আজব পৃথিবী

Sunday, May 11, 2014

যে ৯টি দেশে একবার হলেও যাওয়া উচিত!

১. বোরা বোরা : বিশ্বের যে কয়েকটি স্থান পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে সেগুলোর মধ্যে বোরা বোরা আইল্যান্ড অন্যতম। গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে এর জুড়ি নেই। বিশেষ করে নবদম্পতিদের আনাগোনো এখানে সবচেয়ে বেশি। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এই দ্বীপে। বোরা বোরা দ্বীপটির অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরে। এর আয়তন ২৩০ কিলোমটার, যা প্যাপেটার উত্তর-পশ্চিম এবং অন্তরীক্ষ বাঁধবেষ্টিত। এ দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে একটি মৃত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। 'মাউন্ট পাহিয়া' এবং 'মাউন্ট ওটেম্যানু' দ্বীপটির উচ্চতম স্থান। যেগুলো ভূমি থেকে ৭২৭ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।এ স্থানটি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মূলত এর বিলাসবহুল রিসোর্টগুলোর জন্য। এখানকার উৎপাদনজাত দ্রব্যগুলো মূলত সমুদ্রকেন্দ্রিক। আরও রয়েছে প্রচুর নারিকেল গাছ। যা অর্থনৈতিকভাবে দ্বীপটিকে সমৃদ্ধ করেছে। এক কথায় বলতে গেলে, বোরা বোরা আইল্যান্ড পুরোপুরি পর্যটননির্ভর। সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে অনেক রিসোর্ট তৈরি হয়েছে। কারণ একটাই, দিনে দিনে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েই চলেছে। এখানকার রিসোর্টগুলোতে অবস্থান খরচ তুলনামূলকভাবে কম। মৌলিকতার দিক দিয়ে থাকার স্থানগুলো ভীষণ আরামদায়ক। ক্যাম্প করেও একসঙ্গে অনেকে দল বেঁধে এখানে থাকেন। তবে অধিকাংশ পর্যটক সমুদ্র তীরবর্তী স্থানগুলোই বেছে নেয়। প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টি ফ্লাইট বোরা বোরা বিমানবন্দরে পৌঁছায়। মূলত এ অঞ্চলের জনসাধারণ ফ্রেঞ্চ এবং তাহিশিয়ান ভাষায় কথা বলে। তবে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে কিছু লোক ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছে। এ দ্বীপটিতে আগত অধিকাংশ পর্যটক আমেরিকান, জাপানিজ অথবা ইউরোপিয়ান।

২. ডেনমার্ক : ডেনমার্ক অনেক সুন্দর একটি দেশ। এটি উন্নত একটি দেশ। তাই জীবনে বেঁচে থাকলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন এই দেশটি থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের জরিপ অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ডেনমার্ক। এর পরই আছে পুয়ের্তো রিকো ও কলম্বিয়া। তালিকায় একেবারে নিচে আছে জিম্বাবুয়ে। শেষের ১০টি দেশের তালিকায় আছে রাশিয়া ও ইরাক। তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৬তম। এর আগে আছে সুইজারল্যান্ড, কানাডা ও সুইডেন। তাই ঘুরে আসুন বিশ্বেও সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এই দেশটি।

৩. ইটালি : প্রসিদ্ধ ইতিহাসে বিখ্যাত এই দেশটি আমরা অনেকেই হয়ত চিনি। কিন্তু সময়ের অভাবে ঘুরে আসা হয়নি এই সুন্দর দেশটি। তাই আর দেরি নয়। আজই পরিকল্পনা করুন ঠিক কবে যাবেন। ইটালিতে রয়েছে সেই বিখ্যাত রোম শহর। ইতিহাস বিখ্যাত স্মৃতিসৌধ, ভবন আর চত্তর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রোমের অলিগলিতে। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এতো বেশি পুরাকীর্তি সম্ভবত আর কোন শহরে নেই। পুরাকীর্তির কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় দু'হাজার বছরের পুরাতন রোমের কলোসিয়াম। গ্লাডিয়েটর দের যুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে এখনো প্রায় অটুট স্ট্রাকচার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই আ্যাম্ফিথিয়েটার। ৫০ হাজার দর্শক ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন কলোসিয়ামে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ আর দশ লক্ষাধিক প্রানী জীবন দিয়েছে। অমানবিক সে ইতিহাস আজ লীন, হাজার হাজার পর্যটক প্রতিদিন এই কলোসিয়ামকে রোমানদের ঐতিহাসিক কীর্তি হিসাবেই দেখতে আসে।

৪. স্কটল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ : যুক্তরাষ্ট্রের ৯৭ শতাংশই অনেক সুন্ত এবং বেশ উন্নত। স্কটল্যান্ডও দেখার মত একটি জায়গা। স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গে ঢুকতেই অন্যরকম আবেশে যেন সবকিছু ছুঁয়ে যায়। আর দশটা শহরের মতো এর পরিবেশ একরকম নয়। একটা গম্ভীর ভাব সবখানে অনুভূত হবে। এর সাথে এই শহর বেশ নিরিবিলি এ শহরটিতে ঢোকার ব্যাপারটিও একদমই আলাদা। বই ছাড়া তাতে ঢোকার কথা যেন কল্পনাই করা যায় না।

৫. গ্রীসের সান্তোরিনি : গ্রীস ইতিহাসের একটি বিখ্যাত দেশ। অনেক ইতিহাসের কাহিনীর সাথে গ্রীসের বর্ণনা পাওয়া যায়। গ্রীসের সান্তোরিনি এমনই একটি জায়গা যা নিজেরচোখে না দেখলে বিশ্বাস হওয়ার নয়। পৃথিবী বিখ্যাত পুরাকাহিনীর দেশ গ্রীস, প্রাচীন কল্পনার স্বপ্নভুমি । স্বতন্ত্র সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ইউরোপের এই দ্বীপ দেশটি মানুষকে মোহিত করেছে যুগে যুগে। প্রাচীন সভ্যতার সেই স্বর্ণযুগ এখন আর না থাকলেও তার রতœরাজি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশটি জুড়ে। আর আপনি তা সবচাইতে বেশি উপভোগ করতে পারবেন সান্তোরিনি দ্বীপে গিয়ে।আগ্নেয়গিরি থেকে উৎপত্তি হয়েছে গ্রীসের এই দ্বীপটির। এর আনুষ্ঠানিক নাম আসলে “থেরা” অথবা “থিরা” কিন্তু সাধারণত একে সান্তোরিনি বলেই ডাকা হয়। এর পূর্বে এই দ্বীপটির নাম ছিল ক্যালিস্টে এবং স্ট্রঙ্গাইলে। গ্রীসের মূল ভূখ- থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত ছোট্ট এই দ্বীপে রয়েছে নতুন-পুরনো ধাঁচের বেশ কিছু গ্রাম। এখানে গিয়ে আপনি যেমন পুরনো আমলের গ্রীসের স্বাদ অনুভব করতে পারবেন, তেমনই আধুনিক সব সুযোগ সুবিধার মাঝে থেকে আপনার ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন। সাদা রঙের বাড়ি দিয়ে ভরে আছে পুরো শহর। বাড়িগুলোর ছাদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নীল। এই দুই রঙের মিশেলে মনে হয় সাগর থেকে উঠে এসেছে এই দ্বীপের বাড়ীগুলো। শুধু এই শহরই নয়। পুরো সান্তোরিনিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো অনেক কিছুই।

৬. লেবানন : আপনি মারা যাওয়ার আগে অবশ্যই লেবানন ঘুরে আসবেন। লেবাননে গেলে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন, জীবনের কিছু নতুন অধ্যায় জানতে পারবেন। লেবাননের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত। যদিও লেবানন ধর্ম ও গোষ্ঠীগতভাবে বিভক্ত একটি রাষ্ট্র। এখানে খ্রিস্টান, সুন্নী মুসলমান ও শিয়া মুসলমানেরা একত্রে বাস করেন।

৭. লন্ডন : লন্ডন অনেক মানুষেরই স্বপ্নের শহর বলা যায়। সেখানে পড়ালেখার জন্য হোক অথবা কাজের জন্য হোক, কিছু একটা করে স্থায়ী ভাবে থেকে যেতে পারলে অনেকেই খুশি হয়। আবার অনেকে শুধু লন্ডন ঘুরে দেখে আসারও ইচ্ছা রাখেন। মহানগরী লন্ডনের আনাচে-কানাচে, উপকন্ঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। রকমারী সংগ্রহশালা, প্রদর্শনী, ঐতিহাসিক ও নান্দনিক ভবন-স্থাপত্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সর্বোপরি কসমোপলিটন সংস্কৃতি উপভোগের বিপুল সুবিধা লন্ডনকে সারা দুনিয়ার ভ্রমণ-রসিকদের কাছে এক অমোঘ আকর্ষণ-স্থলে পরিণত করেছে। লন্ডনের দর্শনীয় স্থানের অনেকগুলো নিজ-গুণে এবং প্রচার-যন্ত্রের বদৌলতে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে অতি-সুপরিচিত। আবার কোন-কোনটি খ্যাতির পাল্লায় ততোটা ভারী না হলেও, ইতিহাস-উপকরণ বা ব্যতিক্রমধর্মীতার বিচারে দর্শনার্থীদের কাছে হয়ে ওঠে অনবদ্য।

৮. গুয়াডেলোপ : এখানে রয়েছে অনেক দ্বীপপুঞ্জ। এই দ্বীপপুঞ্জটি অনেক রোমান্টিক। কেউ যদি ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসতে চান তাহলে অবশ্যই গুয়াডেলোপে যাবেন। এখানকার প্রাকৃতিক বাতাস আপনাকে কওে তুলবে অনেক বেশি আবেদনময়ী। ফলে পাশে থাকা প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে গুয়াডেলোপের সৌন্দর্যকে অবলোকন করতে আজই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।


৯. হাওয়াই : প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে আছে অনেক দ্বীপ। তার মধ্যে প্রধান হলো হাওয়াই যা বিগ আইল্যান্ড নামে পরিচিত। মাউই, ওয়াহু, কাউয়াই ছাড়াও আছে লানাই, মলোকাই, নি-ইহাউ এরকম অনেক ছোট ছোট দ্বীপ। হাওয়াই প্রদেশের রাজধানী হনলুলু একটি আধুনিক শহর, যা ওয়াহু দ্বীপে অবস্থিত। এই প্রাকৃতিক দ্বীপগুলোকে সরাসরি অবলোকন করতে যেতে পারেন এই দ্বীপের উদ্দেশ্যে নির্দ্বিধায় রওয়ানা করতে পারেন।




No comments:

Post a Comment