আজব পৃথিবী

Saturday, May 3, 2014

পুরুষাঙ্গ কেটে বিখ্যাত!

দুই দশক আগে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছিলেন লরেনা ববিত। কিন্তু এ ঘটনার পর তার জীবন থেমে থাকেনি। নতুন করে প্রেমে পড়েছেন এবং বিয়েও করেছেন। দীর্ঘ ২১ বছর পর সে দিনের ঘটনা সম্পর্কে মুখ খুলে ফের আলোচনায় এসেছেন লরেনা ববিট।সম্প্রতি ৪৪ বছরের ববিট সে দিনের ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ওই ঘটনার জন্য তিনি কতটা হয়রানির শিকার হয়েছিলেন সেটেও বর্ণনা করেছেন। প্রতিশোধ নিতেই নাকি তিনি ওই কুকর্মটি করেছিলেন।বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে বসবাস করছেন। কাজ করছেন এক রিয়েল স্টেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। গত ১৬ বছর ধরে মনের আনন্দে একজন পছন্দের মানুষের সঙ্গে ঘর-সংসার করছেন। এখানে তার আট বছর বয়সী একটি মেয়েও আছে। স্থানীয় এক এনবিসি৪ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান,‘ বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, এ ঘটনা প্রকাশ পাবার পরও বেশ কয়েকজন ভদ্রলোক আমার সঙ্গে প্রেম করতে চেয়েছেন।’ এ কথা বলার সময় তিনি হাসতে থাকেন।

১৯৯৩ সালের ঘটনা। ইকুয়েডরে জন্মগ্রহণকারী এই  নারী তখন ২৪ বছরের যুবতী। নিয়মিত স্বামীর হাতে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।১৯৯৩ সালের ২৩ জুন। অন্যসব দিনের মত একগাদা মদ গিলে বাসায় ফিরেছেন স্বামী জন উয়েনে ববিট। ঘরে পা দিয়েই বৌয়ের সঙ্গে শুরু করলেন ঝগড়া। শেষে গেলেন ঘুমোতে। এর আগে লরেনাকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে তিনি অভিযোগ করেছিল। যাই হউক, স্বামী ঘুমিয়ে পড়লেও ঘুম নেই লরেনার চোখে। তার বুকে তখন দাউদাউ করে জ্বলছে প্রতিশোধের আগুন। সে রান্নাঘর থেকে আট ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরি নিয়ে আসল। তারপর শোবারঘরে ঢুকে স্বামীরে পুরুষাঙ্গটি ক্যাঁচ করে কেটে ফেললেন। শুধু কেটেই খান্ত হননি, এটিকে টুকরো টুকরো করেছেন।স্বামী বেচারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে সোজা গাড়ি নিয়ে চম্পট। গাড়ি চলাতে চালাতে পুরুষাঙ্গের টুকরোগুলো জানালা দিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলেছেন একটি শষ্যক্ষেত্রে। অবশ্য কিছুক্ষণ পর তার রাগ পড়ে আসে। তখন তার হুঁশ হয়। ‘হায়! এ আমি কি করলাম।’ তাৎক্ষণাৎ তিনি জরুরি নাম্বারে ফোন করেেএক হাসপাতালে জানান। এরপর পুরুষাঙ্গের টুকরোগুলো জোড়া দিয়ে জন উয়েনে ববিটকে সারিয়ে তোলেন চিকিৎসকরা। এ অপারেশনে তাদের দীর্ঘ নয় ঘণ্টা ব্যয় করতে হয়।

তবে এ ঘটনার জন্য কোনোরকম অনুশোচনা অনুভব করেন না লরেনা। নির্মম নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে এছাড়া তার আর কোনো উপায় ছিল না। তিনি বলেন,‘আসলে এমনটি করার কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না। পারিবারিক সহিংসতা আমাকে এমনটি করতে বাধ্য করেছিল।’এ ঘটনার পর ১৯৯৫ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। লরেনা এখনও তার নামের শেষে স্বামীর লেজটুক অর্থাৎ ববিট ব্যবহার করছেন। তিনি যে সামাজিক কাজে জড়িত আছেন তাতে নিজেকে সহজে চেনাতেই তিনি পরিত্যক্ত স্বামীর নামটি এখনো ধরে রেখেছেন। তার অনেক নারী বান্ধবী রয়েছেন যারা তাকে ভালোবাসেন এবং সামাজিক কাজে সহায়তা করেন। তিনি সমাজের নির্যাতীতা নারীদের জন্য কাজ করছেন।ওদিকে তার স্বামী প্রবরটি কি করছে জানেন? নিজের লিঙ্গ জোড়া দেয়ার কাজ শেষ হতেই তিনি পর্ণো মুভিতে অভিনয় শুরু করেন। সেখানে তার নাম হচ্ছে জন ওয়েনে ববিট আনকাট। লিঙ্গ জোড়া দেয়ার পর থেকে সে ‘আনকাট’বা ‘আকাটা’ নামেই পরিচিতি পেয়েছেন।.

গত বছর ‘দা সান’ পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ববিট দাবি করেন, ওই দুর্ঘটনার পর তার যৌন ক্ষমতা বেড়ে গেছে । তাহলে বলতেই হয়, এ ঘটনা তার জন্য তাহলে শাপেবর হয়েছে।!  ‘দা সান’ পত্রিকাকে অহঙ্কার করে তিনি বলেন,‘এই  ‍পুরুষাঙ্গ কাটার ঘটনায় আমি বিখ্যাত হয়ে গেছি। এটি আমার প্রেমিক জীবনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং আমি আরো লাভবান হয়েছি।’তবে এ ঘটনায় আইনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি ববিট। বান্ধবী ক্রিস্টিনা এলিয়টকে নির্যাতনের ঘটনায়  ১৯৯৪ সালে ১৫ দিন জেল খেটেছেন। ইতিমধ্যে আরো দুবার বিয়ে করেছেন। তবে কোনটিই বেশিদিন টেকেনি।

No comments:

Post a Comment