চার্লস বম্বারডিয়ার একটি হাইপারসনিক জেট বিমানের নমুনা নকশা করেছিলেন যেটা কিনা ম্যাক-১০ গতিবেগে (শব্দের চেয়ে ১০ গুণ গতিতে) চলতে পারে। স্কিমার নামের এই বিমানটি লন্ডন শহর থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্কে পৌছুতে পারবে মাত্র দেড় ঘণ্টায়। কিন্তু চার্লস এবার আরেকটি হাইপারসনিক বিমান তৈরির কথা জানিয়েছেন। এটা লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে পারবে অবিশ্বাস্য ১১ মিনিটে। চার্লস বম্বারডিয়ার কানাডার এয়ারক্র্যাফট কোম্পানি বম্বারডিয়ার ইন করপোরেশানের সাথে যুক্ত। তিনি বলেছেন, এই নতুন বিমানটির গতিবেগ পৌঁছাবে ম্যাক-২৪। এই গতি স্কিমারের গতির দ্বিগুণেরও বেশি এবং কনকর্ড বিমানের চেয়ে ১২ গুণ বেশি। তত্ত্বমতে তিনি দাবি করেছেন, এই বিমান এক ঘণ্টারও কম সময়ে ২০ হাজার কিমি ভ্রমণ করতে পারবে ১০ জন যাত্রী নিয়ে।
কানাডার এই বিমান প্রকৌশলী হাইপারসনিক স্কিমারের নকশা করেছিলেন গত বছর। চার ডানার ঐ বিমান ৭৫ জন যাত্রী নিয়ে ম্যাক-১০ গতিতে চলতে সক্ষম। কোন বিমানের গতি যদি শব্দের গতির চেয়ে বেশি হয় তাকে বলা হয় সুপারসনিক বিমান। কিন্তু সেই গতিবেগ বেড়ে যদি শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ হয় তাহলে সেটাকে বলে হাইপারসনিক বিমান। ম্যাক-১ গতি হচ্ছে ঘণ্টায় গড়ে ১১৯৫ কিমি। এটাই শব্দের গতি। যে বিমান ম্যাক-২ গতিতে চলে তার গতি শব্দের দ্বিগুণ।
No comments:
Post a Comment