ইতালির এ সুন্দর শহরটি এর সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এছাড়া আরও অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, এ শহরের ভেতর দিয়ে এঁকে বেঁকে বয়ে গিয়েছে অনেকগুলো খালের মতো জলাশয়। তাই পুরো ভেনিস শহরেই যাতায়াতের জন্য ব্যবহার সহজ মাধ্যম হচ্ছে নৌকা। আর এক বাড়ি থেকে কাছাকাছি দূরত্বে থাকা আরেক বাড়িতে যেতে অধিবাসীরা ছোট ছোট ব্রিজ ব্যবহার করেন। অনেক আগে থেকেই এ শহরটি ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে-এটা বিজ্ঞানীরা জানতেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ শহরে বন্যার প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এ শতাব্দীর শেষ নাগাদ এ শহর বসবাসের জন্য পুরোপুরি অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে।
এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাল প্রাচীর যার বিস্তৃতি ১ লাখ ৩৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। একে ঘিরে যেমন গড়ে উঠেছে সমুদ্রের বাস্তুসংস্থান, একইভাবে উপকূলের বহু মানুষের জীবিকার উৎসও এ প্রবাল প্রাচীর। কিন্তু দুর্ভাগ্য! অকল্পনীয় সুন্দর এ প্রবালপ্রাচীর প্রতিনিয়তই ক্ষয়ে যাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে, সমুদ্রের পানির দূষণের কারণে পানির তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আর এভাবে চলতে থাকলে আগামী ১০০ বছর পর গ্রেট ব্যারিয়ার রীফের নাম পাওয়া যাবে শুধু বিজ্ঞান কিংবা ইতিহাসের বইতে!
জর্ডান নদী থেকে এর তীরবর্তী দেশগুলোর ক্রমাগত পানি আহরণের কারণে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে ডেড সি বা মৃত সাগর। কারণ প্রচুর লবণে পূর্ণ এ সাগরের পানির মূল উৎস হচ্ছে জর্ডান নদী। গত ৪০ বছরে ডেড সি প্রায় তিনগুণ সংকুচিত হয়ে গিয়েছে ও উচ্চতা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ ফুটে!
দক্ষিণ এশিয়ার এ দ্বীপরাষ্ট্রটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ ফুট উপরে ভেসে আছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, যেভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বেড়ে চলেছে তাতে আগামী ১০০ বছরের মাঝে অপূর্ব সুন্দর মালদ্বীপের পুরোটাই সাগরের পানির নিচে তলিয়ে যাবে। আর এ অবস্থা সৃষ্টির সম্ভাবনা এতোটাই বেশি যে মালদ্বীপ সরকার ইতিমধ্যেই অন্যদেশে তার নাগরিকদের জন্য জমি কিনতে শুরু করেছে!
রকি মাউন্টেইন থেকে কিছুটা ছোট উচ্চতার এ পর্বতমালা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বাজে শিকার। বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে প্রতি বছর আল্পস পর্বতের মোট বরফের ৩% গলে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর বুকে হয়তো আল্পসের কোন অস্তিত্বই থাকবে না।
No comments:
Post a Comment