হোয়েনসলার্ন কাসল : হোয়েনসলার্ন বংশের শাসকরা জার্মানি শাসন করেছেন ১৮৭১ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত৷ তাদেরই একজন ১৮৫০ সালে পিতৃপুরুষের ভিটায় এই দুর্গ নির্মাণ করেন৷ বাডেন ভুর্টেমব্যার্গে পাহাড়ের ৮৫৫ ফুট ওপরে হোয়েনসলার্ন দুর্গের অবস্থান৷
ভার্টবুর্গ : ভার্টবুর্গ কাসলকে কেউ কেউ জার্মানির ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ বলে থাকেন৷ মধ্য জার্মানির আইজেনাখ শহরে ১০৬৭ সালে এ দুর্গ নির্মাণ করা হয়৷ রোমান সম্রাটের কোপানল থেকে বাঁচতে ১৫২১ সালে এই দুর্গেই আশ্রয় নিয়েছিলেন ক্যাথলিক সাধু মার্টিন লুথার৷ এখানে বসেই তিনি জার্মান ভাষায় নিউ টেস্টামেন্টের অনুবাদ করেন৷ ১৯৯০ সালে ইউনেস্কো ভার্টবুর্গ দুর্গকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে৷
নুরেমবার্গ দুর্গ : মধ্যযুগে নুরেমবার্গ কাসল ছিল জার্মান সাম্রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ
প্রাসাদ৷ রোমান সাম্রাজ্যের শাসকেরা একশ বছরেরও বেশি সময় এ প্রাসাদে বসবাস
করেছেন৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গুঁড়িয়ে দেয়া হলেও পরে মূল স্থাপনাটির
আদলে গড়ে তোলা হয় বর্তমান দুর্গটি৷
এটৎস কাসল : এক সময় জার্মানির ৫০০ মার্কের নোটে এই দুর্গের ছবি আঁকা ছিল৷ ১২ শ’ শতকের গোড়ার দিকে নির্মিত এই স্থাপনা জার্মানির অন্যতম বিখ্যাত দুর্গ৷ মোজেল নদীর ধারে পাহাড়ের ওপর ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের একখণ্ড পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এটৎস কাসল এখন জার্মানির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র৷
বুর্গহাউসেন দুর্গ : আপার বাভারিয়ার বুর্গহাউসেন শহরে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ এই কাসল কমপ্লেক্স৷ গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী এই দুর্গ চত্বরের দৈর্ঘ্য ১০৫১ মিটার৷ ১০২৫ খ্রিষ্টাব্দের দিকে নির্মিত এই দুর্গ বাভারিয়ার ভিটেলসবাখ সাম্রাজ্যের শাসকদের বাসস্থান হিসাবে ব্যবহৃত হতো৷
মার্কসবুর্গ কাসল : রাইনের তীরে ব্রাউবাখ শহরে মার্কসবুর্গ কাসল গড়ে তোলা হয় ১২ শ’ শতকের শুরুর দিকে৷ এখন পর্যন্ত এর মূল কাঠামো অটুট আছে৷ মধ্য রাইন উপত্যকায় পাহাড়ের ওপর নির্মিত দুর্গগুলোর মধ্যে একমাত্র্র মার্কসবুর্গই কখনো পরাভূত বা ধ্বংস হয়নি৷ রাইন উপত্যকার এ অংশে প্রতি আড়াই কিলোমিটার অন্তর অন্তর একটি করে দুর্গ ছিল এক সময়৷ ২০০২ সালে এ এলাকাকে বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করে ইউনেস্কো৷
রাইনস্টাইন দুর্গ : ইতিহাসের পাতায় মধ্য রাইন উপত্যকায় রাইনস্টাইন দুর্গের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৩২৩ সালে৷ ষোড়শ শতকে ধসে পড়ার পর স্থপতি কার্ল ফ্রিডরিশ ১৮২৩ সালে প্রুাশিয়ার প্রিন্স ফ্রিডরিশ-কে এই দুর্গের সম্পত্তি কিনে নিতে অনুরোধ করেন৷ রোমান্টিক যুগে রাইনের তীরে পুনঃনির্মাণ করা প্রথম দুর্গ হলো এই রাইনস্টাইন কাসল৷
কখেম কাসল : মোজেল নদীর তীরে পার্বত্য এলাকায় নির্মিত সবচেয়ে বড় দুর্গ হলো এই কখেম কাসল৷ আনুমানিক একাদশ শতকে নির্মিত এই দুর্গ সপ্তদশ শতকে এসে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়৷ পরে বার্লিনের ব্যবসায়ী লুই রাফেন ৩০০ স্বর্ণমুদ্রায় এই সম্পত্তি কিনে নেন এবং ১৮৭৭ নিও গথিক স্থাপত্যরীতিতে দুর্গটি পুনঃনির্মাণ করেন৷
আলটেনা দুর্গ : নর্থ রাইন-ভেস্টফেলিয়ায় ৮০০ বছরের পুরনো এই দুর্গেই বিশ্বের প্রথম ইয়ুথ হোস্টেলটি চালু হয় ১৯১৪ সালে৷ দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকার পর ওই সময়ই নতুন করে নির্মাণ করা হয় এ দুর্গ৷
সাত্সফাই কাসল : নর্থ রাইন-ভেস্টফেলিয়ায় পরিখাসহ যে জার্মান দুর্গগুলো খুব ভালভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে, তার মধ্যে সাত্সফাই কাসল একটি৷ আনুমানিক দ্বাদশ শতকের দিকে এটি নির্মাণ করা হয়৷ এ দুর্গের চারপাশে রয়েছে গভীর পরিখা, শত্রুকে দূরে রাখার কৌশল হিসাবে যা খনন করা হয়েছিল৷
No comments:
Post a Comment