Sunday, May 4, 2014
মৃত্যুও কত সুন্দর!
কোনো কোনো ছবিও ‘ছবির মতো সুন্দর’ হয়। মন যেমন কল্পনা করে সুন্দর কোনো রং রেখা চিত্রকল্পের, ঠিক তেমন। সুন্দর রূপে ধরা দেয় কোনো কোনো মৃত্যুও। যেমন সুন্দর রূপে ধরা দিয়েছে নামিবিয়ার ডেডভ্যালির এই ফটোগ্রাফগুলি।প্রথমে যে কেউ এগুলো ফটোশপের কারসাজি অথবা পেইন্টিংস ভাবতে পারেন। তবে আসল তথ্য হলো, ডেড মার্শ নামে পরিচিতি অনেকটা সুরিয়ালিস্টিক বা পরাবাস্তবধর্মী এই ছবিগুলো মধ্য নামিবিয়ার বিখ্যাত একটি মরুভূমির ভূখণ্ড।কয়লার মতো কালো গাছগুলো দাঁড়িয়ে সাদা ভূমিবিন্যাসের উপরে। পিছনে প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তিত হওয়া লাল বালিয়াড়ি। উপরের আকাশটা গাঢ় নীল। চোখ ধাঁধানো এই চিত্রগুলির পিছনের সৌন্দর্য একটি ঘন জঙ্গলের মৃত্যু এবং এখনো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাছ!এই মরভূমির কোল ঘেঁষে রয়েছে একটি লেক। কিন্তু বছরের একটা সময় এখানে জলাভূমির সৃষ্টি হলেও বালিয়াড়ি থেকে বালি পড়ে জলাভূমি পুরোপুরি ডেডভ্যালিতে রূপান্তরিত হয়।যখন এই ডেডভ্যালি পুরোপুরি জীবিত ছিল তখন প্রচুর সংখ্যক কাঁটাযুক্ত এক ধরনের গাছে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু যখন পানির উৎস বন্ধ হয়ে যায় তখন গাছগুলো মরে পচে যায়। তারপর রোদে শুকিয়ে সেটা কালোবর্ণ ধারণ করে। ক্রমে মরুভূমিতে শুকনো মৃত গাছের বনে পরিণত হয়।৪৪ কিলোমিটারের এই ডেডভ্যালিকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ‘মৃত স্থান’ বলা হয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment