অদ্ভূত ওই গ্রামটির অবস্থান ইরানে। এর বাসিন্দাদের সবাই নারী ও শিশু। কোনো পুরুষ নেই। থাকবে কি করে বলুন! গ্রামের সব পুরুষদের যে ধরে ধরে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়েছে তেহরান সরকার। ফলে গোটা গ্রাম পুরুষ শূণ্য হয়ে গেছে। সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘Reprieve’।এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন দেশটির নারী ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহিনদোখত মোলাভেরদি। তিনি ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ‘মেহের’কে বলেছেন, ‘সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশ দুটির সীমান্তবর্তী অংশে আমাদের একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে কোনো পুরুষ নেই। মাদক সংক্রান্ত অপরাধে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’ তিনি দাবি করেন, ওই গ্রামের শিশুরা পর্যন্ত মাদক পাচারের কাজ করে থাকে। তবে গ্রামের পুরুষগুলোকে একই সময়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে, না ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সেটি অবশ্য স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহিনদোখত মোলাভেরদি কিছু জানাননি।বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর অন্যতম হচ্ছে ইরান। এ তালিকায় তাদের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে। দেশটিতে যে সকল অপরাধীকে ফাঁসি দেয়া হয়, তাদের দুই তৃতীয়াংশই মাদক সংক্রান্ত মামলার আসামী। সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশ দুটির অবস্থান আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়। ওই অঞ্চলটিকে বলা হয় মাদক চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য। ফলে ইরানি ওই প্রদেশ দুটির লোকজন সহজেই এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে।দেশটিতে গতবছর মোট ৯৪৭ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল। এদের মধ্যে প্রায় ৬শ জনই মাদক সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। এ বছর ইতিমধ্যেই ৩১ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। আর এই ফাঁসির কারণেই ওই গ্রামটি পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে।
Monday, February 29, 2016
Saturday, February 27, 2016
দেশ ২ গ্রাম ১ রাণী ৬০
পাহাড়ে ঢাকা একটা গ্রাম। জনসংখ্যা বলতে খুব বেশি নেই। তবে রয়েছে পরিপাটি সাজানো কয়েকটি বাড়ি। এ গ্রামের বাসিন্দাদেরও আছে বাড়তি সুবিধা। ভারতের বাসিন্দা হলেও অনায়াসেই যেতে পারেন মিয়ানমারেও। চোরাপথে, লুকিয়ে চুরিয়ে নয়। প্রকাশ্যেই সীমান্ত অতিক্রম করতে পারেন। এ জন্য কোনো ভিসার প্রয়োজন পড়ে না।অবাক হবার অনেক বাকি আছে এখনো। এ গ্রামের রাজার নাম অঙ্গ নগোবাঙ্গ। সবমিলিয়ে ৭৫টি গ্রাম নিয়ে তার রাজত্ব। যেহেতু, তার প্রাসাদ ছুঁয়ে সীমান্ত গিয়েছে, তাই রাজপরিবারের সদস্যদের খেতে হয় মায়ানমারের দিকে, শুতে হয় ভারতের দিকে।
এই রাজার পরিবার খুব ছোট নয়। শুধু রানির সংখ্যাই ৬০! না, ছাপার ভুল নয়। এক রাজপুত্র রয়েছেন মায়ানমার সেনাবাহিনীতে। শুধু এই রাজপরিবার নয়, রাজার প্রাসাদ যেখাবনে, সেই গোটা লৌঙ্গা গ্রামের সবাই পেয়েছেন দ্বৈত নাগরিকত্ব। দু-দেশেই অবাধ গতিবিধি।গল্প বলে মনে হলেও, ষোলোআনার ওপর আঠারোআনাই সত্যি। আজব এ গ্রামটির নাম লৌঙ্গা, নাগাল্যান্ডের এক গ্রাম। এখানে বাস করে কোন্যাক উপজাতি। এ গ্রামের অর্ধেকটা ভারতে, বাকি অর্ধেক মিয়ানমারের অংশ। যে কারণে এই গ্রামের বাসিন্দাদের রয়েছে দ্বৈত নাগরিকত্ব। এই উপজাতিদের রাজার প্রাসাদের সামনে দিয়েই গিয়েছে দু-দেশের বিভাজন রেখা, অর্থাত্ সীমান্ত।
Wednesday, February 24, 2016
অপরূপ ব্রাজিল
ভ্রমণের তালিকায় ব্রাজিল হতে পারে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। পাহাড়, জলপ্রপাত, সমুদ্র, স্থাপত্য- কঈ নেই এখানে? এক নজরে দেখে নিন ব্রাজিলের মূল আকর্ষণগুলো।
ইগাজু ফলস
ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সীমান্তে অবস্থিত ইগাজু ফলস এক অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের আঁধার। এটি প্রাকৃতিক সপ্তমাশ্চর্যের একটি। ইগাজু আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া ফলস এবং আমেরিকার নায়াগ্রা থেকেও বিস্তৃত।
Jericoacoara aka- দ্যা ব্রাজিলিয়ান মালদিভস
ব্রাজিলে গেলে প্রথমেই যাওয়া উচিৎ এখানে। পৃথিবীর সবচেয়ে নীল আর সবচেয়ে সবুজ জলের সাথে দেখা হবে আপনার এখানে। কাঠের খুটিতে বাঁধা দোলনায় শুয়ে উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের সৌন্দর্য। কাছেই আছে চমৎকার বালিয়াড়ি আর পাথুরে বীচ।
অরলিন্ডার হিস্টোরিক সেন্টার
ব্রাজিলের পারনাম্বুকোর অরলিন্ডা একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন সমৃদ্ধ জায়গা। এখানে ইতিহাসের সংরক্ষণ শুরু হয়েছে ১৯৩০ সালে, যখন মেজর মনুমেন্ট জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়।
রিও গ্রান্ডে ডু নর্টে
ব্রাজিলে সমুদ্রসৈকত আছে ডজনখানেক। কিন্তু রিও গ্রান্ডে ডু নর্টে আর দশটা বীচের মত শুধু সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত বা সার্ফিং গেটওয়ে নয়। আরও বেশি কিছু। এটি বিখ্যাত এর বালুকাবেলার জন্য। এখানে পাওয়া যায় চমৎকার সব লবণ দিয়ে তৈরি পণ্যসামগ্রী। এখানে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাশিও বৃক্ষ। এলাকাটিকে বলা হয় ব্রাজিলের বাহু (Brazil's elbow), যা আটলান্টিক সমুদ্রতীরে একটি রোমাঞ্চকর আবহ তৈরি করে।
Chapada Diamantina
ব্রাজিলের এই জায়গাটির কথা হয়ত আপনি জানেনই না। এটি ব্রাজিলের মধ্য পশ্চিমে অবস্থিত, বাহিয়া রাজ্যের একটি অঞ্চল। ঐতিহাসিক সালভাদর থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টার দূরত্বে চাপাদা দাইমান্তিনার অবস্থান। তাই সালভাদর গেলে একই সাথে বেড়িয়ে আসুন এখানেও। এখানে দেখবেন পর্বতচূড়া যা মাইলের পর মাইল বিস্তৃত হয়েছে। অবাস্তব স্বচ্ছ নীল গুহা কমপ্লেক্স যা প্রলুব্ধ করবে এর মধ্যে চড়ে বেড়াতে।
সালভাদর
সালভাদর আমেরিকার প্রাচীনতম শহর এবং দূর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রথম দাস বাণিজ্যের স্থানও এটি। মাইকেল জ্যাকসনের মিউজিক ভিডিও চিত্রিত হওয়ার পর এখানকার ঐতিহাসিক পিবল স্ট্রীট বিখ্যাত হয়ে যায়। ভ্রমণে আরও দেখতে পারেন এখানকার ঔপনিবেশিক স্থাপত্যগুলো এবং উজ্জ্বল রঙ এর দালান কোঠা। পথে বেড়াতে বেড়াতে লেকার্ডা এলেভেটরটি অবশ্যই দেখে আসবেন।
CORCOVADO পর্বতে খ্রিস্টের দ্য রিডিমার মূর্তি
এটাই সম্ভবত ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় পর্যটক আকর্ষণ। যীশু খৃষ্টের ভাস্কর্য্যটি রিও ডি জেনারিও তে অবস্থিত। এটির দৈর্ঘ্য ৯৮ ফুট এবং বিশ্বের ২য় দীর্ঘ ভাস্কর্য এটি। সকল পর্যটক ভাস্কর্যটির শীর্ষে উঠেতে পারেন এবং এখান থেকে রিও ডি জেনারিওর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারেন।
ইগাজু ফলস
ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সীমান্তে অবস্থিত ইগাজু ফলস এক অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের আঁধার। এটি প্রাকৃতিক সপ্তমাশ্চর্যের একটি। ইগাজু আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া ফলস এবং আমেরিকার নায়াগ্রা থেকেও বিস্তৃত।
Jericoacoara aka- দ্যা ব্রাজিলিয়ান মালদিভস
ব্রাজিলে গেলে প্রথমেই যাওয়া উচিৎ এখানে। পৃথিবীর সবচেয়ে নীল আর সবচেয়ে সবুজ জলের সাথে দেখা হবে আপনার এখানে। কাঠের খুটিতে বাঁধা দোলনায় শুয়ে উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের সৌন্দর্য। কাছেই আছে চমৎকার বালিয়াড়ি আর পাথুরে বীচ।
অরলিন্ডার হিস্টোরিক সেন্টার
ব্রাজিলের পারনাম্বুকোর অরলিন্ডা একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন সমৃদ্ধ জায়গা। এখানে ইতিহাসের সংরক্ষণ শুরু হয়েছে ১৯৩০ সালে, যখন মেজর মনুমেন্ট জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়।
রিও গ্রান্ডে ডু নর্টে
ব্রাজিলে সমুদ্রসৈকত আছে ডজনখানেক। কিন্তু রিও গ্রান্ডে ডু নর্টে আর দশটা বীচের মত শুধু সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত বা সার্ফিং গেটওয়ে নয়। আরও বেশি কিছু। এটি বিখ্যাত এর বালুকাবেলার জন্য। এখানে পাওয়া যায় চমৎকার সব লবণ দিয়ে তৈরি পণ্যসামগ্রী। এখানে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাশিও বৃক্ষ। এলাকাটিকে বলা হয় ব্রাজিলের বাহু (Brazil's elbow), যা আটলান্টিক সমুদ্রতীরে একটি রোমাঞ্চকর আবহ তৈরি করে।
Chapada Diamantina
ব্রাজিলের এই জায়গাটির কথা হয়ত আপনি জানেনই না। এটি ব্রাজিলের মধ্য পশ্চিমে অবস্থিত, বাহিয়া রাজ্যের একটি অঞ্চল। ঐতিহাসিক সালভাদর থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টার দূরত্বে চাপাদা দাইমান্তিনার অবস্থান। তাই সালভাদর গেলে একই সাথে বেড়িয়ে আসুন এখানেও। এখানে দেখবেন পর্বতচূড়া যা মাইলের পর মাইল বিস্তৃত হয়েছে। অবাস্তব স্বচ্ছ নীল গুহা কমপ্লেক্স যা প্রলুব্ধ করবে এর মধ্যে চড়ে বেড়াতে।
সালভাদর
সালভাদর আমেরিকার প্রাচীনতম শহর এবং দূর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রথম দাস বাণিজ্যের স্থানও এটি। মাইকেল জ্যাকসনের মিউজিক ভিডিও চিত্রিত হওয়ার পর এখানকার ঐতিহাসিক পিবল স্ট্রীট বিখ্যাত হয়ে যায়। ভ্রমণে আরও দেখতে পারেন এখানকার ঔপনিবেশিক স্থাপত্যগুলো এবং উজ্জ্বল রঙ এর দালান কোঠা। পথে বেড়াতে বেড়াতে লেকার্ডা এলেভেটরটি অবশ্যই দেখে আসবেন।
CORCOVADO পর্বতে খ্রিস্টের দ্য রিডিমার মূর্তি
এটাই সম্ভবত ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় পর্যটক আকর্ষণ। যীশু খৃষ্টের ভাস্কর্য্যটি রিও ডি জেনারিও তে অবস্থিত। এটির দৈর্ঘ্য ৯৮ ফুট এবং বিশ্বের ২য় দীর্ঘ ভাস্কর্য এটি। সকল পর্যটক ভাস্কর্যটির শীর্ষে উঠেতে পারেন এবং এখান থেকে রিও ডি জেনারিওর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারেন।
বিশ্বের সেরা শহর ভিয়েনা
বসবাসের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সেরা শহর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। বিশ্বের শহরগুলোর জীবনযাত্রার মানের ওপর নির্ভর করে আন্তর্জাতিক এক জরিপ এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ওই তালিকায় শীর্ষ ১শ’র মধ্যেও ভারতীয় কোনো শহর জায়গা করে নিতে পারেনি। ২শ ৩০টি শহরকে নিয়ে মার্সার কুয়ালিটি অফ লাইফ স্টাডি তাদের ১৮তম জরিপ চালিয়েছে।ওই জরিপ জানিয়েছে ভিয়েনাতে প্রায় ১৮ লাখ মানুষ বসবাস করে। আর এটি বিশ্বের সবচেয়ে সেরা শহর। এরপরেই আছে জুরিখ, অকল্যান্ড, মিউনিখ এবং ভেনকুভার।এদিকে সেরা ৩০য়ের মধ্যেও নেই বিশ্বের জনপ্রিয় শহর লন্ডন, প্যারিস বা নিউইয়র্ক। তারা শীর্ষ ৩০য়েও জায়গা করতে পারেনি। অপরদিকে বাগদাদ শহরের নামটি রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ শহরের তালিকায়।এছাড়া ওই জরিপে ভারতের হায়দ্রাবাদ রয়েছে ১৩৯য়ে, পুনে ১৪৪, ব্যাঙ্গালুর ১৪৫, চেন্নাই ১৫০, মুম্বাই ১৫২, কলকাতা ১৬০ এবং দিল্লি রয়েছে ১৬১তে। অর্থনৈতিক অবস্থা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বসবাসের জায়গা এবং পরিবেশ সবকিছুর ওপর ভিত্তি করেই ওই জরিপ চালানো হয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
হেলেনা নামে ভিয়েনার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনি সিটি সেন্টারে ১শ স্কোয়ার মিটারের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বাস করেন। তাকে এজন্য মাসে ৮শ ইউরো (৬২৫ পাউন্ড) পরিশোধ করতে হয়। আর একারণেই তার শহর বসবাসের জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থান দখল করেছে এতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। তার মতে ভিয়েনাকে অন্যান্য শহরের চেয়ে শীর্ষে রাখার জন্য হাউজিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চমানের বিনিয়োগে সোস্যাল ডেমোক্রেটিক সরকারের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই তাদের শহরের জীবনযাত্রা বিশ্বের অন্যান্য শহরের চেয়ে অনেক উন্নত বলে মনে করেন তিনি।
Tuesday, February 23, 2016
ডাকাত থেকে ধর্মগুরু
জাপানের রাজধানী টোকিওর শহরতলীর একটি ছোট্টো শহর কাওয়াগুচি। রোববারের বৃষ্টিস্নাত সকালে শহরের অধিবাসীরা যে যার মতো বাহারি রংয়ের ছাতা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। জীবন এখানে খুব নিরিবিলি। শীত হয়ে গ্রীস্ম এই শহরে আসে খুব অনাড়ম্বর ভাবে। শহরের এক প্রান্তের একটি বারের দিকেও কেউ কেউ যাচ্ছেন। বারের দরজাটির সামনে লেখা জুন ব্রাইড। গত পঁচিশ বছর ধরে সাইতামা অঞ্চলের অধিবাসীদের কাছে এটাই একমাত্র স্থানে যেখানে কিছুটা সময় নিরিবিলি অতিক্রম করা যায়।
দীর্ঘদিনের এই পরিচিত বারটির বাইরের চেহারায় সামান্য পরিবর্তন আসলেও এর ভেতরে এসেছে আমূল পরিবর্তন। আগের বার ও মঞ্চের জায়গায় এখন ভিন্নধর্মী আসবাব বসানো হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন এই বারটিতে শুধু মদ খাবার জন্যই মানুষ আসতো। কিন্তু এখন যারা মদ খেতে ভালোবাসেন তারা শতহাত প্রায় দূরেই থাকেন জুন ব্রাইডের। কারণ জুন ব্রাইড আর এখন মদ বিক্রির কোনো দোকান নয়, উল্টো এটি বর্তমানে একটি উপাসনালয়।
জুন ব্রাইডের দরজা দিয়ে সর্বশেষ যিনি প্রবেশ করলেন তাকে সবাই সেনসি তাতসুয়া সিন্দো নামেই চেনে। তিনি ঘরে ঢুকেই নিজের দুহাত তুলে সবার জন্য মুহূর্তের মধ্যে প্রার্থনা করে নিলেন। ৪৪ বছরের সিন্দোকে দেখলে এখনও তরুণ মনে হয়। তার লম্বা চুল আর ঠোটে লেগে থাকা হাসি সকলের হৃদয়কে শান্ত করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
সিন্দো যখন তার অতীতের কথা তুলে মানুষকে সুন্দর পথে চলার কথা বলেন তখন মানুষের বুঝতে বাকী থাকে না, সিন্দো তার জীবনের সত্যিটা জেনে গিয়েছে। আজ সিন্দোর চারপাশে যারা ভিড় করে ধর্মকথা শুনছে তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের সঙ্গে অতীত জীবনে সিন্দোর মারামারির সম্পর্ক ছিল। অথচ এখন তারা সকলে মিলে ঈশ্বরের প্রার্থনা করছেন। সিন্দোর ভাষ্যে, ‘আগে আমরা প্রতিপক্ষ গ্যাংয়ের ছিলাম। আর এখন আমরা একই ঈশ্বরের প্রার্থনা করি।’
জাপানের অধিকাংশ তরুণের মতোই মাত্র ১৭ বছর বয়সে মাফিয়া গ্যাং ইয়াকুজাতে যোগ দিয়েছিলেন সিন্দো। ‘আমি নিতান্ত শিশু ছিলাম। অতটা গভীরভাবে ভাবার সময় পাইনি। তবে ইয়াকুজাকে আমি ধন্যবাদ দেই এই কারণে যে আমার স্বরুপটা চিনতে পেরেছে। তাদের অনেক অর্থ আছে এবং বিলাসবহুল কায়দায় তাদের জীবন চলে। খারাপ মানুষদের আমার চোখে বেশ লাগে।’
এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, প্রতি বছর দশ হাজারেরও বেশি জাপানি তরুণ ইয়াকুজাতে যোগ দেয়। সিন্দোর মতে, এই কম বয়সী তরুণদের অধিকাংশই আসে ঝামেলাপূর্ণ পরিবারগুলো থেকে। আনুগত্য আর বিশ্বাস হলো ইয়াকুজা পরিবারের অন্যতম অস্ত্র। কিন্তু সিন্দো যতই এই আন্ডারওয়ার্ল্ডের ভেতরে প্রবেশ করতে লাগলেন ততই বুঝতে পারলেন রক্তের দাম কতটা।
‘আমার বসকে হত্যা করা হয়েছিল। ক্ষমতার ভাগাভাগিতে অনেক মানুষ মারা যায়। মানুষের পায়ে গুলি করে অকেজো করে দেয়া হয়। আমার সঙ্গেই যে মানুষটি মাদক সেবন করতো, সে বিষক্রিয়ায় মারা যায়। আত্মহত্যাতো হচ্ছেই। অনেক মৃত্যু দেখেছি আমি। যে মানুষটি অন্যকে হত্যার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল তাকেও ছুরিকাঘাতে মরতে দেখেছি আমি।’
সিন্দোর পুরো শরীরে তার অতীত জীবনের অনেক চিহ্ন আজও রয়ে গেছে। তার বুক এবং হাতদুটো ভারি ট্যাটু দিয়ে ভর্তি। জাপানে মাফিয়াদের সদস্য হলে এরকম ট্যাটু একে দেয়া হয়। তবে সাধারণ মানুষ যাতে এই ট্যাটু না দেখতে পায় তাই মাফিয়া সদস্যরা তা লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু যখন অন্য গ্যাংয়ের সঙ্গে লড়াই বাধে তখন সকলেই তাদের গায়ের পোশাক খুলে ফেলেন।
মোট সাতবার গ্রেপ্তার করা হয় সিন্দোকে। বয়স ২২ হবার আগেই তিনি তিনবার কারাগারে গিয়েছিলেন। ৩২ বছর বয়স আসতে আসতে জীবনের প্রায় দশ বছর কারাগারে কাটিয়ে দেবার পর ইয়াকুজার আরও ভেতরে চলে যান তিনি। কিন্তু কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তার মধ্যে আমূল পরিবর্তন আসে। সেই উপলব্ধি থেকেই তিনি মাফিয়া জগত থেকে চিরদিনের জন্য ছুটি নেন এবং একজন ধর্মগুরু বা ধর্মযাজক হিসেবে জীবন অতিবাহিত করার সিদ্ধান্ত নেন।
সিন্দোর কাছে এখন বিভিন্ন ধরনের মানুষ আসে। এদের মধ্যে অনেকেই ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় বেদনাক্রান্ত, কেউ সর্বসান্ত হয়ে গেছেন। এমনটি যেসকল পিতা-মাতা তাদের সন্তানকে হারিয়ে ফেলেছেন তারাও আসেন। আজ সিন্দোর কাছে সাধারণ মানুষ একটু আশার জন্য আসেন। সিন্দো তার সাধ্যমতো তাদের সাহায্য করেন কোনো বিনিময় ছাড়াই।
জাপানে সিন্দোর মতো আরও অনেকেই আছেন যারা এক জীবনে প্রচণ্ড দৌড়ঝাপের জীবন অতিবাহিত করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে তাকে হয় হত্যা করা হয়েছে নতুবা গোটা জীবনের জন্য শারিরীকভাবে অকেজো করে দেয়া হয়। খুব কম সংখ্যক তরুণই আছেন যারা মাফিয়াদের ছেড়ে দেবার পরেও অক্ষত থাকেন। অবশ্য সিন্দোর ক্ষেত্রে এরকম ঝামেলা হয়নি, কারণ ইয়াকুজায় একদিকে সিন্দোকে যেমন সবাই ভয় পেত তেমনি সম্মানের চোখেও দেখতো। জীবনের এরকম একটি অবস্থায় সিন্দো যখন হানাহানির রাস্তা ত্যাগ করে ধর্মের পথে হাটতে চাইলেন তখন তাকে বাধা দেয়া হয়নি।
Sunday, February 21, 2016
ফুটন্ত নদী নামলেই পুরো সেদ্ধ
ফুটন্ত নদী। আর সেই নদীর জলে নামলেই পুরো সেদ্ধ। এমন কথা শুনেছেন কখনও? ভাবছেন তাই আবার হয় নাকি। জিওলজিস্ট আন্দ্রে রুজোও একথা শুনে এরকমই অবাক হয়েছিলেন। ফুটন্ত নদী সত্যিই আছে একথা তাঁর বিশ্বাস হয়নি। ১২ বছর আগে এক ফ্যামিলি গেট টুগেদারে দাদুর কাছে প্রথম ফুটন্ত নদীর কথা শুনেছিলেন রুজো। কিন্তু তখন সেটা নিছক গল্প মনে হয়েছিল। কিন্তু খোঁজ একটা চালাতেনই। অবশেষে রুজোর কাকা জানান যে তিনি এক ফুটন্ত নদীর কথা শুনেছেন যা আমাজনে আছে। কিন্তু সেকথায় খুব একটা ভরসা করতে পারেননি এই স্প্যানিশ জিওলজিস্ট। তাঁর ধারণা একটী নদীকে ফোটানোর জন্য যে উত্তাপের প্রয়োজন তার জন্য আশপাশে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরি থাকা দরকার।আমাজনের ধারে কাছে এমন কিছু নেই। সুতরাং এমন কিছু হওয়া সম্ভব নয়। তবুও একবার নিজের চোখে দেখে আসতে পারি দিলেন আমাজনের গভীর অরণ্যে। আর সেখানে গিয়ে তো চক্ষু চড়ক গাছ।আমাজনের গভীরে পেরুতে আন্দ্রে রুজো দেখা পেলেন সেই আশ্চর্য নদীর। চার মাইল লম্বা এই নদী থেকে ধোঁয়া উঠছে যেমন ফুটন্ত জল থেকে ওঠে। আর নদীর জলে পড়ে রয়েছে নানারকম পশু-পাখীদের মৃতদেহ। জল খাওয়ার আশায় নদীতে নেমে তারা আর ফিরে আসতে পারেনি। ২০ ফুট গভীর এই নদীতে হাত দিতেই রুজো টের পেয়ে যান জলের উষ্ণতা। এই জলে একবার পড়লে মুহূর্তে গোটা মানুষও সেদ্ধ হয়ে যাবে এই জলে।
Wednesday, February 17, 2016
সুখ বৃদ্ধিতে আরব আমিরাতে সুখ মন্ত্রী নিয়োগ
গত সপ্তাহে দারুণ এক ঘোষণা এলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারের পক্ষ থেকে। এ ঘোষণায় বলা হয়, তারা দেশের মানুষের সুখ বৃদ্ধির জন্যে মিনিস্টার অব স্টেট নিয়োগ করবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে নাগরিকদের সুখ বৃদ্ধি করা হবে।দুবাইয়ের ইকোনমিক পলিসি-এর সাবেক প্রধান ওহুদ আল রুমি এই গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালঞ্জিং কাজ গ্রহণ করতে চলেছেন। তবে সুখ বৃদ্ধির মন্ত্রী হিসাবে তার কাজের বিস্তারিত বয়ান এবং অন্যান্য বিষয় এখনো কাগজে-কলমে পরিপূর্ণতা পায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের মানুষের সুখ বৃদ্ধিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এই উদ্যোগ সত্যিই ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে। দেশের মানুষের সুখ সমাজের অটুট বন্ধনের জন্যে দারুণ বিষয়। মানুষের সুস্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং গঠনমূলক লক্ষ্য সাধনের জন্যে মানসিক সুখ অত্যন্ত জরুরি বিষয়।ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখে ইউএই-এর প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহামেদ বিন রাশিদ আল-মাকতুম টুইটারে এ ঘোষণা দেন।
২০১৩ সালে ভেনিজুয়েলা জনগণের সুখ বৃদ্ধিতে মিনিস্ট্রি অব সুপ্রিম সোশাল হ্যাপিনেস মন্ত্রণালয় গঠন করে। তবে দেশটিতে এ ব্যবস্থা সমালোচনার মুখে পড়ে। যে দেশ দারিদ্র্য নিয়ে যুদ্ধ করছে তারা কিভাবে জনগণের সুখ বৃদ্ধিতে মন্ত্রণালয় গঠন করে?আরব আমিরাত একই পথে হাঁটছে। তবে দেশটি নিজেও তার নানা সমস্যা নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছে। যেমন- মানবাধিকার বিষয়ে দেশটি চাপের মুখে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে সুখ বিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন কোনো উদ্যোগ নেবে বলে আশাপ্রকাশ করা হচ্ছে।
যদিও সরকারের নতুন শাখা এবং তাদের তৎপরতা রাতারাতি কোনো সমস্যার সমাধান দেবে না, তবে দীর্ঘ মেয়াদে ইতিবাচক ফলাফল আসবে। ভুটানের মতো ছোট দেশও দেশের সুখ বৃদ্ধির জন্যে বহু বছর ধরে কাজ করে আসছে।তবে ইউএই যে খুব দুঃখের মধ্যে রয়েছে তা নয়। ২০১৫ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট-এ দেশটি ২০তম স্থানে রয়েছে। তারা আবর দেশগুলোর মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে। দেশটিতে উন্নয়নের স্থান ও সুযোগ সব সময়ই রয়েছে এবং তা ঘটেও চলেছে।
পৃথিবী ১০০ বছর পর কেমন হবে?
আজ থেকে ১০০ বছর পর কেমন হবে আমাদের চিরচেনা পৃথিবী? এমন প্রশ্ন অনেকেরই মনে জাগতে পারে। এবার বফিনস জানাচ্ছে, আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর পর অর্থাত্ ২১১৬ সালে কেমন হবে পৃথিবী। বলাইবাহুল্য সেই পৃথিবীর সঙ্গে নাকি আজকের পৃথিবীর কোনও মিলই থাকবে না। কী কী হবে? দেখুন এক ঝলকে।
১) পানির নিচে থাকবে অনেক বাবল সিটি। এই শহরগুলো যেমন আকারে বড় হবে। তেমনই থাকবে অত্যাধুনিক সবরকম সুযোগ সুবিধা।
২) চাঁদে ঘুরতে যাওয়াটা তেমন কোনও ব্যাপারই থাকবে না। এই পৃথিবীর অনেক মানুষই বছরে একবার করে চাঁদে ঘুরতে যাবেন, লন্ডন কিংবা সিঙ্গাপুরের মতো করেই।
৩) লোকের বাড়ি ঘরে থাকবে শুধুই থ্রি ডি পেইন্টিং। এমনি আঁকা জিনিস থাকবে। তারও কদরও থাকবে। কিন্তু লোকে পছন্দ করবে বেশি থ্রি ডি পেইন্টিংই।
৪) গোটা পৃথিবীতেই অস্বাভাবিক রকমের বেড়ে যাবে মেগাস্ট্রাকচার। ১০০ তলা, দেড়শো তলা, বাড়ি এই পৃথিবীতে বেড়ে যাবে আজকের থেকে ৮ থেকে ৯ গুণ বেশি।
অজানা যত মজার তথ্য ডায়নোসর নিয়ে
যুগে যুগে ডায়নোসর এক বিস্ময়ের নাম। মানুষ সৃষ্টিরও মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়িয়েছে তারা। কেমন ছিল দেখতে, কী খেত, তাদের জন্ম কেমন ছিল, কীভাবে বিলুপ্ত হল সব কিছুই এখনো অমীমাংসিত। কল্পনার জগতে ডায়নোসর এখনো যেন মিথ। বিজ্ঞানীরা কিছু প্রশ্নের সমাধান করতে পেরেছেন, কিছু নিয়ে চলছে বিতর্ক। আসুন জেনে নিই দৈত্যাকার এই প্রানী সম্পর্কে মজার কিছু তথ্য।
১। ডায়নোসর যে সময়টায় পৃথিবীতে ছিল সে সময়কে বলা হয় মেসোজয়েক যুগ। ২৩০ মিলয়ন বছর ধরে এই যুগের ৩টি পিরিয়ড জুড়েই ডায়নোসরদের রাজত্ব ছিল। ৬৫ মিলিয়ন বছর আগের এই যুগের ভাগ ৩ টি ছিল ট্রায়াসিক, জুরাসিক এবং ক্রাটাসিয়াস।
২। ট্রায়াসিক পিরিয়ডের ডায়নোসররা ছিল আকারে অনেক ছোট এবং হালকা ওজনের। বিশাল আকৃতির ডায়নোসর মূলত দেখা যায় জুরাসিক এবং ক্রাটাসিয়াস যুগে।
৩। চীনে ৩৫০০ বছর আগে প্রথম ডায়নোসরের সম্ভাব্য হাড় পাওয়ার রেকর্ড করা হয়। কিন্তু চীনে মানুষের মাঝে তখন ডায়নোসর সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। তাই বিশাল হাড়টি যেটি আসলে ছিল ডায়নোসরের দাঁত, চীনারা ভেবেছিল এটি ড্রাগণের!
৪। ডায়নোসররা পৃথিবীর প্রতিটি এলাকাতেই বাস করত, এমনকি এন্টার্টিকা মাহাদেশেও।
৫। মাংসাশী সব ডায়নোসরের হাড় ছিল বাতাসে পরিপূর্ণ। যদিও হাড়গুলো ছিল বিশাল, কিন্তু সেগুলো দেখতে যত ভারী মনে হতো ততো আসলে ছিল না। এজন্যই অনেক ডায়নোসর দৈত্যাকৃতি হওয়া স্বত্ত্বেও ছিল দ্রুতগামী। পাখিদেরও একইরকম ফাপা হাড় থাকে তাঁদের শরীরে।
৬। আর্গেন্টিনোসরাস প্রজাতির ডায়নোসরেরা ছিল বৃক্ষভোজী। কিন্তু আকৃতিতে ছিল এরাই সবচেয়ে বিশাল। ৯৮ ফুটেরও (৩০ মিটার) বেশী লম্বা হত এরা।
৭। মাংসাশী ডায়নোসররা থেরপড নামে পরিচিত। এর অর্থ 'পিশাচের পা'। কারণ তাঁদের পায়ে ছিল ধারালো শক্ত থাবা। বৃক্ষভোজী ডায়নোসরদের নখ ছিল তুলনামূলকভাবে ভোঁতা।
৮। কিছু কিছু বৃক্ষভোজী ডায়নোসরদের প্রতিদিন ১ টনের মত খাবার দরকার হত। এটা একটা দ্বীতল বাস সমান সবজির স্তুপ খেয়ে ফেলার মত।
৯। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডায়নোসরদের মধ্যে কয়েক প্রজাতি ছিল শীতল রক্তের, আর কয়েক প্রজাতি ছিল উষ্ণ রক্তের অধিকারী। মজার বিষয় হল কিছু ডায়নোসর উষ্ণ - শীতল উভয় প্রকারের রক্ত বহন করত শরীরে। ধারণা করা হয়, মাংসাশীরা ছিল উষ্ণ রক্তের আর বৃক্ষ ভোজীরা ছিল শীতল রক্তের অধিকারী।
১০। এক্সপ্লোরার রয় চ্যাপমেন এন্ড্রিউ প্রথম ডাউনোসরের বাসা খুঁজে পান মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমিতে ১৯২৩ সালে। এই বাসা পাওয়ার আগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ডায়নোসরের জন্ম সংক্রান্ত কোন তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না।
১১। ডায়নোসরদের বিলুপ্তির কারণ বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিশ্বাসযোগ্য ধরা হয় মেক্সিকোর ইয়োকাটান উপদ্বীপে একটি বিশাল উল্কাপতনকে। এটি ঘটেছিল ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে। ৬ মাইল ব্যাসার্ধের বিশাল পাথরটি দ্বারা ১১২ মাইল বিস্তৃত একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল । বিশ্বাস করা হয়, সেই বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের পর বেঁচে ছিল মাত্র কয়েক প্রজাতির প্রানী। যেমন- হাঙ্গর, জেলিফিশ, বিচ্ছু, পাখী, পোকামাকড়, সাপ, কচ্ছপ, টিকটিকি আর কুমির।
১২। ডায়নোসর এবং অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীদের ব্যাপক বিলুপ্তির কারণ ছিল ক্রিটেশাস টারসিয়ারি বিলুপ্তি ইভেন্ট বা কে-টি ইভেন্ট। বিজ্ঞানীদের মধ্যে এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে অবশ্য। তবে অনেকেই মনে করেন স্তন্যপায়ীরা এ সময় ডায়নোসরদের ডিম খেয়ে ফেলত যতদিন পর্যন্ত না জনসংখ্যা স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌছায়।
১৩। পাখী এবং সরীসৃপদের মত ডায়নোসররা বাসা তৈরি করত, ডিম পারত এমনকি কেউ কেউ তাঁদের শিশুদের খাওয়াত এবং আগলে রাখত।
১৪। পাখীদের মলমূত্র ত্যাগ এবং ডিম পারার জন্য শরীরে একটিই পথ রয়েছে। ধারণা করা হয়, ডায়নোসরদের শারীরিক গঠনও ছিল একই। এজন্যই অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন পাখীরা আসলে ডায়নোসরদের পরিবর্তিত প্রজাতি আর এভাবেই টিকে আছে তাঁরা আজও, বিলুপ্ত হয় নি।
১৫। সব ডায়নোসররাই ডিম পাড়ত। এখন পর্যন্ত ৪০ প্রজাতির ডায়নোসরের ডিম পাওয়া গেছে।
১৬। ব্রিটিশ জীবাশ্মবিদ রিচার্ড অও্যেন ১৮৪২ সালে এই বিশালকায় জীবের 'ডায়নোসর' নামকরণ করেছিলেন। এটি একটি গ্রীক শব্দ। অর্থ ভয়াবহ টিকটিকি।
১৭। কিছু কিছু ডায়নোসরের লেজ ছিল ৪৫ ফুট লম্বা। জীবাশ্মবিদদের মতে, এই লম্বা লেজই তাদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করত।
১৮। বিজ্ঞানীদের মতে, বেশীরভাগ ডায়নোসর আসলে মানুশের সমান আকৃতির ছিল! আমরা বিশাল বিশাল আকৃতির ডায়নোসরের সন্ধান এজন্য বেশী পেয়েছি কারণ, এগুলো ফসিল তৈরি হওয়া তুলনামূলক সহজ ছিল।
১৯। কলারাডোর আরেক নাম স্টেগসরাস। কারণ স্টেগসরাস প্রজাতির ডায়নোসরের কংকাল প্রথম পাওয়া গিয়েছিল কলারাডোর মরিসনে।
২০। ডায়নোসরদের আয়ু কত বছর ছিল তা এখনো সঠিক জানা যায় না। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, কিছু প্রজাতির ডায়নোসর অন্তত ২০০ বছর বেঁচে থাকত।
২। ট্রায়াসিক পিরিয়ডের ডায়নোসররা ছিল আকারে অনেক ছোট এবং হালকা ওজনের। বিশাল আকৃতির ডায়নোসর মূলত দেখা যায় জুরাসিক এবং ক্রাটাসিয়াস যুগে।
৩। চীনে ৩৫০০ বছর আগে প্রথম ডায়নোসরের সম্ভাব্য হাড় পাওয়ার রেকর্ড করা হয়। কিন্তু চীনে মানুষের মাঝে তখন ডায়নোসর সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। তাই বিশাল হাড়টি যেটি আসলে ছিল ডায়নোসরের দাঁত, চীনারা ভেবেছিল এটি ড্রাগণের!
৪। ডায়নোসররা পৃথিবীর প্রতিটি এলাকাতেই বাস করত, এমনকি এন্টার্টিকা মাহাদেশেও।
৫। মাংসাশী সব ডায়নোসরের হাড় ছিল বাতাসে পরিপূর্ণ। যদিও হাড়গুলো ছিল বিশাল, কিন্তু সেগুলো দেখতে যত ভারী মনে হতো ততো আসলে ছিল না। এজন্যই অনেক ডায়নোসর দৈত্যাকৃতি হওয়া স্বত্ত্বেও ছিল দ্রুতগামী। পাখিদেরও একইরকম ফাপা হাড় থাকে তাঁদের শরীরে।
৬। আর্গেন্টিনোসরাস প্রজাতির ডায়নোসরেরা ছিল বৃক্ষভোজী। কিন্তু আকৃতিতে ছিল এরাই সবচেয়ে বিশাল। ৯৮ ফুটেরও (৩০ মিটার) বেশী লম্বা হত এরা।
৭। মাংসাশী ডায়নোসররা থেরপড নামে পরিচিত। এর অর্থ 'পিশাচের পা'। কারণ তাঁদের পায়ে ছিল ধারালো শক্ত থাবা। বৃক্ষভোজী ডায়নোসরদের নখ ছিল তুলনামূলকভাবে ভোঁতা।
৮। কিছু কিছু বৃক্ষভোজী ডায়নোসরদের প্রতিদিন ১ টনের মত খাবার দরকার হত। এটা একটা দ্বীতল বাস সমান সবজির স্তুপ খেয়ে ফেলার মত।
৯। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডায়নোসরদের মধ্যে কয়েক প্রজাতি ছিল শীতল রক্তের, আর কয়েক প্রজাতি ছিল উষ্ণ রক্তের অধিকারী। মজার বিষয় হল কিছু ডায়নোসর উষ্ণ - শীতল উভয় প্রকারের রক্ত বহন করত শরীরে। ধারণা করা হয়, মাংসাশীরা ছিল উষ্ণ রক্তের আর বৃক্ষ ভোজীরা ছিল শীতল রক্তের অধিকারী।
১০। এক্সপ্লোরার রয় চ্যাপমেন এন্ড্রিউ প্রথম ডাউনোসরের বাসা খুঁজে পান মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমিতে ১৯২৩ সালে। এই বাসা পাওয়ার আগ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ডায়নোসরের জন্ম সংক্রান্ত কোন তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না।
১১। ডায়নোসরদের বিলুপ্তির কারণ বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী বিশ্বাসযোগ্য ধরা হয় মেক্সিকোর ইয়োকাটান উপদ্বীপে একটি বিশাল উল্কাপতনকে। এটি ঘটেছিল ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে। ৬ মাইল ব্যাসার্ধের বিশাল পাথরটি দ্বারা ১১২ মাইল বিস্তৃত একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল । বিশ্বাস করা হয়, সেই বিশাল ধ্বংসযজ্ঞের পর বেঁচে ছিল মাত্র কয়েক প্রজাতির প্রানী। যেমন- হাঙ্গর, জেলিফিশ, বিচ্ছু, পাখী, পোকামাকড়, সাপ, কচ্ছপ, টিকটিকি আর কুমির।
১২। ডায়নোসর এবং অন্যান্য প্রজাতির প্রাণীদের ব্যাপক বিলুপ্তির কারণ ছিল ক্রিটেশাস টারসিয়ারি বিলুপ্তি ইভেন্ট বা কে-টি ইভেন্ট। বিজ্ঞানীদের মধ্যে এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে অবশ্য। তবে অনেকেই মনে করেন স্তন্যপায়ীরা এ সময় ডায়নোসরদের ডিম খেয়ে ফেলত যতদিন পর্যন্ত না জনসংখ্যা স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌছায়।
১৩। পাখী এবং সরীসৃপদের মত ডায়নোসররা বাসা তৈরি করত, ডিম পারত এমনকি কেউ কেউ তাঁদের শিশুদের খাওয়াত এবং আগলে রাখত।
১৪। পাখীদের মলমূত্র ত্যাগ এবং ডিম পারার জন্য শরীরে একটিই পথ রয়েছে। ধারণা করা হয়, ডায়নোসরদের শারীরিক গঠনও ছিল একই। এজন্যই অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন পাখীরা আসলে ডায়নোসরদের পরিবর্তিত প্রজাতি আর এভাবেই টিকে আছে তাঁরা আজও, বিলুপ্ত হয় নি।
১৫। সব ডায়নোসররাই ডিম পাড়ত। এখন পর্যন্ত ৪০ প্রজাতির ডায়নোসরের ডিম পাওয়া গেছে।
১৬। ব্রিটিশ জীবাশ্মবিদ রিচার্ড অও্যেন ১৮৪২ সালে এই বিশালকায় জীবের 'ডায়নোসর' নামকরণ করেছিলেন। এটি একটি গ্রীক শব্দ। অর্থ ভয়াবহ টিকটিকি।
১৭। কিছু কিছু ডায়নোসরের লেজ ছিল ৪৫ ফুট লম্বা। জীবাশ্মবিদদের মতে, এই লম্বা লেজই তাদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করত।
১৮। বিজ্ঞানীদের মতে, বেশীরভাগ ডায়নোসর আসলে মানুশের সমান আকৃতির ছিল! আমরা বিশাল বিশাল আকৃতির ডায়নোসরের সন্ধান এজন্য বেশী পেয়েছি কারণ, এগুলো ফসিল তৈরি হওয়া তুলনামূলক সহজ ছিল।
১৯। কলারাডোর আরেক নাম স্টেগসরাস। কারণ স্টেগসরাস প্রজাতির ডায়নোসরের কংকাল প্রথম পাওয়া গিয়েছিল কলারাডোর মরিসনে।
২০। ডায়নোসরদের আয়ু কত বছর ছিল তা এখনো সঠিক জানা যায় না। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন, কিছু প্রজাতির ডায়নোসর অন্তত ২০০ বছর বেঁচে থাকত।
Monday, February 15, 2016
দীর্ঘজীবী যমজ দুই বোন
১০৪ বছর বয়সী পাউলেত্তে অলিভিয়ার এবং সিমন ফ্রান্সের সবচেয়ে দীর্ঘজীবী যমজ বোনের স্বীকৃতি পেয়েছেন।১৯১২ সালের ৩০ জানুয়ারি লিমেরের এক গ্রামে দর্জি মায়ের গর্ভে তাদের জন্ম। পেশায় পাউলেত্তে ছিলেন একজন হেয়ার ড্রেসার। প্যারিস ছাড়াও হেয়ার ড্রেসার হিসেবে কাজ করেছেন আলজেরিয়ায়। ৩৬ বছর বয়সে স্বামী হারান তিনি। আর পেশায় দর্জি সিমন স্বামী হারান ৬৪ বছর বয়সে। তাদের একমাত্র ভাই ৯৯ বছর বয়সে দুর্ঘটনায় মারা যান। তবে বর্তমানে দুই বোনের অলস সময় কাটে। চাকরি বাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। একই বাড়িতে সময় কাটে তাদের কারণ একে অন্যকে না দেখে থাকতে পারেন না তারা।মজার বিষয় হলো, যে তারিখে তাদের ভূমিষ্ঠ হওয়ার কথা ছিল, তার আগেই জন্ম হয় সিমন ও পাউলেত্তের। জন্মের সময় সিমনের ওজন ছিল মাত্র এক কেজি। তখন ডাক্তাররা তার বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু কপাল গুণে এখনও বেঁচে আছেন।কিন্তু তাদের দীর্ঘজীবী হওয়ার রহস্য কী? এ ব্যাপারে তারা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনও বেঁচে আছি কারণ আমরা একসঙ্গেই থাকি। দু’জনে আলাদা রুমে থাকলেও খুবই কাছাকাছি থাকি। সুযোগ পেলেই দুই বোন আড্ডায় মেতে উঠি।'
Saturday, February 13, 2016
পুরুষরা নারীর পেছনে নামাজ পড়ে যে মসজিদে
একজন পুরুষ ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের দৃশ্য খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা। কিন্তু নারী ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে পুরুষরা নামাজ আদায় করছে, এ ঘটনা কখনো ঘটেনি। তবে এই ব্যতিক্রমী ঘটনার জন্ম দিয়েছে ডেনমার্কের একটি মসজিদ।মরিয়ম নামের ওই মসজিদটি ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও নামাজ আদায় করতে পারবে। তবে সেখানে কোনো পুরুষ ইমামতির দায়িত্ব নিতে পারবে না। মসজিদটিতে ইমাম সব নারী। আর পুরুষরা এখানে নামাজ পড়তে চাইলে তাদেরকে নারীদের পেছনের সারিতেই দাঁড়াতে হবে।মসজিদটির প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটিতে ধারাভাষ্যকার হিসেবে পরিচিত সিরিয়ীয় বংশোদ্ভূত শেরিন খানকান। তার বাবা সিরীয় নাগরিক এবং মা ডেনমার্কের নাগরিক।শেরিনের মতে, ‘আমরা আমাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোকে স্বাভাবিকভাবেই রেখেছি। এটা শুধু ইসলামেই নয়, ইহুদি, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মেও এই পুরুষতান্ত্রিকতা রয়েছে। আর আমরা এটাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাই।’ এ জন্যই এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, এই মসজিদ নির্মাণের পর মুসলিম কমিটিগুলো ইতিবাচক ছিল। তবে অনেকেই আবার এই বিষয়টিকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেননি।শেরিনের দাবী, ইসলামি ঐতিহ্য নারীদের ইমাম হওয়াকে অনুমোদন করে। তবে অনেকেই অজ্ঞতার কারণে এর সমালোচনা করে থাকেন।তার মতে, অনেকেই তার এ কাজকে সমর্থন করছেন। কেবল রক্ষণশীলরা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। রক্ষণশীলদের দাবী, নারীদের জন্য পৃথক মসজিদ নির্মাণকেও ইসলাম সমর্থন করে না। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই নারীদের জন্য আলাদা মসজিদ রয়েছে। কিন্তু সেখানে পুরুষ ইমামের অধীনেই তাদের নামাজ আদায় করতে হয়। এবার ডেনমার্কেই শুধু স্বাধীনভাবে নারীরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবে।ধর্মীয় অনুভূতিগুলো খুব সুক্ষ্ম। এক্ষেত্রে নারীরা বরাবরই উপেক্ষিত। ধর্মীয় কিছু গোঁড়ামির জন্য মেয়েরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু এই উদ্যোগের কারণে নারীরা ধর্মীয় ব্যাপারগুলোতে আরো সচেতন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শেরিন।
Friday, February 12, 2016
৫ ফুট বউয়ের ২ ফুট স্বামী
ভালোবেসে মানুষ কত কিছুই না করেন। ভালোবেসে আকাশ পাতাল তফাত নিয়েও ঘর বেঁধেছে এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু তাই বলে ২ ফুট ৮ ইঞ্চি উচ্চতার একটা লোককে বিয়ে করবে সাড়ে ৫ ফুটের সুন্দরী নারী? এও কি সম্ভব। অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এমন ঘটনা কিন্তু সত্যিই ঘটেছে। বেটে বামনকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছেন এক নারী। আর এ নিয়ে মোটেও আক্ষেপ নেই তার। বরং খুব সুখেই আছেন। এমনটাই জানালেন সিন স্টিফেনসন আর মিন্ডি নিস দম্পতি।
তাদের পরিচয়টা হয়েছিল ফেসবুকে। প্রথমদিকে স্রেফ মজা করতেই সিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল মিন্ডি। তারপর ধীরে ধীরে সম্পর্কটা প্রেমের দিকে এগিয়ে যায়। সেসময় তারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। বিয়েটা করেই ফেললেন। কিন্তু তাদের বিয়ের পর চারপাশে শুধু কানাঘুষা। আর হবেই বা না কেন? ২ ফুট ৮ ইঞ্চির সিন দেখতেও খুব একটা সুন্দর না। তার পরেও সে কীনা বিয়ে করল সাড়ে পাঁচ ফুটের সুন্দরীকে। এই ঘটনা দেখে প্রতিবেশিদের চোখতো ছানাবড়া। অনেকেই আবার বলতে শুরু করল এই সংসার ভাঙ্গবে শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমন বিয়ে কি আর টেকে?
আসলে আমাদের সমাজটা এমন একটা জায়গা যেখানে স্বাভাবিক ঘটনার বাইরে কিছু ঘটলেই তা নিয়ে সমালোচনায় মত্ত হয়ে ওঠে সবাই। বাড়তে থাকে উত্সাহ আর হাসি-ঠাট্টা। এমন হাসি-ঠাট্টা আর বিদ্রুপের সম্মুখীন হতে হয়েছে সিন আর মিন্ডিকেও। কিন্তু কোন কিছুরই পরোয়া করেননি তারা। তাদের ভালবাসায় কখনই বাঁধা হয়নি সিনের উচ্চতা। ২ ফুট ৮ ইঞ্চিটা তাদের কাছে একটা পরিসংখ্যান মাত্র। সিনের উচ্চতার কারণে তাদের ভালোবাসা একটুও কমেনি।
এ সম্পর্কে সিন জানিয়েছেন, ২০০৯ সালে ফেসবুকে এক মিউচুয়াল বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল তাদের। পরিচয়ের কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয় প্রেম। আর ২০১২ সালে বিয়েটাও সেরে ফেলেন তারা।
সিনের বয়স যখন ১৮ তখন ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশের ২০০ টির মত হাড় ভেঙে যায়। সিন একজন প্রেরণাদায়ক বক্তাও। নিজেই বলেন ‘আমি একজন ছোট মানুষ, কিন্তু বাঁচি বড় করে।’ চার বছরের দাম্পত্য জীবনে বেশ সুখেই আছেন তারা। বাকি দিনগুলোই সুন্দর করে কাটবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ওই দম্পতি।
Wednesday, February 10, 2016
বিড়ালের পদোন্নতি
যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের হাডার্সফিল্ড রেলস্টেশনের একটি বিড়াল পদোন্নতি পেয়েছে। স্টেশনের সব ইঁদুর তাড়ানোর কৃতিত্বের জন্য কর্তৃপক্ষ তাকে জ্যেষ্ঠ পেস্ট কন্ট্রোলার হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে।ফেলিক্স নামের এই বিড়ালটি ২০১১ সালে প্রথম হাডার্সফিল্ডে যায়। তখন তার বয়স মাত্র নয় সপ্তাহ। তারপর প্রায় পাঁচ বছর স্টেশনটিকে ইঁদুরমুক্ত করতে প্রচুর খেটেছে সে। এখন ইন্টারনেটে রীতিমতো তারকাখ্যাতি অর্জন করেছে বিড়ালটি।নতুন পদে দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের নামের ব্যাজসহ নতুন পোশাকও পেয়েছে ফেলিক্স। গত জানুয়ারির শেষ দিকে ওই পদোন্নতির পর থেকে ইন্টারনেটে ফেলিক্সের ভক্ত-অনুসারীর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। ফেসবুকে তার নামের পেজে ভক্তসংখ্যা গত সপ্তাতে ৩ হাজার থেকে প্রায় ৩০ হাজারে পৌঁছায়।ট্রান্সপেনি এক্সপ্রেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ইঁদুর দমনের জন্য ফেলিক্সকে হাডার্সফিল্ড স্টেশনে নিয়োগ দিয়েছিল। তারপর সে ধীরে ধীরে সবার মন জয় করে নেয়। তবে ফেলিক্সের সঙ্গে কাজ করেন—এমন এক ব্যক্তি বলেন, বিড়ালটি যে খ্যাতি পেয়েছে, পুরোটা তার প্রাপ্য নয়। সে সবার কাছ থেকে অতিরিক্ত মনোযোগ ও পুরস্কার পাচ্ছে। স্থানীয় সংবাদপত্র দ্য হাডার্সফিল্ড ডেইলি লিখেছে, স্টেশনটিতে টিকিট কাউন্টারের বেষ্টনী তৈরি করার সময় ফেলিক্সের চলাফেরার জন্য একটি বিশেষ জায়গা রাখা হয়েছে।
‘মৃত’ শিশু জেগে উঠল
চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর একরাত মর্গে রেখে দেয়া হয়েছিল একটি শিশুর মৃতদেহ। পরদিন তাকে সৎকারের ব্যবস্থা করছিলেন অভিভাবকরা। আর ঠিক তখনই জেগে উঠলো শিশুর মৃতদেহটি!আশ্চর্যজনক হলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে চীনের পূর্বঞ্চলীয় রাজ্য চেচিয়াংয়ের পান শহরে। শুক্রবার একটি শবদাহস্থলে মৃত এক শিশুর সৎকারের ব্যবস্থা করছিল সেখানকার কর্মীরা। এর মধ্যে হঠাৎ করেই কাঁদতে শুরু করে শিশুটি। চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর মর্গের ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১৫ ঘণ্টা রেখে দেয়া হয়েছিল শিশুটিকে।
শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় পাওয়ার পর তার বাবাকে খবর দেয় শ্মশান কর্তৃপক্ষ। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। পান হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, ‘জীবনে এই প্রথম আমি এ ধরনের ঘটনা দেখলাম। এটা আসলেই একটা অলৌকিক ঘটনা।’ চলতি বছরের জানুয়ারিতে পান হাসপাতালেই জন্ম নেয় শিশুটি। জন্মের পর থেকেই অসুস্থ থাকায় ২৩ দিন ধরে ইনকিউবেটরে রাখা হয় তাকে। চীনের নববর্ষ উপলক্ষ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে ৩ দিনের জন্য বাড়ি নিয়ে যায় তার বাবা।
তবে শিশুটির অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে ধাবিত হওয়ায় তাকে আবার হাসপাতালে ফেরত আনা হয়। হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৪ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। এরপরই মর্গে নিয়ে রাখা হয়েছিল মৃতদেহটিকে।
Sunday, February 7, 2016
নগ্ন থাকতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন যেসব শহরের বাসিন্দা
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হোক আর স্যাঁতস্যাঁতে জলবায়ু হোক ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের ওপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না। তার প্রমাণ যুক্তরাজ্যের ওয়েলস প্রদেশের দক্ষিণ উপকূলীয় বন্দর নগরী কার্ডিফ। সেখানকার অধিকাংশ নাগরিক ঘরে নগ্ন থাকতেই পছন্দ করেন। নতুন এক অনলাইন জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।জরিপটি পরিচালনা করে ডমিনোস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। জরিপের মূল উদ্দেশ্য ছিল, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের ব্যবহার ঘরে ঘরে মানুষের মধ্যে অভ্যাস বা আচরণে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে তা বের করা। এই জরিপের একটি অংশ ছিল বাড়িতে নগ্ন হয়ে থাকার বিষয়টিও। যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের দুই হাজার ১৫৪ জন জরিপে অংশ নেয়। জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, কার্ডিফ শহরের নাগরিকরা বাড়িতে নগ্ন হয়ে থাকতে পছন্দ করেন সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বন্দর নগরী সাউদাম্পটন ও ব্রিস্টল শহরের নাগরিকরা।জরিপে আরও বলা হয়, প্রতি পাঁচজনে একজন অফিস থেকে বাসা ফিরেই তাৎক্ষণিক পাজামা পড়েন। ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীরা বাড়িতে পোশাক পড়ে বেশি। আর যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩৪ এর মধ্যে তারা জাম্প স্যুট(ঢিলেঢালা পোশাক) পড়তে পছন্দ করেন বেশি। তবে ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীরা নগ্ন থাকতেই পছন্দ করেন বেশি।
Wednesday, February 3, 2016
মা মেয়ের দেখা ৮২ বছর পর
মাত্র ছয় মাস বয়সেই কিশোরী মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল বেটিকে।বেটির মায়ের নাম পিয়ার্স। দীর্ঘ পাঁচ দশক পর নিউইয়র্কের বিংহ্যামটন বিমানবন্দরে মায়ের সঙ্গে দেখা হয় তার। পিয়ার্সের বয়স যখন ১৪ বছর তখনই তিনি গর্ভবতী হয়। সময়টা ছিল ১৯৩৩ সাল যখন বেটির বয়স মাত্র ছয় মাস। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আইন মোতাবেক যেখানে মায়ের বয়স এত কম সেখানে একটি মা চাইলেই বাচ্চার দায়িত্বভার গ্রহন করতে পারে না। তাই একপ্রকার জোরপূর্বক মা ও তার সন্তানকে একে অপরের কাছ থেকে আলাদা করে দেয়া হয়। তবে সন্তান হারিয়ে থেমে ছিল না পিয়ার্সের জীবন। পরবর্তীতে তিনি আবার বিয়ে করেন এবং সেই ঘরে তার আরো সাতজন সন্তান রয়েছে। কিন্তু এরপরও কিশোর বয়সের জন্ম দেয়া সন্তাটিকে দেখার ইচ্ছে যেন থেকেই যায়।বিশ বছর ধরে বেটি তার পালক বাবা-মায়ের কাছে থাকতো। একদিন সে তার আসল জন্ম পরিচয় জানতে পারলে তারা তাকে প্রতিশ্রুতি দেয় তার আসল মায়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার। আর সে জন্য তারা প্রথমে যায় যেখান থেকে তারা বেটিকে দত্তক এনেছিল। সেখানকার কর্মকর্তারা তাদের একটি হাসপাতালের নাম বলে যেখান থেকে তারা বেটিকে নিয়ে এসেছিল। এরপর সেখান থেকে পিয়ার্সের নাম ও ঠিকানা জোগাড় করে একটি ওয়েবসাইটে সন্ধান চালিয়ে পাওয়া যায় পিয়ার্সের বর্তমান ঠিকানা। প্রায় দীর্ঘ ৮২ বছর পর নিউইয়র্কের বিংহ্যামটন বিমানবন্দরে দেখা হয় এই মা-মেয়ের। এতদিন পর দেখা হয়ে দুজনই কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। পুরো বিমানবন্দর জুড়ে একটি আবেগআপ্লুত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মায়ের সঙ্গে দেখা করে বেটি বলেন, ‘আগে আমি মনে করতাম এ পৃথিবীতে আমার আপন বলে কেউ নেই, কিন্তু এখন দেখছি আমার মা, ভাই, বোন সব আছে। এখন মনে হচ্ছে আমর পরিবার সম্পূর্ণ হয়েছে’।
৭ বছরের বুড়ি ও ১৮ মাসের বুড়ো
একজনের বয়স সাত বছর আর অন্য জনের বয়স মাত্র ১৮ মাস। কিন্তু এই ভাই-বোনকে দেখে কেউ তাদের বলবে না তারা শিশু। কারণ এই বয়সেই তাদের দেখতে বৃদ্ধ মানুষের মতো লাগে। তাদের শরীরে চামড়া ঝুলে পড়েছে বুড়ো মানুষের মতো। মুখের চামড়া আর চেহারায় পড়েছে বার্ধক্যের ছাপ। কেন এমন হচ্ছে এর কোন উত্তর নেই, তাদের অভিভাবকদের কাছে। তবে চিকিৎসকরাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। ফলে শৈশবেই তাদেরকে বৃদ্ধদের মতো দিনকাল কাটাতে হবে।অঞ্জলি ও কেশবের বাড়ি ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাচিতে। এ অবস্থার জন্য তারা তো দায়ী নয়! তবু রাস্তায় বেরুলে তাদেরকে নিয়ে ঠাট্টা করে মানুষ। তারা কারো সঙ্গে মিশতে পারে না। অন্য শিশুরা যখন খেলায় মত্ত তখন তারা থাকে ঘরের কোণে বন্দি। কারণ, তারা খেলতে গেলেই তাদেরকে তিরস্কার করা হবে।
Tuesday, February 2, 2016
ড্রোনশিকারী ঈগল
ঈগল দিয়ে ধরা হবে ড্রোন, আর হ্যাঁ এটি একদম সত্যিকারের ঈগল।শুনতে অবাক করা হলেও, এই অবাক করা প্রকল্পই হাতে নিয়েছে ডাচ পুলিশ। ঈগলকে প্রশিক্ষণ দেবে তারা, আর প্রশিক্ষিত এই ঈগল আকাশ থেকে ধরে আনবে অবৈধ ড্রোন।নতুন এই ধারণা নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে ডাচ ন্যাশনাল পুলিশ। তাদের পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, উড়ন্ত এক ড্রোনের দিকে ছুটে যায় একটি ঈগল। আর থাবা দিয়ে ড্রোনটি ধরে উড়ে চলে যায়। জনগণের ব্যবহার করা ড্রোনের সংখ্যা বাড়তে থাকায়, তা থামাতেই এমন চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
ঈগলগুলকে প্রশিক্ষণ দিতে 'গার্ড ফ্রম অ্যাবোভ' নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঈগলগুলো ড্রোনগুলোকে তাদের সম্ভাব্য শিকার হিসেবেই বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।এক বিবৃতিতে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, "পাখিটি ড্রোনকে একটি শিকার হিসেবে দেখবে এবং এটি ধরে একটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবে। এমন একটি জায়গায় যেখানে কোনো মানুষ বা অন্য কোনো পাখি তাকে বিরক্ত করবে না।"
দিন দিন ড্রোনের ব্যবহার বেড়েই চলেছে, বাড়ছে এ সংক্রান্ত ঝুঁকিও। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে সন্ত্রাসীরা ড্রোন ব্যবহার করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়।গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, “ইতোমধ্যেই উগ্রপন্থী, বিদ্রোহী, অপরাধী, কর্পোরেট ও ‘অ্যাক্টিভিস্ট থ্রেট গ্রুপ’ দেখিয়ে দিয়েছে সাধারণ ড্রোনকে কীভাবে আক্রমণ এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব।”ড্রোনের ব্লেডগুলো অত্যন্ত ধারালো হওয়ায়, এটি ধরতে যাওয়া ঈগলের আহত হওয়ার আশংকা থেকে যায়। তবে, এজন্য পাখিগুলোকে প্রতিরক্ষামূলক কাপড় পরানোর কথা ভাবছে পুলিশ।
Monday, February 1, 2016
অদ্ভূত প্রাণির স্পর্শে ঘুম ভাঙলো
খুব শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন। এমন সময় যদি একটা কদাকার প্রাণি আপনার মুখে হাত রাখে? আর চোখ খুলে যদি মাঝরাতে সেই কদাকার প্রাণিকে নিজের বিছানায় আবিষ্কার করেন? সত্যিই গা ছমছমে অবস্থা। তবে সত্যিই এমন ঘটনা ঘটেছে ফ্লোরিডার এক বৃদ্ধার সঙ্গে।রাতে ঘুমে বিভোর ছিলেন ৯৯ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা। হঠাৎ করে একটি প্রাণির সংস্পর্শে ঘুম ভেঙে যায় তার। ঘুম ভেঙেই তার চোখ তো ছানাবড়া। দেখলেন তার বুকের ওপর বিদঘুটে এক প্রাণি বসে আছে। এ সম্পর্কে তার পুত্রবধূ কার্লোস আগুয়ারাস জানিয়েছেন, রাত ২ টার দিকে আমার শাশুড়ির একটা ফোন পেয়ে আমার ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। তিনি খুব আতঙ্কিত ছিলেন। আর এটা আমার জন্য খুব একটা সুখকর ছিল না।ফোন পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। সেখানে তাদের এক প্রতিবেশি ক্যাথি মোঘারিও উপস্থিত ছিলেন। তিনি এ সম্পর্কে জানিয়েছেন, ওই প্রাণিটিকে তিনি চিনতে পেরেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে দেখেই ২ ফুট লম্বা বিদঘুটে প্রাণিটি ঘরের ভেতর লুকিয়ে ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম কিভাবে এই প্রাণিটাকে বাইরে বের করব? তখন আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। আমি গুগল থেকে কিনকাজোর একটা ভিডিও নামালাম। পরে এটা প্লে করলাম। ঘরের ভেতর থাকা কিনকাজোটি আমার ফোনে অন্য একটা কিনকাজোর শব্দ শুনে ভেবেছিল সত্যিই হয়তো ওদের কেউ আশেপাশে আছে। এটি শব্দ করতে শুরু করল। পরে এটি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমারা একে একটি খাঁচার মধ্যে বন্দী করে ফেলি।’
পরদিন সকালেই ওই প্রাণিটিকে সাউথ ডেড এভিয়ান এ্যান্ড এক্সোটিক এনিম্যাল মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পশু চিকিৎসকরা প্রাণিটিকে পর্যবেক্ষণ করেন। পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি আসলে কিনকাজো যাকে রেকুন সম্প্রদায়ের নিকটতম আত্মীয় মনে করা হয়।ন্যাশনাল জিওগ্রাফির তথ্যানুযায়ী, কিনকাজো একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণি। এরা নিশাচর। মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার ক্রান্তীয় বনাঞ্চলে এদের দেখা পাওয়া যায়। এরা দেখতে অনেকটা রেকুনের মত। এর লেজ এত লম্বা যে লেজটাকেই এরা হাতের মত ব্যবহার করে। এরা পেছন দিকেও খুব সহজেই দৌঁড়াতে পারে।
Subscribe to:
Posts (Atom)