আজব পৃথিবী

Sunday, May 11, 2014

মাংসাশী উদ্ভিদ কলসি

কেই নাম দেওয়া হয় কলসি উদ্ভিদ। বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৮০ প্রকারের কলসি উদ্ভিদ দেখা যায়। বিশেষ করে আমেরিকা, মাদাগাস্কার, ভারত ও শ্রীলঙ্কার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। এই উদ্ভিদের পাতা দেখতে সাধারণ মানের ও উজ্জ্বল রংয়ের কলসি সদৃশ্য দুরকমই দেখতে পাওয়া যায়। একটি আকর্ষী থেকে ধীরে ধীরে সুতার মতো একটি পাতা উৎপন্ন হয় তা ক্রমান্বয়ে বড় হয়ে একটি জগের আকার ধারণ করে। বিভিন্ন প্রজাতির কলসি উদ্ভিদের পাতাগুলো বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। তবে সচরাচর দুই ইঞ্চি থেকে দুই ফুটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে এর আকার। আজব প্রজাতির এই মাংসাশী উদ্ভিদ একসময় মাছি, গুবরেপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি শিকার শুরু করে। বড় আকারের কলসি উদ্ভিদগুলো অনেক সময় ছোট আকারের ব্যাঙ ও ইঁদুরও শিকার করে। এই উদ্ভিদ কোনো প্রকার নাড়াচাড়া ছাড়াই পরোক্ষভাবে শিকার করে। কলসির মাথায় রয়েছে একটি ঢাকনা। এই ঢাকনাটি সবসময় খোলা থাকে বলে এর মুখ দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির পানি ঢোকে। কলসির মুখে এক ধরনের মধু উৎপন্ন হয়। মূলত এই মধুর লোভেই পোকামাকড় হামাগুড়ি দিয়ে কলসির ভেতর প্রবেশ করে। পোকাটি কলসির ভেতরে ঢুকেই বিপদে পড়ে যায়। কারণ এর ভেতরের দেয়ালটি বরফের মতো মসৃণ ও পিচ্ছিল। ফলে পোকাটি কলসির আরও গভীরে পড়ে যায়। কলসির তলদেশে রয়েছে অসংখ্য শূঙ্গ। এই শূঙ্গের জলে একবার কোনো পোকা পতিত হলে আর বের হতে পারে না। তখন কলসি উদ্ভিদের পরিপাকে সাহায্যকারী উৎসগুলো কলসির তলদেশে বেরিয়ে আসে। এর ফলে পোকার দেহের নরম অংশগুলো পরিপাক হয়ে কলসি উদ্ভিদের দেহে শোষিত হয়। আর শক্ত অংশগুলো কলসির তলদেশে জমা থাকে।

No comments:

Post a Comment