আজব পৃথিবী

Monday, February 1, 2016

অদ্ভূত প্রাণির স্পর্শে ঘুম ভাঙলো

খুব শান্তিতে ঘুমাচ্ছেন। এমন সময় যদি একটা কদাকার প্রাণি আপনার মুখে হাত রাখে? আর চোখ খুলে যদি মাঝরাতে সেই কদাকার প্রাণিকে নিজের বিছানায় আবিষ্কার করেন? সত্যিই গা ছমছমে অবস্থা। তবে সত্যিই এমন ঘটনা ঘটেছে ফ্লোরিডার এক বৃদ্ধার সঙ্গে।রাতে ঘুমে বিভোর ছিলেন ৯৯ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা। হঠাৎ করে একটি প্রাণির সংস্পর্শে ঘুম ভেঙে যায় তার। ঘুম ভেঙেই তার চোখ তো ছানাবড়া। দেখলেন তার বুকের ওপর বিদঘুটে এক প্রাণি বসে আছে। এ সম্পর্কে তার পুত্রবধূ কার্লোস আগুয়ারাস জানিয়েছেন, রাত ২ টার দিকে আমার শাশুড়ির একটা ফোন পেয়ে আমার ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। তিনি খুব আতঙ্কিত ছিলেন। আর এটা আমার জন্য খুব একটা সুখকর ছিল না।ফোন পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি। সেখানে তাদের এক প্রতিবেশি ক্যাথি মোঘারিও উপস্থিত ছিলেন। তিনি এ সম্পর্কে জানিয়েছেন, ওই প্রাণিটিকে তিনি চিনতে পেরেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে দেখেই ২ ফুট লম্বা বিদঘুটে প্রাণিটি ঘরের ভেতর লুকিয়ে ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম কিভাবে এই প্রাণিটাকে বাইরে বের করব? তখন আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। আমি গুগল থেকে কিনকাজোর একটা ভিডিও নামালাম। পরে এটা প্লে করলাম। ঘরের ভেতর থাকা কিনকাজোটি আমার ফোনে অন্য একটা কিনকাজোর শব্দ শুনে ভেবেছিল সত্যিই হয়তো ওদের কেউ আশেপাশে আছে। এটি শব্দ করতে শুরু করল। পরে এটি বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমারা একে একটি খাঁচার মধ্যে বন্দী করে ফেলি।’
পরদিন সকালেই ওই প্রাণিটিকে সাউথ ডেড এভিয়ান এ্যান্ড এক্সোটিক এনিম্যাল মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পশু চিকিৎসকরা প্রাণিটিকে পর্যবেক্ষণ করেন। পর্যবেক্ষণের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি আসলে কিনকাজো যাকে রেকুন সম্প্রদায়ের নিকটতম আত্মীয় মনে করা হয়।ন্যাশনাল জিওগ্রাফির তথ্যানুযায়ী, কিনকাজো একধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণি। এরা নিশাচর। মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার ক্রান্তীয় বনাঞ্চলে এদের দেখা পাওয়া যায়। এরা দেখতে অনেকটা রেকুনের মত। এর লেজ এত লম্বা যে লেজটাকেই এরা হাতের মত ব্যবহার করে। এরা পেছন দিকেও খুব সহজেই দৌঁড়াতে পারে।

No comments:

Post a Comment