একটা গাছের বয়স সর্বোচ্চ কত হতে পারে, আন্দাজ করতে পারেন? বড়জোর ৫০০ বছর। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট মাউন্টেস-এ এমন একটা গাছ আছে যার বয়সের কথা শুনলে আঁতকে উঠতে পারেন। কত বছর সেটা পরে বলি, তার আগে বলে নেই গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Pinus longaeva । গ্রেট বেসিন বিসলকোন পাইন জাতের এই গাছটার নাম রাখা হয়েছে মেথুলাস। মেথুলাস হলো বাইবেলে বর্ণিত সবচেয়ে বয়স্ক চরিত্রটির নাম। বাইবেলের মেথূলাসের বয়স ছিল ৯৬৯ বছর। কিন্তু বৃক্ষ মেথুলাসের বয়স তারচেয়ে অনেক অনেক বেশি। বিজ্ঞানীরা হিসেব করে দেখেছেন মেথুলাসের জন্ম যিশুখৃস্টের জন্মেরও ২৮৩২ বছর আগে। অর্থাৎ পিরামিড তৈরিরও আগে! তাহলে গাছটার বর্তমান বয়স ৪৮৪৪ বছর।
Saturday, April 30, 2016
Wednesday, April 27, 2016
সমুদ্রের নিচে বিস্ময়কর বাড়ি
দ্য ওয়াটার ডিসকাস হোটেল : মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে অবস্থিত এই হোটেলটির ডিজাইন স্বতন্ত্র। সমুদ্রের নিচে এই হোটেলে অবস্থান করে খুব কাছ থেকে দেখা যায় সমুদ্রের নিচের প্রাণীদের জীবন। তবে প্রাণীদের দেখতে আপনাকে পানিতে ভিজতে হবে না। ভবিষ্যতের বাড়ির ডিজাইনগুলোর মধ্যে এই বাড়িটি অন্যতম। ২০১২ সালে এই বাড়ি বানানোর ঘোষণা দেয়া হয়। গত বছর এই হোটেলটি সম্পন্ন হয়। এই হোটেলটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
পৃথিবীর প্রথম পানির নিচের গ্রীণহাউজ : পৃথিবীতে অনেক গ্রীনহাউজ প্রকল্প রয়েছে তবে এর বেশিরভাগই মাটির ওপরে। ইটালির এই গ্রীণ হাউজটি পানির নিচে অবস্থিত। ওশান রিফ গ্রুপ এ ধরনের পাঁচটি ডুবন্ত জৈবমন্ডল বানিয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই গ্রীণহাউজ ২০ ফুট নিচে অবস্থিত। যেসব এলাকার মাটিতে সারের পরিমাণ কম, সেসব এলাকায় কিভাবে ফসল উৎপাদন করা যায় তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ পানির নিচের এই গ্রীণ হাউজ।
প্লানেট ওশান আন্ডারওয়্যাটার হোটেল : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে এই হোটেলটি অবস্থিত। প্রবাল দ্বীপ রক্ষা করার স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে বানানো এই হোটেলটি স্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম। এতে ১২টি গেস্টরুম রয়েছে এবং ডাইনিংরুম রয়েছে। হোটেলের লবিও রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮ ফিট নিচে এই হোটেলটি অবস্থিত। এলিভেটরের সাহায্যে গ্রাহকদের সমুদ্রের ওপর থেকে নিচে নিয়ে আসা হয়। এই হোটেলে থাকতে গেলে প্রতিরাতে গুণতে হবে ৩ হাজার ডলার।
পৃথিবীর বৃহৎ আন্ডারওয়াটার রেস্টুরেন্ট : সমুদ্রের নিচে বসে দুপুর বা রাতের খাবার খাচ্ছেন। পাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে হরেক রকমের মাছ। এমনটা আর ভাবনাতে নেই। মালদ্বীপের হুরাওয়ালহি আইল্যান্ড রেস্তোঁরায় বাস্তবে আপনি এ ধরনের আতিথীয়েতার সুযোগ নিতে পারবেন। এই রেস্তোঁরার দেয়ালগুলো বানানো হয়েছে স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে। নতুন হওয়া এই রেস্টুরেন্টে একসাথে ৩০ জন বসে খাবার গ্রহণ করতে পারে।
ভাসমান সি হর্স রিট্রেটস : দুবাইয়ে অবস্থিত নির্মানাধীন এই থাকার হোটেলটি সমুদ্রের নিচের স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই হোটেলের রুমের জানালা থেকে যে কোন সময় আপনি উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের নিচের সৌন্দর্য্য। এই হোটেলের নির্মাতা ক্লেইনডাইনেস্ট গ্রুপ দাবি করছেন, হোটেলটি শুধু মানুষের বিনোদনের জন্য নয়, স্থানীয় সমুদ্রের প্রাণীদের জন্যও উপকারি। এতে দড়ি দিয়ে আলাদা একটি অঞ্চল বানানো হয়েছে যেখানে ডুবুরীরা বিশ্রাম গ্রহণ করতে পারবে। ৪২ ইউনিটের এই হোটেলটি শিগগিরই তাদের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করবে। এতে খরচ হয়েছে ১৮ কোটি ডলার।
মান্টা রিসোর্টস আন্ডারওয়্যাটার রুম : তানজেনিয়ার পেম্বা আইল্যান্ডে অবস্থিত পানির নিচের এই কক্ষটি বেশ আকর্ষণীয়। আফ্রিকাতে এটি প্রথম পানির নিচে থাকার ব্যবস্থা। সুইডেনের জেনবার্গ প্রতিষ্ঠান এই বাড়ির ডিজাইন করে। এই হোটেলে থাকলে আপনি যে কোন ডুবোজাহাজে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। প্রতিরাতে এই হোটেলে থাকতে খরচ হবে ১ হাজার ২০০ ডলার।
পৃথিবীর প্রথম পানির নিচের গ্রীণহাউজ : পৃথিবীতে অনেক গ্রীনহাউজ প্রকল্প রয়েছে তবে এর বেশিরভাগই মাটির ওপরে। ইটালির এই গ্রীণ হাউজটি পানির নিচে অবস্থিত। ওশান রিফ গ্রুপ এ ধরনের পাঁচটি ডুবন্ত জৈবমন্ডল বানিয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই গ্রীণহাউজ ২০ ফুট নিচে অবস্থিত। যেসব এলাকার মাটিতে সারের পরিমাণ কম, সেসব এলাকায় কিভাবে ফসল উৎপাদন করা যায় তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ পানির নিচের এই গ্রীণ হাউজ।
প্লানেট ওশান আন্ডারওয়্যাটার হোটেল : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে এই হোটেলটি অবস্থিত। প্রবাল দ্বীপ রক্ষা করার স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে বানানো এই হোটেলটি স্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম। এতে ১২টি গেস্টরুম রয়েছে এবং ডাইনিংরুম রয়েছে। হোটেলের লবিও রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮ ফিট নিচে এই হোটেলটি অবস্থিত। এলিভেটরের সাহায্যে গ্রাহকদের সমুদ্রের ওপর থেকে নিচে নিয়ে আসা হয়। এই হোটেলে থাকতে গেলে প্রতিরাতে গুণতে হবে ৩ হাজার ডলার।
পৃথিবীর বৃহৎ আন্ডারওয়াটার রেস্টুরেন্ট : সমুদ্রের নিচে বসে দুপুর বা রাতের খাবার খাচ্ছেন। পাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে হরেক রকমের মাছ। এমনটা আর ভাবনাতে নেই। মালদ্বীপের হুরাওয়ালহি আইল্যান্ড রেস্তোঁরায় বাস্তবে আপনি এ ধরনের আতিথীয়েতার সুযোগ নিতে পারবেন। এই রেস্তোঁরার দেয়ালগুলো বানানো হয়েছে স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে। নতুন হওয়া এই রেস্টুরেন্টে একসাথে ৩০ জন বসে খাবার গ্রহণ করতে পারে।
ভাসমান সি হর্স রিট্রেটস : দুবাইয়ে অবস্থিত নির্মানাধীন এই থাকার হোটেলটি সমুদ্রের নিচের স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই হোটেলের রুমের জানালা থেকে যে কোন সময় আপনি উপভোগ করতে পারবেন সমুদ্রের নিচের সৌন্দর্য্য। এই হোটেলের নির্মাতা ক্লেইনডাইনেস্ট গ্রুপ দাবি করছেন, হোটেলটি শুধু মানুষের বিনোদনের জন্য নয়, স্থানীয় সমুদ্রের প্রাণীদের জন্যও উপকারি। এতে দড়ি দিয়ে আলাদা একটি অঞ্চল বানানো হয়েছে যেখানে ডুবুরীরা বিশ্রাম গ্রহণ করতে পারবে। ৪২ ইউনিটের এই হোটেলটি শিগগিরই তাদের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করবে। এতে খরচ হয়েছে ১৮ কোটি ডলার।
মান্টা রিসোর্টস আন্ডারওয়্যাটার রুম : তানজেনিয়ার পেম্বা আইল্যান্ডে অবস্থিত পানির নিচের এই কক্ষটি বেশ আকর্ষণীয়। আফ্রিকাতে এটি প্রথম পানির নিচে থাকার ব্যবস্থা। সুইডেনের জেনবার্গ প্রতিষ্ঠান এই বাড়ির ডিজাইন করে। এই হোটেলে থাকলে আপনি যে কোন ডুবোজাহাজে থাকার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। প্রতিরাতে এই হোটেলে থাকতে খরচ হবে ১ হাজার ২০০ ডলার।
শুধু একজন মানুষই বাস করেন যে গ্রামে
এক গ্রামে থাকেন এক ব্যক্তি। তার সাথে থাকে একপাল ভেড়া। আশপাশে তো দূরের কথা, গোটা গ্রামেই আর কোন মানুষ থাকে না। টানা ১০ বছর ধরে গ্রামটিতে বাস করছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে চীনের জুয়েনসানসে গ্রামে। গত ১০ বছর ধরে লিউ সেনজিয়া নামের এক ব্যক্তি একাই বাস করেন সেখানে। কোন এক কারণে ওই গ্রামটি ধীরে ধীরে লোকশূন্য হয়ে পড়ে। ২০০৬ কি ২০০৭ সালে লিউর মা এবং ভাইও মারা যান। তখন থেকে গ্রামে একেবারে একা বসবাস করছেন তিনি। একাকীত্ব আর পারিপার্শ্বিকতার সাথে লড়াই করতে করতে একসময় টিকে থাকাটা ভালোভাবেই শিখে নিলেন লিউ। রাতে কুকুরের ডাকে ভয় পেতেন বলে ভেড়া পালতে শুরু করেন। আর তখন থেকে তার সঙ্গী হয় একপাল ভেড়া। স্থানীয় বনবিভাগে বন পরিদর্শক হিসেবে কাজ করেন লিউ। পারিশ্রমিক ১০৭ ডলার। খাবার এবং পানীয় জলের তাকে অনেক দূরে যেতে হয়। কিন্তু এত কষ্টের পরও লিউ গ্রাম ছেড়ে চলে যান না। কারণ গ্রামটির প্রতি তার মায়া পড়ে গেছে। বাকি জীবনটাও হয়তো এভাবেই কাটিয়ে দেবেন জুয়েনসানসে গ্রামের একমাত্র অধিবাসী লিউ।
সবচেয়ে দামি সামরিক বিমান
সমর শক্তিতে পৃথিবীতে শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়। সামরিক শক্তিতে কেউ কাউকে পরোয়া করে না। এই দেশ দুইটি সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য একের পর এক যুদ্ধ যান তৈরি করছে। বিশেষ করে উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে রাশিয়ার চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র। জেনে নিন ১০ সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার, যা সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল।
১. এফ/এ-১৮ হর্নেট : ৯৪০ লক্ষ ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্সের নাম্বার ওয়ান আক্রমণাত্মক যুদ্ধবিমান। এই যুদ্ধবিমানটি সার্ভিস শুরু করে ১৯৮০ সালে। গ্রাউন্ড এবং এরিয়াল উভয় টার্গেটে অ্যাটাক করতে সক্ষম। বর্তমানে এটি ইউএস এয়ারফোর্স ছাড়াও কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, কুয়েত, মালয়েশিয়া, স্পেন এবং সুইজারল্যান্ডের সামরিক ভাণ্ডারে মার্কিন পারিতোষিক হিসাবে জায়গা পেয়েছে এটি।
২. ইএ-এইট্টিন জি গ্রাউলার : ১০২০ লক্ষ ডলার
এটি মূলত এফ/এ-১৮ হর্নেট ফাইটারের একটি হালকা অস্ত্রসজ্জিত সংস্করণ। মূলত ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের জন্যই একে তৈরি করা হয়েছে (মূলত এখন মার্কিন নৌবহরে তা কাজ করছে)। এটি অ্যান্টি এয়ারক্রাফট রাডার অবজেক্ট খুঁজে বের করে এবং শত্রুপক্ষের কমিউনিকেশন সিস্টেম নিজের পাঠানো সিগন্যালের মাধ্যমে পুরো জ্যাম করে দিতেও সক্ষম।
৩. ভি-টোয়েন্টিটু অস্প্রে : ১১৮০ লক্ষ ডলার
২০০৭ সালে সাদ্দাম-পরবর্তী ইরাকে হিংসা দমনে প্রথম ব্যবহার করা হয়। টিল্ট রোটারের মাধ্যমে মাটি ছেড়ে ওড়া এই যুদ্ধবিমান হেলিকপ্টারের মতো ওঠানামা করে। তাও তা একটি ফিক্সড উইং প্লেনের চাইতে দ্রুত উড়ে যেতে পারে। মারাত্মক শক্তিসম্পন্ন এই বিমানের ইতিহাস আরেকটু ঘাঁটলে জানা যাবে এর ধ্বংসযজ্ঞের আরও তথ্য।
৪. এফ-৩৫ লাইটনিং II : ১২২০ লক্ষ ডলার
মার্কিন সমরবিভাগের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ডিল সই হয় এই সুপারসনিক ফাইটারের প্রজেক্ট শুরু হওয়ার সময়। ২০০১ সালে। যদিও কোনো কোনো লবির এক্সপার্টরা মনে করছেন, এই বিমান তাঁদের আশা পূরণ করতে পারেনি। তাঁদের মতে, এটি খুবই হালকা এবং তুলনামূলকভাবে অস্ত্রবহনে অসমর্থ। ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে কম্পিউটার হ্যাকারদের দ্বারা ৭.৫ মিলিয়ন কোডের তথ্য পাচারকালে এই বিমানের তথ্যও পাচার হয়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করেন কেউ কেউ। তাই আমেরিকার প্রতিপক্ষের স্কোয়াডে এই বিমানের দেখা পাওয়া গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
৫. ই টু ডি-অ্যাডভান্সড হক আই : ২৩২০ লক্ষ ডলার
টার্গেটেড টেরিটরি ছাপিয়ে এর পাওয়ারফুল এবং অ্যাডভান্সড রাডার সিস্টেম ৩০০% এলাকা আরও বেশি কভার করবে। এখনও এটি আন্ডার-ডেভেলপড অবস্থায় আছে। যদিও এর দুটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ এর মধ্যেই মার্কিন নেভিকে সরবরাহ করা হয়েছে। এবং আমেরিকার নৌবাহিনী যে এতে সন্তুষ্ট সে কথা তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
৬. ভিএইচ-সেভেন্টিওয়ান কেস্ট্রেল : ২৪১০ লক্ষ ডলার
এই হাই-টেক হেলিকপ্টার প্রজেক্ট ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাবেক চপার ফ্লিটের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। অর্থাৎ, এই যুদ্ধ হেলিকপ্টার বারাক ওবামা ও তাঁর পরবর্তী প্রেসিডেন্টদের অফিস থেকে বাড়ি ফেরার যান হতে চলেছে। তবে গত ২২ জুলাই মার্কিন কংগ্রেসে এই হেলিকপ্টার প্রকল্পের জন্য বাজেট বাড়িয়ে ৪৮৫০ লক্ষ ডলার করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
৭. পি-৮ এ পসাইডন: ২৯০০ লক্ষ ডলার
৭৮৭ জেটের এই সামরিক ভার্সনটি মার্কিন নেভির হাতে তুলে দেওয়া হবে, যা ব্যবহৃত হবে মূলত সাবমেরিন যুদ্ধ এবং ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের কাজে। তবে এর সার্ভিস পুরোপুরি পেতে অপেক্ষা করতে হবে বলে এই প্রজেক্টের ডেভেলপাররা জানিয়েছেন।
৮. সি সেভেন্টিন এ গ্লোবমাস্টার III : ৩২৮0 লক্ষ ডলার
মার্কিন এয়ারফোর্সের সামরিক সরবরাহে নিয়োজিত এই বিমান সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্রে মেডিকেল সার্ভিস দিয়ে থাকে। তবে একইসঙ্গে এয়ারড্রপ মিশনেও তাকে কাজে লাগানো হয়। এই মুহূর্তে আমেরিকান এয়ারফোর্সে ১৯০টি সি সেভেন্টিন এ (C17A) গ্লোবমাস্টার III সার্ভিস দিচ্ছে। ১৯৯৩ সাল থেকে। ১০২ জন প্যারাট্রুপার একযোগে ডাইভ দিতে পারে এই বিমানের খোল থেকে। এর আগে আমেরিকার ইরাক আক্রমণ এবং লাদেন-তালিবান বিরোধী আফগান যুদ্ধেও ব্যবহৃত হয়েছে এই মালবাহী সামরিক বিমান।
৯. এফ-টোয়েন্টি টু ব়্যাপটর: ৩৫০০ লক্ষ ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী, বিশ্বের মধ্যে এই এফ-টোয়েন্টি টু ব়্যাপটর-ই সম্মুখসমরে সব চাইতে পারদর্শী বিমান। এর মানুফ্যাকচারিং ডিজাইনার আমেরিকার নামকরা (খ্যাতি-অখ্যাতি উভয়তই) মিলিটারি কর্পোরেট Lockheed Martin। শত্রুপক্ষের নিক্ষেপ করা ক্রুজ মিসাই উড়িয়ে দেওয়ার মতো অব্যর্থ লক্ষ্যভেদী সামর্থ্য ছাড়াও এই যুদ্ধবিমানের আছে সুপারসনিক স্পিড। এ রকম আরও সাতটি বানানো হবে কি না, তা নিয়ে এখন মার্কিন সেনেটে বড়সড় বিতর্ক চলছে। এর মোট খরচ পড়বে ১৬৭ কোটি ডলার এবং এই প্রকল্পে যুক্ত থাকবেন ২৫ হাজারেরও বেশি প্রযুক্তিবিদ-কর্মী।
১০. বি টু স্পিরিট : ২৪০ কোটি ডলার
বি টু স্পিরিট আসলে বোমারু বিমান। এখন ২০টি বি টু স্পিরিট আমেরিকার সামরিক বাহিনীতে আছে। ইনফ্রা-রেড, অ্যাকুইস্টেক এবং ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক রেডার ভিসুয়াল সিগন্যালেও এখনও পর্যন্ত শত্রু এলাকায় একে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর আফগানিস্তানে তালিবান ও আল-কায়েদা দমন অভিযানে এবং আমেরিকার ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণের সময় সমানে বোমা ফেলা হয়েছিল এই বিমান থেকে।
১. এফ/এ-১৮ হর্নেট : ৯৪০ লক্ষ ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্সের নাম্বার ওয়ান আক্রমণাত্মক যুদ্ধবিমান। এই যুদ্ধবিমানটি সার্ভিস শুরু করে ১৯৮০ সালে। গ্রাউন্ড এবং এরিয়াল উভয় টার্গেটে অ্যাটাক করতে সক্ষম। বর্তমানে এটি ইউএস এয়ারফোর্স ছাড়াও কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, কুয়েত, মালয়েশিয়া, স্পেন এবং সুইজারল্যান্ডের সামরিক ভাণ্ডারে মার্কিন পারিতোষিক হিসাবে জায়গা পেয়েছে এটি।
২. ইএ-এইট্টিন জি গ্রাউলার : ১০২০ লক্ষ ডলার
এটি মূলত এফ/এ-১৮ হর্নেট ফাইটারের একটি হালকা অস্ত্রসজ্জিত সংস্করণ। মূলত ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের জন্যই একে তৈরি করা হয়েছে (মূলত এখন মার্কিন নৌবহরে তা কাজ করছে)। এটি অ্যান্টি এয়ারক্রাফট রাডার অবজেক্ট খুঁজে বের করে এবং শত্রুপক্ষের কমিউনিকেশন সিস্টেম নিজের পাঠানো সিগন্যালের মাধ্যমে পুরো জ্যাম করে দিতেও সক্ষম।
৩. ভি-টোয়েন্টিটু অস্প্রে : ১১৮০ লক্ষ ডলার
২০০৭ সালে সাদ্দাম-পরবর্তী ইরাকে হিংসা দমনে প্রথম ব্যবহার করা হয়। টিল্ট রোটারের মাধ্যমে মাটি ছেড়ে ওড়া এই যুদ্ধবিমান হেলিকপ্টারের মতো ওঠানামা করে। তাও তা একটি ফিক্সড উইং প্লেনের চাইতে দ্রুত উড়ে যেতে পারে। মারাত্মক শক্তিসম্পন্ন এই বিমানের ইতিহাস আরেকটু ঘাঁটলে জানা যাবে এর ধ্বংসযজ্ঞের আরও তথ্য।
৪. এফ-৩৫ লাইটনিং II : ১২২০ লক্ষ ডলার
মার্কিন সমরবিভাগের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ডিল সই হয় এই সুপারসনিক ফাইটারের প্রজেক্ট শুরু হওয়ার সময়। ২০০১ সালে। যদিও কোনো কোনো লবির এক্সপার্টরা মনে করছেন, এই বিমান তাঁদের আশা পূরণ করতে পারেনি। তাঁদের মতে, এটি খুবই হালকা এবং তুলনামূলকভাবে অস্ত্রবহনে অসমর্থ। ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে কম্পিউটার হ্যাকারদের দ্বারা ৭.৫ মিলিয়ন কোডের তথ্য পাচারকালে এই বিমানের তথ্যও পাচার হয়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করেন কেউ কেউ। তাই আমেরিকার প্রতিপক্ষের স্কোয়াডে এই বিমানের দেখা পাওয়া গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
৫. ই টু ডি-অ্যাডভান্সড হক আই : ২৩২০ লক্ষ ডলার
টার্গেটেড টেরিটরি ছাপিয়ে এর পাওয়ারফুল এবং অ্যাডভান্সড রাডার সিস্টেম ৩০০% এলাকা আরও বেশি কভার করবে। এখনও এটি আন্ডার-ডেভেলপড অবস্থায় আছে। যদিও এর দুটি পরীক্ষামূলক সংস্করণ এর মধ্যেই মার্কিন নেভিকে সরবরাহ করা হয়েছে। এবং আমেরিকার নৌবাহিনী যে এতে সন্তুষ্ট সে কথা তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
৬. ভিএইচ-সেভেন্টিওয়ান কেস্ট্রেল : ২৪১০ লক্ষ ডলার
এই হাই-টেক হেলিকপ্টার প্রজেক্ট ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাবেক চপার ফ্লিটের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। অর্থাৎ, এই যুদ্ধ হেলিকপ্টার বারাক ওবামা ও তাঁর পরবর্তী প্রেসিডেন্টদের অফিস থেকে বাড়ি ফেরার যান হতে চলেছে। তবে গত ২২ জুলাই মার্কিন কংগ্রেসে এই হেলিকপ্টার প্রকল্পের জন্য বাজেট বাড়িয়ে ৪৮৫০ লক্ষ ডলার করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
৭. পি-৮ এ পসাইডন: ২৯০০ লক্ষ ডলার
৭৮৭ জেটের এই সামরিক ভার্সনটি মার্কিন নেভির হাতে তুলে দেওয়া হবে, যা ব্যবহৃত হবে মূলত সাবমেরিন যুদ্ধ এবং ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহের কাজে। তবে এর সার্ভিস পুরোপুরি পেতে অপেক্ষা করতে হবে বলে এই প্রজেক্টের ডেভেলপাররা জানিয়েছেন।
৮. সি সেভেন্টিন এ গ্লোবমাস্টার III : ৩২৮0 লক্ষ ডলার
মার্কিন এয়ারফোর্সের সামরিক সরবরাহে নিয়োজিত এই বিমান সাধারণত যুদ্ধক্ষেত্রে মেডিকেল সার্ভিস দিয়ে থাকে। তবে একইসঙ্গে এয়ারড্রপ মিশনেও তাকে কাজে লাগানো হয়। এই মুহূর্তে আমেরিকান এয়ারফোর্সে ১৯০টি সি সেভেন্টিন এ (C17A) গ্লোবমাস্টার III সার্ভিস দিচ্ছে। ১৯৯৩ সাল থেকে। ১০২ জন প্যারাট্রুপার একযোগে ডাইভ দিতে পারে এই বিমানের খোল থেকে। এর আগে আমেরিকার ইরাক আক্রমণ এবং লাদেন-তালিবান বিরোধী আফগান যুদ্ধেও ব্যবহৃত হয়েছে এই মালবাহী সামরিক বিমান।
৯. এফ-টোয়েন্টি টু ব়্যাপটর: ৩৫০০ লক্ষ ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি অনুযায়ী, বিশ্বের মধ্যে এই এফ-টোয়েন্টি টু ব়্যাপটর-ই সম্মুখসমরে সব চাইতে পারদর্শী বিমান। এর মানুফ্যাকচারিং ডিজাইনার আমেরিকার নামকরা (খ্যাতি-অখ্যাতি উভয়তই) মিলিটারি কর্পোরেট Lockheed Martin। শত্রুপক্ষের নিক্ষেপ করা ক্রুজ মিসাই উড়িয়ে দেওয়ার মতো অব্যর্থ লক্ষ্যভেদী সামর্থ্য ছাড়াও এই যুদ্ধবিমানের আছে সুপারসনিক স্পিড। এ রকম আরও সাতটি বানানো হবে কি না, তা নিয়ে এখন মার্কিন সেনেটে বড়সড় বিতর্ক চলছে। এর মোট খরচ পড়বে ১৬৭ কোটি ডলার এবং এই প্রকল্পে যুক্ত থাকবেন ২৫ হাজারেরও বেশি প্রযুক্তিবিদ-কর্মী।
১০. বি টু স্পিরিট : ২৪০ কোটি ডলার
বি টু স্পিরিট আসলে বোমারু বিমান। এখন ২০টি বি টু স্পিরিট আমেরিকার সামরিক বাহিনীতে আছে। ইনফ্রা-রেড, অ্যাকুইস্টেক এবং ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক রেডার ভিসুয়াল সিগন্যালেও এখনও পর্যন্ত শত্রু এলাকায় একে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর আফগানিস্তানে তালিবান ও আল-কায়েদা দমন অভিযানে এবং আমেরিকার ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণের সময় সমানে বোমা ফেলা হয়েছিল এই বিমান থেকে।
Tuesday, April 26, 2016
যে দেশে রাত আসে আলো নিয়ে
রাত কি এখানে নিকশ কালো অন্ধকার? রাত মানেই কি নিস্তব্ধতা? রাত মানেই কি রোমাঞ্চের বিরতি? বিশ্রাম, ঘুম? বিস্ময়ের অবসান? রাত সম্পর্কে ধারণাই বদলে যাবে আপনার পৃথিবীর রহস্যময় এই আকাশের নীচে এসে দাঁড়ালে। রাত এখানে বিস্ময়ের শুরু, রাত এখানে আলোর ফোয়ারা, রাতই রহস্য, রাতই রোমাঞ্চ। আসুন জেনে নিই, রঙিন রাতের সন্ধান পাবেন কোথায়!
ফেয়ারব্যাঙ্কস, আলাস্কা, যুক্তরাষ্ট্র
এ যেন আকাশের বিশাল ক্যানভাসে শিল্পীর তুলির এলোমেলো আচরে আঁকা রঙ্গীন কোন চিত্রকর্ম। পৃথিবী এর নাম দিয়েছে অরোরা। বায়ুমন্ডলে বিভিন্ন গ্যাসীয় বিক্রিয়ার কারণে সৃষ্টি হয় এই রঙের উৎসবের। অক্সিজেন তৈরি করে হলদে সবুজ আলো, নাইট্রোজেনের কারণে আসে নীলের আলোচ্ছটা। স্ফটিকস্বচ্ছ আকাশে বর্নিল আলোরা এনে দেয় অতুলনীয় মুগ্ধতা।
এ যেন আকাশের বিশাল ক্যানভাসে শিল্পীর তুলির এলোমেলো আচরে আঁকা রঙ্গীন কোন চিত্রকর্ম। পৃথিবী এর নাম দিয়েছে অরোরা। বায়ুমন্ডলে বিভিন্ন গ্যাসীয় বিক্রিয়ার কারণে সৃষ্টি হয় এই রঙের উৎসবের। অক্সিজেন তৈরি করে হলদে সবুজ আলো, নাইট্রোজেনের কারণে আসে নীলের আলোচ্ছটা। স্ফটিকস্বচ্ছ আকাশে বর্নিল আলোরা এনে দেয় অতুলনীয় মুগ্ধতা।
স্প্লিটি ভ্যালি, ইন্ডিয়া
সুখবর হল, খুব দূরে নয়, মোহনীয় রাতের দেখা মিলবে পাশের দেশ ইন্ডিয়ার স্প্লিটি ভ্যালিতেই। হিমালয় এবিসের প্রত্যন্ত এলাকায় ছোট্ট, শান্ত প্রকৃতির অমোঘ লিলার এই ভান্ডারের অবস্থান। যেকোন ধরণের আলোর দূষণ থেকে বহু বহু দূরে স্প্লিটির পরিষ্কার আকাশে তাঁরারা মেলে ধরে তাদের আসল রূপ। রাতের আকাশে পরিষ্কার দেখতে পাওয়া মিল্কি ওয়ে অবাক করে দেবে আপনাকে। এক মূহুর্তে যেন অনুভব করতে পারবেন মহাবিশ্বের বিশালতা।
লোফোটেন দ্বীপ, নরওয়ে
নরওয়ের দক্ষিণাঞ্চলের আকাশ রঙের যাদুকরি খেলা দেখার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। এখানে লফোটেন দ্বীপের ঝড়ো আকাশে ভেসে ওঠে রঙিন মনোমুগ্ধকর আলো। এখানকার তাপমাত্রা খুবই চমৎকার। তাই রাতের অন্ধকারে ঘন্টার পর ঘন্টা অনায়াসেই অপেক্ষা করতে পারবেন এই সুমেরুপ্রভা দেখার জন্য। লাল, বেগুনী, সবুজ আর হলুদের এমন দূর্দান্ত বিন্যাস একবার দেখার পর মনে হবে জীবন সার্থক, বেঁচে থাকা অর্থবহ।
তাসমানিয়া
দক্ষিণের অরোরা বেশি আকর্ষণিয়? নাকি উত্তরের? এই বিতর্কের অবসান নেই। কিন্তু এন্টার্ক্টিকার তাসমানিয়ার অরোরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশী উচ্চ মাত্রার রঙের তরং তৈরি করে। উজ্জ্বল আলোরা যেন নেচে বেড়ায় এখানে। স্বচ্ছ আকাশে ভেসে ওঠে ছায়াপথ। দূরের আকাশ যেন কাছে নামতে নামতে ঘিরে ধরে চারপাশ থেকে। আবারো মনে পড়ে, মহাবিশ্ব কত বিশাল রহস্যের ভান্ডার।
স্টিউয়ার্ড আইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের মাওরি জনগণের কাছে এই দ্বীপের আছে ভিন্ন নাম তাঁর অনন্য বৈশিষ্ঠ্যের জন্য। স্টিউয়ার্ড দ্বীপকে মাওরিরা বলে 'রাকিউরা'। এর অর্থ হল, 'প্রদীপ্ত আকাশ'। মানুষের স্বল্প বসতির কারণে আলোক দূষণ খুবই কম। তাই আকাশ পরিচ্ছন্ন। আর পরিচ্ছন্ন আকাশই অরোরার প্রকৃত রূপ দেখার জন্য আদর্শ। শীতকাল এখানে আসার সঠিক সময়। তাই ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন, গ্রীষ্ম পেরোলেই বেড়িয়ে আসুন, ফিরে আসুন কখনোই ভোলা যায় এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে।
চেরি স্প্রিং স্টেট পার্ক, যুক্তরাষ্ট্র
যখন সাড়া উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার কারণে গ্রামে গঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারছে না, সেই একই সময়ে উন্নত দেশগুলো মেতেছে অন্যরকম যুদ্ধে। এই যুদ্ধ কৃত্রিম আলোর বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে চেরি স্প্রিং স্টেট পার্কে তাই তৈরি করা হয়েছে 'dark sky reserve zone'। এখানেই খালি চোখেই দেখতে পাবেন ১০ হাজারের বেশি তারা। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হল, এখানে দাঁড়িয়ে আপনি যে আকাশগঙ্গাটি দেখতে পাবেন তা এতই স্পষ্ট যে, তার ছায়া তৈরি হয়!
Sunday, April 24, 2016
বৃহত্তম ও ভয়ঙ্কর লিফট
পাহাড় চড়া মানুষের এক ধরনের নেশা। অনেকেই চায় বিশ্বের শীর্ষ চূড়াটি জয় করে ইতিহাস রচনা করতে। শীর্ষ স্থানে চড়ে সেখান থেকে প্রকৃতি দেখতে। আপনিও যদি তেমনটি করতে চান তবে যেতে হবে চীনে। আপনাকে উঠতে হবে দেশটির পর্যবেক্ষণ লিফটে।এই লিফটকে বলা হয়ে থাকে বিশ্বের ভয়ঙ্করতম লিফট। চীনের ঝানজিয়াজি ফরেস্ট পার্কে অবস্থিত ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের একটি এটি। এর নাম ‘হান্ড্রেড ড্রাগন স্কাই লিফট’। দর্শনার্থীদের এটি মাত্র দুই মিনিটে নিয়ে যেতে পারে এক হাজার ৭০ ফুট (৩৬২ মিটার) উপরে। এক সাথে এক হাজার ৪০০ যাত্রী নিয়ে চড়তে পারে এটি।চীনা গণমাধ্যম ‘পিপলস ডেইলি অনলাইন’ জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং ভারী এই লিফটটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২০ মিলিয়ন ইয়েন বা ১৩ মিলিয়ন ইউরো। ১৯৯৬ সালে শুরু হয় এটার নির্মাণ এবং শেষ হয় ১৯৯৯ সালে। তবে নিরাপত্তার কথা ভেবে চালুর পর কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল লিফটটি।পরে ২০১৩ সালে আবারো খুলে দেয়া হয় এটি। দর্শনার্থীরা একে বলে থাকেন বিশ্বের ভয়ঙ্করতম লিফট। এ পর্যন্ত তিনটি বিভাগে গিনেজ বুকে নাম উঠেছে হান্ড্রেড ড্রাগন স্কাই লিফটের। এক, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সার্বক্ষণিক খোলা থাকা লিফট। দুই, এটি বিশ্বের বৃহত্তম দোতলা লিফট। তিন, এটা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী লিফট।
Wednesday, April 20, 2016
বুলেট ট্রেন চলবে সাগরের নিচ দিয়ে
ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন চলবে সাগরের নিচ দিয়ে। এটি হবে দূরপাল্লার। ফলে ট্রেনযাত্রা হবে রোমহর্ষক। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক চললে ২০১৮ সালের শেষের দিকেই শুরু হয়ে যাবে এই পরিষেবা। গতিমান ট্রেন তথা জাপানী প্রযুক্তিতে তৈরি বুলেট ট্রেন প্রথমে যাত্রা শুরু করবে মুম্বাই এবং আমেদাবাদের মধ্যে।দীর্ঘ ৫০৮ কিলোমিটার যাত্রাপথের মধ্যে মহারাষ্ট্রের থানে এলাকার ২১ কিলোমিটার রেলপথ থাকবে আরব সাগরের নীচে। নির্মাণকারী সংস্থা এমন তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি আরও জানায়, চলতি বছরের শেষের দিকে শুরু হবে ওই প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পের মোট খরচ বরাদ্দ করা হয়েছে ৯৭,৬৩৬ কোটি টাকা রুপি। মোট খরচের ৮১শতাংশ অর্থ ঋণ হিসেবে দেবে জাপান। ৫০ বছরের জন্য নেওয়া ওই ঋণের ক্ষেত্রে ১৬তম বছর থেকে পরিশোধ করা শুরু হবে এবং সুদের হার ০.১ শতাংশ।
Tuesday, April 19, 2016
পাখিদের দাঁত নেই কেন?
মানুষ সহ বন্য অনেক প্রাণির দাঁত রয়েছে। কিন্তু পাখিদের দাঁত নেই। এটা প্রকৃতির রহস্য। এ নিয়ে গবেষণাও কম হয়নি। তবে উত্তর খুঁজতে খুঁজতে অনেক গবেষকেরই দাঁত পড়ে গেছে, তবুও রহস্যভেদ হয়নি। অবেশেষে রহস্য থেকে বেড়িয়ে এলো বৈজ্ঞানিক সত্য।১১৬০ লক্ষ বছর আগে পাখিদের মধ্যে ৪৬ প্রজাতির দাঁত ছিল। পাখিদের পূর্বপুরুষ ডায়নোসর। জন্ম লগ্নে পাখিদের দাঁত ছিলই। তবে বিবর্তন ও তাদের জীবনের লড়াইয়ে দাঁতের ব্যবহার আসতে আসতে কমতে থাকে। পাখিরা খাওয়ার জন্য আংশিক ঠোঁটের ব্যবহার করেন। এদের দাঁত অবলুপ্তির পথে চলে যায়। আগামী দিনে পাখিদের ঠোঁটেও কোনও বিবর্তন আসবে কিনা, তা নিয়েও গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
Monday, April 11, 2016
সবচেয়ে বেশি টিভি চ্যানেলের সংখ্যা যে দেশে
রাশিয়ার আয়তন প্লুটো গ্রহের থেকেও বেশি। এটা তো সবারই জানা। কিন্তু এটা জানেন কী, এই রাশিয়াতেই বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টিভি চ্যানেল আছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় প্রকাশ রাশিয়ায় ৭ হাজারেরও বেশি টিভি চ্যানেল আছে। তার মধ্যে বিনোদনমূলক চ্যানেলের সংখ্যাই নাকি ২ হাজারেরও বেশি।তারপর আছে কিডস চ্যানেল, মুভি চ্যানেল, ফ্যাশান অ্যান্ড লাইফ স্টাইল চ্যানেল। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল খবরের চ্যানেল। এ ছাড়া দেশের ৩৫টি ভাষায় রয়েছে নানা আঞ্চলিক চ্যানেল। রাশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল টিএনটি, গড়ে প্রতিদিন যার দর্শক ১৩ লক্ষ। জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ চিনে টিভি চ্যানেলের সংখ্যা রাশিয়ার প্রায় অর্ধেক। ভারতে স্বীকৃত টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ১৪০০-এর মত।
কোন দেশে কটি টিভি চ্যানেল আছে
রাশিয়া-৭,৩০৬টি
চিন-৩,২৪০টি
আমেরিকা-২,২১৮টি
ভারত-১,৪০০টি
ইউক্রেন-৬৪৭টি
রাশিয়া-৭,৩০৬টি
চিন-৩,২৪০টি
আমেরিকা-২,২১৮টি
ভারত-১,৪০০টি
ইউক্রেন-৬৪৭টি
সেতু নির্মাণ মাত্র ৪৩ ঘণ্টায়
চায়না বরাবরই অসাধারণ কীর্তির জন্য জগত বিখ্যাত। এবার ব্যতিক্রমী এক কাজ করে আবারও খবরের শিরোনামে তারা। ইতিপূর্বে মাত্র ১৯ দিনে ৫৭ তলা আকাশচুম্বী ভবন নির্মাণ করে রেকর্ড করেছিলেন তারা। এখন আবার সেই রেকর্ড ভঙ্গ করে মাত্র ৪৩ ঘণ্টার মাঝে একটি সেতু নির্মাণ করে ফেলেছেন!চীনা অভূতপূর্ব ৪৩ ঘন্টার মধ্যে একটি সম্পূর্ণ ক্রিয়ামূলক সেতু নির্মাণ পরিচালিত করেছে। একটি ভিডিওতে আপনি তাদের এই কাজ সম্পূর্ণভাবে দেখতে পারবেন। সুপার - মানব কর্মীরা মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে বেইজিংয়ের সানিউন সেতুর পুরাতন কাঠামো পুনর্গঠন করে নতুন করে তৈরি করেছেন। তারপর তারা ফাঁক সেতু কংক্রিট এর একটি বৃহদায়তন টুকরা এনে এর উপর সংযুক্ত করেন।প্রথমবারের মতো এবার চীনা কর্মীরা ‘ইন্টিগ্রেটেড প্রতিস্থাপন পদ্ধতি’ নামের একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে এই কাজ সম্পন্ন করেছেন। এতে ১৩০০ টন উপাদানের প্রয়োজন হয়েছে।
Thursday, April 7, 2016
ভয়ঙ্কর সুন্দর’ বাড়ি
এমনিতে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলেন আর শিল্পসাধনায় বলেন, মানুষ কোনো কোনো সময় নিজের মধ্যে থাকতে ভালোবাসেন। মাঝে মধ্যে একদিন দুদিনের জন্য হয়তো সমুদ্রের পাড়ে বেড়ানোর নাম করে এমন বাড়িতে বা সুনসান কোনো রেস্ট হাউসে কেউ কেউ থাকেন না, তাও নয়।তবে তারপেই আবার ফেরেন নগর জীবনে। বাড়ি থেকে বেরোলেই সড়ক, সড়কের ওপর বাস, পাশেই শপিংমল। কিন্তু সারা জীবনটাই যদি ওই গেস্ট হাউসের মতো কোনো বাড়িতে একাকী কাটাতে হয়? একঘেয়েমি লাগবে কি?
কেউ কেউ হয়তো একাকী সময় নিজের জগতে ডুবে গিয়ে কল্পনা করেন এমনটা। কেমন হতে পারে একাকি জগতের বাড়িগুলো? দেখে নিন কয়েকটি ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ বাড়ি।
কাতশিক পিলার-ইমেরেতি, জর্জিয়া: ১৩-০ ফুট উঁচু পিলারের উপর অবস্থিত এই বাড়ি।
লুকা ভুরেইচ হাট: আল্পস পর্বতের ফরোনন বুইনজের উপর এই ছোট্ট কুঁড়েঘর।
দ্য ক্রিস্টাল মিল-ক্রিস্টাল কলরডো, মার্কিন যক্তরাষ্ট্র: ১৮৯০ সালে কলরডো নদীর উপর তৈরি হয়েছিল এই পাওয়ার প্লান্ট।
কাসা দো পেনেগো-ফাপে পাহাড়, পর্তুগাল: ১৯৭৪ সালে চারটি পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছিল এই বাড়ি।
ভেস্তম্যানিয়েখার আর্কিপেলাগো: আইসল্যান্ডের এই বাড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম বাড়ি হিসেবে পরিচিত।
মেটেরোয়া-থেলসে, গ্রিস: আকাশে ঝুলন্ত এই পাহাড়ের কোলের বাড়িগুলোয় কি সত্যিই কেউ থাকেন?
চেজ প্যাভিলিয়ন-মাউন্ট হুয়া, চায়না: বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ উচ্চতার এই পাহাড়ের কোলে কে থাকেন?
হাউজ অন দ্য রিভার: সার্বিয়ার দ্রিনা নদীর উপর এই বাড়ি।
ত্রিস্তান দা কুনহা-ত্রিস্তান, আটলান্টিক সমুদ্র: পাহাড়ের কোলে বাড়িগুলো দেখতে পাচ্ছেন? ২০১৪ সালে এই ২৯৭ জন থাকতেন এই আইল্যান্ডে
ম্যাকমুর্ডো স্টেশন, অ্যান্টার্কটিকা: সাদা বরফে ঢাকা পাহাড়ের কোলে রঙিন বাড়িগুলো দেখতে পাচ্ছেন? গ্রীষ্ককালে প্রায় ১,২০০ মানুষ আশ্রয় নেন এখানে।
বিশ্বের যে দেশে সেনাবাহিনী নেই
আমেরিকান সামোয়া: জনসংখ্যা মোটে ৫৫ হাজার ৫১৯। দেশ তো কোন ছাড়। আমাদের কলকাতার তুলনাতেও নেহাতই পুঁচকে সে। এই দেশের কাছে রয়েছে ছোট্ট একটি পুলিশ বাহিনী আর কোস্টাল ফোর্স।
মার্শাল আইল্যান্ড: সেনাবাহিনীর দরকার পড়ে না এই দেশেরও। জনসংখ্যা ৫৬,০৮৬। পুলিশ বাহিনী, সমুদ্রতট সুরক্ষা বাহিনী, অভ্যন্তরীন সুরক্ষা বাহিনী থাকলেও সেনাবাহিনী নেই এদের।
আন্দোরা: ৭৬ হাজার ছেলেপুলের দেশ আন্দোরায় পুলিশ ফোর্স আছে ঠিকই কিন্তু চোর-ডাকাত, খুনি-বদমাস ধরার প্রয়োজন পড়ে না তাঁদের। বরং তাঁরা বেশি ব্যস্ত থাকেন পর্যটকদের আতিথেয়তায়।
ফেডারেন্টেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়া: এক লাখের একটু বেশি মানুষ বাস করেন এই দেশে। সুখী, শান্ত এই দেশেরও সেনাবাহিনী নেই। চুক্তি অনুযায়ী প্রয়োজন হলে এঁরা আমেরিকার সেনা ব্যবহার করতে পারবে।
গ্রেনাডা: ১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ থাকেন ছবির মতো সুন্দর এই দেশে। সেনাবাহিনী নেই এখানেও। যদিও দেশের ভিতরের সুরক্ষার জন্য রয়েছে রয়্যাল গ্রেনাডা পুলিশ ফোর্স। আর আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য ক্যারাবিয়ান রিজিওনাল সিকিওরিটি সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে এরা।
কিরিবাতি: যদিও দরকারে এরা অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বাহিনী ব্যবহার করতে পারে কিন্তু নিজেদের কোনও সেনাবাহিনী নেই দেড় লাখ জনবসতির দেশ কিরিবাতির কাছে।
সেন্ট লুসিয়া: ১ লাখ ৮৫ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ১১৬ জনের একটি সুরক্ষা দফতর রয়েছে এই দেশের কাছে। তবে তার মধ্যে মোটেও নেই কোনও সেনাবাহিনীর বুটের আওয়াজ।
সোলোমন আইল্যান্ড: সেনাবাহিনী রাখার প্রয়োজন বোধ করে না এই দেশও। ৫ লাখের একটু বেশি সন্তান-সন্ততি নিয়ে সুখে আছে সোলোমন।
কোস্টা রিকা: ৪ লাখ ৭১ হাজার জনগণের এই দেশ। সেনাবাহিনী ছাড়াও বেশ খোশ মোজাজে রয়েছে কোস্টা রিকা।
মার্শাল আইল্যান্ড: সেনাবাহিনীর দরকার পড়ে না এই দেশেরও। জনসংখ্যা ৫৬,০৮৬। পুলিশ বাহিনী, সমুদ্রতট সুরক্ষা বাহিনী, অভ্যন্তরীন সুরক্ষা বাহিনী থাকলেও সেনাবাহিনী নেই এদের।
আন্দোরা: ৭৬ হাজার ছেলেপুলের দেশ আন্দোরায় পুলিশ ফোর্স আছে ঠিকই কিন্তু চোর-ডাকাত, খুনি-বদমাস ধরার প্রয়োজন পড়ে না তাঁদের। বরং তাঁরা বেশি ব্যস্ত থাকেন পর্যটকদের আতিথেয়তায়।
ফেডারেন্টেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়া: এক লাখের একটু বেশি মানুষ বাস করেন এই দেশে। সুখী, শান্ত এই দেশেরও সেনাবাহিনী নেই। চুক্তি অনুযায়ী প্রয়োজন হলে এঁরা আমেরিকার সেনা ব্যবহার করতে পারবে।
গ্রেনাডা: ১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ থাকেন ছবির মতো সুন্দর এই দেশে। সেনাবাহিনী নেই এখানেও। যদিও দেশের ভিতরের সুরক্ষার জন্য রয়েছে রয়্যাল গ্রেনাডা পুলিশ ফোর্স। আর আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য ক্যারাবিয়ান রিজিওনাল সিকিওরিটি সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে এরা।
কিরিবাতি: যদিও দরকারে এরা অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বাহিনী ব্যবহার করতে পারে কিন্তু নিজেদের কোনও সেনাবাহিনী নেই দেড় লাখ জনবসতির দেশ কিরিবাতির কাছে।
সেন্ট লুসিয়া: ১ লাখ ৮৫ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ১১৬ জনের একটি সুরক্ষা দফতর রয়েছে এই দেশের কাছে। তবে তার মধ্যে মোটেও নেই কোনও সেনাবাহিনীর বুটের আওয়াজ।
সোলোমন আইল্যান্ড: সেনাবাহিনী রাখার প্রয়োজন বোধ করে না এই দেশও। ৫ লাখের একটু বেশি সন্তান-সন্ততি নিয়ে সুখে আছে সোলোমন।
কোস্টা রিকা: ৪ লাখ ৭১ হাজার জনগণের এই দেশ। সেনাবাহিনী ছাড়াও বেশ খোশ মোজাজে রয়েছে কোস্টা রিকা।
Wednesday, April 6, 2016
কুকুর পেল সর্বোচ্চ সেনা পদক
লুক্কা নামের ১২ বছর বয়সী জার্মানের এক কুকুর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কোপের হয়ে ছয় বছর দেশের কাজে সেবা করেছেন। কিন্তু দেশ সেবায় নিয়োজিত এই কুকুর আফগানিস্তানে রাস্তার পাশের এক বোমা হামলার কারণে নিজের পা হারিয়ে ফেলেন।লুক্কা ৬৭তম প্রাণী যে এই পদক পেয়েছেন। ১৯৪৩ সাল থেকে এই পদক দেয়ার প্রথা চলে আসছে। লুক্কা যখন যেখানে বোমা খুজতে গিয়েছেন সে সফল হয়েছে। তিনি কর্মরত অবস্থায় তার আশেপাশের কোন মানুষের বোমার কারণে ক্ষতি হয় নি। ২০১২ সালে লুক্কার পা হারানোর পর বুকে অনেক ব্যথা শুরু হয়। তারপর থেকে তাকে চাকরি থেকে অবসর দেয়া হয়।লুক্কার মালিক ক্রিস উইলিংহাম লুক্কার সাথে লন্ডনে যেয়ে এই পদক গ্রহণ করেন। ক্রিস বলেন, ‘লুক্কা অনেক বুদ্ধিমান, অনুগত এবং একটি অনুসন্ধান কুকুর হিসাবে আশ্চর্যজনক ড্রাইভ ছিল। তার কারণে আমি আজ আমার পরিবারের সাথে জীবিত বাস করছি। আমি তার সাথে থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। আমি তার অবসরে খুব ভালভাবে রাখতে চাই।’লুক্কা এবং ক্রিস একসাথে ইরাকে অনেক অভিযান চালিয়েছেন। ২০১১ সালে তাদের আফগানিস্তানে ট্রান্সফার করা হয়। আফগানিস্তানে তারা ৭৫ বার টহল করে বোমা আবিষ্কার করেন। কিন্তু ২০১২ সালে সেই বোমার আঘাতে লুক্কার এক পা হারায়।
Subscribe to:
Posts (Atom)