আজব পৃথিবী

Wednesday, March 30, 2016

মৃত আত্মীয়দের সাথে বাস

পৃথিবীর বেশীরভাগ সংস্কৃতিতে ধরে নেওয়া হয় মৃত্যু একজন মানুষকে কেড়ে নেয় তার আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার তোরাজান গোত্রের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই আলাদা। মৃত্যুর পরেও তারা দিনের পর দিন সযত্নে আগলে রাখে প্রিয়জনের মৃতদেহ। কিন্তু কেন? গা ছমছমে এই সংস্কৃতির কথা পড়ুন আজকের এই ফিচারে।ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে বাস করে এই তোরাজান মানুষেরা। মৃত্যুকে তারা খুব অদ্ভুতভাবে বিচার করে। মৃত্যুর পর সপ্তাহ, মাস এমনকি বছর ধরে তারা একটি মানুষের মৃতদেহকে রেখে দেয় পরিবারের সাথেই। রীতিটিকে বলা হয় রাম্বু সোলোক। যতদিন না পরিবারের মানুষ সমাধিস্থ করার মতো টাকা জোগাড় করতে পারে, ততদিন মৃত মানুষটি বাড়িতে থেকে যায়। এই সময়টায় তাকে মৃত নয় বরং অসুস্থ বলেই ধরা হয়।
৩ বছর বয়সী সিয়ারিনি তানিয়া তিরান্দা মারা গেছে একদিন আগে। কিন্তু তার আপন ও মাসতুতো-পিসতুতো বোনের এখনো তাকে আগলে রেখেছে। তাদের কাছে মেয়েটি মৃত নয়, বরং তো মাকুলা, বা অসুস্থ মানুষ।এই প্রক্রিয়ার মাঝে সেই মৃত মানুষটির জন্য প্রার্থনা করা হয়, এমনকি তাকে খাবারও দেওয়া হয়। কিছু সময়ের পর তাদেরকে সমাধিস্থ করানো হয় বটে। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদেরকে দ্বিতীয়বার সমাধিস্থ করা হয়, যে অনুষ্ঠানকে বলা হয় মা’নেনে’। এই সময়ে পরিবার এই মৃত মানুষের শরীর পরিষ্কার করে, তাদেরকে নতুন পোশাক পরায় এমনকি তাদেরকে নিয়ে হেঁটে বেড়ায় এলাকাজুড়ে।
ডেবোরা মাওপা'র মৃতদেহ পরীক্ষা করছেন তার আত্মীয়েরা। ২০০৯ সালে ৭৩ বছর বয়সে মারা গেছিলেন তিনি। তোরাজান মানুষেরা বিশ্বাস করে, পানি ও ফর্মালডিহাইডের ব্যবহারে ভালোয়াবে সংরক্ষিত একটি মরদেহ পরিবারের সৌভাগ্য বয়ে আনে।তোরাজানের অনেক পরিবারের মানুষ দেশের অন্য জায়গায় থাকে। এই অনুষ্ঠানের সময়ে পুরো পরিবার একত্রিত হয়। এই ব্যাপারটাকে উৎসবের মতো করেই দেখে তারা। এই সময়ে বিভিন্ন দেশের ট্যুরিস্টরা এখানে আসে। কোনো পরিবারের এই অনুষ্ঠানে যদি ট্যুরিস্ট উপস্থিত থাকে তাহলে তারা নিজেদেরকে সম্মানিতই মনে করে।
২০১১ সালে মৃত ক্রিস্টিনা বান এর মৃতদেহ তুলে ধরেছে তার ছেলে, বার্তোলোমিউ বুঙ্গা। আর সামনে দাঁড়িয়ে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছে ক্রিস্টিনার নাতি, জেরি পুত্রা বুঙ্গা।অদ্ভুত হলেও সত্যি, পাগান ধাঁচের এই অনুষ্ঠানের মাঝে আবার খ্রিষ্টের প্রার্থনা এবং বাইবেলের কথা আওড়ানো হয়। ইন্দোনেশিয়ার বেশীরভাগ অঞ্চলে মুসলিমদের প্রাধান্য থাকলেও ১৬শ শতক থেকে তোরাজান সংস্কৃতির মাঝে জড়িয়ে আছে খ্রিষ্টধর্মের প্রভাব। এর পেছনে ডাচ মিশনারিদের অবদান আছে বলে ধরা হয়।তোরাজানদের এই রীতি কতদিন ধরে পালিত হয়ে আসছে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ এদের এই সংস্কৃতি মূলত মানুষের মুখে মুখে বংশ থেকে বংশে সঞ্চারিত হয়। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা একটি প্রাচীন তোরাজান কফিনের অংশ নিয়ে কার্বন ডেটিং প্রক্রিয়ায় দেখেন, তা এতোই পুরনো যে হাজার বছর ধরে এই রীতি পালন হয়ে আসাটাও বিচিত্র নয়।তোরাজান মানুষেরা এই ব্যাপারে গুরু মানে পেট্রাস কামবুনো নামের এক বয়োবৃদ্ধকে। তিনি দাবি করেন তার বয়স ৯০। অনেকটা আদম ও ইভের থেকে পৃথিবীর মানুষ সৃষ্টি হবার মতোই এক গল্প পাওয়া যায় তার মুখে। তোরাজান বিশ্বাস অনুযায়ী, মানুষ মারা যাবার পরেও তার সাথে পরিবারের সম্পর্ক ছিন্ন হয় না। জীবনের বিশাল ক্যানভাসে মৃত্যু মানে হলো একটা ছোট্ট ফোঁড় খুলে যাওয়া, আর কিছুই নয়। এভাবেই একজন পূর্বপুরুষের বদলে আসে একজন উত্তরপুরুষ, আর চলতে থাকে জীবন মৃত্যুর চক্র।

সবচেয়ে লম্বা চুল‍!

বেণী বাঁধা ৫৫ ফুট লম্বা চুল! দোতলা থেকে একতলায় ঝুলছে! নারীর নাম আশা ম্যান্ডেলা। আর তার এই চুলের টানেই কিনা ধরা দিলেন হেয়ারড্রেসার স্বামী এম্যানুয়েল!
আশা ম্যান্ডেলাকে সবাই কাছে রাস্তা রাপুনজেল নামে পরিচিত। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় জন্ম নেওয়া আশা এখন আমেরিকান নাগরিক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। অনলাইন তার চুলের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন এম্যানুয়েল চেগ। পেশায় হেয়ারড্রেসার। চুলের টানেই তিনি আশার কাছে ধরা দেন।
নিজের হাতেই এম্যানুয়েল আশার চুলের পরিচর্যা করেন। কিন্তু, এত লম্বা চুলের পরিচর্যা কি আর যেমন তেমন করে করলে হয়? পাক্কা দু'দিন লাগে চুল ধুয়ে শুকাতে। ইতিমধ্যেই গিনেস বুকে নাম উঠেছে রাস্তা রাপুনজেলের। স্ত্রীর চুলের ‘গর্বে গর্বিত’ স্বামী এম্যানুয়েলও।

Monday, March 28, 2016

পৃথিবীর সেরা ১২ টি অদ্ভুত বাড়ি!

সারা পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দেখতে অদ্ভুত বাড়ি সমূহ তুলে আনা হয়েছে আমাদের এই প্রতিবেদনে। চলুন দেখা নেয়া যাক অদ্ভুত স্থাপত্য শিল্পের নমুনা বহন করে বেড়ানো এসব বাড়ি। মানুষ সব সময় তাঁর মনের আকাঙ্খা কিংবা ইচ্ছাকেই নিজের আবাস স্থলে ফুটিয়ে তুলতে চায়। যার যেমন রুচি সে চায় তাঁর রুচির সাথে মিল রেখেই সেরকম একটি বাড়ি সমর্থের মাঝে থেকে তৈরি করতে। অনেকেই সে ভাবেই নিজ নিজ বাড়ির ডিজাইন করেন এবং তা তৈরিও করেন। এসব বাড়ি এতই বিচিত্র যে সারা বিশ্বে এদের পরিচিতি পেতে সময় লাগেনা। অনেকেই দেশ বিদেশ থেকে দেখতে আসেন এসব বিচিত্র বাড়ি।
চলুন একে একে দেখে নিই অদ্ভুত সব বাড়িঃ
১) নাম মাইন্ড হাউজ, স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থিত।
২) নাম ক্রকড হাউজ, এটি পোল্যান্ডে অবস্থিত।
৩) নাম স্টোন হাউজ, এটি পর্তুগালে অবস্থিত।
৪) গুম্বুজের মত দেখতে এই বাড়ির নাম La Pedrera এটি স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থিত।
৫) এর নাম Museum of Contemporary Art এটি ব্রাজিলের রাজধানীতে অবস্থিত।
৬) এর নাম Low impact woodland house, এটি ইংল্যান্ডের ওয়েলসে অবস্থিত।
৭) Nautilus House নামের এই শামুক আকৃতির ঘোর মেক্সিকো শহরে অবস্থিত।
৮) Conch Shell House নামের এই বাড়িটি মেক্সিকো তে অবস্থিত।
৯) House Attack নামের এই বাড়িটি অবস্থিত অস্ট্রিয়াতে।
১০) এটি হচ্ছে ফ্রান্সে অবস্থিত Ideal Palace
১১) এটি আমেরিকার Wonderworks
১২) The Basket Building নামের এই ভবন আমেরিকার ওহীও অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত।

গরুর বিয়ে

আমন্ত্রিত অতিথি ৩০০ জন। বিয়ে দিতে তৈরি ছিলেন দুই পুরোহিত। নিয়মের কোনো নড়চড় হয়নি। ১৮ লাখ টাকা খরচ করে হিন্দুরীতি মেনেই বিয়ে হল পুনম আর অর্জুনের। নিজেদের চার পা এখন থেকে হলো আট।অবাক হচ্ছেন! মানুষে মানুষে বিয়ে করলে যদি চার হাত এক হয়, তো বলদ-গরুতে বিয়ে করলে আট পা’ই তো এক হবে! গা ভর্তি সোনার গয়না আর লাল টকটকে বেনারসি শাড়ি পরে বিয়ের মণ্ডপে যে দাঁড়িয়েছিলেন, সেটি আসলে একজন গরু। নাম পুনম। আর বর অর্জুন তারই প্রতিবেশি।সম্প্রতি গুজরাটের এক প্রত্যন্ত গ্রামে এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি হয়েছে। নিমন্ত্রিত অতিথিরা তো ছিলই, খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে দেখতে ভিড় করেন আশেপাশের গ্রামের মানুষেরাও।আর বিয়ের মেনু? কি ছিল না তাতে! গুজরাতি স্পেশাল ডাল, ফুলওয়ারি, লাডভা আরো কত কিছু। অতিথিদের স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত ছিল বাদ্যযন্ত্রের দলও। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল প্রতিবেশিদের গরুও। আর বিয়ে শেষে পালকিতে চেপে পুনম রওনা দেয় শ্বশুর বাড়িতে। একটা ট্রাকের উপরে রাখা ছিল পালকিটা। শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময় কনের চোখে জল না এলেও মালিকের চোখ কিন্তু ছলছল ছিলই।পুনমের মালিক বিজয়ভাই বলেন, ’৩০ বছর ধরে গরু রয়েছে আমার বাড়িতে। গরু নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই এই প্রয়াস।’

Sunday, March 27, 2016

স্বামী মারা গেলেই কেটে দেয়া হয় স্ত্রীর আঙুল

কখনো শুনেছেন, স্বামী মারা গেলে শোক পালনের জন্য স্ত্রীর আঙুল কেটে ফেলা হয়? বিষয়টি শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এ রকমই এক প্রথা প্রচলিত আছে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ার দানি সম্প্রদায়ের মধ্যে।প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, যখনই পরিবারের কর্তা মারা যান, শোক পালনের জন্য স্ত্রীর দুই হাতের বেশ কয়েকটি আঙুল কেটে দেয়া হয়। সেখানকার অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে নাকি মৃতের আত্মার শান্তি হয়। আঙুল কাটার আগে বিধবা নারীর হাত শক্ত করে বেঁধে দেয়া হয় যাতে হাতে রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। তার পর কুড়াল দিয়ে কেটে দেয়া হয় আঙুল।যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে এই প্রথা সহ্য করতে হয় সেখানকার বিধবাদের। দীর্ঘ দিন ধরে নিষ্ঠুর এই প্রথা চলে আসছে দানি সম্প্রদায়ের মধ্যে। ওই দ্বীপে গেলেই দেখা মিলে অনেক আঙুলবিহীন নারীর। তবে সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার সরকার এই অমানবিক প্রথাটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

Saturday, March 19, 2016

চোখ জুড়ানো ৭ টি কাঁচের দালান

আধুনিক স্থাপত্যকলা গতানুগতিক ধারার বাইরে বেরিয়ে এমন অনেক কিছু সৃষ্টি করছে যা রীতিমত বিস্ময়কর। বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু কাঁচের বিল্ডিং তৈরি হয়েছে বিভিন্ন দেশে যেগুলো দূর্দান্ত নির্মাণশৈলী আর শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য্যের জন্য নজর কাঁড়ে পর্যটকদের। চলুন আজ অভিনব এমন কয়েকটি সৃষ্টি সম্পর্কে জানি।
লুভর পিরামিড, প্যারিস
পৃথিবীর সব গ্লাস বিল্ডিং এর মধ্যে এটা সবচেয়ে বিখ্যাত। এটি ১৯৮৯ সালে স্থাপিত। এর নকশা করেছেন আর্কিটেক্ট আই. এম. পেই। পিরামিডের মত স্ট্রাকচারটি যাদুঘরের প্রধান প্রবেশমুখে অবস্থিত (দেখুন প্রচ্ছদের ছবিতে)।
বোটানিকাল গার্ডেন, কুরুটিবা
১৯ শতকের লন্ডনের ক্রিস্টাল বিল্ডিং থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি করা হয় এটি। অপূর্ব দালানটি উন্মুক্ত করা হয় ১৯৯১ সালে। কুরুটিবায় অবস্থিত দালানটি এই শহরের একটি অন্যতম ট্যুরিস্ট আকর্ষণ। বাগানের একটি অংশে আছে গ্রীন হাউজ, সেখনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ জন্মায়। দালানটি গ্লাস এবং মেটালে তৈরি আর এর চারপাশে রয়েছে ওয়াটারফল এবং ঝর্ণা।
কানাগাওয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি ওয়ার্কশপ, টোকিও
এটি চমৎকার স্বচ্ছ একটি স্থাপনা। এটি জুনিয়া ইশিগামি এবং তাঁর এসোসিয়েটসদের নকশা করা। এটা আসলে ২০০০ স্কয়ার ফুটের বিশাল একটি রুম। বিভিন্ন আকারের এবং শেপের কাঁচের প্যানেল এবং সাদা ষ্টীলের কলামের উপর বিল্ডিংটি দাঁড়িয়ে আছে। পুরো ডিজাইনটি একটা বিল্ডিং এর চেয়ে বেশী বনের অনুভূতি দেয়।
ফ্রান্সওর্থ হাউজ, প্লানো
আর্কিটেক্ট লাডউইগ মাইস ভ্যান ডার রো এর নকশা করা বিল্ডিং এটি। প্লানো শহরের কাছে ফক্স নদীর পাশে অবস্থিত এটি। এটি একটি এক রুমের বিল্ডিং, তৈরি করা হয়েছিল ডঃ এডিথ ফ্রান্সঅর্থ এর জন্য তাঁর অবকাশ যাপনের উদ্দেশ্যে। বাড়িটির স্বচ্ছতা প্রকৃতির একেবারে কাছাকাছি নিয়ে যায়।
বাস্ক হেলথ ডিপার্টমেন্ট হেডকোয়াটার, বিবাও
এই বিল্ডিং এর সৌন্দর্য্য দেখে আপনার মনে হবে এটি হয়ত কোন যাদুঘর বা আর্ট গ্যালারী। কিন্তু না, এটি একটি অফিস বিল্ডিং। কিন্তু ১৩ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিংটি স্পেনের একটি আইকনিক স্থাপনা। এটা নকশা করেছে কল-ব্যুরো আর্কুইটেক্টোস।
নেদারল্যান্ডস ইন্সটিটিউট ফর সাউনশ এন্ড ভিসন
হিলভারসামে অবস্থিত ইন্সটিটিউটটি পৃথিবীর অন্যতম চমৎকার স্থাপনা। উইলেম জান নিউটেলিংস এবং মিশেল রেইডিয়েক এই বিল্ডিঙের নকশা করেছেন। এটা কিউব আকৃতির বিল্ডিং এবং রঙ্গীন কাস্ট গ্লাস প্যানেল দিয়ে আবৃত।

ন্যাশনাল সেন্টার অব পার্ফর্মিং আর্ট, বেইজিং
এটি ন্যাশনাল গ্রান্ড থিয়েটার হিসেবেও পরিচিত। স্থাপনাটি আধুনিক আর্কিটেকচারের চমৎকার একটি নিদর্শন। ফ্রান্সের আর্কিটেক্ট পল এন্ড্রুর নকশা করা বিল্ডিং এটি। টাটিনিয়াম আর গ্লাসের তৈরি বিল্ডিংটি সম্পূর্ণ হয় ২০০৭ সালে। একে বলা 'দৈত্যাকৃতি ডিম'। এর চারপাশে কৃত্তিম একটি লেক এর সৌন্দর্য্যকে কয়েকগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।

দুই নাকওয়ালা কুকুর!

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় দেখা মিলেছে দুই নাকওয়ালা কুকুরের। ব্যাপারটি বিস্ময়কর হলেও সত্যি। কুকুরটির ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে।ঘটনা যাই হোক, কুকুরটির প্রাথমিক জীবন কিন্তু সুখে যায়নি। তার মালিকের কাছ থেকে জানা যায়, কুকুরটি দুটি নাক নিয়ে জন্ম নেওয়ার কারণে স্থানীয়দের নানা ব্যঙ্গবিদ্রূপের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। তাই বিরক্ত হয়ে একদিন তিনি কুকুরটিকে দূরের একটি জঙ্গলে ফেলে আসেন। কিন্তু কয়েকদিন পরই সেটি আবার খুঁজে খুঁজে তাঁর বাড়িতে এসে হাজির হয়। এ সময় তাঁকে মেরে ফেলারও সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু টড রে নামক জনৈক অদ্ভুত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে জন্ম নেওয়া প্রাণী সংগ্রাহকের হস্তক্ষেপে বেঁচে যায় কুকুরটি এবং রীতিমতো বিখ্যাতও হয়ে উঠে। রে যখন এই কুকুরের খবর পান, তখন তিনি ছুটে গিয়ে কুকুরটিকে তার মালিকের কাছ থেকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন।টড রে জানান, তাঁর সংগ্রহে অনেক অদ্ভুত দর্শন প্রাণী আছে। শত শত মানুষ প্রতিদিন সেগুলো দেখতে আসে। দুই নাকওয়ালা কুকুরটি নিশ্চয় সেই সংগ্রহে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে বলে তিনি মনে করেন।

আজব আইন!

আইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এরিত্রিয়ার সমস্ত পুরুষকে ন্যূনতম দু’টি বিবাহ করতেই হবে। যদি দেশের কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান, তা হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।একে চন্দ্র, দুয়ে পক্ষ। এক্ষেত্রে প্রথম পক্ষ এবং দ্বিতীয় পক্ষ, দুটোই বাধ্যতামূলক। এমনই আজব আইনে সিলমোহর দিল এরিত্রিয়া সরকার।আরবিক দেশগুলির মধ্যে এরিত্রিয়াতেই শুধুমাত্র এমন আজব আইন জারি করা হয়েছে। রীতিমতো ধর্মীয় আইনের মাধ্যমে এই নির্দেশকে মান্যতা দিলেন গ্র্যান্ড মুফতি।আইনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এরিত্রিয়ার সমস্ত পুরুষকে ন্যূনতম দু’টি বিবাহ করতেই হবে। যদি দেশের কোনও পুরুষ বা নারী এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানান, তা হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন জেল।
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশে পুরুষের আকাল পড়েছে। এর আগে দীর্ঘদিন ইথিওপিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে অনেক পুরুষ হারিয়েছে এরিত্রিয়া। ক্রমশ পুরুষশূন্য হয়ে পড়ছে এই দেশ। তাই দেশের স্বার্থেই এই আইন বলবৎ করল সরকার।

Tuesday, March 15, 2016

বিস্ময়কর বইয়ের দোকান

বই মানুষের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। কিন্তু ব্যস্ততার শহরে, হর্ন-জ্যামে বসে মানুষের মনে আর বই পড়ার মতো শান্তি থাকে না। ডিজিটাল যুগে কাগজ ছেড়ে বই কম্পিউটার স্ক্রিনে আর ট্যাবে ঠাঁই পেলেও ছাপা বইয়ের আবেদন কিন্তু কমেনি। নিয়ম করে আমাদের দেশেও প্রতিবছর বইমেলা হয়। ঢাকা শহরে রয়েছে বেশকিছু বইয়ের দোকান। যাঁরা বই পড়তে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এসব জায়গায় বই পড়াটা খুবই আরামদায়ক কাজ। বিভিন্ন দেশে রয়েছে বেশ বড় এবং সমৃদ্ধ সংগ্রহের বইয়ের দোকান। এয়ার ট্রিপস্টার জানিয়েছে তেমন ছয়টি বইয়ের দোকানের খবর।
১. লিব্রেরিয়া এল অ্যাতেনিও গ্র্যান্ড স্প্লেনডিড, বুয়েনস আয়ার্স, আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্স। এই শহরেই রয়েছে লিব্রেরিয়া এল অ্যাতেনিও গ্র্যান্ড স্প্লেনডিড দোকানটি। বিশাল এই দোকানে রয়েছে তাকভর্তি সব বই। ফ্রেসকো করা ছাদের সিলিং, মঞ্চের মতো বিশালাকৃতির পর্দা এবং বই পড়ার জন্য থিয়েটার বক্সের মতো আলাদা জায়গা। মনে হবে কোনো বিখ্যাত নাট্যমঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছেন। আর যে কোনো জায়গা থেকে পুরো দোকানের ভিউ দেখার জন্য রয়েছে ছোট ছোট বারান্দা। ১৯২০-এর দশকে এটা আসলে সিনেমা হলই ছিল। সিনেমা দেখার প্রথম যুগের সাক্ষী এই মিলনায়তন। বুয়েনস আয়ার্সে প্রথম সবাক ছবিও দেখানো হয়েছিল এই হলে। ২০০০ সালের দিকে একবার এটি ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে বাঁচিয়ে একে বইয়ের দোকান বানানো হয়েছিল।
২. পোলার মাসস্ট্রিশ, মাসস্ট্রিশ, হল্যান্ড
২০০৭ সালে খোলা হয় এই দোকানটি। ১৩০০ শতকের একটি ডোমিনিকান চার্চ এটি। চার্চে রয়েছে আসল ভল্টেড সিলিং এবং ফ্রেসকো। স্টিলের বইয়ের তাকে থরে থরে সাজানো বই। পড়ার জন্য রয়েছে ক্রস (X) আকৃতির টেবিল। এই দোকানটির আগের নাম ছিল বোয়েখান্দেল সেলেক্সিজ ডমিনিকানেন। তবে এরই মধ্যে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে দোকানটি। এটিকে বাঁচানোর জন্য এখন সবাইকে অর্থসহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩. পপুলার কিডস রিপাবলিক পিকচার বুক স্টোর, বেইজিং, চীন
বাচ্চাদের জন্য তৈরি করা হলেও বড়রা এখানে বসে বই পড়ার লোভ সামলাতে পারেন না। ছোটদের সঙ্গে তাঁরাও বই কেনেন ও পড়েন। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত এই রঙিন বইয়ের দোকান। গোলগাল, আঁকানো বাঁকানো বিভিন্ন আকৃতির বুকশেলফ রয়েছে এখানে। গোলাকৃতির শেলফগুলোতে বসে আরামসে বই পড়তে পারবেন।
৪. আতলান্তিস বুকস, সান্তোরিনি, গ্রিস
২০০৪ সালে গ্রিসের সান্তোরিনি দ্বীপে বসে ওয়াইন খেতে খেতে হালকা চালে আড্ডা দেওয়ার সময় চার বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একটি জাদুকরি বইয়ের দোকান খুলবেন। যেখানে গেলেই সবার বই পড়তে ইচ্ছে করবে। চার বন্ধু আবার তিন দেশের বাসিন্দা- ইংল্যান্ড, সাইপ্রাস ও যুক্তরাষ্ট্র। ঠিক করলেন সান্তোরিনিতেই দেবেন সেই বইয়ের দোকান। এভাবে শুরু আতলান্তিস বুকসের। সাহিত্যমেলা, বইপড়া এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মতো নানা আয়োজন সব সময় লেগেই থাকে আতলান্তিসে।  
৫. শেকসপিয়র অ্যান্ড কোম্পানি, প্যারিস, ফ্রান্স
এই দোকানের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫১ সালে। অনেক বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিক এখানে এসে সময় কাটিয়েছেন, বই কিনেছেন। অ্যালেন গিন্সবার্গ, হেনরি মিলার ও উইলিয়াম বুরোগ তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। মূলত এটি ছিল একটি আশ্রম। ১৭০০ শতকে নির্মাণ করা হয়েছিল এটি। দোকানটির মধ্যে বেশ কিছু সরু করিডর রয়েছে, যা থেকে একটি রুম থেকে আরেকটি রুমে যেতে হয়। এসব করিডর, হলওয়ে সবখানেই রয়েছে বইয়ের বড় বড় তাক। আরাম করে বসে বই পড়ার জন্য রয়েছে আর্মচেয়ার।
৬. প্লুরাল বুকশপ, ব্রাতিস্লাভা, স্লোভাকিয়া
স্লোভাকিয়ার এই বইয়ের দোকানে পাবেন শুধু তাক আর তাক, সব তাকই বইয়ে ঠাসা। সিঁড়ি দিয়ে কয়েক ধাপে ভাগ করা হয়েছে দোকানটিকে। চাইলে বইয়ের তাক থেকে বই নিয়ে সিঁড়িতে বসে পড়তে পারেন। এত বইয়ের মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলাটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। প্লুরাল বুক শপের ইন্টেরিয়র বই পড়ার জন্য বেশ আরামদায়ক।

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র পিস্তল

দূর থেকে দেখলে যে কারো মনে হতে পারে এটি বড় আকারের একটি আংটি। কিন্তু আদতে তা নয়। মূলত এটি একটি পিস্তল। বিশ্বাস করুন আর নাই বা করুন এটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির পিস্তল।সম্প্রতি এই পিস্তলটি নিলামে তোলা হয়েছে।নিলাম চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। ‘লা পেটিট প্রটেক্টর’ নামে ওই পিস্তলটি উনিবিংশ শতাব্দীর একটি দুর্লভ জিনিস। অলংকার হিসেবেও এটি পরা যায়। পিস্তলটি দেড় হাজার পাউন্ডের(এক লাখ ৬৬ হাজার টাকা) ওপর দর উঠতে পারে বলে আশা আয়োজক প্রতিষ্ঠানের।
পিস্তলটিতে স্টিল রিকয়েল প্লেট রয়েছে, যা পিনফায়ার সিলিন্ডার হিসেবে কাজ করে। সিলিন্ডারটিতে লাইভ ফোরএমএম গুলি ব্যবহার করা হয়। সরাসরি গুলি করা যায়। গুলি করার সময় প্রচুর শব্দ হয় কিন্তু গুলির জোর কম। পিস্তলটি এখনো ভালো অবস্থায় রয়েছে। পিস্তলটির ভিতরের দিক রুপার প্রলেপ এবং উপরিভাগে কারুকার্য খচিত।
ইউরোপিয়ান অনলাইন নিলাম প্রতিষ্ঠান কাটাউইকির বিশেষজ্ঞ অ্যালেইন দিলমেন বলেন, দুর্লভ রিং পিস্তলটি আকর্ষণীয় এবং কারুকার্য খচিত।এটি অসাধারণ একটি জিনিস।

Monday, March 14, 2016

দানব দাবড়াবে দরিয়া

সমুদ্রের দেও-দানোর গল্প রূপকথায় শোনা গেলেও তা আজ বাস্তবে রূপ দিয়ে অকূল দরিয়া দাবড়ে বেড়াচ্ছে এক জাহাজ। যাকে আক্ষরিক অর্থেই এক ‘দরিয়া দানব’ বলা চলে। গেল সপ্তাহে জাহাজটির পরীক্ষামূলক সমুদ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। আর তা দিয়ে নিশ্চিত হলো, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোনো জাহাজ, যা সমুদ্রে পাল তুললো। ওজন ২ লাখ ২৭ হাজার টন। লম্বায় ১২৪ ফুট, যা প্যারিসের সুউচ্চ আইফেল টাওয়ারের চেয়েও লম্বা। নাম ‘হারমনি অব দ্য সিজ’ (সমুদ্র সদৃশ)। 
অনন্য সাধারণ এই জলযান- এতটাই বড় যে, তার তুলনা নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কের সঙ্গেই করা চলে। এই জাহাজের ১৮টি ডেকে ১০ হাজার ৫৮৭টি গাছ রয়েছে। তার মধ্যে ৫২টি গাছের উচ্চতা ২০ ফুট।
প্রকৌশলের এক বিস্ময়কর বিন্যাস রয়েছে এই হারমনি অব দ্য সিজ-এ। যা নির্মাণে খরচ পড়েছে প্রায় ১২ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। গেল সপ্তায় প্রথম সমুদ্রযাত্রায় নেমে ধীর গতিতে সমুদ্রের শান্ত ঢেউ ঠেলে জাহাজটি যখন ফ্রান্সের সেইন্ট-নাজায়ার থেকে এগিয়ে যাচ্ছিলো, তখন এই বিশাল জলযানের পরিচালনায় ছিলেন মোটে জনা তিনেক পাইলট। তাদের অবশ্য কোনো হুইল চেপে থাকার কাজ ছিলো না। কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে পরিচালিত এই জাহাজের গতিধারা ঠিক রয়েছে কি না সেটাই লক্ষ্য রাখা তাদের কাজ।
আসছে মে মাসে জাহাজটি যখন আনুষ্ঠানিকভাবে তার ৬ হাজার যাত্রী নিয়ে সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করবে, তখন এর আরোহীদের কব্জিতে জিপিএস সিস্টেম বেঁধে দেওয়া হবে। এই অতিকায় জাহাজের অভ্যন্তরের গোলকধাঁধায় যখন তখন হারিয়ে যাওয়ার অবাধ সুযোগটি করে দিতেই এ উদ্যোগ।ভিআইপি অতিথিদের সেবা দিকে ‘রয়্যাল জিনি’ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। আর যারা থ্রিল পছন্দ করেন, তারা বেছে নিতে পারবেন চারটি অনবোর্ড স্লাইডিংয়ের যে কোনোটি। যার মধ্যে আলটিমেট অ্যাবিসও থাকবে, যেটি সমুদ্রে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু স্লাইড। একবার উঠে চড়েছেন কি ঝপাৎ করে নেমে যাবেন ১০০ ফুট গভীরে।
আর যারা একটু দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় আগ্রহী, তারা খোলা নয়টি ডেকে ঘুরে বেড়াবেন। সেখানে বায়োনিক বারে রোবট ওয়েটারদের পরিবেশিত ককটেইল গলায় ঢেলে তারা উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের ঢেউ।আনন্দ বিনোদনের কথা নিশ্চয়ই জানতে চাইবেন। ব্রডওয়ের সেরা মিউজিকগুলো জাহাজটিতে সারাক্ষণই বাজতে থাকেবে। আর পূর্ণ আকারের থিয়েটারে সেরা সিনেমাগুলো দেখানো হবে। সঙ্গে উড়ন্ত অ্যাক্রোবেটিকস।এই জাহাজে ১৬টি রেস্টুরেন্ট আর ক্যাফে রয়েছে, যার মধ্যে জেমি’স ইটালিয়ানও স্থান পেয়েছে। আর বুটিক শপিংয়ে আরোহীদের পছন্দের তালিকায় রয়্যাল প্রোমেনেড থাকছে। উচ্চগতির ওয়াই-ফাইয়ের কথা বলাই বাহুল্য। 

Sunday, March 13, 2016

এশিয়ার সবথেকে পরিচ্ছন্ন গ্রাম

প্লালিস্টিকের যে কোনো সামগ্রী এখানে নিষিদ্ধ। রাস্তাঘাট ঝকঝকে তকতকে, ময়লা-আবর্জনার দেখা পাওয়া মুশকিল। চারপাশে ফুলের বাগান। গ্রামটিকে বলা হয় এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম। ভারতের একেবারে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট এই গ্রামটির নাম মাওলিনং।ভারতের মেঘালয় রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামটিতে ২০০৩ সালের আগে পর্যটকদের পদচ্ছাপ পড়তো না। মেঘালয়ে ছিল না কোনো সড়ক। যেতে হতো শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে। মাওলিনং-এ খাসি উপজাতিদের বসবাস। বিরল মাতৃতান্ত্রিক সমাজের জন্য খ্যাত এ গ্রাম। এই খাসি সমাজে ধন-সম্পদের মালিক হন মেয়েরা। মায়ের সম্পদের একমাত্র উত্তরাধিকারী হন সবচেয়ে ছোট মেয়েটি। মায়ের নামের পদবি গ্রহণ করে সন্তানরা।তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভিন্ন কারণে এ গ্রামটি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সেটি হলো, গ্রামের ব্যতিক্রমধর্মী পরিচ্ছন্নতা। ভারতের বড় বড় শহরের ধুলাবালি আর কোলাহল থেকে অনেক আলাদা এ গ্রাম। গ্রামের কোনায় কোনায় দেখা মিলবে বাঁশের তৈরি ডাস্টবিন। স্বেচ্ছাসেবীরা নিয়মিত বিরতির পরপর সড়ক ঝাড়ু দেয়।
প্লাস্টিকের ব্যাগ ফেলে দিতে দর্শণার্থীদের প্রতি কড়া নির্দেশমূলক সংকেত চোখে পড়বে প্রায়ই। আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা একেবারেই নিষিদ্ধ। নিজের ছোট কিন্তু উজ্জ্বল পারিবারিক বাড়িটির সামনে বসে আছে বনিয়ার মাওরোহ। মাওরোহর ভাষ্য, আমরা প্রতিদিন পরিষ্কার করি। কারণ, আমাদের দাদা-দাদি ও পূর্ব-পুরুষরা আমদের শিখিয়েছে কীভাবে গ্রাম ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখতে হয়। কারণ, পরিচ্ছন্ন থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
১২ বছর আগে এ গ্রামে প্রথম সড়ক নির্মিত হয়। তারপর ডিসকোভার ইন্ডিয়া নামে একটি ট্রাভেল ম্যাগাজিনের এক সাংবাদিক ঘুরে যান গ্রামটি। তারপরই তার লেখা একটি নিবন্ধে গ্রামটিকে এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। এরপরই যেন দর্শণার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে গ্রামটিকে ঘিরে। ভরা মৌসুমে প্রতিদিন ২৫০ পর্যটক এ গ্রামে বেড়াতে যান। গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে গেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। ক্রমেই, খ্যাতির বিড়ম্বনার মুখোমুখি হয় মাওলিনং। গ্রামের একটি অতিথিশালার মালিক ৫১ বছর বয়সী রিশোত খোংথোহরেম।তিনি বলেন, এখানে এখন শব্দ দূষণ চলে। আমি গ্রাম পরিষদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিষদ কর্তৃপক্ষ গ্রাম থেকে আরও দূরে নতুন একটি গাড়ি পার্ক করার স্থান নির্মাণে সরকারের কাছে চিঠি লিখেছে। মেঘালয় ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সাবেক কর্মকর্তা দীপক লালু এ গ্রামের পর্যটন সম্ভাবনা নিয়ে একেবারে প্রথম দিকে গ্রাম পরিষদকে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনিও এখন অতিরিক্ত পর্যটকের চাপ নিয়ে চিন্তিত।তিনি বলেন, এখন কোথাও কোনো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নেই। এক নারী হয়তো গোসল করছে। তার ছবি তুলে ফেলা হচ্ছে। যে সামাজিক বন্ধন গ্রামটিকে এক করে রেখেছে, তা নষ্ট হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে মাওলিনং গ্রামে এতটা উদ্বেগ সৃষ্টি হয় ১৩০ বছর আগের একটি কলেরা মহামারি থেকে। তখন গ্রামে ছিল না কোনো স্বাস্থ্য সুবিধা। এ কারণেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকেই কলেরা প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হতে থাকে।খোংথোহরেম বলেন, খ্রিষ্টান মিশনারিজ আমাদের পূর্বসূরিদের বলেছিল, তোমরা কলেরা থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবে, যদি ভালোভাবে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পারো। ঘরে-বাইরে, জমিতে, গ্রামে, নিজের দেহে কিংবা খাবার গ্রহণের বেলায় – সবসময়ই পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে। এরপর থেকে মাওলিনং গ্রামে এ খুঁতখুঁতে অভ্যেস প্রতিষ্ঠা পায়। ফলে গ্রামটির ভিন্ন অর্জনও বেড়েছে।প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ যেখানে প্রত্যন্ত ভারতে স্বাভাবিক বিষয়, সেখানে এ গ্রামের ৯৫টি বাড়ির সব কটিতে টয়লেট রয়েছে। এ গ্রামের প্রশংসা করেছেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহাসড়কে ও স্মৃতিস্তম্ভের আশেপাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কুখ্যাতি আছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষদের। এ দুর্নাম দূর করতে মোদি শুরু করেন ক্লিন ইন্ডিয়া প্রচারাভিযান। আর এর অংশ হিসেবে এক রেডিও ভাষণে মোদি এ গ্রামের প্রশংসা করেন।মোদি বলেছিলেন, আমি জেনে চমৎকৃত হয়েছি, উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ে এমন একটি প্রত্যন্ত গ্রাম আছে, যেটি বছরের পর বছর ধরে পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে আসছে। এমন অর্জন নিয়ে মাওলিনং গ্রাম নিশ্চয়ই গর্বিত। অনেকে তবে মনে করেন, বাসিন্দাদের মঙ্গলের জন্য এ গ্রামে পর্যটকদের সংখ্যা সীমিত করতে হবে। পর্যটক বিশেষজ্ঞ লালু বলেন, তাদের অবশ্যই পর্যটক সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জানতে হবে। একটা পর্যায়ের পর ‘না’ বলতে পারতে হবে।

Saturday, March 12, 2016

কুকুরের বিয়েতে ৫ হাজার অতিথি!

ভারতে কুকুরের বিয়েতে প্রায় পাঁচ হাজার অতিথিকে দাওয়াত করে খাওয়ানো হলো। শনিবার উত্তরপ্রদেশের কৌশম্বী জেলার পাওয়ারা গ্রাম এই বিয়ের আয়োজন করা হয়।টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়, কুকুরের বিয়েকে উপলক্ষ করে মেতে উঠেছিল পাওয়ারা গ্রামের মানুষ। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে কুকুরের বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এবং প্রায় পাঁচ হাজার অতিথিকে দাওয়াত করে খাওয়ানো হয়। শুধু তাই নয় এদিন বাদ্য-বাজনা থেকে শুরু করে হালের ডিজে (ডিস্কো জকি) পর্যন্ত আনা হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠানে। আর ডিজের তালে তালে নেচেছেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।স্থানীয়দের বরাত দিয়ে খবরে আরো বলা হয়, পাওয়ারা গ্রামের সন্তানহীন দুই বন্ধু বসন্ত ত্রিপাঠি আর জং বাহাদুরের দুটি কুকুরের নাম শাগুন আর শাগুনিয়া। কিছুদিন আগে দুই বন্ধু ঠিক করেন, ধুমধাম করে নিজেদের প্রিয় কুকুর দুটোর বিয়ে দেবেন। গ্রামবাসীকে কথাটি জানাতে ব্যতিক্রমী আয়োজনের খবরে তারাও নেচে উঠে। এরপর আজ দুপুরে এই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাছ

তিমিকে মাছ বলা যায় না। বলা যায় না হাঙরকেও। তাহলে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মাছ কোনটি? উত্তর বলতে গেলে মাথা চুলকাতে হয়, তাই না? আসলেই তাই, নিত্যদিনের কর্মযজ্ঞে খেই হারিয়ে এই প্রশ্নটা মাথায়ই আসে না। তবে আশা করি আজকের পর থেকে জিরো টু পাঠকদের আর মাথার চুল ছেঁড়ার দরকার হবে না। কারণ আজকে আমরা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মাছের গল্প শোনাবো।২০ মিটার লম্বা আর ওজনে প্রায় উনিশ টন। সবচেয়ে বড় মাছ হওয়ার জন্য আর কী চাই! সম্প্রতি কাতারের গবেষকরা এই মাপের এক মাছের কথা নিশ্চিত করেছেন। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এই মাছটার নামও অদ্ভুত। হাঙর-তিসি (whale sharks)।কাতারের জীববিজ্ঞানীরা সম্প্রতি গালফ উপসাগরে হোয়েল শার্কের শরীরে স্যাটেলাইট লাগিয়ে এই গবেষণা চালিয়েছেন। এর আগে  হোয়েল শার্ক নিয়ে কখনোই ঐভাবে গবেষণা হয়নি। তাই এতোদিন এই মাছ সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কিছুই জানত না।

Wednesday, March 9, 2016

সবচেয়ে ক্ষুদ্র রাজ্য

পাথুরে কুঠারের আকৃতির এক দ্বীপ। চর্তুপাশে সাগর নিয়ে সারদিনিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত পৃথিবীর বিখ্যাত উপকূল সামেরালদা। পাহাড়ি দ্বীপটিতে নেই কোনো রাস্তা-ঘাট, এমনকি পর্যটকদের জন্য কোনো হোটেল পর্যন্ত নেই। তবে বসবাসের যে একেবারেই কোনো বন্দোবস্ত নেই তা কিন্তু নয়। দ্বীপের বেলাভূমিতে থাকা স্বচ্ছ সাদা বালুই হলো পর্যটকদের আরামের বিছানা। আর এখানেই আমার সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছিল অ্যান্টনিও বারতোলিওনির সঙ্গে। অবশ্য আমার কাছে তিনি অ্যান্টনিও নামে পরিচিত হলেও স্থানীয়দের কাছে কিন্তু তিনি টনিনো নামেই সর্বাধিক পরিচিত। দ্বীপের একমাত্র যে রেস্টুরেন্ট তারই মালিক এই ৮৩ বছর বয়সী টনিনো। বলা যায়, স্বল্প সংখ্যক জনগোষ্ঠির এই দ্বীপটির একছত্র অধিপতি হিসেবে গত ২২ বছর ধরে টনিনো বেশ দাপটের সঙ্গেই আছেন। তার এই পাঁচ
বর্গকিলোমিটার এলাকার রাজত্ব নিয়ে তিনি বেশ আনন্দেই থাকেন।‘আমিও হয়তো এই পৃথিবীর সবচেয়ে সাধারণ রাজা। এই দ্বীপের রাজা হিসেবে আমি স্রেফ বিনে পয়সায় খাবারটুকুই পাই।’ আমাকে হাসতে হাসতেই কথাগুলো বলছিলেন টনিনো। সম্প্রতি তাভোলারা রাজ্য তার ১৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করলো, যদিও কাগজে কলমে মাত্র ২৫ বছর হলো ইতালির অধীনতা থেকে দ্বীপটি বের হতে পেরেছে। হয়তো মনে হতে পারে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ নিয়ে ইতালি থেকে বের হয়ে যাওয়ার কি দরকার ছিল। কিন্তু ঘটনার শুরু সেই ১৮০৭ সালে, যখন টনিনোর পরদাদা গিলিপ্সি বারতোলিওনি এই দ্বীপের প্রথম অধিবাসী হলেন। তাভোলারা রাজ্যের যে নথিপত্র সংরক্ষিত আছে তাতে পরদাদা গিলিপ্সিকে অর্ধেক মেষপালক এবং অর্ধেক জলদস্যু হিসেবে দেখানো হয়েছে।
গিলিপ্সি একদিন অনুধাবন করতে পারলেন এই দ্বীপে একধরণের বিরল ছাগল দেখা যায় যাদের দাতগুলো অনেকটাই স্বর্ণাভ। সমুদ্র তীরবর্তী শৈবাল খাওয়ার কারণেই ছাগলগুলোর দাতের রং পরিবর্তন হয়ে গেলেও সারদিনিয়ার শাসক কার্লে অ্যালবার্তোর কাছে খবর গেল যে এই দ্বীপে বিরল প্রজাতির ছাগল দেখা গেছে। এই সংবাদ পাবার পর শাসক অ্যালবার্তো তাভোলারা গেলেন শিকার করতে ১৮৩৬ সালে। আর সেই শিকারে অ্যালবার্তোকে সহায়তা করেছিলেন গিলিপ্সির ২৪ বছরের ছেলে পাওলো। ‘যখন কার্লো অ্যালবার্তো দ্বীপে নামলেন তখন তিনি নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বললেন, আমি সারদিনিয়ার রাজা কার্লো অ্যালবার্তো। তখন আমার পরদাদা উত্তরে বলেছিলেন, বেশ, আমি তাভোলারার রাজা পাওলো।’অ্যালবার্তো পাওলোর সহচর্যে দ্বীপে তিনদিন কাটালেন। ওই সময় সেই বিরল ছাগল শিকার করে তার মাংসে ভোজন করে বেশ তৃপ্ত হয়েছিলেন অ্যালবার্তো। তৃপ্ত অ্যালবার্তো একসময় পাওলোকে বললেন, ‘পাওলো, তুমি সত্যিই তাভোলারার রাজা।’ টনিনোর মতে, অ্যালবার্তো দ্বীপ ছেড়ে যাবার আগে এটা নিশ্চিত করে গিয়েছিলেন যে তাভোলারা সরকারিভাবে কখনোই সারদিনিয়ার অংশ নয়। অ্যালবার্তো নাকি নিজের দেশে ফিরে গিয়ে পাওলোকে রাজাজ্ঞানে চিঠি লিখেছিলেন। ওই ঘটনার পরপরই পাওলো তার নিজের বাসস্থানের দেয়ালটি রং করেন এবং সেখানে রাজপরিবারের পরিবারের ইতিহাসের আদলে নিজের পরিবারের ইতিহাসের পর্যায়ক্রম লিখতে শুরু করেন। তিনি যখন মারা যান, তার শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তার কবরের উপর একটি মুকুট দেয়া হয়েছিল। যদিও জীবিত থাকাকালীন সময়ে তিনি কখনো ওই মুকুট পরিধান করেননি।ভূমধ্যসাগরের বুকে বহাল তবিয়তে থাকা তাভোলারা দ্বীপটির সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে বেশ কয়েকবার রাজনীতির মাঠ গরম হয়েছিল। আর রাজনীতির সেই প্যাচ থেকে বের হবার জন্য তাভোলারাকেও কিছু মিত্র তৈরি করতে হয়েছিল। ইতালির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন ছিলেন গিলিপ্সি গারিবাল্ডি, তিনিই প্রথম তাভোলারার রাজপরিবারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। ১৯০৩ সালে মাত্র ৩৩জন আদিবাসীর এই দেশটির সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে বাধ্য হন সারদিনিয়ার তৎকালীন রাজা ভিট্টোরিও ইম্মানুয়েল দ্বিতীয়।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের রাজপ্রাসাদ বাকিংহ্যাম প্যালেসে এখনও একটি আলোকচিত্র দেয়ালে টানানো আছে। সেই ছবির ক্যাপশনে লেখা আছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র রাজ্য। আর নিঃসন্দেহে সেই রাজ্যটি হলো তাভোলারা। কিন্তু সবসময়ই যে তাভোলারা পরামর্শক দিয়ে জিতে গিয়েছিল তা নয়। ১৯৬২ সালে বহুজাতিক সশস্ত্র সংস্থা ন্যাটো তাভোলারাতে ঘাটি বানালে রাজ্যের সার্বভৌমত্ব প্রথমবারের মতো খর্ব হয় এবং এককথায় স্বাধীনতাই চলে যায়। ন্যাটো দ্বীপটিকে এমনভাবে ব্যবহার করতে শুরু করে যে কারণে দ্বীপের বাসিন্দারা গোটা দ্বীপের ক্ষুদ্র একটি অংশে চলাফেরা করতে পারতো। কিন্তু সময়ের ফেরে ন্যাটোও থাকতে পারেনি দ্বীপটিতে।গত চল্লিশ বছর ধরে টনিনো নিজে পর্যটকদের ঘুরে দেখান চর্তুপাশ। আগে সান পাওলো বন্দর থেকে নৌকায় করে তাভোলারাতে আসতে হতো, কিন্তু বর্তমানে ফেরি চলাচলের কারণে মাত্র পঁচিশ মিনিটেই বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র রাজ্যটিতে যাওয়া সম্ভব সান পাওলো থেকে। টনিনোর ভাষায়, ‘খুব সম্ভবত আমার পরিবারের বেশ সুন্দর অতীত ছিল। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখানে বেশ কঠোর পরিশ্রম করি আর সাদাসিধে জীবনযাপন করি, যেমনটা অন্যরা করেন।’