বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্যের বীজ সর্বপ্রথম পুঁতেছেন স্বয়ং কলম্বাস। তিনিই সর্বপ্রথম এই অঞ্চল ভ্রমনের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন তার ডায়েরীতে। কলম্বাস লিখেছিলেন যে তাঁর জাহাজের নবিকেরা এ অঞ্চলের দিগন্তে আলোর নাচানাচি, আকাশে ধোঁয়া দেখেছেন। এছাড়া তিনি এখানে কম্পাসের উল্টাপাল্টা দিক নির্দেশনার কথাও বর্ণনা করেছেন।ফ্লাইট নাইনটিন রহস্যের পর এই অঞ্চলে ঘটা রহস্যজনক ঘটনার তালিকা দিনকে দিন সমৃদ্ধ হয়েছে। অন্তত ১০০০ এর বেশি প্লেন ও জাহাজ এই অঞ্চলে এসে নি:শেষ হয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশেরই কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। আর ঠিক কত সংখ্যক মানুষের জীবন এখানে এসে থমে গেছে, তার সঠিক কোনো হিসেবই নেই।
এলেন অস্টিন জাহাজটির কথাই ধরা যাক। এ জাহাজের নাবিকরা যেভাবে হারিয়ে গিয়েছিলেন তার হদিস আজো কেউ করতে পারেনি। ফিরে পাওয়া যায়নি তাদের। মধ্য আটলান্টিকে পাড়ি দেওয়ার সময় এলেন অস্টিন জাহাজের নাবিকরা একটু দূরে একটি খালি জাহাজ ভাসতে দেখে ভীষণ অবাক হন। ঠিক করলেন নিজের জাহাজের নাবিকদের পাঠিয়ে একটু দেখে আসা যাক। পাঠালেনও সেই মতো। নাবিকরা জাহাজের কাছাকাছি পৌঁছতেই ঘনকুয়াশা চারদিক ঢেকে গেল। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে কুয়াশা কেটে গেল। খালি জাহাজটি দেখা গেল। কিন্তু নাবিকরা গেল? কোথায়,তারা তো ফিরছে না! ঘটনার রহস্য সমাধান করতে আরও একটি দলকে পাঠানো হলো। ওই দলটিও জাহাজে পৌঁছামাত্র শুরু হলো প্রচণ্ড ঝড়। এবারও কিছুই দেখা গেল না। ঝড় থামার পর দেখা গেল সব ভ্যানিশ! নাবিকদেরকে আর দেখা গেল না। এমনকি জাহাজটিও কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে! চারদিকে তোলপাড় পড়ে গেল। চলল অনেক খোঁজাখুঁজি। কিন্তু কোথাও এর কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া গেল না।মি. রিচার্ড, এই বিষয়ে যিনি অনেকগুলো বেষ্ট সেলিং বইয়ের লেখক,তিনি বলেন,আমরা পৃথিবী এবং তার চারপাশের জগৎ সম্পর্কে জানি। কিস্তু সমুদ্র সম্পর্কে জানি সামান্যই। সমুদ্রে এমন অনেক রহস্য আছে বাস্তবে মানুষ যেটা কল্পনাও করতে পারবেনা।
১৯১৮ সালে ইউ এস এস সাইক্লপস ৩০৯ জন ক্রুর সবাই সহ ডুবে যায় এই অঞলে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে ঘটা হেভিওয়েট ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি একটি। মারভিল ব্যারিশ,এই ঘটনার সাথে যার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে, তিনি বলেন, জাহাজটি থেকে কোনো ধরনের সাইরেনের আওয়াজ শোনা যায়নি। এমনকি কোনো রেডিও সিগন্যালও আসেনি। এই শিপটিও আজ পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ইউ এস নেভি তখন তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অভিযান পরিচালনা করেছে শিপটি উদ্ধারে। কিন্তু কোনো মানুষ বা জাহাজের নুন্যতম চিহ্নও তারা উদ্ধার করতে পারেনি।বিজ্ঞানের উৎকর্ষের এই যুগে এখনো পৃথিবীতে যেসব জায়গা নিয়ে রহস্য কাটেনি তার মধ্যে সম্ভবত বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্য অন্যতম। ব্রিজওয়াটার ট্রায়াঙ্গেল,বেনিংটন ট্রায়াঙ্গেল রহস্য,সান লুইস ভ্যালি,মিশগান ট্রায়াঙ্গেল রহস্য,পয়েন্ট প্লিজেন্ট,বিগলো রান্চ,ডেভিলস সি,লেক আনজিকুনি,সুপারস্টিশান মাউন্টেইন,এই রকম অনেক রহস্য থাকলেও বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্য পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয়।
এটা কি??
ক্যারিবীয় সাগরের এক কল্পিত ত্রিভুজ এলাকা হলো শয়তানের ত্রিভুজ। আটলান্টিক মহাসাগরের তিন প্রান্ত দিয়ে সীমাবদ্ধ ত্রিভুজাকৃতির একটি বিশেষ এলাকা যেখানে বেশ কিছু জাহাজ ও উড়োজাহাজ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার কথা বলা হয়। এর মূল নাম বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। তবে এর কুখ্যাতির জন্য একে শয়তানের ত্রিভুজ বলা হয়। বারমুডা ট্রায়াঙ্গল যে তিনটি প্রান্ত দ্বারা সীমাবদ্ধ তার এক প্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আরেক প্রান্তে পুয়ের্তো রিকো এবং অপর প্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বারমুডা দ্বীপ অবস্থিত। ত্রিভুজাকার এ অঞ্চলটির মোট আয়তন ১১৪ লাখ বর্গ কিলোমিটার বা ৪৪ লাখ বর্গ মাইল। এটি ২৫-৪০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৫৫-৫৮ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। অবশ্য এই বিন্দু নির্ধারণ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে।
বেশিরভাগ লেখক-গবেষকই এই নির্দিষ্ট অঞ্চলকে চিহ্নিত করেছেন সীমানা বরাবর মিয়ামি সানজুয়ান পুয়ের্তো রিকো মধ্য আটলান্টিক আর বারমুডা নিয়ে তৈরি একটি ত্রিভুজ বা বলা ভালো একটি ট্রাপিজিয়াম আকৃতির চতুর্ভুজ। তবে বেশিরভাগ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাগুলো ঘটেছে দক্ষিণ সীমানায় বাহামা দ্বীপপুঞ্জ ঘিরে এবং ফ্লোরিডা উপকূলের আশপাশে। কত জাহাজ ও বিমান হারিয়ে গেছে এ এলাকায় যেগুলোর বেশিরভাগেরই কোনো রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি আজও।
বিভিন্ন লেখকের বর্ণনায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের বিস্তৃতিতে ভিন্নতা রয়েছে। এই ত্রিভুজের ওপর দিয়ে মেক্সিকো উপসাগর থেকে উষ্ণ সমুদ্র স্রোত বয়ে গেছে। এখানকার আবহাওয়া এমন যে হঠাৎ ঝড় ওঠে আবার থেমে যায় গ্রীষ্মে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। বলা হয়ে থাকে, এই অঞ্চলে ঝড়ের শক্তি একশ টি পারমানবিক বোমার চেয়েও বেশি শাক্তশালী। এমন ঝড়ের মধ্যে কারোই টিকে থাকা সম্ভব নয়। এ অঞ্চল বিশ্বের ভারী বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলকারী পথগুলোর অন্যতম। জাহাজগুলো আমেরিকা ইউরোপ ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে যাতায়াত করে। এছাড়া এটি হলো প্রমোদতরীর বিচরণক্ষেত্র। এ অঞ্চলের আকাশপথে বিভিন্ন রুটে বাণিজ্যিক ও ব্যক্তিগত বিমান চলাচল করে। ত্রিভুজের বিস্তৃতির বর্ণনায় বিভিন্ন লেখক বিভিন্ন মত দিয়েছেন। কেউ মনে করেন এর আকার ট্রাপিজয়েডের মতো যা ছড়িয়ে আছে স্ট্রেইটস অব ফ্লোরিডা বাহামা এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ এবং ইশোর পূর্ব দিকের আটলান্টিক অঞ্চলজুড়ে। আবার কেউ কেউ এগুলোর সঙ্গে মেক্সিকো উপসাগরকেও যুক্ত করেন। তবে লিখিত বর্ণনায় যে সাধারণ অঞ্চলের ছবি ফুটে ওঠে তাতে রয়েছে ফ্লোরিডার আটলান্টিক উপকূল সান জুয়ান,পুয়ের্তো রিকো মধ্য আটলান্টিকে বারমুডার দ্বীপপুঞ্জ এবং বাহামা ও ফ্লোরিডা স্টেইটসের দক্ষিণ সীমানা। আর এখানেই ঘটেছে অধিকাংশ দুর্ঘটনা। এ অঞ্চলের রহস্যময়তার একটি দিক হলো কোনো জাহাজ এ ত্রিভুজ এলাকায় প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বেতার তরঙ্গ প্রেরণে অক্ষম হয়ে পড়ে এবং এর ফলে জাহাজটি উপকূলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়। একসময় তা দিক নির্ণয় করতে না পেরে রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়।
কিন্তু কেন এ রহস্য??
যদি আপনি এটাকে রহস্য হিসেবেই মানেন তাহলে তো আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন এ রহস্য ভেদ করতে। এত এত রহস্যের ঘিরে আটকে পড়া আপনাকে এবার কিছুটা উদ্ধার করার দায়িত্ব আমার। এই রহস্যের সঠিক কোনো কুল কিনারা আজ পর্যন্ত কেউই করতে না পারলেও বিজ্ঞানীদের তৎপরতাও থেমে নেই। লরেন্স ডেভিড কুসচ হলেন অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির রিসার্চ লাইব্রেরিয়ান এবং ‘দ্য বারমুডা ট্রায়াঙ্গল মিস্ট্রি:সলভড’এর লেখক। কুসচ-এর গবেষণায় যা পাওয়া যায় তা হলো,এ অঞ্চলে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় নিয়মিত আঘাত হানে যা জাহাজ ও উড়োজাহাজ নিখোঁজ হওয়ার অন্যতম কারণ। তাঁর গবেষণায় উঠে আসা অন্যান্য কারনগুলোর মধ্যে আরো আছে,
মিথেন হাইড্রেড:
এই অঞ্চলে এই সব অঘটনের অন্যতম একটি কারন হচ্ছে মিথেন হাইড্রেড। বিশ্বের যেসব স্থানে সবচেয়ে বেশী গ্যাস হাইড্রেটযুক্ত পলি পাওয়া গেছে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এলাকা তার মধ্যে অন্যতম । কন্টিনেন্টাল সেলভে জমে থাকা বিপুল পরিমাণ মিথেন হাইড্রেট অনেক জাহাজ ডোবার কারণ বলে ধারনা করা হয়।
কম্পাসের ভুল নির্দেশনা:
কম্পাসের পাঠ নিয়ে বিভ্রান্তি অনেকাংশে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের কাহিনীর সঙ্গে জড়িত। এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে কম্পাস থেকে চুম্বক মেরুর দূরত্বের ওপর ভিত্তি করে এর দিক-নির্দেশনায় বিচ্যুতি আসে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যুক্তরাষ্ট্রে শুধু উইসকনসিন থেকে মেক্সিকো উপসাগর পর্যন্ত সরলরেখা বরাবর চৌম্বক উত্তর মেরু সঠিকভাবে ভৌগোলিক উত্তর মেরু নির্দেশ করে। ওই ত্রিভুজ এলাকাজুড়ে কম্পাসের এমন বিচ্যুতি সাধারণের কাছে রহস্যময় মনে হয়। কিন্তু এটি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
হ্যারিকেন:
হ্যারিকেন হলো শক্তিশালী ঝড়। ঐতিহাসিকভাবেই জানা যায় আটলান্টিক মহাসাগরে বিষুব রেখার কাছাকাছি অঞ্চলে শক্তিশালী হ্যারিকেনের কারণে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে আর ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার। রেকর্ড অনুসারে ১৫০২ সালে স্প্যানিশ নৌবহর ‘ ফ্রান্সিসকো দ্য বোবাডিলা ‘ এমনি একটি বিধ্বংসী হ্যারিকেন ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
গলফ স্ট্রিম:
গলফ স্ট্রিম হলো মেক্সিকো উপসাগর থেকে স্ট্রেইটস অব ফ্লোরিডা হয়ে উত্তর আটলান্টিকের দিকে প্রবাহিত উষ্ণ সমুদ্র স্রোত। একে বলা যায় মহাসমুদ্রের মাঝে এক নদী। নদীর স্রোতের মতো গলফ স্ট্রিম ভাসমান বস্তুকে স্রোতের দিকে ভাসিয়ে নিতে পারে। যেমনি ঘটেছিল ১৯৬৭ সালের ২২ ডিসেম্বর ‘ উইচক্রাফট ‘ নামের একটি প্রমোদতরীতে। মিয়ামি তীর থেকে এক মাইল দূরে এর ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিলে কোস্টগার্ডকে জানানোর পরই গলফ স্ট্রিমকবলিত হয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় জাহাজটি।
দৈত্যাকার ঢেউ:
হঠাৎ করেই সমুদ্রে দৈত্যাকার ঢেউ সৃষ্টি হতে পারে এমনকি শান্ত সমুদ্রেও এমন ঘটতে পারে। তবে একথা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই যে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে এমন ঢেউ নিয়মিত সৃষ্টি হয়।
চালকের ভুল :
অনেক জাহাজ এবং বিমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার তদন্তে দেখা গেছে এর অধিকাংশই চালকের ভুলের কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। যেমন- কোস্টগার্ড ১৯৭২ সালে ভিএ ফগ-এর নিখোঁজ হওয়ার কারণ হিসেবে বেনজিন-এর পরিত্যক্ত অংশ অপসারণের জন্য দক্ষ শ্রমিকের অভাবকে দায়ী করেছে। তবে রহস্যের কারণ হলো থ অনেক নিখোঁজের ঘটনারই উপসংহারে পৌঁছানো যায়নি কেননা এর কোনো ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ইচ্ছাকৃত ধ্বংসসাধন:
যুদ্ধের সময় অনেক জাহাজ শত্রুপক্ষের অতর্কিত আক্রমণে ডুবে গেছে বলেও মনে করা হয়। যেমন মনে করা হয় ১৯১৮ সালে ইউএসএস সাইক্লপস এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এর সিস্টার শিপ প্রোটিয়াস এবং নিরিয়াসকে জার্মান ডুবোজাহাজ ডুবিয়ে দেয়। তবে পরবর্তীতে জার্মান রেকর্ড থেকে এর সত্যতা প্রমাণ করা যায়নি।
জলদস্যুদের আক্রমণে:
আবার ধারণা করা হয় জলদস্যুদের আক্রমণে অনেক জাহাজ নিখোঁজ হয়ে থাকতে পারে। ওই সময়ে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাংশে এবং ভারত মহাসাগরে মালবাহী জাহাজ চুরি খুব সাধারণ ঘটনা ছিল। ১৫৬০ থেকে ১৭৬০ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ান অঞ্চল ছিল জলদস্যুদের আখড়া। তাই জলদস্যুদের আক্রমণেও জাহাজ নিখোঁজ হতে পারে।
একটা জিনিস চিন্তা করেন, আপনি শেষ কবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে এই ধরনের দুর্ঘটনার খবর শুনেছেন? নিকট অতীতে শুনেননি। কারন বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত, তাই অধুনিক বিজ্ঞানে তথাকথিত কল্পকাহিনীর কোনো স্থান নেই। ইউএস নেভি সারা বিশ্বের জলপথের যে ম্যাপ তৈরী করেছে তার মধ্যে এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের কোনো উল্লেখই নেই।বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সম্পর্কে আসলে এত ছোট একটা লেখায় সব বলা সম্ভব নয়। সবকিছু জানার পর এটাকে আপনি কি রহস্য হিসেবে দেখবেন নাকি নিছকই একটি মিথ হিসেবে দেখবেন, সে একান্তই আপনার সিদ্ধান্ত।
No comments:
Post a Comment