ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানটির নাম অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া। এটি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়ায় নির্মিত বিমান হলেও এখন পর্যন্ত বিমানটির মতো বিশাল ধারণক্ষমতার কোনো বিমান নির্মিত হয়নি। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং।১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া বিমানটি তার যাত্রা শুরু করে। এরপর ২৭ বছর পার হয়ে গেছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বে নানা পরিবর্তন এসেছে। নিত্যনতুন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এমনকি ২০১৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ নির্মিত হয়েছে। কিন্তু এ বিমানটির আসন কেউ দখল করতে পারেনি।দীর্ঘদিন ধরে সবচেয়ে বড় বিমানের এ আসনটি দখল করে রাখাকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রমাণ বলেও মানছেন অনেকে। এ বিমানটির ডানার দৈর্ঘ্য ৮৮ মিটার বা ২৯০ ফুট। এ ছাড়া এর প্রস্থ ৮৪ মিটার বা ২৭৫ ফুট। বিমানটি ওড়ানোর জন্য কমপক্ষে ছয় জন ক্রু প্রয়োজন হয়।
১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া বিমানটি প্রথম আকাশে ওড়ানো হয়। সে সময় বিমানটি নির্মিত হয়েছিল বুরান স্পেস শাটল ও তার রকেট বুস্টার পরিবহনের জন্য। পরবর্তীতে অ্যান্টোনভ এয়ারলাইন্স এটি বিশেষ মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহার করছে।অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া বিমানটিতে রয়েছে ৩২টি চাকা। এ চাকাগুলো টেক অফের সময় সর্বোচ্চ ৬৪০ টন ওজন নিতে পারে। তবে বিমানটিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ওজন নেওয়া হয়েছে ১৯০ টন প্রায়। যা একটি বিশ্বরেকর্ডও বটে। বিমানটি স্পেস শাটল পরিবহনের কাজেও ব্যবহৃত হয়েছে।এ ধরনের বিমান বিশ্বে একটিমাত্র নির্মিত হয়েছে। নির্মাতা সংস্থার পরিকল্পনা ছিল এ ধরনের আরেকটি বিমান তৈরি করার। তবে এ পরিকল্পনা অর্থাভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটি পরিকল্পনা করেছে দ্বিতীয় বিমানটি নির্মাণ দ্রুত শেষ করার। দ্বিতীয় বিমানটি নির্মিত হলে বিমানেই ২৫০ টন ওজন তোলা যাবে বলে আশাবাদী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। সে বিমানটি নির্মাণে ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ পড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
No comments:
Post a Comment