আজব পৃথিবী

Sunday, April 13, 2014

উড়ন্ত প্রাণী

সাধারণত সমুদ্রেই বসবাস উড়ন্ত মাছেদের৷ তারা তাদের সামনের পাখনাকে পাখা হিসেবে ব্যবহার করে এবং সহজেই পানির উপর দিয়ে উড়ে যায়৷ উড়ন্ত মাছগুলো ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে এবং বাতাসে উড়ে যেতে পারে ৪০০ মিটার উঁচু পর্যন্ত৷

 এটি স্কুইডের একটি প্রজাতি, যার নাম অক্টোপোটয়থিস ডিলেটট্রন৷ এই প্রজাতির প্রাণীটিকে পানির অনেক গভীরে চলতে ফিরতে দেখা যায়৷ কিন্তু কিছু প্রজাতির স্কুইড যখন কোনো ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়, তখন পানির উপর লাফ দেয়৷

না বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই৷ অক্টোপাসও উড়তে পারে এবং তা ৩ সেকেন্ডে প্রায় ৩০ মিটার৷ অনেকটা জেট বিমানের মতোই এদের কর্ষিকার মধ্যেখানের ঝিল্লিগুলো পাখার কাজ করে৷

অনেক সময় কোনো কোনো পোকামাকড়ের খোলসের চেয়ে তাদের মাংসল দেহটা অনেক বড় হয়৷ কিন্তু এটা জড়োসড়ো হয়ে খোলসের ভেতর গুটিয়ে থাকে৷ কোনো কোনো রোভ পোকা মাত্র অর্ধেক মিলিমিটার লম্বা হয়, কিন্তু খোলস থেকে যখন মাংসল দেহটা বেড়িয়ে আসে তখন কোনো কোনোটার দৈর্ঘ্য গিয়ে দাঁড়ায় ৫ সেন্টিমিটারে৷

‘ইন্ডিয়ান ফ্লাইং ফক্স’ বা উড়ন্ত খ্যাকশিয়াল দেখতে অনেকটা কুকুরের মতো, কিন্তু এরা উড়তে পারে৷ এরা গাছের ডালে উঠে ঘুমিয়ে থাকে৷ এরা তৃণভোজী এবং বেশিরভাগ সময় শুধুমাত্র ফল খেয়ে থাকে৷

এই উড়ন্ত খ্যাকশিয়ালগুলো বাদুড়ের সাথে সম্পর্কিত৷ বাদুড়ের দৃষ্টিশক্তি এবং ঘ্রাণশক্তি প্রবল৷ এগুলো বিপদজনক নয়, তবে এগুলো অনেক মারাত্মক ভাইরাসের বাহক৷

সব সাপ উড়তে পারে না – এটা একটা স্বস্তির কথা৷ তবে প্রকৃতিতে কয়েকটি ব্যতিক্রমও দেখা যায়৷ যেমন ক্রিসোপিলি, এটিকে উড়ন্ত সাপ হিসেবেই সবাই চেনে৷ ৩০ মিটার দূরত্বের একটি গাছ থেকে অন্য গাছে উড়তে পারে এরা৷

No comments:

Post a Comment