ভ্রমণের তালিকায় ব্রাজিল হতে পারে একটি অনন্য অভিজ্ঞতা। পাহাড়, জলপ্রপাত, সমুদ্র, স্থাপত্য- কঈ নেই এখানে? এক নজরে দেখে নিন ব্রাজিলের মূল আকর্ষণগুলো।
ইগাজু ফলস
ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সীমান্তে অবস্থিত ইগাজু ফলস এক অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের আঁধার। এটি প্রাকৃতিক সপ্তমাশ্চর্যের একটি। ইগাজু আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া ফলস এবং আমেরিকার নায়াগ্রা থেকেও বিস্তৃত।
Jericoacoara aka- দ্যা ব্রাজিলিয়ান মালদিভস
ব্রাজিলে গেলে প্রথমেই যাওয়া উচিৎ এখানে। পৃথিবীর সবচেয়ে নীল আর সবচেয়ে সবুজ জলের সাথে দেখা হবে আপনার এখানে। কাঠের খুটিতে বাঁধা দোলনায় শুয়ে উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের সৌন্দর্য। কাছেই আছে চমৎকার বালিয়াড়ি আর পাথুরে বীচ।
অরলিন্ডার হিস্টোরিক সেন্টার
ব্রাজিলের পারনাম্বুকোর অরলিন্ডা একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন সমৃদ্ধ জায়গা। এখানে ইতিহাসের সংরক্ষণ শুরু হয়েছে ১৯৩০ সালে, যখন মেজর মনুমেন্ট জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়।
রিও গ্রান্ডে ডু নর্টে
ব্রাজিলে সমুদ্রসৈকত আছে ডজনখানেক। কিন্তু রিও গ্রান্ডে ডু নর্টে আর দশটা বীচের মত শুধু সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত বা সার্ফিং গেটওয়ে নয়। আরও বেশি কিছু। এটি বিখ্যাত এর বালুকাবেলার জন্য। এখানে পাওয়া যায় চমৎকার সব লবণ দিয়ে তৈরি পণ্যসামগ্রী। এখানে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাশিও বৃক্ষ। এলাকাটিকে বলা হয় ব্রাজিলের বাহু (Brazil's elbow), যা আটলান্টিক সমুদ্রতীরে একটি রোমাঞ্চকর আবহ তৈরি করে।
Chapada Diamantina
ব্রাজিলের এই জায়গাটির কথা হয়ত আপনি জানেনই না। এটি ব্রাজিলের মধ্য পশ্চিমে অবস্থিত, বাহিয়া রাজ্যের একটি অঞ্চল। ঐতিহাসিক সালভাদর থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টার দূরত্বে চাপাদা দাইমান্তিনার অবস্থান। তাই সালভাদর গেলে একই সাথে বেড়িয়ে আসুন এখানেও। এখানে দেখবেন পর্বতচূড়া যা মাইলের পর মাইল বিস্তৃত হয়েছে। অবাস্তব স্বচ্ছ নীল গুহা কমপ্লেক্স যা প্রলুব্ধ করবে এর মধ্যে চড়ে বেড়াতে।
সালভাদর
সালভাদর আমেরিকার প্রাচীনতম শহর এবং দূর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রথম দাস বাণিজ্যের স্থানও এটি। মাইকেল জ্যাকসনের মিউজিক ভিডিও চিত্রিত হওয়ার পর এখানকার ঐতিহাসিক পিবল স্ট্রীট বিখ্যাত হয়ে যায়। ভ্রমণে আরও দেখতে পারেন এখানকার ঔপনিবেশিক স্থাপত্যগুলো এবং উজ্জ্বল রঙ এর দালান কোঠা। পথে বেড়াতে বেড়াতে লেকার্ডা এলেভেটরটি অবশ্যই দেখে আসবেন।
CORCOVADO পর্বতে খ্রিস্টের দ্য রিডিমার মূর্তি
এটাই সম্ভবত ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় পর্যটক আকর্ষণ। যীশু খৃষ্টের ভাস্কর্য্যটি রিও ডি জেনারিও তে অবস্থিত। এটির দৈর্ঘ্য ৯৮ ফুট এবং বিশ্বের ২য় দীর্ঘ ভাস্কর্য এটি। সকল পর্যটক ভাস্কর্যটির শীর্ষে উঠেতে পারেন এবং এখান থেকে রিও ডি জেনারিওর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment