পাহাড়ে ঢাকা একটা গ্রাম। জনসংখ্যা বলতে খুব বেশি নেই। তবে রয়েছে পরিপাটি সাজানো কয়েকটি বাড়ি। এ গ্রামের বাসিন্দাদেরও আছে বাড়তি সুবিধা। ভারতের বাসিন্দা হলেও অনায়াসেই যেতে পারেন মিয়ানমারেও। চোরাপথে, লুকিয়ে চুরিয়ে নয়। প্রকাশ্যেই সীমান্ত অতিক্রম করতে পারেন। এ জন্য কোনো ভিসার প্রয়োজন পড়ে না।অবাক হবার অনেক বাকি আছে এখনো। এ গ্রামের রাজার নাম অঙ্গ নগোবাঙ্গ। সবমিলিয়ে ৭৫টি গ্রাম নিয়ে তার রাজত্ব। যেহেতু, তার প্রাসাদ ছুঁয়ে সীমান্ত গিয়েছে, তাই রাজপরিবারের সদস্যদের খেতে হয় মায়ানমারের দিকে, শুতে হয় ভারতের দিকে।
এই রাজার পরিবার খুব ছোট নয়। শুধু রানির সংখ্যাই ৬০! না, ছাপার ভুল নয়। এক রাজপুত্র রয়েছেন মায়ানমার সেনাবাহিনীতে। শুধু এই রাজপরিবার নয়, রাজার প্রাসাদ যেখাবনে, সেই গোটা লৌঙ্গা গ্রামের সবাই পেয়েছেন দ্বৈত নাগরিকত্ব। দু-দেশেই অবাধ গতিবিধি।গল্প বলে মনে হলেও, ষোলোআনার ওপর আঠারোআনাই সত্যি। আজব এ গ্রামটির নাম লৌঙ্গা, নাগাল্যান্ডের এক গ্রাম। এখানে বাস করে কোন্যাক উপজাতি। এ গ্রামের অর্ধেকটা ভারতে, বাকি অর্ধেক মিয়ানমারের অংশ। যে কারণে এই গ্রামের বাসিন্দাদের রয়েছে দ্বৈত নাগরিকত্ব। এই উপজাতিদের রাজার প্রাসাদের সামনে দিয়েই গিয়েছে দু-দেশের বিভাজন রেখা, অর্থাত্ সীমান্ত।
No comments:
Post a Comment