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা সরাসরি দেখছে এই বিরল বন্ধুত্বের দৈনিক কর্মকাণ্ড।এই দুই পশুর নামে ফেইসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে খোলা হয়েছে অ্যাকাউন্ট।
ওই চিড়িয়াখানার পরিচালক দিমিত্রি মেজেনস্তেভ জানান, প্রায় তিন বছর ধরে বাঘ আমুর এই চিড়িয়াখানায় আছে। সপ্তাহে দুই দিন তাকে ছাগল খেতে দিতে হতো। তিনি বলেন, “আমরা একদিন আমুরকে খেতে দিই ওই ছাগলটি। কিন্তু চার দিন পর দেখি বাঘটি তিমুরকে খায়নি। এটা খুবই বিস্ময়কর একটা ঘটনা।”এখন চিড়িখানা কর্তৃপক্ষ এই দুই বন্ধুকে আলাদা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান পরিচালক দিমিত্রি মেজেনস্তেভ।
জমজ হয়েও ভিন্ন সাল-তারিখে জন্ম
শিশু দুটি জমজ। কিন্তু এদের এক জনের জন্ম ২০১৫ সালে, আরেক জনের ২০১৬ সালে। তাদের জন্ম তারিখও আলাদা। মজার এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়াগোর কাইজার পার্মানেন্তে জিওন মেডিক্যাল সেন্টারে।সান দিয়াগোর বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী ম্যারিবেল ভ্যালেন্সিয়া প্রসব বেদনা নিয়ে ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর হাসপাতালটিতে ভর্তি হন। ওইদিনই রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে জন্ম হয় প্রথম মেয়ে শিশুটির। এর কয়েক মিনিট পর যখন ছেলে শিশুটি পৃথিবীতে আসে, তখন দিন-তারিখ-সাল সবই পাল্টে গেছে; হয়ে গেছে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি। এভাবে জমজ জন্ম নেওয়া দুটি শিশুর জন্মদিন ও জন্ম মাস ভিন্ন রকম হয়ে যায়।বর্তমানে দুটি শিশুই সুস্থ রয়েছে। জন্মের সময় মেয়ে শিশুটির ওজন ছিল চার পাউন্ড ১৫ আউন্স, তার নাম রাখা হয় জেইলিন। ছেলে শিশু লুইসের ওজন ছিল পাঁচ পাউন্ড নয় আউন্স।ভিন্ন সাল-তারিখে জন্ম নেওয়া জমজের জন্য মা ভ্যালেন্সিয়া ও বাবা সিনিয়র লুইস এবং জমজের বড় বোন তিন বছর বয়সী ইসাবেলা খুবই আনন্দিত। তাদের আনন্দের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে, এদের একজন ছেলে ও অন্যজন মেয়ে। ভ্যালেন্সিয়া কেজিটিভিকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একজন মেয়ে ও একজন ছেলে- জমজ এই দুই সন্তান নতুন বছরে আমার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
Monday, January 4, 2016
পৃথিবী থেকে মুছে যাচ্ছে একটা দেশ
দেশটার নাম তুভালু। ওশিয়ানিয়া মহাদেশে অস্ট্রেলিয়া আর হাওয়াইয়ের মাঝে ছোট্ট একটা দ্বীপপুঞ্জের দেশ। বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম এই দেশে বাস করেন ১০ হাজার মানুষ। খুব শীঘ্রই ভুগোলের পাতা থেকে মুছে ইতিহাস বইতে স্থান করে নিতে চলেছে তুভালু। কারণ সমুদ্রস্তর বৃদ্ধির জন্য জলের তলায় তলিয়ে যেতে চলেছে এই দেশ। দেশ বাঁচাতে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নসের কাছে ছুটেছেন তুভালর প্রধানমন্ত্রী। আর্জি একটাই, আবেদন একটাই আমাদের বাঁচাও। কিন্তু কীভাবে বাঁচানো যাবে তুভালুকে?বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে সমুদ্রস্তরে বৃদ্ধি এমন হারে হচ্ছে যাতে তুভালুর অস্তিত্ব এখন বড়জোর কয়েকটা বছর, তারপর জলের তলায় মিলিয়ে যাবে এই দেশ। তখন তুভালুর নাগরিকদের পালিয়ে যেতে হবে অন্য কোথাও। তাহলে উপায়! তুভালুর প্রধানমন্ত্রী ইনেলে স্পোয়াগা ইউ-নেতাদের কাছে আবেদন করেছেন ডিসেম্বরে হতে পরিবেশ সম্মেলনে তাঁরা যেন বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশকে বাঁচাতে উদ্যোগী হন। তাহলে কী করতে হবে?সেক্ষেত্রে ইউরোপকে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ 1.5C এ নামিয়ে আনতে হবে। সেখানে ইউরোপীয় দেশগুলির লক্ষ্য গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ 2C এ নামিয়ে আনা।
সিংহের সমুদ্রে ঝাঁপ
জঙ্গলের ডেরা ছেড়ে জনপদে এসে ভড়কে গেল সিংহ। এমনিতে মানুষ সিংহকে ভয় পায়। কিন্তু ভারতের গুজরাতের আমরেলিতে মানুষ দেখে ভয় পেয়ে গেল জঙ্গলের রাজা। জাফরাবাদে জনপদে ঢুকে পড়েছিল ওই সিংহ। তাকে দেখতে জমে যায় প্রচুর ভিড়। আর অত মানুষ দেখেই ঘাবড়ে গিয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ দেয় সিংহ। কলকাতার সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সমুদ্রে সিংহটি সাঁতার কাটতে থাকে। কিন্তু তার এই খেয়ালে বিপাকে পড়ে বন দফতর। সমুদ্র থেকে সিংহটিকে উঠিয়ে আনতে জেরবার হতে হয় বন বিভাগের কর্মীদের। প্রায় চার ঘন্টা ধরে চলে উদ্ধার অভিযান।
সে কখনও একটু পিছন ফিরে দেখে, আবার কখনও সাঁতারের মজায় মেতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ঘুমপাড়ানি গুলি করে সমুদ্রেই তাকে বেহুঁশ করে দড়ি দিয়ে টেনে পাড়ে নিয়ে আশা হয়।প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায়, সৌরাষ্ট্রের বিভিন্ন জনপদে এর আগেও সিংহ ঢুকে পড়ার খবর জানা গেছে। কিন্তু এই প্রথম কোনও সিংহকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেছে।
মৃত্যু যে শহরে দণ্ডণীয় অপরাধ.....
ইতালির একটি ছোট শহর, নাম সেল্লিয়া, পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই ছোট শহরটিতে মৃত্যু হলো একটি বড় অপরাধ। সেল্লিয়ার জনসংখ্যা ৫৩৭। অথচ ১৯৬০ সালে সেখানে জনসংখ্যা ছিল ১৩০০। শহরটির বেশিরভাগ মানুষের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি। খবর রয়টার্স। সেল্লিয়ায় একটি নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সুস্থ থাকা শুধুমাত্রই স্বাস্থ্যকর অনুশীলনের ব্যাপার নয়। মৃত্যু হবে স্বাভাবিক, অসুস্থ হয়ে মৃত্যু যেন কোনোভাবেই যেন না হয়। অসুস্থতা যাতে কোনোভাবেই কাউকে গ্রাস করতে না পারে তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
এই আইনের প্রবর্তনকারী শহরের মেয়র ডেভিড জিকিনেল্লা। তিনি বলেছেন, 'শহরবাসীদের ক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া একটা দণ্ডনীয় অপরাধ।' শহরবাসীরা যাতে সুস্থ স্বাভাবিক থাকেন তার জন্যই তিনি এই আইন প্রণয়ন করেছেন। যারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকেন তাদের কাছ থেকে ১০ ইউরো করে স্বাস্থ্য ট্যাক্স নেওয়া হয়। আর যারা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান না তাদের কাছ থেকে বেশি ট্যাক্স নেয়া হয়ে থাকে। মেয়র আরও জানান, 'ট্যাক্স নেওয়ার পর থেকেই ভিড় জমে গেছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে।তবে শুধু সেল্লিয়ায় নয়, পৃথিবীতে আরও অনেক দেশ আছে যেখানে মৃত্যুকে অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। এর আগে ফ্রান্স, ব্রাজিল, জাপান এবং স্পেনের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কারণের জন্য মৃত্যুকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। এছাড়া খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রিসে কোনো ধর্মীয় স্থানে মৃত্যুকে অপরাধের সমান বলে ধরা হয়েছিল।
Subscribe to:
Posts (Atom)