আজব পৃথিবী

Thursday, December 31, 2015

সবচেয়ে বড় বিমান

ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানটির নাম অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া। এটি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়ায় নির্মিত বিমান হলেও এখন পর্যন্ত বিমানটির মতো বিশাল ধারণক্ষমতার কোনো বিমান নির্মিত হয়নি। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং।১৯৮৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া বিমানটি তার যাত্রা শুরু করে। এরপর ২৭ বছর পার হয়ে গেছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বে নানা পরিবর্তন এসেছে। নিত্যনতুন ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এমনকি ২০১৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ নির্মিত হয়েছে। কিন্তু এ বিমানটির আসন কেউ দখল করতে পারেনি।দীর্ঘদিন ধরে সবচেয়ে বড় বিমানের এ আসনটি দখল করে রাখাকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রমাণ বলেও মানছেন অনেকে। এ বিমানটির ডানার দৈর্ঘ্য ৮৮ মিটার বা ২৯০ ফুট। এ ছাড়া এর প্রস্থ ৮৪ মিটার বা ২৭৫ ফুট। বিমানটি ওড়ানোর জন্য কমপক্ষে ছয় জন ক্রু প্রয়োজন হয়।

১৯৮৮ সালের ২১ ডিসেম্বর অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া বিমানটি প্রথম আকাশে ওড়ানো হয়। সে সময় বিমানটি নির্মিত হয়েছিল বুরান স্পেস শাটল ও তার রকেট বুস্টার পরিবহনের জন্য। পরবর্তীতে অ্যান্টোনভ এয়ারলাইন্স এটি বিশেষ মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহার করছে।অ্যান্টোনভ এএন-২২৫ ম্রিয়া বিমানটিতে রয়েছে ৩২টি চাকা। এ চাকাগুলো টেক অফের সময় সর্বোচ্চ ৬৪০ টন ওজন নিতে পারে। তবে বিমানটিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ওজন নেওয়া হয়েছে ১৯০ টন প্রায়। যা একটি বিশ্বরেকর্ডও বটে। বিমানটি স্পেস শাটল পরিবহনের কাজেও ব্যবহৃত হয়েছে।এ ধরনের বিমান বিশ্বে একটিমাত্র নির্মিত হয়েছে। নির্মাতা সংস্থার পরিকল্পনা ছিল এ ধরনের আরেকটি বিমান তৈরি করার। তবে এ পরিকল্পনা অর্থাভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। তবে প্রতিষ্ঠানটি পরিকল্পনা করেছে দ্বিতীয় বিমানটি নির্মাণ দ্রুত শেষ করার। দ্বিতীয় বিমানটি নির্মিত হলে বিমানেই ২৫০ টন ওজন তোলা যাবে বলে আশাবাদী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। সে বিমানটি নির্মাণে ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ পড়তে পারে বলে জানিয়েছে তারা।

Wednesday, December 30, 2015

৮০০ বছর আগের মোবাইল

মোটা চশমাধারী কোনো ব্যক্তি যদি গম্ভীরমুখে আপনাকে বলে, ৮০০ বছর আগেও পৃথিবীতে মুঠোফোন ছিল, তখন কী ভাববেন আপনি? হয় হেসেই উড়িয়ে দেবেন, নয় ভাববেন, লোকটার মাথা খারাপ হয়ে গেল না কি। যা-ই ভাবুন, প্রত্নতাত্ত্বিকরা এমনই একটি মুঠোফোন আবিষ্কার করেছেন, যেটির বয়স আটশো বছরের বেশি।সম্প্রতি খননকার্য চালাতে গিয়ে অস্ট্রিয়া থেকে এই মুঠোফোনের খোঁজ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। মুঠোফোনটির গায়ে রয়েছে সুমেরীয় লিখনশৈলী, যা কীলকাকার বর্ণমালা নামে পরিচিত।একটি ইউটিউব চ্যানেলে সদ্য আবিষ্কৃত প্রাচীন সেই ফোনের ফসিলের ভিডিও আপলোড করে লেখা হয়েছে, ‘এটা কী? উন্নত সভ্যতার নিদর্শন?’ এই আবিষ্কারের দৌলতে সায়েন্স ফিকশনের টাইম মেশিনকেও সত্য বলেই মনে করা হচ্ছে।  
ফোনের গায়ের সুমেরীয় লেখা প্রত্নতাত্ত্বিকদের কৌতূহল বাড়িয়েছে। কারণ, অনেক বছর আগেই কীলকাকার এই বর্ণমালা অবলুপ্ত হয়ে যায়। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় এই হরফ দেখা গিয়েছিল। অস্ট্রিয়ার গবেষকদের ধারণা, ফোনটি ১৩০০ শতকের। বর্তমান ইরান ও ইরাকের লিপির সঙ্গে তারা অনেকও মিলও খুঁজে পেয়েছেন। তবে এটি মোবাইল ফোনই, না কি অন্য কোনো ডিভাইস, তা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশাই রয়ে গেছে গবেষকদের মধ্যে। এই নিয়ে হইচই করছেন ইউএফও (আন-আইডেন্টিফাইড ফ্লাই অবজেক্ট) খোঁজকারীরাও, যারা মনে করেন প্রাচীন সভ্যতার সঙ্গে এলিয়েনদের যোগাযোগ ছিল। ভিনগ্রহের বাসিন্দারা এই পৃথিবীতেও আসত। তাদের হাতে ছিল এই প্রযুক্তি। হয়ত নিদর্শন হিসেবে তারা রেখে গেছেন পৃথিবীবাসীর জন্য।

সেদ্ধ করলেই ডিম হয়ে যাচ্ছে কালো

এটা কি 'ব্ল্যাক ম্যাজিক'? ফুটন্ত জলে ডিম দিলেই তা হয়ে যাচ্ছে কালো। অথচ খোলস ছাড়ালেই তা থাকছে অপরির্তিত। সাদা রঙের ফ্যাট অংশের ভিতরে গাঢ় হলুদ কুসুম। টেস্টটাও একই। জাপানের ‘Great Boiling Valley’-তে এই আজব কাণ্ড দেখে অবাক গোটা বিশ্ব। কীভাবে সম্ভব এটা? জাপানি ভাষায় একে বলা হয়-  ‘Kuro-Tamago’।আজ থেকে প্রায় ৩০০০ বছর আগে উৎপত্তি হয়েছিল এই ফুটন্ত উপত্যকা। হাকোন পর্বত (Mount Hakone) সৃষ্টির সময়েই এই উপত্যকার জন্ম। এখানকার জল এতটাই ফুটন্ত এবং এর মধ্যে রয়েছে সালফার ডাই-অক্সাইড ও হাইড্রোজেন সালফাইডের মত উপাদান। যে কারণে ডিম ঐ জলে দিলেই খোলসের রঙ হয়ে যাচ্ছে কালো। পর্যটকরা জাপানের এই হাকোন পর্বতে আসেন এই 'কালো ডিমের ম্যাজিক' দেখতেই। স্থানীয় মানুষ রহস্যময় কালো ডিমের নামকরণ করেছেন 'কুরো-তামগো'। ওখানকার মানুষের বিশ্বাস এই ডিম খেলই নাকি মানুষের আয়ু বাড়ছে। তবে এই বিশ্বাসের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও পাওয়া যায়নি।

এলিয়েনের ডিম!

ভিনগ্রহের প্রাণি (এলিয়েন) নিয়ে বহুদিন আগে থেকেই জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। পৃথিবীর বাইরে সত্যিই কি রয়েছে কোনো বুদ্ধিমান প্রজাতির অস্তিত্ব- এ প্রশ্ন নিয়েও আছে বিভিন্ন বিতর্ক। অনেকের তো বিশ্বাস, এলিয়েনরা আমাদের পৃথিবীতে ঘুরেও গিয়েছে দুই একবার।তবে বিশ্বাস অবিশ্বাসের মাত্রা ছাড়িয়ে এবার যুক্তরাজ্যের একটি শস্যক্ষেতে সত্যিই পাওয়া গেল এলিয়েনের ডিম! অনেকের বিশ্বাস সেরমকই।এলিয়েন, ডিম, যুক্তরাজ্যকিছুদিন আগে যুক্তরাজ্যের একটি শস্যক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় জেলির মতো দেখতে অদ্ভূত রকমের একটি ডিম। ডিমটি থেকে বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন স্থানীয় বন সংরক্ষক ডেন হাওর। আর সাথে সাথেই ইন্টারনেট দুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে ছবিটি।কমেন্টে একজন লিখেছেন, ‘আমার আগেই ধারণা ছিল সব ছত্রাক জাতীয় জিনিসই বাইরের দুনিয়া থেকে আসে। এটি তাই প্রমাণ করলো!’তবে দেশটির গণমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে, এটি আসলে কোনো এলিয়েনের ডিম নয়। এটি বিরল প্রজাতির এক ধরনের গাছ, যা যুক্তরাজ্যে দেখা না গেলেও অন্য দেশে দেখা যায়।ডিমটি ফুটে ব্চ্চা বের হওয়ার এক ভিডিওতে দেখা যায়, জেলির মতো দেখতে স্বচ্ছ একটি ডিমের মধ্য থেকে লাঠির মতো কয়েকটি শাখা প্রশাখা বেরিয়ে আসছে।যুক্তরাজ্যের কিউ রয়্যাল বোটানিক গার্ডেনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি মূলত এক ধরনের উদ্ভিদ। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে এগুলো দেখা যায়।

Sunday, December 20, 2015

গাছও হাঁটে!

ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের বন সুমাকো বায়োস্ফেয়ার রিজার্ভ। ইউনেস্কো ঘোষিত সংরক্ষিত এ বনটিকে বলা হয় ‘হার্ট অব দ্য ইউনেস্কো’।এই খানেই এক অদ্ভূত গাছের সন্ধান পেয়েছেন স্লোভাক ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস ব্রাতিস্লাভার জীবাশ্মবিদ পিটার ভ্রসাঙ্কসি। এক দিনে প্রায় ৩ ঘণ্টা গাড়িতে আর ১৫ ঘণ্টা নৌকায় চড়ে, পায়ে হেঁটে ও খচ্চরের গাড়িতে করে জঙ্গলের গভীরে প্রবেশ করে এগুলোর দেখা পান তিনি। এগুলো এক ধরনের পাম গাছ।এই বনের গাছগুলো জে আর আর টলকিনের মহাকাব্য ‘লর্ড অব দ্য রিংস স্যাগা’য় বর্ণিত গাছের মতো- সারা বন হেঁটে বেড়ায়! বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন ভ্রসাঙ্কসি। শুরুতেই তিনি পান অনাবিষ্কৃত ৩০ মিটারের একটি জলপ্রপাত, নতুন একটি টিকটিকি ও ব্যাঙের প্রজাতি।
তারই প্রথম নজের আসা জলপ্রপাত
গাছগুলোর শিঁকড় থেকে জন্ম নেয় নতুন গাছ। এভাবেই গাছে ছেয়ে যায় পুরো বন। আর এ কারণেই এই গাছগুলোকে বলা হয় হেঁটে চলা গাছ।ভ্রসাঙ্কসি জানান, মাটি ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে গাছগুলোর শিঁকড় থেকে জন্ম নেয় নতুন নতুন শিঁকড়। নতুন শিঁকড়গুলো মাটির প্রায় ২০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এবং সেগুলো থেকে জন্ম নেয় নতুন গাছ।তিনি বলেন, ‘ঠিকমতো সূর্যের আলো এবং উর্বর মাটি থাকলে একটি গাছ জন্ম নিতে সময় লাগে প্রায় দুই বছর।’ভ্রসঙ্কসি জানান, দুই মাসের এ বিপজ্জনক এ অভিযানে তিনি প্রায় ১৫০ প্রজাতির নতুন জীবের সন্ধান পান। তবে এজন্য তাকে ১০ কেজি ওজন হারাতে হয়েছে!

Saturday, December 19, 2015

বক্ষের বাইরে হৃৎস্পন্দন

৬ বছরের ভিরসাভিয়া বরুণ, সত্যিই মিরাকেল শিশু! তার পুরো জীবনটাই একটা বড় লড়াই। মেয়েটি জন্মেছে বুকের ও পেটের বাইরে হার্ট ও অন্ত্র নিয়ে। তার হৃৎস্পন্দন দেখা ও শোনা যায়, কারণ তা বুকের বাইরে, পেটের কাছে রয়েছে।রাশিয়ায় জন্মেছে, কিন্তু এখন মায়ের সঙ্গে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় চলে গিয়েছে ভিরসাভিয়া। জন্মের সময় থেকেই বিভিন্ন ধরণের শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে জন্মেছে সে। সমীক্ষা বলছে, লক্ষের মধ্যে মাত্র ৫.৫ শতাংশ শিশুই এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত।ভিরসাভিয়ার হৃৎস্পন্দন দেখা যায় কারণ পেটের কাছে একটা জায়গায় হৃদয়টি তার কাজ করে, যা একটা পাতলা চামড়ার আস্তরণে ঢাকা। চিকিত্সার জন্যেই সে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে। কারণ রাশিয়ার সমস্ত হাসপাতাল এই জটিল ধরণের রোগের জন্যে তার মাকে বারংবার ফিরিয়ে দিয়েছে। আপাতত দক্ষিণ ফ্লোরিডায় ইংরেজি শিখছে সে, যদিও শারীরিক অবস্থার জন্যে কোনও স্কুলে তাকে ভর্তি করা হয়নি। সেখানে এখন চিকিত্সা শুরু না হলেও, ছোট্ট মেয়েটি নাচ, গান, আঁকা নিয়ে মেতে রয়েছে। মা এবং মেয়ে আশা রাখে, সময়মতো তার সঠিক চিকিত্সাই হবে।

Monday, December 14, 2015

সাপ খেলার যাদুকর

সাপ নিয়ে সাপুড়েরা কত খেলাই না দেখায়! তারা দুই হাতে বীন বাজায় আর কোমর দুলায়। সঙ্গে ফনা তুলে নাচে তাদের পোষ মানা বিষধর সরীসৃপরা। এই তো সাপুড়েদের চিরায়ত কাজ কারবার। কিন্তু সাপুড়ে ইকবাল জগির কথা আলাদা। তিনি সাপ নিয়ে যে খেলা দেখান তা এককথায় অবিশ্বাস্য। অভিনব তো বটেই।
পাকিস্তানের বাসিন্দা ৩০ বছরের ইকবাল জগি কোনো সাধারণ সাপুড়ে নন। তিনি গত ১২ বছর ধরেই অদ্ভুত আর ভয়াবহ এক সাপের খেলা দেখিয়ে আসছেন। সম্প্রতি এক বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের জন্য নিজের সেই খেলাটি আবার দেখালেন। তিনি একটি জ্যান্ত বিষধর সাপ নিজের নাক দিয়ে ঢুকিয়ে দিলেন। খানিক পর মুখ দিয়ে বের করলেন দু ফুটের ওপর লম্বা সে সাপটিকে। ওই খেলা দেখতে দেখতে আতঙ্কে দর্শকদের গয়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। তারা ভাবে-‘হায় আল্লা, এরপর কি? সাপটি সত্যিই বের হবে তো, যদি না বের হয়! মানুষটাকে যদি কামড়ে দেয়।’ এই হল ইকবালের খেলার আসল সাসপেন্স।
ইকবালের বাড়ি পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচি সংলগ্ন এক গ্রামে। পাঁচ মেয়ে আর তিন ছেলে নিয়ে বিরাট সংসার। আয় বলতে সেই সাপের খেলা আর কৌশল যা ১২ বছর ধরে করে আসছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এই খেলায় তার আয় মাত্র ৫ পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৯২ টাকা। একজন মানুষের জীবনের দাম মাত্র ৫ পাউন্ড! অবাক হচ্ছেন? তাহলে ইকবাল কি বলে শুনুন। এ সম্পর্কে তার বক্তব্য,‘সাপুড়ে হিসেবে আমাকে আমার সম্প্রদায়ের লোকজন সম্মান করে। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এটি দেখাই। চাইলেই যে কোনো সাপুড়ের পক্ষে এটি করা সম্ভব নয়। গুরুজনের আশীর্বাদ আছে বলেই আমি এ ধরনের খেলা দেখাতে পারি।’
নিজের এই প্রতিভা নিয়ে এক ধরনের গর্ব বোধ করেন ইকবাল। তাই তো নিজের জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে প্রতিনিয়ত এই খেলা দেখান। আতঙ্কিত দর্শকরা যখন অধীর আগ্রহ নিয়ে সাপটি বেরিয়ে আসার প্রতীক্ষায় থাকে, তখন অদ্ভূত এক ভালোলাগায় আপ্লুত হন সাপুড়ে ইকবাল। উপভোগ করেন তার দর্শকদের চূড়ান্ত সাসপেন্স।
তবে সবসময় যে তিনি সফল হন তা বলা যায় না। একবার তো মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। কয়েক বছর আগের কথা। তিনি করাচির এক কলেজে খেলা দেখাচ্ছেন। এসময় বিষধর সাপটি তার মুখে কামড় দেয়। ফলে তিন দিন সংজ্ঞাহীন ছিলেন ইকবাল। ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছেন। কিন্তু হার মানার মানুষ নন সাপুড়ে ইকবাল। এখনো তিনি ভয়াবহ ওই খেলাটি দেখিয়ে চলেছেন। এ সম্পর্কে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি,‘জানি, এটি আমার জীবন কেড়ে নিতে পারে। কিন্তু কি করব বলুন, আমি যে যে আর কোনো কাজ জানিনা। পেট চালানো জন্য এ কাজই করতে হচ্ছে আমাকে।’
তবে এই খেলা দেখানোর আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থণা করেনে ইকবাল। সাপটি যেন তাকে না কামড়ায়। পরের দিন নতুন খেলা দেখানোর আগ পর্যন্ত যাতে তিনি বেঁচে থাকতে পারেন।

Tuesday, December 8, 2015

চীনের হাইব্রিড বাড়িই এখন পর্যটকদের কাছে সেরা আকর্ষণ

 চীনে বিশ্বের নানান দেশের অনেক ঐতিহাসিক স্থাপত্যই হুবহু অনুকরণ করে তৈরি করা হয়েছে। মিশরের পিরামিড থেকে অস্ট্রিয়ান আলপাইন কিংবা ইতালির ভেনিস, সব ধরণের অনুকরন স্থাপত্য রয়েছে চিনে। তবে, এবার চিনে তৈরি হয়েছে এক অবাক করা বাড়ি। দুটো বাড়ি অর্ধেক-অর্ধেক করে মিলিয়ে তৈরি হয়েছে এই বাড়িটি।
বাড়িটির নাম ওয়াশিংটন হাইব্রিড। এটি রয়েছে চিনের উত্তরে শি জিয়াঝুয়াং প্রদেশে। এই বাড়িটির একটি অংশ তৈরি হয়েছে চিনের বিখ্যাত টেম্পল অফ হেভেনের আদলে। আর অন্য অংশটি তৈরি হয়েছে ওয়াশিংটন স্টেট ক্যাপিটল বা কংগ্রেস ভবনের আদলে। ভবনটি বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে, দুই বাড়ির দুটি টুকরো এনে একসঙ্গে জোড়া দেওয়া হয়েছে।এই বাড়িটি মোট ৪ তলা উচুঁ, আর বাড়িটিই এখন চিনের পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।এক-একজন একেক রকমের ব্যাখ্যা করছে বাড়িটিকে নিয়ে। কেউ বলছেন, এটা আমেরিকা আর চিনের বন্ধুত্বের প্রতীক। কেউ বা বলছেন, এটা দুই ইঞ্জিনিয়ারের ঝগড়ার প্রতীক। আসলে যাই হোক, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন এই বাড়িটাই।

Monday, December 7, 2015

অজ্ঞতায় বিশ্বে প্রথম মেক্সিকো, দ্বিতীয় ভারত

অজ্ঞতার বিচারে বিশ্বে দুই নম্বর স্থান অর্জন করল ভারত। সম্প্রতি এক ব্রিটিশ সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য। সমীক্ষার তথ্যানুযায়ী মেক্সিকোর পর ভারতই বিশ্বের দ্বিতীয় অজ্ঞতম রাষ্ট্র।বিশ্বের ৩৩টি দেশের মোট ২৫,০০০ নাগরিকের উপর সমীক্ষা চালায় লন্ডনের মার্কেট রিসার্চ সংস্থা ইপসস মোরি। অসাম্য, ধর্মহীন জনসংখ্যা, নারীর কর্মসংস্থান ও ইন্টারনেট লভ্যতা- গবেষণায় মোট এই ৪টি বিষয়ের উপর প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। দেখা গেছে, বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ উদ্বেগজনক বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তা করে থাকেন অথচ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কম মাথা ঘামান।সমীক্ষা জানাচ্ছে, 'মেক্সিকো ও ভারত বিশ্বের অজ্ঞতম দেশের তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে, কারণ প্রধান চারটি বিষয় সম্পর্কে এই দুই দেশের মানুষের ধারণা সবচেয়ে কম। অন্য দিকে, বিচক্ষণতম রাষ্ট্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং তার পরই রয়েছে আয়ারল্যান্ড। এই দুই দেশের নাগরিকদের ওই চার বিষয়ে ধারণা স্পষ্ট ও সঠিক।'
জানা গেছে, রাষ্ট্রের অজ্ঞতা মাপার জন্য সাহায্য নেওয়া হয়েছে 'অজ্ঞতার সূচকের'। সমাজের সবচেয়ে বিত্তবানদের সম্পত্তির খোঁজখবর, মেদবহুলতা, ধর্মের সঙ্গে জনজাতির সম্পর্কহীনতা, অভিবাসন, বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস, নারীর কর্মসংস্থান, গ্রাম্য জীবনযাপন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার- এমনই কয়েকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়।সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিষয়গুলি নিয়ে বেশিরভাগ ভারতবাসীরই ধারণা অস্পষ্ট। যেমন, সমাজের বিত্তবানদের হাতে কী পরিমাণ রাষ্ট্রীয় ধন জমা আছে সেই সম্পর্কে অধিকাংশ ভারতবাসীর কোনও ধারণা নেই। সমীক্ষা অনুসারে, ভারতের মোট ধনসম্পদের ৭০ শতাংশ বিত্তবানদের কুক্ষিগত থাকলেও ভারতের জনসাধারণ তা জানেনই না। তেমনই, দেশে ধর্মহীন নাগরিক তাঁদের মতে মোট জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশ দখল করলেও আসলে তা মাত্র ১ শতাংশ।
সমীক্ষার রিপোর্ট জানাচ্ছে, নারীর কর্সসংস্থান সম্পর্কে সবচেয়ে অজ্ঞানতায় ভুগছে ইসরায়েল। আম ইসরায়েলবাসীর ধারণা সে দেশের ২৯ শতাংশ নারী রোজগার করেন। তবে বাস্তব সংখ্যা এর অনেক বেশি। আবার ভারত, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চিলির মানুষ বাস্তবের চেয়ে নারী কর্মসংস্থানের হার ঢের বেশি বলে মনে করেন। পাশাপাশি, দেশের রাজনৈতিক পটচিত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার অনেক বেশি বলে ধারণা ভারতীয়দের। একই ধারণার বশবর্তী কলাম্বিয়া, রাশিয়া ও ব্রাজিল। বাস্তব চিত্রটি কিন্তু একেবারেই ভিন্ন।তবে একটি বিষয় সমীক্ষায় স্পষ্ট এবং তা হল, দেশের গ্রামীণ মানুষ সম্পর্কে বেশির ভাগ ভারতীয়র অত্যন্ত নীচু ধারণা রয়েছে। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ভারতবাসীর চোখে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মানুষের সংখ্যা বাস্তবের চেয়ে অনেক বেশি। অনলাইন ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা যেখানে ৪১%, জনসাধারণের ধারণায় সেই সংখ্যা অন্তত ৬০%।

এয়ার ফ্রেসনার খেয়ে নেশা করেন নারী!

নেশা, না রোগ! এক নারী জলের বদলে স্প্রে খেয়ে থাকেন। আর ওই স্প্রে ঘর ফ্রেস রাখার এয়ার ফ্রেসনার। সংবাদমাধ্যম টুডে বলছে, দুই সন্তানের জননী ২৭ বছরের ইভলিন জানিয়েছেন, স্প্রে খেতে না পেলে তার বেঁচে থাকাটা দুঃসহ হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ইভলিন সপ্তাহে ২০ ক্যান ফ্রেসনার স্প্রে খেয়ে ফেলেন।বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ঘরকে সুগন্ধে ভরপুর করতে যে স্প্রে ব্যবহার করা হয়, তাতে অনেক বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে। যা খেলে অবধারিত ক্ষতির সম্ভাবনা।কিন্তু ইভলিনের নেশা এমনই মারাত্মক যে তিনি দিনে অনন্ত তিনবার স্প্রে খেয়ে থাকেন। কখনও কখনও সরাসরি মুখেই স্প্রে করে খেয়ে নেন। আবার কখনও কাপে বরফ ঢেলে স্প্রে করে খেয়ে নেন। চিকিত্সকরা বহুবারই সতর্ক করে জানিয়েছেন যে, তার এই অভ্যেস প্রাণঘাতী হতে পারে। কিন্তু ওই সতর্কবাণীকে উপেক্ষা করেই নেশায় মশগুল ইভলিন।মাই স্ট্রেঞ্জ অ্যাডিকশন নামে এক টেলিভিশন শো-তে ইভলিন তার এই নেশার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, একবার ভুল করে এয়ার ফ্রেসনার তিনি চেখে ফেলেন। ব্যস, তারপরই নেশায় জড়িয়ে পড়েন। মা মারা যাওয়ার পর নেশা তাকে পেয়ে বসে। ইভলিন গৃহবধূ নন। তিনি একটি আসবাবপত্র বিক্রয় কেন্দ্রের সেলস ম্যানেজার। তিনি তার পার্সে সবসময়ই স্প্রে রাখেন।

Wednesday, December 2, 2015

যুদ্ধের চিঠি, ডেলিভারি হলো ৭০ বছর পর!

সত্তর বছরেরও বেশি সময় পর যুদ্ধের সময় লেখা ৯টি চিঠি পাঠানো হলো প্রাপকের ঠিকানায়। লন্ডনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ চিঠিগুলো লেখা হয়েছিল। কিন্তু এতদিন তা প্রাপকের কাছে পাঠানো হয়নি।চিঠিগুলো লেখেছিলেন লরেন্স প্রাইস এবং তার ভাই। ফেডারেশন জংশনে বসে এগুলো দুই সৈন্য লিখেছিলেন মা ও নানীর কাছে। কিন্তু তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকতেন বলে কখনো তাদের কাছে পৌঁছেনি। কয়েক বছর আগে বোস্টনের এক নিলাম হাউজে বিক্রি হয় এগুলো।মিউরিয়েল ম্যাকেঞ্জি নামে এক নারীর কাছে সংরক্ষিত ছিল চিঠিগুলো। এগুলো প্রেরকের কাছে পাঠাতেও চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের খুঁজে পাওয়ার আগেই তার মৃত্যু ঘটে। তবে মারা যাওয়ার আগে মিউরিয়েল তার বোন ফার্ন জর্ডানকে বলে যান প্রাপকের খোঁজ চালিয়ে যাওয়ার কথা। তাও আট বছর আগের ঘটনা।
জর্ডান জানান, চিঠিগুলো নিয়ে আমি প্রাপকেরর খোঁজ চালিয়ে যেতে থাকি। কিন্তু এ সব চিঠির প্রেরক আদৌ বেঁচে আছেন কিনা তা আমি জানি না। চিঠিগুলো পড়েছি। এগুলো এডওয়ার্ড ডি. প্রাইসের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে। এগুলো মা এবং নানীর কাছে লেখা হয়েছিল।
চিঠিগুলোতে যুদ্ধ বিষয়ে তেমন তথ্য দেওয়া নেই। সম্ভবত এ সম্পর্কে লেখার অনুমতি ছিল না। বরং বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে লেখা ছিল, বলেন জর্ডান। জর্ডান আরো জানান, ফিনফিনে পাতলা কাগজে লেখা হয়েছে। দারুণ ছিল চিঠির ভাষা। মায়ের কাছে লেখা চিঠি অনেক অর্থপূর্ণ ছিল।জর্ডান শেষ পর্যন্ত চিঠির মালিক খুঁজে বের করতে নাতনী  নাতাশা ক্রেইগের সহায়তা নিয়েছেন। একটি হাতে লেখা নোটে তিনি প্রাপককে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়ে যান নাতাশাকে।অবশেষে সমস্যার সমাধান দেয় ফেসবুক। নাতাশা প্রাপকের খোঁজ করেন অনলাইনে এবং ফেসবুকে, জানান নাতাশা। ফেসবুকে এ সংক্রান্ত পোস্ট দিলে দারুণ সাড়া পড়ে যায়। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কয়েক হাজার শেয়ার হয়। অনেচা মানুষও এগুলো শেয়ার করেছেন। ফেসবুকের মাধ্যমে যাদের নজরে পড়ে পোস্টটি, তাদেরই একজন শেন কেলি। তিনিই সেই প্রাইসের ছেলের সন্ধান দেন।পরে কেলি জানান, স্রেফ অনলাইনে সার্চ দিয়েছি এবং সহজেই বের করতে পারি। পরে কেলি এবং ক্রেইগ অবশেষে জন এবং চার্লি প্রাইসের দেখা পান। এরা সেই প্রাইসের ছেলে। আজ থেকে ৭০ বছর আগে লেখা চিঠিগুলো এতদিন পর পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা সম্ভব হলো।প্রাপকের বংশধর চার্লি প্রাইস জানান, এগুলো হাতে পাওয়া পরম সৌভাগ্যের বিষয়। ভিন্ন সময় এবং পরিস্থিতি থেকে আসা চিঠি এগুলো। আমার বাবার চিঠি। কিন্তু চিঠিগুলো বোস্টন নিলামে কিভাবে গেলো, সে সম্পর্কে চার্লির কোনো ধারণাই নেই।

১১ বছরের মেয়ে জন্ম দিল নিজের মায়ের সন্তান

হালের হিন্দি কিংবা বাংলা, প্রায় সব ভাষারই নতুন ছবিতে এই ধরনের একটা দৃশ্য দেখানো ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। যেখানে অনভিজ্ঞ তরুণ নায়ক দিব্যি নিজের হাতের কাছে থাকা যন্ত্রপাতি দিয়ে বাচ্চা প্রসব করিয়ে দিচ্ছেন। সে রাজকুমার হিরানির থ্রি ইডিয়টসই হোক অথবা রাজ চক্রবর্তীর দুই পৃথিবী। গল্প একই।এবার ওরকম গল্প নয়। একেবারে বাস্তবেই এমন কাণ্ড করে দেখালো এক ১১ বছরের মেয়ে! যে কিনা কোনওদিন স্কুলেই যায়নি! সেই জন্ম দিল শিশুর! তাও সেই শিশুটি কিনা তারই বোন! অর্থাত্‍ মায়ের সন্তানের জন্ম দিল সে!ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যামের ১১ বছরের মেয়ের নাম কেইটলিন। তারা ৫ ভাই-বোন। এবং সেই সবথেকে বড়। তার মায়ের নাম টারা নাইটলে। কেইটলিন নিজে হাতে তার বোনের জন্ম দেওয়ার পর দিব্যি তার মাকে দেখায় এবং বলে, 'মা তোমার মেয়ে আর আমার বোন হয়েছে।'
এমন একটা দুর্দান্ত ঘটনার সাক্ষী থাকতে পেরে এবং নিজে হাতে এই ঘটনা ঘটিয়ে উত্তেজিত কেইটলিন বলেছেন, 'মায়ের যখন প্রসববেদনা উঠেছিল, তখন ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আসলে এমন অভিজ্ঞতা তো কখনও ছিল না, তাই। কিন্তু বোন মানে, এলসা মনেটের জন্মের পর খুব খুশি হয়েছিলাম।'কিন্তু কেইটলিনকে এমনটা করতেই বা হল কেন? কারণ, তার মায়ের প্রসব বেদনা ওঠার পর, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও সময় পাওয়া যায়নি। সেই সময়, তাকে ওপাশ থেকে ফোনে নির্দেশ দিতে থাকেন ডাক্তাররা। আর সেই অনুযায়ী নির্দেশ পালন করে নিজের মায়ের সন্তানের জন্ম দিয়ে দিল ১১ বছরের একটি মেয়ে! সত্যি, এ যে রাজকুমার হিরানি কিংবা রাজ চক্রবর্তীদের ছবিকেও বলে বলে হার মানায়।

Tuesday, December 1, 2015

‘সমকামিতার অপরাধে’ সৌদি আরবে ঘোড়ার মৃত্যুদণ্ড!

সৌদি আরবে ‘সমকামিতার অপরাধে’ একটি ঘোড়াকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার আরব বিশ্বের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ এই খবর জানায়। দৌড়ের জন্য বিখ্যাত এই ঘোড়াটির বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৯৩ কোটি টাকা (১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।আদালতের সূত্রে পত্রিকাটি জানায়, চার বছর বয়সী এই ঘোড়াটির নাম আল-হাদিয়ে। আরবি এই নামটির অর্থ ‘উপহার’। এর মালিক ছিলেন সৌদি যুবরাজ আলওয়ালাদ-বিন-তালাল। দৌড়ের জন্য বিখ্যাত এই ঘোড়াটি চলতি ঘোড়দৌড়ের বছরেই প্রায় ৪২ কোটি টাকা (ছয় মিলিয়ন ডলার) আয় করেছিল। এটি সৌদি আরবের জাতীয় ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতা ও কাতারের ‘অ্যারাবিয়ান হর্স শো’-তেও অংশ নিয়েছিল।
গত সপ্তাহে পুরুষ এই ঘোড়াটিকে আরেকটি ঘোড়ার সঙ্গে সঙ্গম করতে দেখে পরিচর্যাকারী। এরপরই সে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এর পর থেকে ঘোড়াটিকে আলাদা করে রাখা হয়। এবং সমকামিতা আইনে ঘোড়াটির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।গত শুক্রবার ঘোড়াটির মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর একই দিন তা কার্যকর করা হয়। আরব বিশ্বের আরেক সংবাদমাধ্যম আরব ওয়ার্ল্ড ডটকম রায় স্বাক্ষরের একটি ছবি প্রকাশ করে বলেছে, দেশটির সরকারি টেলিভিশনে ঘোড়াটির মৃত্যুদণ্ডের আদেশের বিষয়টি প্রচার করা হয়। যাতে জনগণ বুঝতে পারে সমকামিতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্র কতটা কড়া। এমনকি কোনো প্রাণীকেও এই অপরাধে ছাড় দেওয়া হয় না!
সৌদি আরবের ধর্মীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ ও ‘সদগুণের বিস্তার এবং অনৈতিকতা প্রতিরোধ কমিটির’ প্রধান শাইখ আবদুর রহমান আল আলসানাদ বলেন, ‘সমকামিতা একটি মারাত্মক রোগ, যার সম্পর্কে বিজ্ঞান খুবই কম জানে। আমাদের পবিত্র এই ভূমিকে সম্ভাব্য সকল উপায়ে এই ক্ষতিরোগ থেকে দূরে রাখা হবে। শুধু মানুষ নয়, সকল প্রাণীকেও এই ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে মুক্ত রাখতে সব ধরনের কঠোরতার অনুমতি আইনে দেওয়া আছে।’আবদুর রহমান আল আলসানাদ আরো বলেন, ‘আমাদের বিদেশি বন্ধুরা হয়তো প্রাণী অধিকার নিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু প্রাণী অধিকারের নামেও আমরা সমকামী প্রাণীকে এই পবিত্র ভূমিতে স্থান দিতে পারি না। সৌদি আরবের কোনো শাসক কোনোদিনও এর অনুমতি দেয়নি। আমাদের জনগণও ভয়াবহ এই অসুস্থতার বিষয়ে সচেতন আছেন।’

Monday, November 30, 2015

দুর্ভাগ্যজনক বিমান দুর্ঘটনা

ফের দুর্ঘটনার কবলে রাশিয়ার বিমান। শনিবার সকালেই ২২৪ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে রাশিয়ান বিমান 7k9268। রাশিয়ার শর্ম ইল-শিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা দেওয়ার ২৩ মিনিটের মধ্যেই মধ্য সিনাইয়ে ভেঙে পড়ে এটি। তারপর কয়েকঘণ্টা পর জানা যায়, ওই বিমানের কর্মী সহ সমস্ত যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গত ৩৮ বছরে যতগুলি বড় বড় দুর্ভাগ্যজনক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে এটিও স্থান করে নিল। গত ৩৮ বছরের ইতিহাসে যে দুর্ভাগ্যজনক বিমান দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে, সেগুলি পরপর নিচে উল্লেখ করা হল:
১. ১৯৭৭: তিনেরিফের রানওয়েতে ৭৪৭-এর দুটি বোয়িংয়ের সংঘর্ষে ৫৮৩ মানুষের মৃত্যু হয়।
২. ১৯৮৫: যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে মাউন্ট ওসুতাকায় ভেঙে পয়ে জাপান এয়ার লাইন্সের ৭৪৭ বোয়িংয়ের একটি বিমান। মৃত্যু হয় ওই বিমানের ৫২০ যাত্রীর।
৩. ১৯৯১: তীর্থযাত্রীদের নিয়ে মক্কা যাওয়ার পথে আগুন লেগে যায় নাইজেরিয়া এয়ারওয়েজের জাতীয় বিমান ডিসি-৮-৬১-এ। মৃত্যু হয় ২৬১ মানুষের।
৪. ১৯৯৪: পাইলটের ভুলের জন্য জাপানের নাগোয়া বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চিন এয়ারলাইন্সের এ৩০০ এয়ারবাস, মৃত্যু হয় ২৬৪ জনের।
৫. ১৯৯৬: ভারতের আকাশে সৌদি আরবের বোয়িং ৭৪৭-এর সঙ্গে সোভিয়েত যুগের লিয়ুশিন-৭৬ বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়।
৬. ১৯৯৭: দক্ষিণ কোরিয়ার ৮০১ বিমান এবং ৭৪৭ বোয়িং জঙ্গলের মধ্যে ভেঙে পড়ে। ২২৮ জনের মৃত্যু হয় এবং গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান ২৬ জন।
৭. ১৯৯৮: জেনিভা, সুইজারল্যান্ডগামী একটি বিমান নিউ ইয়র্কের কেনেডি বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে কানাডার নোভা স্কোটিয়া বন্দরের কাছে ভেঙে পড়ে, ২২৯ জনের মৃত্যু হয়।
৮. ২০০১: নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার পরই ওই শহরের মধ্যে ভেঙে পড়ে এয়ারবাস এ৩০০, মৃত্যু হয় ২৬৫ জনের।
৯. ২০০৯: ২২৮ জন যাত্রী নিয়ে প্যারিসগামী ফ্রান্সের বোয়িং ৪৪৭ আটলান্টিক মহাসাগরের কাছে নিখোঁজ হয়ে যায়। এই বিমানটি ভেঙে পড়েছে এবং বিমানের সমস্ত যাত্রী মারা গিয়েছেন বলে দুর্ঘটনার দু’বছর পর ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন।
১০. ২০১৪: ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার বিমান এমএইচ৩৭।

Sunday, November 29, 2015

সুন্দরী প্রতিযোগিতা কারাগারে

সব জায়গায় প্রতিযোগিতা আছে। কারাগার বাদ থাকবে কেন। তাই বুঝি ঘটা করে আয়োজিত হয়ে গেল ‘কারা সুন্দরী ২০১৬।’সম্প্রতি এমনই উদ্যোগ নিয়েছিল ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরা শহরের জেল কর্তৃপক্ষ। ২৬ নভেম্বর আয়োজিত হয় এর চূড়ান্ত পর্ব। সেখানে নারী বন্দিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিযোগিতার নাম দেয়া হয়েছিল ‘মিস তালাভিরা ব্রুস ২০১৬’।বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত পর্বে ৯জন সুন্দরীকে পেছনে ফেলে সেরার মুকুট জেতেন মিসেল নিরি রেঙ্গল। একটি ডাকাতি মামলায় ৩৯ বছরের কারাদ- পান মিসেল। মিসেলের বয়স ২৭।
জয়ী হওয়ার পর মিসেল মিডিয়াকে বলেন, প্রতিযোগিতাটি আমার কাছে সম্মানের। এখন নিজেকে একজন পরিপূর্ণ নারী মনে হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমি শিখতে পেরেছি কিভাবে জেলে থেকেও নিজেকে একজন নারী হিসেবে উপলব্ধি করা যায়।জানা গেছে, ব্যতিক্রমী এই সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রতিযোগীদের মেকআপ থেকে শুরু করে পোশাক নির্বাচন, হেয়ার স্টাইলের মতো কাজগুলো করেছে কারাগারের স্বেচ্ছাসেবকরাই। প্রতিযোগিতার সময় উপস্থিত ছিলেন তাদের পরিবারের লোকজন ও দশ জন বিচারক। এছাড়া প্রতিযোগিতার বড় আকর্ষণ ছিলেন ব্রাজিলিয়ান মডেল ও অভিনেত্রী ক্যারল নাকামুরা। প্রতিযোগিতা উপলক্ষে কারাগারটিতে নেওয়া হয়েছিল নজিরবিহীন নিরাপত্তা। যাতে এর ফাঁক গলে এসব দাগী আসামিদের কেউ পালিয়ে যেতে না পারেন।

Saturday, November 28, 2015

তিনটি পৃথিবীর মাপের গ্রহ, পুরোটাই হিরের!

হিরে। শুধুই হিরে। তাল তাল হিরে। যেন হিরের পাহাড়! হিরের সমুদ্র! শুধুই হিরে ভরা আছে তার অন্তরে-অন্দরে। তার ‘সারফেস’ বা পিঠেও মুঠো মুঠো হিরে। এত বড় হিরের খনির হদিশ এর আগে মেলেনি মহাকাশে! আলো ঠিক বেরচ্ছে। যেন কয়েক লক্ষ কোটি মেগাওয়াটের আলো! যার জাঁক-জৌলুস ছিঁড়েফুড়ে দিচ্ছে মহাকাশের অতল অন্ধকার!
হাত বাড়ালেই সেই হিরের খনি। আমাদের থেকে মাত্র ৪০ আলোকবর্ষ (এক সেকেন্ডে এক লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল গতিবেগে আলো এক বছরে যতটা দূরত্ব যায়, ততটা) দূরে। বলা যায়, আমাদের সৌরমণ্ডলের ‘পাশের বাড়ির বন্ধু’!
চমকে যাবেন না! তিন-তিনটি পৃথিবীকে পাশাপাশি রাখলে, তা যতটা জায়গাজুড়ে থাকে, ততটা জায়গাজুড়ে রয়েছে ওই হিরের খনি। রাতের আকাশে যাকে আমরা ছাদে উঠে খালি চোখেই দেখতে পারি। ‘ক্যান্সার’ নক্ষত্রপুঞ্জে। যে চক্কর মারছে ‘55Cancri’ নামে একটা অসম্ভব রকমের গরম তারা বা নক্ষত্রের চারপাশে। সেটাই তার ‘সূর্য’। সেই ‘সূর্য’কে চক্কর মারছে পাঁচটি গ্রহ। ‘Cancri-a’ থেকে ‘Cancri-e’। আমরা যে হিরের খনির কথা বলছি, সেই ‘Cancri-e’ গ্রহটি ওই ‘সৌরমণ্ডলে’র বাকি চারটি গ্রহের থেকে একেবারেই আলাদা। একেবারে ঝকঝকে হিরেয় মোড়া, প্রায় আদ্যোপান্তই!
২০১১-য় এই ‘হিরের গ্রহটি প্রথম যাঁর নজরে পড়েছিল, তিনি একজন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিক্কু মধুসূদন। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-পদার্থবিদ কানানি লির সঙ্গে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমির অধ্যাপক নিক্কু মধুসূদনের সেই যৌথ গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় ‘অ্যাস্টোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স’-এ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী মধুসূদন তাঁর ব্লগে জানিয়েছেন, আমাদের সৌরমণ্ডলের বাইরে থাকা ওই ‘সুপার আর্থ’ গ্রহের এক-তৃতীয়াংশই হিরেয় মোড়া। তার পিঠটাও মোড়া রয়েছে হিরে আর গ্রাফাইটে। সেই গ্রাফাইট, যা দিয়ে বানানো হয় পেন্সিলের শিস। তিনটি পৃথিবীর ওজন যোগ করলে যা হয়, ততটাই। মানে, ১৭.৯১৬-এর পর ২৭টা শূন্য বসালে যে সংখ্যাটা দাঁড়ায়, তত কিলোগ্রাম! এখন আমাদের এই গ্রহে এক ক্যারাট বা ০.২ গ্রাম ওজনের হিরের দাম কয়েক হাজার মার্কিন ডলার। তা হলে বুঝুন, আমাদের প্রায় নাগালেই থাকা ওই গ্রহের দাম কত হতে পারে!
এ ব্যাপারে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের এই অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জোতির্বিজ্ঞানী সুজন সেনগুপ্ত জানাচ্ছেন, ‘এই সদ্য আবিষ্কৃত ‘Cancri-e’ গ্রহটি একটি পাথুরে গ্রহ। পৃথিবীর মতো পাথুরে গ্রহগুলিতে অক্সিজেন অণুর পরিমাণ কার্বন অণুর দ্বিগুণ। তাই ভূপৃষ্ঠে অক্সিজেনের যৌগ পানি, কার্বন ডাই-অক্সাইড আর সিলিকেট অক্সাইড পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। মঙ্গলও অনেকটা সে রকমই। আসলে আমাদের সৌরমণ্ডলে যে মেঘ থেকে বিভিন্ন গ্রহের জন্ম হয়েছিল, তাতে কার্বনের চেয়ে অক্সিজেন অণুর পরিমাণ ছিল অনেক বেশি।
কিন্তু, পরিস্থিতিটা যদি উল্টো হয়, যদি অন্য কোনও ‘সৌরমণ্ডলে’ কার্বনের পরিমাণ বেশি হয়ে যায় অক্সিজেনের চেয়ে কোনও তারা বা তার গ্রহে, তা হলে সেই ‘সূর্য’কে বলা হয় ‘কার্বন স্টার’। আর তার চার পাশে যে গ্রহগুলি চক্কর মারে, তাদের বলা হয় ‘কার্বন প্ল্যানেট’। প্রচণ্ড তাপ আর চাপে ওই কার্বন পরমাণুগুলিই হিরের কেলাস তৈরি করে। সেই ভাবেই গড়ে ওঠে ‘হিরের গ্রহ’ বা ‘ডায়মণ্ড প্ল্যানেট’। তাপ ও চাপ অত্যন্ত বেশি বলে আমাদের পৃথিবীরও পিঠের ১৫০/২০০ কিলোমিটার নীচে হিরে জন্মায়। অগ্ন্যুৎপাতে নীচ থেকে সেই হিরে আমাদের ভূপৃষ্ঠের ওপরে উঠে আসে। এটাই আমাদের প্রাকৃতিক হিরে। কিন্তু তাপ ও চাপ দুটিই পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি বলে হিরের গ্রহ ‘Cancri-e’তে হিরের উজ্জ্বলতা অনেক বেশি। কাঠিন্যও বেশি। তিনি আরো জানাচ্ছেন, আরও অনেক হিরের গ্রহ রয়েছে। আর তা হয়তো রয়েছে অন্য কোনও সৌরমণ্ডলের ‘হ্যাবিটেব্ল জোন’ বা বাসযোগ্য এলাকায়।

বাজারে পাওয়া যায় বিয়ের জন্য পছন্দের পাত্রী

বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছেন? এবার নিজেদের পছন্দমতো বাজার থেকেই নিয়ে আসতে পারবেন পাত্রী। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও সত্যি। তবে এই বাজার বাংলাদেশে বসে না। আপনাকে বাজার থেকে বিয়ের পাত্র্রী আনতে হলে যেতে হবে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বুলগেরিয়ায়। যেখানে খোলা হাটে বিক্রি হয় বিয়ের পাত্রী। বুলগেরিয়ায় এ রীতি চালু রয়েছে।
 
ইউরোপের সমৃদ্ধিশালী দেশ বুলগেরিয়ায় স্টারা জোগরা শহরের একটি উন্মুক্ত মার্কেটের সামনে এ বাজার বসে। বুলগেরিয়ায় হতদরিদ্র রোমা কালাইঝি যাযাবর সম্প্রদায় ছেলেমেয়ে বিয়ে দিতে কনে বাজারের আয়োজন করেন। বছরে ৪ বার এই আয়োজন থাকে। তবে পছন্দ অনুযায়ী সম্ভাব্য পাত্রী পেতে ছেলের বাবা-মাকে গুণতে হয় মেয়ের বাবা-মার চাওয়া নির্দিষ্ট টাকা।রোমা সম্প্রদায় একটি যাযাবর ধর্মপ্রাণ অর্থোডক্স খ্রিস্টান সম্প্রদায়। রক্ষণশীল সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীরা এই সুযোগে একে অন্যকে ধরে নাচেন, গান গায় ও নানা ফুর্তিতে মেতে ওঠেন। ছবিতে পোজ, এমনকি হালকা পানীয়ও পান করেন তারা। তাম্রলিপির যুগ থেকে ঐতিহ্যগতভাবে এভাবেই ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়ে আসছেন বুলগেরিয়ার প্রাচীন রোমা সম্প্রদায়ের পরিবাররা।

Thursday, November 26, 2015

প্রথম পরিবেশবান্ধব শহর

পরিবেশবান্ধব শহর বলতে যা বোঝায় সবই আছে এ শহরে। শহর না বরে অবশ্য বলা যায় শহুরে বন। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। বাড়িগুলোও গাছে ঢাকা। বনের মধ্যে একটা শহর। সেখানে বিদ্যুতসহ কমতি নেই প্রয়োজনীয় কোনো কোনোকিছুরই।একজন ডাচ স্থপতি তৈরি করেছেন বিশ্বের প্রথম শতভাগ পরিবেশবান্ধব শহর। তবে আমরা যেসব শহরে থেকে অভ্যস্ত এটি মোটেও তেমন কোনো শহর নয়।
স্থপতি রেইমন্ড ডি হালুর ডিজাইন করা ভবিষ্যতের এ শহরে মান‍ুষ বসবাস করবে ব্যবহার্য কাঠ থেকে তৈরি ট্রি-স্ক্রিপারে। সুরক্ষা ও শক্তি সংরক্ষণের জন্য যা ঢাকা থাকবে সবুজ পাতা দিয়ে।ওয়েসিস ফাউন্ডেশনের ডিজাইন অনুযায়ী চারতলা বিশিষ্ট এ ভবনগুলোতে থাকবে সৌর প্যানেল। বাড়িগুলোতে শোভা পাবে সাধারণের তুলনায় তিনগুণ বেশি চাকচিক্যময় বড় জানালা, কাচের হল ও ফ্রেঞ্চ বারান্দা।
ওয়েসিস জানায়, শতভাগ সবুজে বসবাসের জন্য শুধু স্থাপত্য স্তরই নয়, বরং শহুরে স্তরেরও প্রয়োজন। যা কাঙ্ক্ষিত ও সাশ্রয়ী।রেইমন্ড জানান, ট্রি হাউসগুলো এমন হবে যাতে আধুনিক বিলাসিতা ও সবুজের সমন্বয় ঘটবে। এই ধারণাটি সার্বজনীন। একইসঙ্গে শহর ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য- উভয়ের জন্যই গ্রহণযোগ্য।রেইমন্ড হল্যান্ডের গ্রামে বেড়ে উঠেছেন। অধিকাংশ সময়ই সমুদ্র সৈকত নিকটবর্তী বনে সময় কাটিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, বনে ঘুরে বেড়ানোর জন্যই আমি প্রকৃতি ভালোবাসি। আর যখন আমার বাবা একটি বাড়ি বানালো, তখন আমি স্থাপত্যবিদ্যার প্রেমে পড়ে যাই।তিনি আরও জানান, প্রকৃতি ও স্থাপত্যবিদ্যা উভয়ই আমাকে মুগ্ধ করে।

Wednesday, November 25, 2015

১১০ বছর বয়সে ছেলে সন্তানের বাবা

চিকিৎসাবিজ্ঞানে অনেকটা বিস্ময় সৃষ্টি করে ১১০ বছর বয়সে ফুটফুটে একটি পুত্রসন্তানের জনক হয়ে সবাইকে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মৌলভি আবুল ওয়ালা খান।১০০ বছরেরও বেশি বয়স পার করায় এখন খুব ভালো চোখেও দেখতে পাননা তিনি। তবে তার এই বয়সে পুত্র সন্তানের বাবা হতে পেরে তিনি বেজায় খুশি তা তাকে দেখেই বোঝা গিয়েছে। নিজের পুত্রসন্তানের জন্মের খবর শোনা মাত্র আর এক মুহূর্ত দেরি করেননি ছুটে চলে এসেছেন হাসপাতেলে তার ফুটফুটে ছেলে সন্তানটিকে দেখতে। এ সময় সিএনজি থেকে হেঁটে হাসপাতালে প্রবেশ করতে অন্যের সাহায্য নিতে দেখা গেছে বৃদ্ধ আবুল ওয়ালাকে।

অপরদিকে এই বয়সে ছেলে সন্তানের বাবা হয়ে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করা খবরটি শুনে হাসপাতালে এসে বাচ্চাটিকে এক নজর দেখতে ভির জমাতে শুরু করে তার গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের শত শত মানুষ।নিজের সঠিক জন্মতারিখ এবং প্রকৃত বয়স জানাতে না পারলেও আবুল ওয়ালা জানিয়েছেন, তার শত বছর বয়স পেরিয়েছে আরো ১০ বছর আগেই। সেই হিসেবে তার বর্তমান বয়স ১১০ বছর।আবুল ওয়ালার প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন ৩৫ বছর আগে, তার বয়স যখন ৭৫ বছর। এরপর দীর্ঘদিন সন্তানসন্ততি আর নাতিপুতি নিয়ে থাকলেও আট বছর আগে মৌলভি আবুল ওয়ালা দ্বিতীয় বিয়ে করেন নূরনাহার বেগমকে। ওই সময় তার স্ত্রীর বয়স ছিল ২৭ বছর। বর্তমানে নূরনাহার বেগমের বয়স ৩৫ বছর।

১১০ বছরের আবুল ওয়ালা আর ৩৫ বছরের নূরনাহার দম্পতির সংসারে রোববার রাতে সন্দ্বীপ মেডিক্যাল সেন্টারে জন্ম হয়েছে ফুটফুটে একটি পুত্রসন্তানের। কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই নূরনাহার বেগমের স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে বলে জানা গেছে।চিকিৎসক ডা. রিয়াজ উদ্দীন (রুবেল) জানান, চিকিৎসাশাস্ত্রে সাধারণত ৭০-৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত একজন পুরুষের শুক্রাণু সক্রিয় থাকে। তবে তার এই বয়সে সন্তানের বাবা হওয়ায় চিকিৎসাবিজ্ঞানে অনেকটা বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।এ সময় স্বাভাবিক একটি শিশু জন্ম দেওয়ার পর মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ রয়েছেন বলে চিকিৎসক রুবেল নিশ্চিত করেন।উল্লেখ্য, মৌলভি আবুল ওয়ালা সন্দ্বীপ উপজেলার হরিশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তার আগের সংসারে অনেক বয়স্ক নাতিপুতি রয়েছে বলে জানা গেছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বয়সী দম্পতি

থিবীর সবচেয়ে বেশি বয়সী দম্পতির সন্ধান পাওয়া গেছে।  বর ব্রিটিশ নাগরিক জর্জ কিরবি (১০৩) এবং কনে ডরেন লাকি (৯১)। তারা অফিসিয়ালি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বয়সী নতুন বিবাহিত দম্পতি। বিয়ের দিন তাদের দুইজনের মিলিত বয়স ছিল ১৯৪ বছর ২৮০ দিন।গত জুন মাসে তারা দুইজন ইস্ট বোর্নের লাঙ্ঘাম হোটেলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেদিন জর্জের ১০৩ তম জন্মদিন ছিল। তবে তাদের বিবাহের বয়স গিনেস রেকর্ডে ভেরিফাইড হওয়ার জন্য পাঁচ মাস সময় লেগে গেল। পূর্বে সবচেয়ে বেশি বয়সে বিয়ে করার রেকর্ড করেছিলেন ১৯১ বছর ১২৬ দিনের এক দম্পতি।১৯৮৮ সাল থেকে জর্জ ও ডরেন বিয়ে ছাড়াই একসঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু এবার তাদের ছেলেমেয়ের জোরাজোরিতে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।জর্জ এ বছরের ভ্যালেন্টাইন ডে সম্পর্কে বলেন, তিনি ডরেনকে হাঁটু গেড়ে বসে প্রপোজ করেননি, কারণ তিনি চিন্তা করেছিলেন হাঁটু গেড়ে বসলে হয়ত তিনি উঠে দাঁড়াতে পারবেন না। তাদের দুইজনের ঘরে সাতজন ছেলেমেয়ে এবং ১৫ জন নাতিনাতনি রয়েছে।

Tuesday, November 24, 2015

যাওয়া যায় না বিশ্বের এমন সাতটি জায়গা

নর্থ ইয়র্কশায়ারের রয়্যাল এয়ারফোর্স স্টেশন। এখান থেকেই তথভ পাঠানো হয় মার্কিন ও ব্রিটিশ আর্মিকে। কিছু কিছু স্যাটেলাইট আমেরিকার এনএসএ কন্ট্রোল করে। এটাই বিশ্বের সবথেকে বড় ইলেট্রিক মনিটরিং সিস্টেম।
পাইন গ্যাপ হল এমন একটি জায়গা যেখান থেকে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে তাদের স্পাই স্যাটেলাইট কন্ট্রোল করে। যেসব স্যাটেলাইট চিন ও রাশিয়ার কিছু অংশে নজরদারি চালায়। সেখানে ঢুকতে গেলেই একটি সাইনবোর্ডে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া থাকে যে সেখান থেকেই যেন গাড়ি ঘুরিয়ে নেওয়া হয়।
নর্থ সেন্তিনেল আইল্যান্ড হল আন্দামান নিকোবর দ্বিপপুঞ্জের একটি দ্বীপ। এখানে বসবাস করে সেন্তিনেল প্রজাতির মানুষ। তারা বিশ্বের শেষ প্রজাতি যারা এখনও পর্যন্ত বহির্জগতের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ না রেখেই জীবন ধারণ করে।
রাশিয়ায় মাটির তলায় একটি গুপ্ত জায়গা রয়েছে যেখানে সুড়ঙ্গ দিবে রাশিয়ার যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যাওয়া যায়। সুড়ঙ্গটির নাম মেট্রো ২। রাশিয়ার প্রশাসন কখনও এই সুড়ঙ্গের কথা স্বীকারও করে না আবার অস্বীকারও করে না।
ব্রিটেনের রাণীর শয্যাগৃহ। যেখানে কখনই প্রবেশ করা সম্ভব নয়। বাকিংহাম প্যালেসের অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার অনুমতি থাকলেও রানীর শয্যাগৃহ পাহারা দেয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।
একসময় মানুষ থাকত ইতালির পোভেগ্লিয়া আইল্যান্ডে। কিন্তু একসময় দ্বীপটা শূন্য হয়ে যায়। মনে করা হয় আপাতত ভূতেদের আখড়া ওই দ্বীপ। তাই ওখানে প্রবেশ নিষেধ।
ক্যাথলিক চার্চের অনেক গোপন নথি রয়েছে ভ্যাটিকান সিটির গোপন আর্কাইভে। তাই পোপ ও কয়েকজন অত্যন্ত মেধাবী মানুষ ছাড়া কারও প্রবেশ নিষেধ ওই গোপন জায়গায়।

যেসব গহীন রহস্য সাগরের বুকে লুকিয়ে আছে

পানির প্রতি টান মানুষের স্বভাবজাত। সৃষ্টির সেই শুরু থেকে বেঁচে থাকার পাশাপাশি মনের ক্ষুধা মেটাতেও পানির ওপরে নির্ভর করে আসছে মানুষ। আর সেটা যদি হয় সাগরের নীলচে লবণাক্ত পানি তবে তো কোনো কথাই নেই! পানের উপযোগী না হলেও মনকে সতেজ করে তুলতে যুগের পর যুগ সাহায্য করে এসেছে সাগর। অসাধারণ সব সৌন্দর্যের ভান্ডার সাজিয়ে রেখেছে নিজের গভীর বুকের মাঝে। শুধু সৌন্দর্যই নয়, সাগরের অতল গভীরতার ভেতরে লুকিয়ে আছে অনেক অনেক রহস্যও! এমন কিছু অমীমাংসিত রহস্য চুপটি করে লুকিয়ে আছে সাগরের মাঝে যেগুলোর কোনো ধরণের সমাধান আজ অব্দি পাওয়া যায় নি। আসুন জেনে নিই সাগরের এমনই কিছু অদ্ভূত রহস্যের কথা।
১. ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল
পৃথিবীতে মোট ১২ টি এমন স্থান রয়েছে বলে মনে করা হয় যেখানে এর চৌম্বকীয় আকর্ষণ প্রচন্ড বেশি। আর এমনই এক স্থান হচ্ছে ডেভিলস সী বা শয়তানের সাগরের ভেতরে অবস্থিত ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল। জাপান আর বোনিন দ্বীপের মাঝখানে সাগরের মাঝে অবস্থিত এই স্থানটিকে জাপানীরা সবসময়ই ড্রাগনের আস্তানা বলে ভেবে এসেছে। জাপানিজ পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এখানে এক ভয়ঙ্কর ড্রাগন বাস করে যার ক্ষুধা দূর করা একেবারেই সম্ভব না। আর তাই প্রায়ই সেটা নিজের কাছে আসা জাহাজ আর মানুষকে খেয়ে ফেলে। নিজের ক্ষুধা মেটায়। সেই থেকে এর নাম হয়ে গিয়েছে ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেল। ১২০০ শতাব্দীর দিকে কুবলাই খান বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছেন জাপানকে দখলে নিতে। এগোতে চেয়েছেন শয়তানের সাগরের মাঝ দিয়ে। প্রতিবারেই ব্যাপক সংখ্যক মানুষ আর জাহাজ হারাতে হয়েছে তাকে।শুধু তিনিই নন, আজ অব্দি অগণিত জাহাজ আর উড়োজাহাজ স্রেফ হাওয়া হয়ে গিয়েছে এখানটায় এসে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের বিপরীতে অবস্থিত হলেও ঠিক ওটার মতনই রহস্য জমা হয়ে আছে ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেলকে ঘিরেও। কারো কারো মতে মাঝে মাঝেই এক রহস্যময় নারীকে দেখতে পাওয়া যায় সাগরের ঐ বিশেষ জায়গাটিতে। ১৯৫০ সালে ড্রাগন ট্রায়াঙ্গেলকে অনিরাপদ বলে ঘোষণা দিলেও এরপর অনেকেই চেষ্টা করেছেন এখানকার রহস্য ভাঙতে। আর তাদের ভেতরে একজন 'ল্যারি কুছে' নিজের বইয়ে জানান, ওখানে আর কিছুই না, রয়েছে এক বিশাল আগ্নেয়গিরি। আর যতসব রহস্যময় উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে আজ অব্দি সবগুলোর পেছনে হাত রয়েছে একমাত্র ঐ সমূদ্র আগ্নেয়গিরিরই!
২. বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল
ব্যাপারটা অনেকটা একই রকম। ঠিক গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের মতনই আরেকটা ট্রায়াঙ্গেল খুঁজে পাওয়া যায় সমূদ্রের ভেতরে। যেখানটায় একের পর এক ঘটে যেতে থাকে অদ্ভূত সব ঘটনা। হাওয়া হয়ে যেতে থাকে এক এক করে অনেক মানুষ, বিমান, জাহাজ- সবকিছু! কি আছে এমন ওখানে? কি ওটার রহস্য? আজও জানতে পারেনি কেউ। শয়তানের ট্রায়াঙ্গেল নামে পরিচিত রহস্যময় স্থানটিতে ভিনগ্রহবাসীদের হাত আছে বলে মনে করেন অনেকে। নির্দিষ্ট করে কোন স্থানটিতে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল আছে সেটা বলা যায় না। তবে অতলান্তিক মহাসাগরের ভেতরেই কোন একটা জায়গায় আছে সেটা। অনেকের অনেক মত আছে একে নিয়ে।
তবে অনুসন্ধানকারী লেখক কুছে জানান কোন একটামাত্র কারণকেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য বলে মনে করাটা বোকামি। এরচাইতেও বড় বোকামি হচ্ছে যতগুলো জাহাজ হারিয়েছে সেগুলোর সবগুলোকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের শিকার বলে ধরে নেওয়া। হতেও তো পারে সেটা অন্য কোন কারণে হারিয়ে গিয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে। তবে যে যাই বলুক, এখনো পর্যন্ত ব্যাপারটা ঠিক সেখানটাতেই আটকে আছে যেখান থেকে একদিন এটার শুরু হয়েছিল।
৩. আর্কটিক সাগরের রহস্য
জাহাজ আর মানুষকে উধাও করে দেওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে আছে যে তৃতীয় সাগরটি সেটা হচ্ছে আর্কটিক সাগর। প্রায়ই কোনো না কোনো কারণে হুট করে উধাও হয়ে যাচ্ছে এর ওপর দিয়ে ভাসতে থাকা জাহাজেরা। তবে মাঝে মাঝে জাহাজগুলো বেঁচে গেলেও রক্ষা পাচ্ছেনা এর ভেতরের মানুষ। ১৮৭২ সালে সাগরের ওপর হঠাৎ মেরি ক্যালেস্টে জাহাজটিকে দেখতে পাওয়া যায়। সওদাগরী জাহাজটিতে প্রচুর খাবার আর ঠিক স্থানে ঠিক জিনিসপত্র বজায় থাকলেও কেবল ছিল না ভেতরের মানুষগুলো। সবকিছু ফেলে মাঝ সাগরে কোথায় গেল তারা? প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি আজও। সেই শুরু।এরপর এইচএমএস সাপ্পোহ, ইউএসএস সাইক্লোপস, এমভি জয়তা, ফ্লাইং ডাচম্যান, বেচিমো, ক্যারোল এ. ডেরিং, লেডি লোভিবন্ড ও অক্টাভিয়াসের মতন বিখ্যাত সব ভুতূড়ে জাহাজের জন্ম দিয়েছে সাগরটি। কখনো মানুষ উধাও, কখনো মানুষ সহ জাহাজ। কখনো ছায়াময় ভুতূড়ে জাহাজের উত্পত্তি আবার কখনো পাগল কিছু মানুষকে উপহার দেওয়া- এভাবেই এখন পর্যন্ত নিজের রহস্যকে বজায় রেখেছে আর্কটিক। যেগুলোর উত্তর জানে না কেউ!

Monday, November 23, 2015

বর, কনে, পাদ্রি সবাই যমজ!

যমজ দুই বোনের সাথে যমজ দুই ভাইয়ে বিয়ের খবর হয়তো আপনারা শুনে থাকবেন। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বর যমজ, কনে যমজ, বিয়ে যারা পড়িয়েছেন তারাও যমজ?এমনকি একই বিয়ের অনুষ্ঠানে বর ও কনে পক্ষের সাথে আরও দুই জোড়া যমজ শিশুও ছিল। এ রকমই একটি বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ভারতের কেরালায়। সেখানে দুই যমজ বোন বিয়ে করেছেন অন্য একটি পরিবারের দুই যমজ ভাইকে। আর তাদের বিয়ে পড়িয়েছেন গির্জার দুই যমজ পাদ্রি।আর তাদের সাথে ছিল যমজ ফুল বালিকা এবং যমজ পেজবয় (বিয়ের সময় কনের সাথে থাকে)। আর তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় পুলুর সেন্ট জেভিয়ার্স চার্চে।তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরও কোনো যমজ ছিল কি না তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে থাকলেও অবাক হবার কিছু নেই।

তিন বোনের এক স্বামী!

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ঘটনা। তিন বোনের স্বামী একজন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ বছরের জোয়ে ড্রেজার ক্রোয়ারট্রেট একে একে তিন বোনকে বিয়ে করেছেন। এই দম্পত্তি যুক্তরাষ্ট্রের সল্টলেকে বসবাস করছেন। বর্তমানে তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ২৪ জন। জোয়ের স্ত্রী তিনজন হলেন- প্রথম স্ত্রী ভিকি ড্রেজার (৪২), দ্বিতীয় স্ত্রী এলিনা (৪১) ও তৃতীয় স্ত্রী ভেলেরি (৪২)। এর মধ্যে ভিকি ড্রেজার এবং ভেলেরি ড্রেজার আপন দুই বোন। অন্যজন এলিনা তাদের কাজিন।
জোয়ে প্রথম বিয়ে করেন ভিকিকে। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেন এলিনাকে এবং সবশেষ ২০০০ সালে তৃতীয় বিয়ে করেন ভেলেরিকে। প্রথম বিয়ের ২৫ বছর পর সবশেষ বিয়ে করেন। তিন বোনই ধর্মীয় রীতি ও বিধান মেনে জোয়েকে বিয়ে করেন।
জোয়ের বয়স যখন ১৮ বছর তখন থেকেই ভিকি এবং এলিনার সঙ্গে প্রেম শুরু। এরপর ডেটিং। আর ১৯৯০ সালে ধর্মীয় রীতিতে দুই জনকে বিয়ে করেন।স্ত্রী তিনজন হলেও সংসারে বেশ শৃঙ্খলার মধ্যেই জোয়ে ড্রেজার তাদের সময় দেন। প্রতিদিন বিকালে অফিস থেকে ফিরে একজন একজন করে তার স্ত্রীদের সময় দেন তিনি। এজন্য প্রত্যেকের নিজস্ব একটি করে বেড়রুম রয়েছে।
জোয়েকে নিয়ে প্রথম স্ত্রী ভিকি বলেন, একইদিনে জোয়ে এলিনাকে বিয়ে করেন। বিয়েতে আমি নিজেও উপস্থিত ছিলাম। আমাদের গোত্রে কোনো ধর্মীয় বিষয় আদালতের বিধান মতো কাজ করে না। তবে আমরা জানি এটি একটি বড় দায়িত্ব এবং চ্যালেঞ্জ। আমাদের গোত্র এবং সংস্কৃতির অংশ হলো প্রত্যেক যুগলকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা বহুবিবাহ করতে চায় এবং একের অধিক স্ত্রীকে বিয়ে করতে চায়।
জোয়ে হলেন কট্টর মর্মোন ধর্মের মানুষ যা ১৮৮০ সালে আমেরিকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই ধর্মের মানুষরা বহুবিবাহ এবং বড় পরিবারে বিশ্বাস করে। ভেলেরি এবং এলিনা এক সঙ্গে ফ্যামিলি ক্লিনিংয়ের ব্যবসা করেন।
তারা বলেন, জোয়ের ভেলেরিকে বিয়ে করা আমাদের কাছে বিরক্তিকর ছিল না। আমরা তাকে সম্মতি দেই বিয়ে করার জন্য। তিনি যেন একজন ভালো স্বামী হন। যা আমরা সবসময় আশা করি।
এদিকে ভেলেরি বলেন, আমি এবং ভিকি যখন তরুণ ছিলাম তখন আমরা একই পুরুষকে পছন্দ করতাম, তিনি হলেন জোয়ে। তিনি বলেন, আমি চিন্তা করেছিলাম আমরা একজনকেই স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতে পারি এবং তা খুবই ভালো একটি বিষয়।
এ প্রসঙ্গে ভিকি বলেন, আমরা জানি কিছু মানুষ আমাদের তিন বোনের এক স্বামী হওয়াকে ভালোভাবে নেয়নি। তিন বোনের একজন স্বামী এটা আমাদের জন্য খুবই ভাল। কারণ আমরা একে অপরকে ভালোভাবে বুঝতে পারি।
স্ত্রীদের নিয়ে জোয়ে বলেন, এলিনা এবং ভিকি ছিল খুবই ভালো বন্ধু। তারা সবসময় আমাকে তাদের সঙ্গী করার চেষ্টা করতো। আমিও চেষ্টা করতাম তাদের সঙ্গে একটি ভালো বন্ধুত্ব করার। আমি দুজনের প্রতি আকষর্ণ বোধ করতাম এবং আমি জানতাম, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্ক করতে হয় কীভাবে।
ভিকি এবং এলিনা ১০ বছর বয়সেই জোয়েকে বিয়ে করেন। আর তারা দুইজন জোয়েকে অনুপ্রাণিত করতেন যাতে ভেলেরির সঙ্গে সম্পর্ক হয়। ভেলেরি তার আগের বয়স্ক স্বামী ডোনাল্ডকে ডিভোর্স দেন। এর কারণ হলো ডোনাল্ডের ছয় জন স্ত্রী ছিল। আর তিনি ছিলেন জুয়াখোর এবং বদমেজাজি। এরপর থেকেই ভেলেরি জোয়ের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। একদিন বিকালে ভিলেরি জোয়ের প্রতি ভালবাসা ব্যক্ত করেন এবং তিনি তা সাদরে গ্রহণ করেন।
এ প্রসঙ্গে এলিনা বলেন, আমি যখন শুনলাম ভেলেরি আমাদের পরিবারের সদস্য হবেন। তখন আমি খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। আগে থেকেই তার প্রতি আমার ভালোবাসা ছিল। তবে নতুন এই সম্পর্ক আমাদের পুরানো সম্পর্ককে আরও নতুন মাত্রা দিয়েছে।

Sunday, November 22, 2015

শরণার্থীদের জন্য দ্বীপ

সিরিয়ান শরণার্থীদের সহায়তায় পুরো একটি দ্বীপ কিনতে যাচ্ছেন মিশরীয় ধনকুবের নাগিব সাওয়ারি। শরণার্থীরা যেন ভালোভাবে বসবাস করতে পারেন এজন্য ইতালি এবং গ্রিসে জমিও দেখা শুরু করেছেন তিনি।অভিবাসী ও শরণার্থীদের নিয়ে তৈরি মানবিক সঙ্কট নিরসনেই এই প্রয়াস বলে জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘোষণা দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৭টি দ্বীপ তালিকাভুক্ত করেছেন তিনি। হয়তো এখান থেকেই তিনি শরণার্থীদের জন্য উপযুক্ত একটি স্থান বেছে নেবেন যেখানে ২ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করতে পারবে। 
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফোর্বসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, শরণার্থী সঙ্কট সমাধানে ভূমিকা রাখতে চান তিনি। এছাড়া কেনা দ্বীপটির নাম স্রোতে ভেসে আসা তিন বছর বয়সী শিশু আয়লানের নামে রাখতে চান তিনি। এছাড়া দ্বীপটিতে বাড়ি বানানোর জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি ছাড়াও আরও দুই ধনকুবের শরাণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন।নরওয়ের ধনকুবের পিটার স্টোরডালেন তার হোটেলে শরণার্থীদেরকে ৫০০ রাত বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। অন্যদিকে নিউইয়র্কে বসবাসকারী তুর্কি ধনকুবের হামদি উলুকায়া গত পাঁচ বছর ধরে তার প্রজেক্টে শরণার্থী নিয়োগ করছেন। এছাড়া তার টেন্ট ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শরণার্থীদের ২০ লাখ ডলার সহায়তা করছেন।

Thursday, November 19, 2015

খলিফা বাগদাদি ইহুদি, আইএস মোসাদের সৃষ্টি

দুনিয়াব্যাপীইসলামী খেলাফতপ্রতিষ্ঠার যুদ্ধের স্বঘোষিত খলিফা সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা খলিফা আবুবকর আল বাগদাদি মুসলমান নন। তিনি একজন ইহুদি। তার আসল নাম আকা ইলিয়ট শিমনএর চেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে, বিশ্বব্যাপীইসলামী শাসনব্যবস্থাকায়েমের আদর্শে মত্ত আইএস ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সৃষ্টি। জঙ্গিগোষ্ঠীর শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রত্যেকেই মোসাদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। মোসাদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতেই আইএস জঙ্গিদেরযুদ্ধকৌশলশেখানো হয়

সুসংগঠিত জঙ্গিগোষ্ঠীটিইসলামিক স্টেটনামে আত্মপ্রকাশের আগে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের সিনিয়র সিনেটর ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জন ম্যাককেইনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে। গোড়ার দিকের ওই গোপন বৈঠকগুলোতে মোসাদের বেশ কয়েকজন সদস্য আইএসপ্রধান বাগদাদি উপস্থিত ছিলেনআন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম গবেষণা প্রতিবেদন ঘেঁটে বিশ্বব্যাপী আতংক সৃষ্টি করা ইসলামিক স্টেট এর প্রধান খলিফা আবুবকর আল বাগদাদির পরিচয় নিয়ে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে


মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) গোপন নথিতেও ব্যাপারে উল্লেখ আছে বলে জানিয়েছেআমেরিকান ফ্রি প্রেসনামের ওয়েবসাইট। সন্ত্রাসবাদের ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী সংগঠন বলে পরিচিত আইএসের উত্থান হয় গত বছরের জুনে। ইরাক সিরিয়ার বিশাল অংশ দখলে নিয়ে ইসলামিক স্টেট নাম দিয়ে খেলাফত ঘোষণা করেন বাগদাদি

প্যারিসে ভয়াবহ হামলার পর একই কথা বলেছেন কিউবার সাবেক নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। সংবাদ সম্মেলন করে দুজনই বলেছেন, আইএস ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী অস্ত্র। বিশ্বব্যাপী নিজেদের আধিপত্য বিস্তার স্বার্থসিদ্ধির জন্য আইএস নামের ভয়ানক কালসাপ মাঠে নামিয়েছে তারাইসলামিক স্টেট সৃষ্টির এক বছর আগে ২০১৩ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন সিরিয়ায় আবুবকর আল বাগদাদিসহ অর্ধডজন শীর্ষ জঙ্গি নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। সম্প্রতি সেই বৈঠকের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ইউটিউবে। মার্কিন প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ সিএনএনের একটি ভিডিও স্নাপশটে ছবির ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া গেছে

আমেরিকান ফ্রি প্রেসের প্রতিবেদন জানায়, ইহুদি পিতা-মাতার কোলে জন্ম নেন বাগদাদি। এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা তথ্যানুযায়ী, বাগদাদিকে টানা এক বছর সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে মোসাদ। একই সময়ে আরবি ভাষা ইসলামী শরিয়ার ওপর কোর্স করেছেন বাগদাদি। সময় তিনি ইব্রাহিম ইবনে আওয়াদ ইবনে ইব্রাহিম আল বদরি নাম ধারণ করেন

তবে বাগদাদির পরিচয় সম্পর্কে ছড়ানো হয়েছে- তিনি ১৯৭১ সালের ২৮ জুলাই ইরাকের সামারায় জন্মগ্রহণ করেন। বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আক্রমণের সময় সামারায় একটি মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করেন বাগদাদি। পরে তিনিআমিরে দায়েশউপাধি গ্রহণ করেনএডওয়ার্ড স্নোডেন প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের গোপন দলিলের বাগদাদির তথ্য প্রথম প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় ইন্টারনেট রেডিও আজিয়াল ডটকম। পরবর্তী সময়ে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে। ইরানি গোয়েন্দা সংস্থার পর্যালোচনা নিয়ে সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় আরবি পত্রিকা ইজিপ্রেসে

যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ প্রচারিত একটি ভিডিওর বরাত দিয়ে সোশিও-ইকোনমিক হিস্ট্রি নামের একটি ওয়েবসাইট দাবি করেছে, মার্কিন প্রভাবশালী সিনেটর জন ম্যাককেইন আবুবকর আল বাগদাদিসহ কয়েকজন আইএস কর্মকর্তা সিরিয়ার বিদ্রোহী কয়েকজন নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। ২০১৩ সালের জুনে যখন বৈঠকটি হয়, তখন বাগদাদির মুখে লম্বা দাড়ি ছিল না। ওই বৈঠকে বাগদাদির সহযোগী আইএসের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নূরও উপস্থিত ছিলেন। উইকিপিডিয়ায় প্রদর্শিত আবুবকর বাগদাদির ছবির সঙ্গে ওই ছবির মিল পাওয়া গেছে
 মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল আরাবিয়াও ওই ছবিটি প্রকাশ করেছে। সিএনএনের একটি ভিডিওতেও বাগদাদির সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে দেখা যায় জন ম্যাককেইনকে। গ্লোবাল রিসার্চ নামের একটি গবেষণা ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, ২০০৪ সাল থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে আবুবকর আল বাগদাদি। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বুস্কা কারাগারে ছিলেন তিনি। পলিটিসাইট ডটকমের তথ্যানুযায়ী, সিআইএ তত্ত্বাবধানেও বাগদাদি সামরিক প্রশিক্ষণ লাভ করেন

ইরাকের উম কাসর এলাকায় মার্কিন কারাগারে সিআইএ তাকে নিয়ে আসে। সেখান থেকে ২০১২ সালে জর্ডানের একটি গোপন ক্যাম্পে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্স কমান্ড বাগদাদিসহ তার সহযোগী অনেককে প্রশিক্ষণ দেয়। আইএসের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক সহিংসতার মাধ্যমে ইসরাইলের ভূখণ্ড বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে মোসাদেরআল কায়দার সাবেক শীর্ষ কমান্ডার ইসলামিক ডেমোক্রেটিক জিহাদ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা নাবিল নাইম বৈরুতের টিভি চ্যানেল আল মাইদিনকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আল কায়দার বর্তমান নেতারা আইএস সিআইএ হয়ে কাজ করছে। উদ্দেশ্যে শিয়া-সুন্নি বিরোধ তারাই উসকে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি