আজব পৃথিবী

Saturday, May 3, 2014

সাত বৌ পালালো একসঙ্গে !

 চীনে সাত কৃষকের সাত বৌ একসঙ্গে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এই পলায়নের ঘটনা আমাদের বিখ্যাত হলিউড মুভি রানওয়ে ব্রাইডের কথা মনে করিয়ে দেয়। ১৯৯৯ সালে নির্মিত ওই ছবির প্রধান চরিত্র ম্যাগি কারপেন্টার বেশ কয়েকবার বরদেরকে ফেলে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এই চরিত্রে অভিনয় করে তারকা খ্যাতি পেয়েছিলেন বিখ্যাত অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস।এদিক দিয়ে চীনা কৃষকদের বেশ ভাগ্যবানই বলতে হয। কেননা তাদের বৌ পালিয়েছে বিয়ের পর। কিন্তু তাদের কষ্ট অন্য জায়গায়। কত শখ করে তারা বৌ খুঁজে এনেছিলেন সেই ভিয়েতনাম থেকে। অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপণ দেখে তারা ভিয়েতনামী নারীদের বৌ হিসেবে পেতে আগ্রহী হন। এজন্য তাদের প্রত্যেককে ব্যয় করতে হয়েছিল ৫ হাজার ইউরো করে। কিন্তু বিয়ের মাত্র সাত দিন পর স্বামীদের একেবারে পথে বসিয়ে পগারপাড় হয়েছেন সাত বৌ একসঙ্গে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এক ওয়েবসাইটে ভিয়েতনামের আকর্ষণীয় পাত্রীদের  চটকদার বিজ্ঞাপণ দেয়া হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, ওইসব নারীরা ঘরকন্না এবং রান্নাবান্নায় দারুন পারদর্শী বলে । এতেই মজেছিলেন ওই সাত চীনা কৃষক।এদের একজন হলেন হু পেং। ৪৬ বছরের পেং জিয়াংঝি প্রদেশের বাসিন্দা। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন,‘আমাদের এখানে ভিয়েতনামের পাত্রীদের বেশ কদর রয়েছে। ধারণা করা হয়ে থাকে, তারা বিশ্বাসী, বিবেচক এবং সংসারের প্রতি মনোযোগী। আজকাল বিয়ের জন্য চীনা মেয়ে খুঁজে পাওয়া এমনিতেও কষ্টকর। কেননা সরকারের এক সন্তান নীতির কারণে বেশিরভাগ চীনা পরিবারই ছেলে সন্তান চায়। ফলে মেয়ে ভ্রুণ হত্যা করা হয় নির্বাচারে। এ কারণে দেশে চীনা মেয়ের আকাল।’ 

বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাক মতই চলছিল। পেং সকালে কাজে বেরিয়ে যেতেন। আর বৌ ঘরে থেকে সংসার সামলাতেন। রান্না করা, ঘর গুছানো, কাপড় ধোয়া সব কাজই করতেন। এছাড়া ভিয়েতনাম থেকে আগত বাকি ছয়জনের সঙ্গে তার গভীর বন্ধুত্ব ছিল।পেংয়ের ভাষায়,‘ ওরা একসঙ্গে বেড়াতে যেত। কেনাকাটা করতেই যেত বেশিরভাগ সময়। সেদিনও শপিংয়ের কথা বলেই বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। কিন্তু আর সে বাড়ি আসেনি। যাদের সঙ্গে গিয়েছিল তারাও আর ফেরেনি। যাবার সময় সে আমার সব টাকা আর মূল্যবান পোশাক নিয়ে গেছে। বিয়ে উপলক্ষ্যে ওর জন্যই আমি এসব কিনেছিলাম।’ওই সাত কৃষক স্থানীয় থানায় বৌ খোয়া যাওয়ার মামলা করেছেন। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

No comments:

Post a Comment