Sunday, February 21, 2016
ফুটন্ত নদী নামলেই পুরো সেদ্ধ
ফুটন্ত নদী। আর সেই নদীর জলে নামলেই পুরো সেদ্ধ। এমন কথা শুনেছেন কখনও? ভাবছেন তাই আবার হয় নাকি। জিওলজিস্ট আন্দ্রে রুজোও একথা শুনে এরকমই অবাক হয়েছিলেন। ফুটন্ত নদী সত্যিই আছে একথা তাঁর বিশ্বাস হয়নি। ১২ বছর আগে এক ফ্যামিলি গেট টুগেদারে দাদুর কাছে প্রথম ফুটন্ত নদীর কথা শুনেছিলেন রুজো। কিন্তু তখন সেটা নিছক গল্প মনে হয়েছিল। কিন্তু খোঁজ একটা চালাতেনই। অবশেষে রুজোর কাকা জানান যে তিনি এক ফুটন্ত নদীর কথা শুনেছেন যা আমাজনে আছে। কিন্তু সেকথায় খুব একটা ভরসা করতে পারেননি এই স্প্যানিশ জিওলজিস্ট। তাঁর ধারণা একটী নদীকে ফোটানোর জন্য যে উত্তাপের প্রয়োজন তার জন্য আশপাশে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরি থাকা দরকার।আমাজনের ধারে কাছে এমন কিছু নেই। সুতরাং এমন কিছু হওয়া সম্ভব নয়। তবুও একবার নিজের চোখে দেখে আসতে পারি দিলেন আমাজনের গভীর অরণ্যে। আর সেখানে গিয়ে তো চক্ষু চড়ক গাছ।আমাজনের গভীরে পেরুতে আন্দ্রে রুজো দেখা পেলেন সেই আশ্চর্য নদীর। চার মাইল লম্বা এই নদী থেকে ধোঁয়া উঠছে যেমন ফুটন্ত জল থেকে ওঠে। আর নদীর জলে পড়ে রয়েছে নানারকম পশু-পাখীদের মৃতদেহ। জল খাওয়ার আশায় নদীতে নেমে তারা আর ফিরে আসতে পারেনি। ২০ ফুট গভীর এই নদীতে হাত দিতেই রুজো টের পেয়ে যান জলের উষ্ণতা। এই জলে একবার পড়লে মুহূর্তে গোটা মানুষও সেদ্ধ হয়ে যাবে এই জলে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment