আজব পৃথিবী

Friday, May 30, 2014

দর্শনীয় কয়েকটি স্থান

গ্রেট ওয়াল, চীন : সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত চীনের এ মহাপ্রাচীরটি বিশ্বের মানবসৃষ্ট অন্যতম বড় নিদর্শন।

তাজ মহল, ভারত : মর্মর প্রস্তর নির্মিত এ স্থাপনাটি বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর বিল্ডিং বলে খ্যাত। ১৭ শতকে মোগল সম্রান শাহ জাহান তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার নিদর্শনস্বরূপ এ স্থাপনাটি বানান।

কৈলাস মন্দির, ভারত : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেবতা শিবের জন্য উৎসর্গকৃত মন্দির কৈলাস। সাত হাজার শ্রমিক দেড়শ বছর ধরে খোদাই করে তৈরি করেছে বিশ্বের বৃহত্তম এ একক পাথরের স্থাপনাটি।

টেরাকোটা আর্মি, চীন : আট হাজার সৈন্য, ৬৭০টি ঘোড়া ও ১৩০টি রথের সমন্বয়ে এ পোড়ামাটির সৈন্যবাহিনী গঠিত হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে নির্মিত এগুলো।


গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে ২৯ কিলোমিটার পর্যন্ত চওড়া ও ১.৬ কিলোমিটার পর্যন্ত গভীর এলাকায় শুষ্ক এ গিরিখাতটি অবস্থিত।

হ্যাগিয়া সোফিয়া, তুরস্ক : এটি তুরস্কের একটি ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনা। এটি প্রায় এক হাজার বছর বিশ্বের বৃহত্তম ক্যাথেড্রালের স্থান দখল করে ছিল।

গ্রেট ব্লু হোল, বেলিজ : স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ পানির ১২৫ মিটার গভীরে ৩১০ মিটার চওড়া এ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকাটি ডাইভারদের জন্য অসাধারণ একটি এলাকা।

গ্রেট রিফট ভ্যালি, ইথিওপিয়া : প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত এ এলাকাটি বিশ্বের বৃহত্তম ফাটলের ফলে সৃষ্ট উপত্যকা। রেড সি থেকে লেক মালাউয়ি পর্যন্ত বিস্তৃত এ এলাকাটি ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চওড়া।

পোটালা প্যালেস, তিব্বত : দালাই লামার বাসস্থান ও বিশ্বের উচ্চতম রাজপ্রাসাদ এটি। ৫০ বছর লেগেছে ৩৭০০ মিটার উঁচু ১৩ তলা বিশিষ্ট প্রাসাদটি তৈরি করতে। এ ছাড়াও এতে রয়েছে এক হাজার কক্ষ।

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, জিম্বাবুয়ে/জাম্বিয়া : জিম্বাবুয়ে ও জাম্বিয়ার সীমান্তে অবস্থিত এ জলপ্রপাত বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় জলপ্রপাত।

মরেনো হিমবাহ, আর্জেন্টিনা : আর্জেন্টিনার দক্ষিণ-পশ্চিম সান্তা ক্রুজ এলাকায় পেরিতো মোরিনো হিমবাহ।

কিলাউইয়া, হাওয়াই : বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। গত তিন দশক ধরে এটা ক্রমাগত উদগিরণ করে যাচ্ছে।

২০১৩ সালের সেরা বিল্ডিং

 টুর ক্যাপরি ডাইম : এ বিল্ডিংটিতে পরিবেশের দিকে ব্যাপক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে রয়েছে জিওথার্মাল শক্তি ব্যবহারের ব্যবস্থা, সৌরশক্তি ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী আলোর ব্যবস্থা।

নাফাং কমার্শিয়াল : চীনের গুয়াংঝুতে নির্মিত এ বিল্ডিংটিতে রয়েছে প্রদর্শনী স্থান, অফিস ও একটি ফাইভ স্টার হোটেল। এ ছাড়াও এতে রয়েছে শহরের সবচেয়ে বড় বলরুম।

এজেড টাওয়ার : চেক রিপাবলিকে নির্মিত এ বিল্ডিংটিতে রয়েছে অফিস, দোকানপাট ও বাণিজ্যিক স্থান।

 অ্যারডমোর রেসিডেন্স : সিঙ্গাপুরে নির্মিত এ বিল্ডিংটি শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী ডিজাইনে নির্মিত।

মার্কারি সিটি : মস্কোর ৭৫ তলাবিশিষ্ট এ বিল্ডিংটি নির্মিত হয়েছে পরিবেশসম্মত নানা পদ্ধতির ব্যবস্থা রেখে। বিল্ডিংটিতে পানি রিসাইকল করার ব্যবস্থাও রয়েছে।

 ফ্লেম টাওয়ার্স : আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে নির্মিত হয়েছে ৬২০ ফুট উঁচু অনুপম ডিজাইনের এ টাওয়ারগুলো। এলইডি স্ক্রিন দিয়ে সাজানো বিল্ডিংগুলো রাতে বড় আগুনের মতোই মনে হয়।

ওয়ান সেন্ট্রাল পার্ক ইস্ট : অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে নির্মিত এ বিল্ডিংটিতে রয়েছে প্রত্যেক তলাতে বাগান। এ কারণে বিল্ডিংটিকে অনেকটা পার্কের মতো। এতে রয়েছে রেস্টুরেন্ট, শপিং সেন্টার ও আবাসন।

কায়আন টাওয়ার : দুবাইয়ের এ টাওয়ারটি ইনফিনিটি টাওয়ার নামেও পরিচিত। বায়ুপ্রবাহের চাপ কমানোর জন্য ৮০ তলাবিশিষ্ট বিল্ডিংটি নির্মিত হয়েছে বাঁকানো ডিজাইনে।


শেরাটন হুজহাউ হট স্প্রিং রিসর্ট : চীনের হুজহাউতে অবস্থিত বিলাসবহুল বিল্ডিংটি এ তালিকার একটি অনন্য অট্টালিকা। এতে রয়েছে ১৯ হাজার এলইডি লাইট, যা অশ্বক্ষুরাকৃতি বিল্ডিংটিকে রাতে উজ্জ্বল করে তোলে।

ডিসি টাওয়ার ১ : ভিয়েনায় অবস্থিত পরিবেশবান্ধব নানা ফিচারসম্বলিত বিল্ডিংটি অস্ট্রিয়ার সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং। এটি সবুজ বৈদ্যুতিক শক্তিতে চলে। 

 দ্য শার্ড : ৮৭ তলাবিশিষ্ট লন্ডনের এ বিল্ডিংটি এখন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং। ৮৭ তলা বিশিষ্ট ১০০৪ ফুট উঁচু বিল্ডিংটি নান্দনিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনন্য।

মোহনীয় এক সাগর

বিশ্বের একমাত্র ভূবেষ্টিত সাগরের নাম হলো কাস্পিয়ান সাগর। কৃষ্ণ সাগরের মতো দেখতে প্রাচীন এই সাগরটির পূর্ববর্তী নাম হলো প্যারাটিথে সাগর। প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন বছর আগে এই সাগরটিকে সম্পূর্ণ স্থলবেষ্টিত করা হয়। কাস্পিয়ান সাগরটি সাতটি দেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত। সাগরের উত্তরে রয়েছে তুর্কেমেনিস্তান, দক্ষিণে জর্জিয়া, পূর্বে কাজাখস্তান, পশ্চিমে ইরান।এছাড়াও এর আশপাশে রয়েছে ইউরোপ মহাদেশের শক্তিশালী রাষ্ট্র রাশিয়া ও আজারবাইজান। আরব বিশ্বের অন্যতম প্রধান রাষ্ট্র জর্ডানও কাস্পিয়ান সাগরের পাশে অবস্থিত। সাতটি দেশের পানি সম্পদের ত্রাণকর্তা কাস্পিয়ান সাগরটির পানি অতি স্বচ্ছ ও শীতল। ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০০ কি.মি। আর তুর্কেমেনিস্তানের রাজধানী আমগাবাদ থেকে কাস্পিয়ান সাগরটির দূরত্ব ৫০০ কি.মি হলেও তুর্কেমেনিস্তানের প্রধান শহর ক্রমনোভোভস্ত থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৫ কি.মি। সারা পৃথিবীর ৪০ থেকে ৪৪ শতাংশ স্বচ্ছ পানির উৎস হচ্ছে ক্যাস্পিয়ান সাগর। কাস্পিয়ান সাগরটি তিনটি প্রধান অঞ্চলে বিভক্ত। অঞ্চল তিনটি হলো:- উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ কাস্পিয়ান সাগর। কাস্পিয়ান সাগরটি দেখতে আঁকাবাঁকা সর্পিল প্রকৃতির মনে হলেও এর মাঝে রয়েছে বিরল প্রজাতির হাজারও প্রাণী। ক্যাভিয়ার, সিস্টারজিয়ান, জেব্রা ম্যাছেল ও ইনভেসিভ প্রজাতির প্রাণীর জন্য কাস্পিয়ান সাগরটি বিখ্যাত। ভূবেষ্টিত এই সাগরটি অত্যন্ত চমৎকার, প্রকৃতির বিভিন্ন উপসর্গ দ্বারা সাজানো এ সাগরের আশপাশ যা কাউকেই বিমোহিত করে। মজার ব্যাপার হলো কাস্পিয়ান সাগরটি সাগর হিসেবে পরিচিত হলেও এটা মূলত একটি বৃহৎ হ্রদ।

Tuesday, May 27, 2014

অবিশ্বাস্য সুন্দর সাগরের অতলে ৫টি শহর

ইয়োনাগুনি-জিমা, জাপান : জাপানের উপকূল থেকে বেশ কাছে, ইয়োনাগুনি নামের যেসব স্থাপনা আছে সেগুলো মানুষের তৈরি নাকি প্রাকৃতিক- এ নিয়ে এখনো সন্দেহ আছে গবেষকদের মনে। প্রাকৃতিক বলে ধরে নেওয়া যায়, কিন্তু পাথরের ওপরে সুন্দর করে কাটা ধাপ আর তেকোনা আকৃতি দেখে মনে ধাঁধার সৃষ্টি হয়। এখানে আছে এমন এক পিরামিড যা দেখে প্রাকৃতিক মনে হবার কোনো কারণ নেই। সাগরের তল থেকে ২৫০ উঁচু এই পিরামিড প্রতিনিয়ত আকর্ষণ করে স্কুবা ড্রাইভারদের।

লায়ন সিটি, কিয়ান্দাও লেক, চায়না : সাগর তলের যত শহর আছে তার মাঝে অন্যতম হলো লায়ন সিটি। পূর্ব হান ডাইনাস্টির সময়ে নির্মিত, প্রায় ৬২ টি ফুটবল মাঠের সমান বিস্তৃত এই নগরী এখন শুয়ে আছে থাউজেন্ড আইল্যান্ড লেকের ৮৫-১৩১ ফুট নিচে। ১৯৫০ সালে ইচ্ছে করেই একটা বাঁধ তৈরির উদ্দেশ্যে এই এলাকাটি ডুবিয়ে দেওয়া হয়। সৌন্দর্যের দিক দিয়ে আলেক্সান্দ্রিয়ার প্রতিযোগী এর সব স্থাপনা, আর তাই লায়ন সিটি ইদানিং চায়নার অন্যতম জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট হয়ে উঠছে।

পোর্ট রয়াল, জ্যামাইকা : একসময়ে জলদস্যু দিয়ে গিজগিজ করতো এই বন্দর। পৃথিবীর সবচাইতে খারাপ শহর হিসেবে এর কুখ্যাতি ছিলো। কিন্তু ১৬৯২ সালের জুনে ৭.৫ স্কেলের এক ভয়াবহ ভুমিকম্প আঘাত হানে এখানে। এর প্রভাবে সাগর টেনে নেয় পোর্ট রয়ালকে, মারা যায় দুহাজারেরও বেশি বাসিন্দা। অনেকে বিশ্বাস করে এখানে যত পাপকাজ হয়েছে তারই খেসারত দিতে তলিয়ে গেছে এই শহর।

ক্লিওপেট্রার প্রাসাদ, আলেক্সান্দ্রিয়া, মিশর : ধারণা করা হয় আলেক্সান্দ্রিয়া প্রায় দেড় হাজার বছর আগে এক ভূমিকম্পে হারিয়ে গিয়েছিলো সাগরের বুক, সম্প্রতি একে খুঁজে পাওয়া গেছে। রানি ক্লিপপেট্রার এই শহরের রাজকীয় প্রাসাদের পাশাপাশি দেবি আইসিসের মন্দিরও খুঁজে পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাওয়া গেছে ১৪০ টার মতো নিদর্শন। এমনকি এখানে ক্লিওপেট্রার সমাধি এবং একটি প্রাচীন মিউজিয়ামও পাওয়া যেতে পারে।

দ্বারকা, গালফ অফ ক্যাম্বে, ইন্ডিয়া : দেবতা কৃষ্ণের প্রাচীন শহরকে এক সময়ে শুধুই পুরাকাহিনী বলে মনে হলেও ২০০০ সালে খুঁজে পাওয়া গেছে একে। পুরাকাহিনী অনুযায়ী, কৃষ্ণের ছিলো এমন এক বিশাল শহর যাতে ছিলো স্বর্ণ, রৌপ্য এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি সত্তুর হাজার প্রাসাদ। কৃষ্ণের মৃত্যুর পর দ্বারকা তলিয়ে যায় সাগরে। বর্তমানে যেখানে দ্বারকা শহর, তার কাছে সাগরের ১৩১ ফুট নিচে অবস্থিত এই প্রাচীন নগরী। এর স্থাপনার মাঝে দেখা যায় অদ্ভুত রকমে জ্যামিতিক পরিমাপের ব্যবহার।এর মাঝে পাওয়া যায় এমন সব নিদর্শন যার বয়স খ্রিষ্টপূর্ব ৭৫০০ সাল পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণে অনেকেই একে পুরাকাহিনীর প্রাচীন দ্বারকা বলেই ধরে নেন।

অসম্ভব সুন্দর কয়েকটি স্থান

রিস্তোরেন্তে গ্রোত্তা পালাজেস, ইতালি : এই অসাধারণ রেস্টুরেন্টটি পুরোটাই একটি পাহাড়ের গুহার ভেতরে অবস্থিত। অসাধারণ রোম্যান্টিক ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের একটি স্থান।

চিচিলিয়ান্নে, হৃোন আল্পস, ফ্রান্স : ৭,০০০ ফুট উচ্চতার মন্ট আইগুল্লে আসলেই দম বন্ধ করা সুন্দর, তাই নয় কি?

টাইগার’স নেস্ট মনাস্ট্রি, পারো ভ্যালী, ভুটান : নিজের দেশের কাছেই রয়েছে এই অসাধারণ সুন্দর স্থানটি। ৩,০০০ ফুট ওপরে পাহাড়ের ওপর ক্লিফের পাশেই ১৭ শতাব্দীতে তৈরি এই মনাস্ট্রিটি।

ডুব্রোভনিক, ক্রোয়েশিয়া : মেডাইভাল যুগের এই শহরটি সকলের কাছে নতুন করে পরিচিত হয়েছে ‘গেম অফ থর্নস’ মুভির কিছু অংশে ব্যবহৃত হয়ে। যারা মুভি দেখে ভেবেছিলেন জায়গাটি কোনো স্টেজে বানানো তারা যেয়ে ঘুরে আসুন একবার।

আলবারাসিন, আরাগণ, স্পেন : অসাধারণ সুন্দর এই শহরটিও মেডাইভাল যুগের নিদর্শন। যারা ঐতিহাসিক নিদর্শন প্রিয় তাদের জন্য এই স্থানটি জাদুকরী।

বাগান, বার্মা : প্রাচীন এই স্থানটি বার্মার বেশ ভেতরে অবস্থিত, বলতে গেলে লুকোনো একটি স্থান। এই শহরে ছিল ১০,০০০ বৌদ্ধ মন্দির যার মধ্যে ২২০০ টি এখনো অক্ষত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। সত্যিই ভ্রমণের জন্য অসাধারণ একটি স্থান।

আয়েসচের, সুইজারল্যান্ড : এই হোটেলটি আপ্পেঞ্জেল্লারল্যান্ড পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত। এইখানে যেতে হলে ক্যাবল কারে করে যেতে হয়। সত্যিই ছবির মতো সুন্দর মনে হয় একেই বলে।

হাইকু স্টেয়ারস, হাওয়াই : এই জায়গাটিকে বলা হয় ‘স্বর্গের সিঁড়ি’। সমুদ্র সমতলের প্রায় ২,৮০০ ফুট ওপর পর্যন্ত চলে গিয়েছে এই সিঁড়িটি।

পিংভ্যালাভাট্যান লেক, আইসল্যান্ড : যারা সমুদ্রে ডাইভ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সব চাইতে ভালো ভ্রমণের স্থান এটি। সমুদ্রের অসাধারণ সৌন্দর্য উপভোগের আদর্শ স্থান।

চেফচ্যাউয়েন, নর্থওয়েস্ট মরক্কো : এই স্থানটি সব চায়ে বেশি জনপ্রিয় এখানের নীল রঙের বাড়িগুলোর জন্য। প্রতিটি বাড়ির আকার ও রঙ একই হওয়ার কারণে পুরো শহরটিতে তৈরি হয়েছে গোলোকধাঁধাঁ। যদি এই শহরের আরও দুটি মূল আকর্ষণ রিফ মাউন্টেইনস এবং দ্য কাস্কাডেস ড’অ্যাকচউর।

লর্ড হোয়ে আইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া :  লর্ড হোয়ে আইল্যান্ড। এটি অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত। এই সুন্দর স্থানটির সুরক্ষার জন্য এখানে প্রতিবছর শুধুমাত্র ৪০০ জন টুরিস্ট আসতে দেয়া হয়। এর বেশি নয়।

হুয়াকাচিনা, পেরুভিয়ান মরুভূমি : মরুভূমির বুকে মাত্র ১০০ জন মানুষের শ্রমে তৈরি এই ছোট্ট গ্রামটি সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। কিন্তু সামান্য কিছু ভাড়াতেই আপনি থক্তে পারবেন অসাধারণ এই স্থানটিতে।

দ্য বেস্টেই ব্রিজ, এলবি স্যান্ডস্টোন মাউন্টেন, জার্মানি : অসাধারণ স্থাপত্যের নিদর্শন এই স্থানটির কথা জানেন না অনেকেই। সবুজের সৌন্দর্যে ভরপুর এই স্থানটি আসলেই স্বর্গীয় সুন্দর।

কাপ্পাদোসিয়া, তুর্কি : ‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটটি ডে’স’ মুভিটি দেখার পর অনেকেরই এইরকম বেলুনে চড়ার শখ আছে। একবার বেলুনে চড়ে দেখেই আসুন না চাঁদের মাটির মতো এই স্থানটিতে।

হলসট্যাট, অষ্ট্রিয়া : পাহাড়ের পাদদেশের এই ছোট্ট ছিমছাম শহরটিতে লোক সংখ্যা মাত্র ১০০০ জন। এই অসাধারণ স্থানটিও এখনো সকলের কাছেই অজানা।

লেপটিস ম্যাগনা, ত্রিপলি, লিবিয়া : রোমান সময়ের এই অসাধারণ নিদর্শন ইতিহাস প্রিয় যে কারো কাছে হয়ে উঠতে পারে ভ্রমণের উপযুক্ত স্থান।

দ্য অ্যালক্যা্যার অফ সেগোভিয়া, স্পেন : কোনো মুভির বানানো সেট বলে মনে হলেও এই স্থানটিও রয়েছে পৃথিবীর বুকে। তুষারে ঢাকা এই জায়গাটি অবশ্য অনেকেই চেনেন না।

অ্যালটের দো চাও, ব্রাজিল : অ্যামাজনের সব চাইতে কাছের শহর এটি, অসাধারণ একটি সৈকত, তাই নয় কি?

হোটেল মউলিন দে রক, ফ্রান্স : অনেকেই নদীর তিরে একটি বাড়িতে থাকার স্বপ্ন দেখে থাকতে পারেন। তাদের জন্য এই স্থানটি সব চাইতে উপযুক্ত।


বিশপ ক্যাসেল, স্যান ইসাবেল ন্যাশনাল ফরেস্ট, র‍্যে, কলোরাডো : ছোটবেলার বিশপের গল্পের কথা মনে আছে? সেই বিখ্যাত জিম বিশপের তৈরি এই ক্যাসেলটি অনেক বেশি আকর্ষণীয় হতে পারে যে কোনো টুরিস্টের কাছে।

Sunday, May 25, 2014

ভূগর্ভে বিলাসবহুল বাড়ি

যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে ভূগর্ভে নির্মিত বিলাসবহুল একটি বাড়ির সন্ধান মিলেছে। যা বিক্রির জন্য দাম উঠেছে সাড়ে ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।মাটির নিচে এ বাড়িটির আয়তন ১৫ হাজার বর্গফুট বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা সিএনএন।দিনে ও রাতে বিভিন্ন সময়ে আলো অন্ধকারের অনুভূতির জন্য রয়েছে কৃত্রিম আকাশ, তারা, কৃত্রিম প্রকৃতি ও আলো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। বাংকারটির সিলিংয়ে স্থাপিত লাইটগুলো দিনের আলো, সূর্যাস্ত, গোধূলি ও অন্ধকার রাতের পরিবেশ তৈরি করতে পারে।মাটির ২৬ ফুট গভীরে নির্মিত এ বাড়ির চারপাশে রয়েছে প্রয়োজনীয় অনেক কিছু। দুটি বেডরুম ছাড়াও বেইজমেন্টে আছে একটি পুল, দুটি বাথটাব, একটি স্টিম বাথ। এছাড়া রয়েছে একটি নাচের ফ্লোর।