চীনের মহাপ্রাচীর আমাদের অনেকরেই কৌতহলের বিষয়। আসুন আমরা চীনের প্রাচীর বিষয়ে সংক্ষিপ্ত ভাবে জানি আজ। চীনের প্রাচীর বা গ্রেট ওয়াল অফ চায়না এর নাম শুনেছি আমরা সবাই। আশ্চর্য পৃথিবীর এই দীর্ঘতম প্রাচীর, দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৬৯৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১৬৮৪ মাইল। উচ্চতা ৪.৫৭ থেকে ৯.২ মিটার বা প্রায় ১৫ থেকে ৩০ ফুট। চওড়ায় প্রায় ৯.৭৫ মিটার বা ৩২ ফুট। চীনের প্রাচীর তৈরী করা আরম্ভ হয়েছিল ২২১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আর শেষ হতে লাগে প্রায় ১৫ বছর। তৈরী হয় ইঁট আর পাথর দিয়ে।
প্রশ্ন হল, এরকম একটা বিকট আকৃতির প্রাচীর তৈরী করার প্রয়োজন কেন হয়েছিল? মাঞ্চুরিয়া আর মঙ্গোলিয়ার যাযাবর দস্যুদের হাত থেকে চীনকে রক্ষা করার জন্য এই গ্রেট ওয়াল অফ চায়না তৈরী করা হয়েছিল। ২৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে চীন বিভক্ত ছিল খণ্ড খণ্ড রাজ্যে আর প্রদেশে। এদের মধ্যে একজন রাজা যার নাম ছিল ষি হুয়াং-টি, তিনি অন্যান্য রাজাদের সংঘবদ্ধ করে নিজে সম্রাট হন। চীনের উত্তরে গোবী মরুভূমির পূর্বে দূর্ধর্ষ মঙ্গলদের বাস, যাদের কাজই হল লুটতরাজ করা। এদের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য সম্রাটের আদেশে চীনের প্রাচীর তৈরীর কাজ আরম্ভ হয়। প্রাচীর তৈরী হয়েছিল চিহলি – পুরানো নাম পোহাই উপসাগরের কূলে শানসীকুয়ান থেকে কানসু প্রদেশের চিয়াকুমান পর্যন্ত।সম্রাটের উদ্দেশ্য কি সিদ্ধ হয়েছিল? বোধহয় না। পাঁচিলের অনেক জায়গা প্রায়ই ভেঙ্গে পড়ত অথবা মঙ্গোল দস্যুরা ভেঙ্গে ফেলে চীনের মূল ভূখণ্ডে লুটপাট করার জন্য ঢুকে পড়ত। বর্তমানে প্রাচীর ঐতিহ্য বলে রক্ষার ব্যবস্থা করা হলেও প্রাচীরের অনেক জায়গা এখনও কিছু কিছু ভাঙ্গা।
No comments:
Post a Comment