পর্তুগালের কিছু সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে সেখানে পানির বেশ গভীরে পিরামিডের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এজোরস অব পর্তুগালের সাও মিগুয়েল ও টারসেইরা দ্বীপের মাঝামাঝি স্থানে এ পানিতে নিমজ্জিত পিরামিডের দেখা পান ডায়োস্লেসিয়ানো সিলভা। গবেষকরা জানিয়েছেন, এ পিরামিড একদম বর্গাকৃতির ও গাণিতিকভাবে বেশ নিখুঁত।
গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস ব্যবহার করে দেখা গিয়েছে যে, এর ভিত্তি প্রায় ৮০০০ বর্গ মিটার চওড়া। আর উচ্চতা ৬০ মিটার। পর্তুগীজ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফিক ইন্সটিটিউট এখন এটা যাচাই করে দেখছে যে এ পিরামিড মানুষের তৈরি কিনা।মধ্য আটলান্টিক সাগরের যে অঞ্চলে এ পিরামিডের খোঁজ মিলেছে, সে এলাকাটি প্রায় ২০ হাজার বছর যাবৎ পানির নিচে ছিল। এটা বরফ যুগের শেষ সময়ের ঘটনা যখন পৃথিবীব্যাপী হিমবাহ গলতে শুরু করেছিল। এ পিরামিড কি মানুষ তৈরি করেছিল? নাকি অন্য ‘কেউ’? বরফ যুগের আগে কি এই পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব ছিল? প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনো অজানা।
প্রশ্ন আরো রয়েছে। পিরামিড যদি এতো আগের তৈরি হয়, তবে কেন এটার বিষয়ে আগে কেউ কিছুই জানতে পারলো না? National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA) এ অঞ্চলের সমুদ্র গর্ভের আগ্নেয়গিরি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এ পিরামিডের খোঁজ মিলে। তখন থেকে গবেষকরা সোনার ইমেজিং বা শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে এ অঞ্চলের আগ্নেয়গিরি ও পিরামিড-দুটি নিয়েই গবেষণা শুরু করেছেন। অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে NOAA এ পিরামিডের ব্যপারে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করছে না। তাদের এ রহস্যময় নীরবতাও অনেকের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
Portuguese Association of Archaeological Research (APIA) এর প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের কাছেই থাকা পিকো দ্বীপের বেশ কিছু প্রাচীন নিদর্শন দেখে তাদের মনে হচ্ছে যে, এজোরস অব পর্তুগাল অঞ্চলে বহু আগে থেকেই মানুষের অস্তিত্ব ছিল। আর সেসময় পর্তুগালের আর কোনো দ্বীপে মানুষের আগমন ঘটে নি। এ দুই বিপরীতমুখী তথ্যের কারণে অনেকেরই ধারণা, এত আগে এরকম নিখুঁত স্থাপনা মানুষের পক্ষে নির্মাণ সম্ভব নাও হতে পারে। তাহলে কে বা কারা তৈরি করেছিল এ পিরামিড?
No comments:
Post a Comment