আজব পৃথিবী

Thursday, March 27, 2014

ছয়শত বছরের পুরানো সেতুর সঙ্গে বিয়ে!

সেতুর স্পন্দন সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেই সেতুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন অস্ট্রেলিয়ার এক শিল্পী। গত ১০বছর ধরে সেতুর স্পন্দন সংগ্রহের মাধ্যমে তিনি ‘সিঙ্গিং ব্রিজ’ নামে একটি গানের প্রকল্পের কাজ করছেন। সমপ্রতি ফ্রান্সের দক্ষিণে অবস্থিত ছয়শত বছরের পুরানো লি পন্ট ডি ডায়াবল নামের একটি সেতুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। খবর দ্য হাফিংটন পোস্টের।

অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা জোদি রোজি নামের এই শিল্পীর বিয়ের অনুষ্ঠানে ১৪ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। যাদের মধ্যে একটি শহরের মেয়রও ছিলেন। বর-কনের পোশাকও ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। যদিও ফ্রান্সে এ ধরনের বিয়ের স্বীকৃতি নেই। আর তাই রোজি বলেছেন, এই বিয়ে হয়তো অন্যদের বিয়েকে আরো শক্তিশালী করবে। এটা কেবল একটা প্রতীকী বিয়ে। এটা কেবল একটা বস্তুর রোমান্টিক এবং যৌনতার বিষয়টিকে শ্রদ্ধা করা। এটা নি:স্বার্থভাবে মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছে এবং এর নিচ দিয়ে অবাধে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

যে গ্রামে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি যমজের বাস!

কেরলের মালাপ্পুরম জেলার এই গ্রামটি এখন যমজের গ্রাম নামেই পরিচিত। যে কোনোদিকে তাকালে চোখে পড়বে জোড়ায় জোড়ায় একই রকম ব্যক্তি। এই গ্রামটি ভারত তথা বিশ্বের এক বিস্ময়কর গ্রাম। কারণ এখানেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি যমজের বাস।

সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মুসলিম অধু্যষিত এই গ্রামের মোট ২ হাজার বাসিন্দার মধ্যে ২২০ জোড়া যমজের বাস। যেখানে সমগ্র বিশ্বে গড়ে এক হাজার যমজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখানে কোধিনিতেই যমজের হার ৪২ শতাংশ।

গ্রামটি তিন দিক দিয়ে পানিবেষ্টিত এবং সবুজে ঘেরা এই গ্রামটিতে এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা মুসলমান। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকে ভারতে যমজ জন্মানোর রেকর্ড কম, কিন্তু এই কোধিনি বাকি সব অঞ্চলকে ছাপিয়ে গেছে। কোধিনি গ্রামে সব ধরনের যমজ দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণ যমজ বা নন-আইডেনটিক্যাল টুইন এবং হুবহু একই রকম দেখতে আইডেটিক্যাল টুইন। আবার দুইটি যমজ ভাই বোনের দেখাও পাওয়া যায় এখানে।কিন্তু এই গ্রামে যমজের সংখ্যা এত বেশি কেন? তা নিয়ে স্থানীয়দের ধারণা অনেকটা এ রকম যে, ১৯৪৯ সালে এখানে প্রথম যমজ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। এরপর থেকে প্রতি বছরই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই

সংখ্যা। কারও কারও মতে এ গ্রামের পরিবেশ এবং জিনগত কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। কেবলমাত্র এই গ্রামেই নয়, গ্রামের যেসব মেয়ের বাইরে বিয়ে হয়েছে, সেখানেও তারা যমজ সন্তান জন্ম দিয়েছেন।স্বভাবতঃই কোধিনি গ্রামের এই অদ্ভুত ঘটনায় বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় সবাইকে। কারণ অনেক সময় একই চেহারার দুইজন মানুষকে তারা নিজেরাই আলাদা করতে পারেন না।

১৬ ইঞ্চি!

উচ্চতা ‍১৬ ইঞ্চি! বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় হতে চলেছে সবচেয়ে খর্বকায় মানুষের। নেপালের এই বৃদ্ধ কম উচ্চতায় জায়গা করে নিয়েছেন গিনিস বুকে। বিশ্বের সবচেয়ে খর্বকায় মানুষের নামটা এবার পরিবর্তন হতে চলেছে।নেপালের গ্রাম্য বৃদ্ধর খাটো উচ্চতাই গিনস বুকের রেকর্ডকে অন্য উচ্চতা দিতে চলেছে। তার নাম মাস্টার নাউ। উচ্চতা মাত্র ১৬ ইঞ্চি বা ৪০.৬ সেন্টিমিটার। মাস্টার নাউয়ের পা এতটাই ছোট যে তিনি হাঁটতে পারেন না।

নড়াচড়া করতে পারেন না এমন মানুষের মধ্যে তিনি সবচেয়ে খর্বকায় এই স্বীকৃতি গিনিস বুক তাকে ইতিমধ্যেই দিয়ে ফেলেছে। এবার গোটা বিশ্বের খর্বকায় মানুষের স্বীকৃতিও তিনি পেতে চলেছেন। মাস্টার নাউ ভাঙবেন তাইওয়ানের এক ব্যক্তির রেকর্ড। যার উচ্চতা ৪৩ ইঞ্চি।

কাঠমান্ডু থেকে ২১৭ মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে এক নিরিবিলি অঞ্চলে থাকেন মাস্টার নাউ। হিন্দি গান শুনতে বড় ভালবাসেন তিনি। খেতে ও শপিং করতেও তিনি দারুণ ভালবাসেন ৭৩ বছরের এই খর্বকায় মানুষটি। বাইরে বেরোলেই তাকে সবাই ঘিরে ধরে অবাক চোখে দেখে এটা অস্বস্তিতে ফেলে তাকে। আর শপিংও যে শান্তিতে করবেন তারও সুযোগ নেই। তার সাইজের জামা-প্যান্ট কেনা কি চাট্টখানি ব্যাপার!

প্রথম হৃৎপিন্ড বিহীন মানুষ

একটা কিডনি ছাড়াও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। কিংবা একটা চোখ ছাড়াও মানুষ দিব্যি দেখতে পারে। কিন্তু তাই বলে হৃদপিণ্ড ছাড়াও মানুষ বাঁচতে পারে তা ক্রেইগ লুইসকে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। গত বছরের মার্চ মাসে মৃত্যু পথযাত্রী ক্রেইগ লুইসকে তার হৃদযন্ত্রের সমস্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার হৃদযন্ত্রের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে কৃত্তিম পেসমেকার বসালেও তাকে বাঁচানো যাবে না ডাক্তাররা ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু টেক্সাস হার্ট ইনস্টিটিউটের দুই ডাক্তার লুইসকে বাঁচাতে নিলেন বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। তারা লুইসের হৃদপিণ্ড অপসারণ করে সেখানে প্রতিনিয়ত রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখবে এমন একটি নতুন যন্ত্র বসান।মজার বিষয় হলো ড. বিলি কোহন এবং ড. বাড ফ্রাইজার লুইসের বুকের ভেতর নতুন এই যন্ত্র প্রতিস্থাপন করার একদিনের মাথায় লুইস সেরে ওঠেন এবং কথা বলতে শুরু করেন। ডাক্তারা যৌথভাবে এই যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। লুইসের শরীরে এই যন্ত্র প্রতিস্থাপন করার আগ পর্যন্ত মোট ৫০টি বাছুরের শরীরে এটি পরীক্ষা করা হয়। তারা বাছুরের শরীর থেকে হৃদপিণ্ড সরিয়ে সেখানে তাদের আবিষ্কৃত যন্ত্র বসিয়ে দেন। পরবর্তী দিন থেকেই বাছুর তার স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে শুরু করে। যেমন খাওয়া, ঘুম, দৌড়ানো ইত্যাদি।ড. কোহন জানান, ‘আপনি যদি বাছুরের বুকে স্টেথেস্কোপ যন্ত্র দিয়ে শোনেন তাহলে হৃদপিণ্ডের একটা শব্দও আপনি শুনতে পাবেন না। যেভাবেই দেখুন না কেন কোনো অস্বাভাবিকত্ব দেখতে পাবেন না।’ লুইসের সফল অপারেশনের পর ডাক্তাররা ধারণা করেছিল সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা বাঁচবেন লুইস। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এখন পর্যন্ত লুইস দিব্যি বেঁচে আছেন। লুইসের স্ত্রী লিন্ডার কাছে অনু

হ্রদের নিচে দেখা মিললো প্রাচীন গির্জার

৫০০ খ্রিস্টাব্দের এক গির্জার সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ব্যাপার অবশ্য তা নয়। ব্যাপার হচ্ছে গির্জাটি পাওয়া গিয়েছে একটা হ্রদের নিচে। তুরস্কের বুর্সা শহরের ইজনিক হ্রদের নিচে মিলেছে এ প্রাচীন গির্জার দেখা। Bursa Uludag Universityর প্রফেসর মুস্তাফা শাহীন জানান, যখন তারা খনন কাজ চালাচ্ছিলেন তখন সাগর থেকে ২০ মিটার নিচে গির্জার অংশ বিশেষ দেখা যায়।বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা চেষ্টা করছেন এটা বের করতে যে এ গির্জাটি কারা তৈরি করেছে। অনেকে ধারণা এটা সেন্ট পিটার্স চার্চের অংশ বিশেষ, যার কথা উল্লেখ ছিল অনেক ধর্মীয় গ্রন্থে। এ সংক্রান্ত তথ্য গবেষকরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।

যেখানে গরু এসএমএস করে

এমন কোনো দেশ আছে যেখানে গরু গাছে চড়ে? না নেই, সেটা কেবল স্বপ্নেই সম্ভব। কিন্তু জেনে রাখুন, এমনও দেশ আছে যেখানে গরু এসএমএস করে। গরুর কাণ্ড দেখে চোখ কপালে তুলবেন না। জেনে নিন পুরো ঘটনা।ঘটনাটি জার্মানির। সেখানকার লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের গরুরা এমনই দক্ষ। এই রাজ্যের একটি পশু খামারের কৃষক ভেস্টরুপ। তার মোবাইলেই সম্ভব হয় এই অদ্ভূত প্রযুক্তি। ভেস্টরুপ মাঠে কাজ করেন। তখনতো আর খামারের গরুদের খোঁজখবর রাখা সম্ভব নয়, তাই তিনি বড় ভক্ত এই প্রযুক্তিটির। এর মাধ্যমে তিনি সহজে গরুর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, তাদের গতিবিধিও পরিমাপ করতে পারেন।

প্রযুক্তিটিতে মূলত গরুর গলায় থাকে একটি সেন্সর। সেই সেন্সর থেকে তথ্য প্রথমে চলে যায় ফ্রান্সের পর্যবেক্ষণ সংস্থা মেদ্রিয়ায়। এরপর জার্মান টেলিকমের মাধ্যমে এসএমএস হয়ে তা পৌঁছে যায় ভেস্টরুপের মতো কৃষকের হাতে থাকা মোবাইলে। তবে ব্যাপার যাই হোক না কেন প্রযুক্তিটি পেয়ে খুবই খুশি ভেস্টরুপ।সুবিধা নেবেন কিন্তু টাকা খরচ করবেন না, তা কি হয় নাকি? গবাদি পশুর উপর নজর রাখার এই প্রযুক্তির দাম কিন্তু কম নয়। কেবল যাদের একশো’র বেশি গবাদি পশু রয়েছে সেসব কৃষকের পক্ষেই সম্ভব হয় এটি ঘরে আনা। কৃষক ভেস্টরুপের পশুর সংখ্যা প্রায় ছয়শো।

মাসে মাত্র একবার গর্ভধারণের উপযুক্ত ঋতুকাল পার করে গরু। সেকাজেই বেশি সহযোগিতা করে প্রযুক্তিটি। ‘পশুগুলি কোনো অস্বাভাবিক আচরণ করলে সেন্সর তা রেকর্ড করে। একটি পশু অপর একটি পশুর উপরে মাথা এলিয়ে দিলে বা অন্যের উপর উঠতে চেষ্টা করলে, বুঝতে হবে সে উত্তেজিত। কম্পিউটার তখন একে গর্ভধারণের ইঙ্গিত মনে করে। সঙ্গে সঙ্গে সেই তথ্য পৌঁছে যায় আমার মোবাইলে।’ এমনটাই জানান ভেস্টরুপ।ভেস্টরুপের কাছে ষাড়ের হিমায়িত শুক্রাণুও রয়েছে। এগুলোও অনেক দামি। খবর পাবার পর একটি নলের সাহায্যে গরুর দেহে শুক্রাণু প্রবেশ করিয়ে দেন তিনি। ফলে ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে গরুর সংখ্যা। এই প্রযুক্তির পেছনে ভেস্টরুপ বছরে খরচ করেছেন বিশ হাজার ইউরোর মতো। তবে এই বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগের সুফল তিনি ভোগও করছেন বেশ।

অ্যামাজন নদীর উৎপত্তি কোথায়?

গত চারশ বছর ধরে একটি প্রশ্ন বিজ্ঞানীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ছিল। সেটা হচ্ছে বিশাল নদী অ্যামাজনের উৎপত্তিস্থল কোথায়? এ সাধারণ প্রশ্নটির উত্তরই জটিল আকার ধারণ করেছে কারণ অ্যামাজনের উপনদীর সংখ্যা যে কম নয়! পেরুরই অন্তত ৫ টি নদী একই স্থান দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সেই ১৬০০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে।

১৯৭১ সাল থেকে সবাই জেনে আসছিলেন যে এপুরিম্যাক নদীই অ্যামাজন নদীর উৎপত্তিস্থল। কিন্তু Area নামে একটি জার্নালে গবেষকরা জানিয়েছেন যে, এ তথ্যটি ছিল ভুল। প্রকৃতপক্ষে দক্ষিণ-পশ্চিম পেরুর মান্টারো নদীই হচ্ছে অ্যামাজন নদীর মূল উৎপত্তিস্থল। তবে সত্যিই যদি এরকম হয় তবে আরো কিছু পরিবর্তন আবশ্যক। বর্তমানে অ্যামাজন নদীর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৪০০০ মাইল, সেটার সাথে আরো ৪৭ থেকে ৫৭ মাইল যুক্ত করতে হবে। টপোগ্রাফিক ম্যাপ, স্যাটেলাইট থেকে নেয়া ছবি, ডিজিটাল হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার, জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করে গবেষকরা দেখেন যে, মান্টারো নদী এপুরিম্যাক নদীর চেয়েও ১০ ভাগ বেশি দীর্ঘ। তবে অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এ নদীটি অ্যামাজনের একটি ‘নতুন উৎপত্তিস্থল’ হতে পারে কিন্তু ‘উৎপত্তিস্থল’ নয়।

বর পিটিয়ে বাসন ভেঙে বিয়ে

বিয়ে নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রীতি-নীতি চালু আছে।স্থান,কাল ভেদে তা একেক রকম হয়ে থাকে।কিন্তু তার মাঝে বেশ কিছু নিয়ম আছে যা অনেক আজব। কিছু বিয়ের আজব গজব কথা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরা হল। শুরু করা যাক প্রতিবেশী দেশ ভারতকে দিয়েই।

মাঙ্গলিক
হিন্দু বিয়ের রীতি অনুযায়ী পাত্র পাত্রীর মাঙ্গলিক দোষ কাটাতে বিয়ের আগে একবার বিয়ে দেওয়া হয়। ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি বা মাটির কলসি বা গাছের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। তাতে নাকি মাঙ্গলিক দোষ কেটে গিয়ে সুখি হয় বিবাহিত জীবন। বচ্চন পরিবারের দৌলতে এই রীতি আসমুদ্র হিমাচল জুড়ে পরিচিত।

মাসাই
কেনিয়ায় মাসাইদের বিয়েতে মেয়েকে কীভাবে বিদায় জানানো হয় জানেন? পাত্রীর বাবা মেয়ের মাথায় এবং বুকে থুতু ফেলেন। সেটাই নাকি আশীর্বাদ। এরপর বরের হাত ধরে চলে যায় মেয়ে। আর পিছনে তাকায় না। পিছনে তাকালেই নাকি সে পাথর হয়ে যাবে।

শারিভারি
ফরাসি লোকরীতি অনুযায়ী বিয়ের পরে নবদম্পতির বাড়ির সামনে গিয়ে ব্যাপক হল্লা মাচাতে হবে। উৎপাতের চোটে বেরিয়ে এসে নবদম্পতি ভোজসভায় নিয়ে যাবে উৎপাতকারীদের। এখনও ফ্রান্সের গ্রামে এই রীতি পালিত হয়।

পোল্টেরাবেন্ড
জার্মানির কিছু অংশে এই রীতি প্রচলিত। বিয়ের ভোজের পরে অতিথিরা দুমাদ্দুম সব বাসন ভেঙে ফেলে। এতে নাকি নব দম্পতির আসন্ন জীবনে সব বিপদ কেটে যায়।

বর পেটানো
এটাও হয়। বিয়ের আগে বরকে বন্ধুদের হাতে মার খেতে হয় দক্ষিণ কোরিয়াতে। বরের মোজা খুলে তার পায়ে শুকনো করভিন মাছ বা আখ দিয়ে মারা হয়। এতে নাকি কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা হয়।
হবু বউকে অপহরণ
জিপসিদের মধ্যে এটা কোনও অপরাধ নয়| বরং যে মেয়েকে কোনও যুবক অপহরণ সেই তার বউ বলে রোমানি বা জিপসি সমাজে চিহ্নিত হবে ।

অঝোরে কান্না
বাপের বাড়ি ছাড়ার সময় নয়। বরং বিয়ের এক মাস আগে থেকে হবু বউকে রোজ নিয়ম করে এক ঘণ্টা কাঁদতে হবে। এই রীতিতে পরে যোগ দিতে হবে বাড়ির সব মহিলাকে। তবে কাঁদতে হবে সুর করে, যাতে শুনে মনে হয় কেউ হাসছে।

নো বাথরুম
উত্তর বোর্নিওতে তিডং উপজাতির মধ্যে প্রচলিত এক উদ্ভট নিয়ম। বিয়ের পরে বর-বউকে তিনদিন বন্দি করে রাখা হয় একটি ঘরে । এবং এই তিনদিন তাঁরা বাথরুমে যেতে পারবেন না।

সঙ্গে তিমির দাঁত
ফিজিতে আবার কোনও মেয়ের পাণি প্রার্থী হলে ছেলেকে সঙ্গে নিতে হবে তিমির দাঁত। দিতে হবে মেয়ের বাবাকে। এই রীতির মধ্যে হয়তো বেশির ভাগই আজ অবলুপ্ত। কিন্তু শুরু হয়েছিল সমাজের চাহিদা মেনেই। হয়তো এর পরিবর্তে প্রচলিত আছে বিকল্প কিছু। কিন্তু ভালবাসার মানুষকে চিরদিনের জন্য কাছে পেতে যুগ যুগ ধরে এত কিছু হ্যাপা সামলেই বিয়ে করে এসেছে আম জনতা।

সাপের পেটে আস্ত কুমির

প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে লড়াই চলে একটি সাপ ও একটি কুমিরের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সাপই জয়ী হলো। পরিণামে কুমিরের জায়গা হলো সাপের পেটে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের একটি হ্রদে  এ ঘটনা ঘটে। অনেকেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। কেউ কেউ তা ক্যামেরাবন্দিও করেছে।খবরে বলা হয়, টেবিস করলিস নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রবিবার মাউন্ট ইশা শহরের নিকটে কুনইসল্যান্ড হ্রদে গিয়ে দেখি একটি ১০ ফুট লম্বা বিশাল অজগর একটি কুমিরকে পেছিয়ে রেখেছে। আর এ লড়াইটা চলছিলো পানির ভিতরেই। তিনি বলেন, আমি আমার স্ত্রী টিফানিকে সাথে নিয়ে এ লড়াই দেখছিলাম। আমাদের কাছে ঘটনাটি মনে হচ্ছিলো অবিশ্বাস্য এক কান্ড।করলিস বলেন, ঘন্টা খানেক পরেই সাপটি কুমিরটিকে নিয়ে হ্রদের তীরে উঠে আসে। এবং তার প্যাঁচ থেকে কুমরিকে মুক্ত করে দেয়। কিন্তু ততক্ষণে মরে গেছে কুমিরটি। তিনি বলেন, এর ১০ মিনিট পরেই দেখা গেলো কুমিরটি জায়গাই নেই। ততক্ষণে তাকে গিলে ফেলেছে সাপটি।

করলিসের স্ত্রী টিফানি বলেন, আমরা চিন্তা করছিলাম সাপটি কিভাবে এরকম একটি প্রাণীকে হজম করতে পারলো? কিন্তু বাস্তবে তাই ঘটেছে। তিনি বলেন, যে কেউ ঐ সাপটির পেটের দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে, কুমিরের পা, হাড়ের অস্তিত্ব। টিফানি বলেন, কুমিরটি চেয়েছিলো পানি থেকে বের হয়ে আসতে কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি।

তিনি মা নন, কিন্তু হাতির বাচ্চাগুলো তা বুঝলে তো!

রাচায়েল মার্টন হাতির বাচ্চাদের মা নন। কিন্তু হাতির বাচ্চাগুলো তা বুঝলে তো! দূর থেকে আসতে দেখলেই হলো। ছোট ছোট শুঁড় নাড়াতে নাড়াতে এসে হাজির। খিদে পেয়েছে, দুধ খাবে। শুঁড় দিয়ে গুঁতিয়ে দেবে, সামনের গোদা পা দুটো একবার তুলবে আবার নামাবে। ছয়টি হাতির বাচ্চার মিলিত ওজন হবে কম পক্ষে ৫শ’ স্টোন। তাতে ঘাবড়ান না রাচায়েল। জানেন ওরা তার কোনো ক্ষতি করবে না। কারণ তিনি ওদের কাছে মায়ের মতো। দুধ খেতে দেনযে!হাতির বাচ্চার মানুষ মা

ছয়টি বাচ্চাই এতিম। মা নেই। গজদন্তের লোভে শিকারিরা মেরে ফেলেছে তাদের। এতে দুধের বাচ্চাগুলো পড়ে গেছে মহাফ্যাসাদে। কে খেতে দেয় তাদের। লতা-পাতা, গাছ-গাছড়া খাওয়ার শক্তি যে এখনও হয়নি তাদের। মায়ের দুধ ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। তাই রাচায়েল যখন দুধের ফিডার হাতে এসে দাঁড়ান, দুদ্দাড় করে ছুটে আসে তারা। ছয়জনে মিলে মেতে ওঠে কে কার আগে ফিডার মুখে নিতে পারে সে লড়াইয়ে।কেউ কেউ শুঁড় তুলে ধরে। ৩৩ বছর বয়সী তরুণী মুখ ছুঁয়ে দেন। ঘাবড়ান না রাচায়েল। জানেন যত বড় আর ওজনেরই হোক, হাতির বাচ্চাগুলো এখনও শিশু।শিক্ষাগত দিক দিয়ে বায়োলজিক্যাল গ্রাজুয়েট রাচায়েল। বাড়ি ইংল্যান্ডে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে যুক্তরাজ্য থেকে পাড়ি জমান জিম্বাবুয়েতে। অসহায় হাতির বাচ্চাগুলোকে দেখে মন কেঁদে ওঠে তার। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন, তাদের সেবা-শুশ্রূষায় বিলিয়ে দেবেন নিজেকে।

শুধু যে হাতিদের স্বাস্থ্য পরিচর্যায় মনোনিবেশ করলেন, তা নয়। তাদের যে কোনো বিপদ থেকে বাঁচানোর শপথও নিলেন এই ব্রিটিশ তরুণী। তিনি বলেন, ‘আমি ছোট থেকেই জীবজন্তু ভালোবাসি। জিম্বাবুয়ে এসে এদের দেখে এসেক্সের কথা ভুলে যাই। ভুলে যাই আমি যে একজন শ্বেতাঙ্গ মানুষ। হাতির বাচ্চাগুলোর বেঁচে থাকা আমার নিজের বেঁচে থাকার চেয়ে কোনো অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে পারলাম না। তাদের মা হয়ে গেলাম।’২০০৮ সালে একটি বন্যপ্রাণী বিষয়ক সম্মেলনে এসেছিলেন রাচায়েল মার্টন। ফিরে যাননি আর। রয়ে গেছেন। মায়ের আদরে বড় করে তুলছেন মাহারা এতিম হাতির বাচ্চাগুলোকে।

ছাগলের পেটে গরুর বাচ্চা !

কুতুবদিয়ায় গরুর বাচ্চা (বাছুর) প্রসব করেছে একটি ছাগল। অলৌকিক এ ঘটনাটি সোমবার উপজেলার উত্তর ধুরুং কালার মার মসজিদ পাড়ায় আ. মালেক মাঝির বাড়িতে ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী ও সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ঐতিহাসিক কালারমার মসজিদের পিছনে আ. মালেক মাঝির বাড়ির লাল রংয়ের একটি ছাগল প্রাকৃতিক নিয়মে গাভীন হয়ে পাঁচমাস পর সোমবার সকাল ১০টায় দু’টি বাচ্চা প্রসব করে। প্রথম বাচ্চাটি গরুর ছানা এবং পরের বাচ্চাটি ছাগল ছানা। গরুর বাচ্চাটি ছাগলের বাচ্চাটির চেয়ে ৪ ইঞ্চি উঁচু এবং লম্বা বেশি। ছাগল ছানাটি বেচেঁ থাকলেও গরুর ছানাটি আড়াই ঘণ্টা পর মারা যায়।বাড়ির মালিক আ. মালেক মাঝি বলেন, স্বাভাবিক নিয়মেই ছাগলটি গর্ভধারণ করেছিল ও সোমবার বাচ্চা প্রসব করে।  এ ঘটনায় তিনি মহান সৃষ্টি কর্তার লীলা বলে উল্লেখ করেন।

বলিউডের রূপসী নায়িকাদের মেকআপ ছাড়া "আসল" চেহারা

ঐশ্বরিয়া রায়
ছবিতে ঐশ্বরিয়া রায়কে মেকআপ ছাড়া দেখা যাচ্ছে। সিনেমা ও পার্টি ছাড়া অন্য যায়গায় যেতে তিনি খুব হালকা মেকআপ করেন। বলাই বাহুল্য যে বিশ্বের সেরা সুন্দরীদের মধ্যে অন্যতম এই সুন্দরীকে বাস্তবের চাইতে সিনেমায় বেশ কম বয়স্ক ও উজ্জ্বল দেখায়।

কারিনা কাপুর
নিজের বেশিরভাগ সিনেমাতেই খুব কম মেকআপ নিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। তার ধারণা কড়া মেকআপে তাকে একেবারেই মানায় না। তবে মেকআপ ছাড়া তাকে একদমই গ্ল্যামারহীন দেখায়।

দীপিকা পাড়ুকন
কারিনার মত দীপিকাও খুব সাদামাটা থাকতেই ভালোবাসেন। দীপিকার ত্বক বেশ ভালো তাই সিনেমার শুটিং ছাড়া খুব একটা মেকআপ করতেও দেখা যায়না তাকে। আর মেকআপ করলেও ত্বকের সঙ্গে মানানসই মেকআপ করেন তিনি।

প্রীতি জিনতা
সিনেমার পর্দায় প্রীতি জিনতাকে যতটা উজ্জ্বল ও প্রানবন্ত দেখায়, মেকআপ ছাড়া ঠিক যেন তার বিপরীত! বেশ ম্লান ও বয়স্ক দেখাচ্ছে তাকে মেকআপ ছাড়া।

ক্যাটরিনা কাইফ
সিনেমার মেকআপে অসাধারণ সুন্দরী দেখায় ক্যাটরিনাকে। মেকআপ ছাড়া তাকে খুব খারাপ না দেখালেও আসল বয়সটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।

রানী মুখার্জি
চেনা চেনা লাগছে? মেকআপ ছাড়া দেখুন রানী মুখার্জিকে। মেকআপ ছাড়া বয়সের ছাপটা একটু বেশিই বোঝা যায় রানী মুখার্জির।

কাজল
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে দিয়ে সিনেমার হল কাঁপানো এই নায়িকার মেকআপ ছাড়া ছবিটি দেখুন!

প্রিয়াংকা চোপড়া
বিশ্ব সুন্দরী এবং বলিউডের সুপার স্টার প্রিয়াংকা চোপড়ার ত্বক খুবই সুন্দর। তবে বাস্তবে তিনি মোটেও গ্ল্যামারাস নন। শ্যাম বর্ণা এই নায়িকার মেকআপ ছাড়া ছবিটি দেখুন।

সোনাক্ষি সিনহা
সোনাক্ষি সিনহা বলিউডে পা দেয়ার আগে অতিরিক্ত স্থুলকায় ছিলেন। নিজের ওজন অনেকখানি ঝরিয়েছেন তিনি। তবে এখনো নিজের অতিরিক্ত ওজনের জন্য সমালোচিত হচ্ছেন তিনি বলিউডের অন্য নায়িকাদের কাছে। দেখুন তার মেকআপ ছাড়া আগের একটি ছবি।

জনপ্রিয় ১০ বলিউড তারকা ও তাঁদের ছোট্টবেলার বিরল ছবি

(১) বলিউডের শাহানশাহ খ্যাত ‘বিগ বি’ অমিতাভ বচনকে শিশু অবস্থায় কল্পনা করা বেশ কষ্টসাধ্য বৈকি। এ ফিচারের প্রচ্ছদের ছবিতে কিন্তু শিশু অমিতাভকেই দেখা যাচ্ছে। সাথে রয়েছেন তাঁর বাবা হারিভান্স রাই ও মা তেজি। অমিতাভের বাবা প্রথমে তাঁর ছেলের নাম রেখেছিলেন ‘ইনকিলাব’। পরে তাঁর এক কবি বন্ধুর পরামর্শে নাম পাল্টে রাখলেন ‘অমিতাভ’।

(২) এ ছবির মিষ্টি হাসি দেয়া মেয়েটিকে দেখুন। চিনতে পারছেন কি? মেয়েটি আর কেউ নয়, এক সময়ের বলিউডের সাড়া জাগানো অভিনেত্রী শ্রীদেবী। যিনি এখনো মিডিয়া জগতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেই আছেন তাঁর অভিনয় প্রতিভা ও চির তারুণ্যের জন্য! শ্রীদেবী ভারতের তামিলনাড়ুতে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৩ সালের ১৩ আগস্ট।

(৩) বলুন তো ছবির এই ছোট শিশুটি কে? বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন ও বলিউডের ‘কিং খান’ বলে খ্যাত এ অভিনেতা বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। তিনি ১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন ভারতের নয়াদিল্লীর রাজেন্দ্র নগরে। তিনি নিজেকে ‘অর্ধেক হায়দ্রাবাদী-অর্ধেক পাঠান-অর্ধেক কাশ্মীরী’ বলে দাবি করেন। ইনি আর কেউ নন, ‘দ্য ডন’ শাহরুখ খান!

(৪) শাহরুখের সাথে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ মুভিটির কথা আসলেই চলে আসবে বলিউডের আরেক শক্তিমান অভিনেত্রী কাজলের কথাও। নিজের সময়ের অনেক অভিনেত্রী হারিয়ে গেলেও কাজল ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ কিংবা ‘ফানা’র মতো দুর্দান্ত সব চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন। ছবিতে কাজলের সাথে তার মা অভিনেত্রী তনুজা ও বোন তানিশাকে দেখা যাচ্ছে।

(৫) কিউট এ হাসিটির অধিকারী শিশুটিই আজকের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। ১৯৬৫ সালের ১৪ মার্চ এ অভিনেতার পরিবার ও পূর্ব পুরুষরা ছিলেন রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত। আমির খান ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডক্টর জাকির হোসেনের উত্তরসূরি।

(৬) ‘দ্য কাপুর গার্লস’ খ্যাত বলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর ও কারিনা কাপুর!

(৭) বলিউডের প্রভাবশালী তিন ‘খান’ এর আরেকজন... সালমান খান। ‘দাবাং’ খ্যাত এ তারকা ১৯৬৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আফগানিস্তান থেকে এসে ভারতের ইন্দোরে বসবাস শুরু করেন।

(৮) বেশ, অল্টাইম ব্যাচেলর খ্যাত সালমান খান খুব সম্ভবত একজনের প্রেমেই হাবুডুবু খেয়েছিলেন। ছবির মেয়েটি ‘হবু বিশ্বসুন্দরী’ ও আজকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সাথে দেখা যাচ্ছে তার ভাই আদিত্যকে!

(৯) বলিউডের ‘মুন্না ভাই’ খ্যাত সঞ্জয় দত্ত মনে হয় ছোটকাল থেকেই খেলনা বন্দুক নিয়ে খেলতে পছন্দ করতেন। অন্তত বিরল এ ছবিটিতে সেটাই দেখা যাচ্ছে। Morning shows the day প্রবাদকে সত্য প্রমাণিত তিনি এখন কারাগারে!

(১০) ‘ওম শান্তি ওম’ দিয়ে বলিউডে পা রাখা পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে দেখা যাচ্ছে তার বাবা প্রকাশ পাড়ুকোনের সাথে। ১৯৮৬ সালে ডেনমার্কের কোপেন হেগেনে জন্ম নেন দীপিকা।

স্টাইলিশ হৃতিকের অজানা স্টাইল সিক্রেট

বলিউডের স্টাইল আইকন বলা হয় হৃতিক রোশানকে। প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন স্টাইল ট্রেন্ড চালু করে বলিউড কাঁপিয়ে বেড়ান তিনি। পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রতিটি জিনিসের ক্ষেত্রেই তিনি ফ্যাশন সচেতন। আকর্ষণীয় ফিগারের কারণে যে কোনো পোশাকই মানিয়ে যায় তাকে। আর তাই নানান রকমের এক্সপেরিমেন্টাল ফ্যাশনও করেন তিনি। আসুন জেনে নেয়া যাক ফ্যাশন সচেতন এই তারকার স্টাইল সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য।

সানগ্লাস
সানগ্লাস পরতে খুবই ভালোবাসেন এই তারকা। সানগ্লাসের ক্ষেত্রে হৃতিকের প্রথম পছন্দ রে বান সানগ্লাস। বাইরে বেরুলে তার সবসময়ের আনুসাঙ্গিক থাকে একটি রে বান সানগ্লাস।

পি ক্যাপ
হৃতিক রোশান ক্যাপ পরতে খুবই ভালোবাসেন। আর তাই বাইরে হোক আর ঘরের ভেতর হোক অধিকাংশ সময়েই তাকে ক্যাপ পরে থাকতে দেখা যায়। নানা ব্র্যান্ডের ক্যাপ আছে তার ব্যক্তিগত সংগ্রহে।

কমপ্লিট স্যুট
হৃতিকের ওয়্যারড্রব ভরা আছে পারফেক্ট ফিটিং এর কমপ্লিট স্যুট। বিয়ের অনুষ্ঠান, বলিউড তারকাদের বড় বড় পার্টি কিংবা রেড কার্পেটে তিনি স্যুট পরে যেতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

বেল্ট
হৃতিক কোথাও গেলে তার পছন্দের লুইস ভুইট্টন ব্র্যান্ডের বেল্ট পরতে ভুলেন না কখনোই।

জিম
যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেনো জিম করতে কখনোই আলসেমি করেন না এই তারকা। সপ্তাহে ৫/৬ দিন জিম করেন তিনি। নিজের ফিগারের গঠন ঠিক রাখতে আলাদা ফুড চার্টও আছে তার।

সাদা শার্ট নীল জিনস
হৃতিকের প্রিয় একটি পোশাক হলো সাদা শার্টের সঙ্গে নীল জিনস পরা। এই পোষাকটি পরলে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি।

চশমা
চশমার ব্যাপারে বেশ আগ্রহ আছে হৃতিকের। নানান রঙের নানান স্টাইলের চশমা পরতে পছন্দ করেন তিনি।

৬ মাস ধরে টিভি চলছে মৃত নারীর সামনে

আজ থেকে দীর্ঘ ৬ মাসেরও বেশি সময় আগে মৃত্যুবরণ করেছিলেন জার্মানির এক নারী। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, সবার অলক্ষ্যে ৬৬ বছর বয়সী ওই নারীর মৃতদেহ সেভাবেই তার অ্যাপার্টমেন্টে পড়ে ছিল। মৃত্যুর আগে টেলিভিশন দেখছিলেন তিনি।সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপারটি হলো, নাইটগাউন পরিহিতা ওই নারীকে যখন তার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, তখনও অর্থাৎ দীর্ঘ ৬ মাস পরও তার টেলিভিশনটি চালু অবস্থায় পাওয়া যায়। জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্টের কাছে ওবেরুরসেল শহরতলির বাসিন্দা তিনি। প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ওই নারীর মৃতদেহ আংশিকভাবে মমিতে পরিণত হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পুলিশ বলছে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় অপ্রীতিকর গন্ধ নাকে এলেও, কেউ তা কর্তৃপক্ষকে জানাননি। ওই নারীর অ্যাপার্টমেন্টের চিঠির বাক্সটি ভর্তি হয়ে যাওয়ায় বাড়িওয়ালার সন্দেহ হয়। এরপর তিনি বাড়ির দরজা খুলে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন।

Wednesday, March 26, 2014

প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নিয়েছিলেন যে ১০ বলিউড নায়িকারা

কয়েনা মিত্রা
প্লাস্টিক সার্জারির তালিকায় যে কজন নায়িকা রয়েছেন তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি আলোচিত এবং সমালোচিত চিলেন কোয়েনা মিত্রা। ২০০৯ সালে হঠাৎ-ই সবার চোখে খটকা লাগতে শুরু করে যে কিছু একটা তো করিয়েছেন কয়েনা। কিন্তু সেটা কি? তিনিও নাকে প্ল্যাস্টিক অস্ত্রোপচার এবং ব্রেস্ট ইনহ্যান্সমেন্ট করান। তবে তার এই আকর্ষণীয় লাগার কৃত্রিম পন্থাগুলো কাজে লাগে নি। বরং ঘটে এর উল্টো টাই। আগের থেকে অনেকটাই বাজে দেখায় এই অভিনেত্রীকে।

সুস্মিতা সেন
১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্সের মুকুট জয়ী সুস্মিতা নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলে স্তন বর্ধিতকরণ হিসেবে সিলিকন ইমপ্লিমেন্ট করেন। এরজন্য তাকে ছুরি কাচির নিচএও যেতে হয়। আরও মজার ব্যাপার হল পুরো বলিউডে সুস্মিতাই প্রথম নায়িকা ছিলেন যিনি ব্রেস্ট ইনহ্যান্সমেন্ট করান।

বিপাশা বসু
সুস্মিতা সেনের দেখানো পথেই হেটেছেন বলিউডের অন্যতম পারফেক্ট দেহের অধিকারিণী বিপাসা বসু। ২০০৩ সালে ‘জিসম’ ছবিটি মুক্তির পরপরই বিপাশা ব্রেস্ট ইনহ্যান্সমেন্ট করান। হঠাৎ করে তার এই পরিবর্তন দর্শকের মনে প্রশ্ন তুললে খোদ বিপাশাই স্বীকার করেন যে তিনি তিনি নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেই এই সার্জারি করান।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বোধহয় তার নাক নিয়ে তেমন সন্তুষ্ট চিলেন না। আর তাই নাককে একটি পারফেক্ট শেপে নিয়ে আসতে করিয়েছিলেন সার্জারি। যদিও প্রকৃত পক্ষে তা অস্বীকার করে এই অভিনেত্রী। কিন্তু অনেক দিন আগের প্রিয়াঙ্কা এবং এখনকার নাকে রয়েছে আকাশ পাতাল তফাৎ। আর যা আপনার চোখে পর্বে খুব সহজেই।

শ্রীদেবী
সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি ঘটে শ্রীদেবীর সাথে। যেই বয়সে এসে নায়িকারা সাধারণত ভাবতে শুরু করে তাদের ক্যারিয়ার শেষের দিকে। ঠিক সেই সময়টিতে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এসময়ের অভিনেত্রীদের সাথে পাল্লা দিতেই করিয়ে বসেন ব্রেস্ট ইনহ্যান্সমেন্ট। মিদিয়াতে ফলাও করে এ প্রসঙ্গে খবর ছাপা হলেও শ্রীদেবী তা অস্বীকার করেন । কিন্তু সার্জারির পর পরিবর্তন তো কাউকে ফাঁকি দেয়ার মতো কোন ব্যাপার নয়, চোখে তো পড়েই যায়।

প্রীতি জিনতা
মিষ্টি চেহারা এবং গালের টোল-এর জন্য বরাবরই প্রশংসিত নায়িকা প্রীতি জিনতা। ছবিতে সাবলীল উপস্থাপন এবং নিটোল চেহারা দর্শকের ছিল প্রিয়। কিন্তু ২০০৬ সালের কোন এক সময়ে করণ জোহর পরিচালিত ‘কাভি আলভিদা না কেহনা’য় নতুন চেহারায় উপস্থাপন হন এই অভিনেত্রী। এবং দর্শকের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়াও পান এই অভিনেত্রী। তবে এর পাশাপাশি এও খবর প্রকাশিত হতে থাকে যে তারুণ্য ধরে রাখতে বটোক্স ইনজেকশন ব্যবহার করেছেন।

কঙ্গনা রানাউত
কঙ্গনা রানাউত অবকাশ যাপনে ইতালিতে যান ২০০৯ সালে। তার পরপরই বাতাসে খবর ভাসতে থাকে ইতালিতে যেয়ে লিপ জব এবং সিলিকন ইমপ্লিমেন্ট করিয়েছেন এই অভিনেত্রী। যদিও কঙ্গনার পিআরও তা অস্বীকার করে বলেন, সার্জারির মতো সময়-সাপেক্ষ কোন অস্ত্রপচার করাননি। কিন্তু ‘রাসকেল’ ছবিতে এর সত্যতা সবার সামনে চলে আসে।

শিল্পা শেঠী
আপনি যদি শিল্পা শেঠীর ৯০ দশকের বাজিগর সিনেমা আর ২০০০ সালে ‘ধারকান’ নিয়ে বসেন তবে নিশ্চিত ভাবতে থাকবেন এই দুইজন কি একই ব্যক্তি। ‘ধারকান’ ছবির পরিচালক বারবার শিল্পার প্লাস্টিক সার্জারির কথা স্বীকার করলেও খোদ শিল্পা অস্বীকার করে গিয়েছেন প্রতিনিয়ত।

নার্গিস ফকরি
রণবীর কাপুরের বিপরীতে ‘রকস্টার’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে প্রবেশের পর দুটো কারনেই বরাবরই সমালোচিত হয়েছেন এই তারকা আর তা হল অভিনয়ে অদক্ষতা এবং উদয় চোপড়ার সাথে প্রেম। তবে মজার ব্যপার হল অন্যসব নায়িকাদের মতো নিজের লিপ জবকে লুকাননি কখনো। গ্ল্যামশেমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজে স্বীকার করেন যে ঠোঁটকে আরও আকর্ষণীয় করতেই ঠোঁট ফুলিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

চিত্রাঙ্গদা
চিত্রাঙ্গদাও আনুশকা শর্মা, নার্গিস ফকরির মতো নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য নিয়েছেন কৃত্রিমতার। তিনিও অন্য সবারই মতো লিপ জপ করিয়েছেন নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে।