জন্ম হয়েছিল স্বাভাবিক শিশু হিসাবে, জন্মের পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করা হল। আবারও বেঁচে উঠলো শিশুটি! জন্মের ৩৫ মিনিটের মাথায় চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে শিশুটিকে। যথারীতি মর্গে পাঠানো হয়। ১০ ঘন্টা পরে যখন মৃত শিশুটিকে বাবার হাতে তুলে দেয়ার জন্য আনা হয় তখন দেখা যায় বেঁচে আছে শিশুটি। এও কি সম্ভব?কলম্বোর সান ফ্রান্সিসকো হাসপাতালে যান গর্ভবতী জেনি হার্টাডো। মাত্র ২৭ সপ্তাহের গর্ভ নিয়ে হাসপাতালে আসলে চিকিৎসক সার্জারির মাধ্যমে শিশুটিকে গর্ভ থেকে বের করেন। ২.৪৫ মিনিটে জন্ম নেয়া এ শিশুটি অপরিপক্ক হওয়ায় ৩.২০ মিনিটে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে। কারণ শিশুটির হৃদস্পন্দন টের পাচ্ছিলেন না চিকিৎসকেরা।
সেবিকারা মৃত শিশুটিকে মর্গে নিয়ে স্টিলের বাক্সে আটকে রাখে আর অপেক্ষা করতে থাকে তার বাবার জন্য যাতে মরদেহটি পৌঁছে দেয়া যায়। ১০ ঘন্টা পরে শিশুর মৎস্যজীবি বাবা যখন মৃত সন্তানকে বুঝে নিতে আসেন সেবিকা কাপড়ে জড়ানো শিশুটিকে বের করে আনে। বাবা সন্তানকে মৃত ভেবে কোলেও নেন। হঠাৎ সেবিকা লক্ষ্য করে কিছু একটা কান্নার শব্দ ভেসে আসছে তার কানে সঙ্গে মৃদু হৃদস্পন্দনও হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে শিশুটিকে নিয়ে দেখেন বেঁচে আছে সে।
সঙ্গে সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। সবার সিদ্ধান্তে শিশুটিকে পাঠানো হয় রাজধানী বোগোটার সান্তা তেরেসা ডেল নিনো জিসাস ক্লিনিকে। সেখানে খালার সংস্পর্শে এখন ভালো আছে সে। মর্গে ১০ ঘন্টা থাকার পর নড়েচড়ে উঠল শিশুটি!সানফ্রান্সিসকো হাসপাতালে চিকিৎসক জেভিয়ার জাগারা বলেন, ‘এটা আসলেই অনেক ভুল হয়েছে যে আমরা না জেনে শিশুটিকে মৃত ঘোষনা করেছি। তবে অনেক সময় নবজাতকের হৃৎপিন্ড খুব দুর্বল হওয়ায় তার শ্বাস প্রশ্বাস বোঝা যায় না।খুব ধীরে ধীরে নি:শ্বাস নেয় নবজাতক। এ জন্য চিকিৎসকেরাও এটা বুঝতে পারে না। তবে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা ক্ষমা চাই। শিশুটির মা জেনি সন্তানের নাম রেখেছেন ‘মিলারগোস’। ইংরেজি শব্দ মিরাকলস থেকে নেয়া হয়েছে মিলারগাস নামটি। আসলেইতো এটা অলৌকিক শিশুতো বটেই।
No comments:
Post a Comment