এমন কোনো দেশ আছে যেখানে গরু গাছে চড়ে? না নেই, সেটা কেবল স্বপ্নেই সম্ভব। কিন্তু জেনে রাখুন, এমনও দেশ আছে যেখানে গরু এসএমএস করে। গরুর কাণ্ড দেখে চোখ কপালে তুলবেন না। জেনে নিন পুরো ঘটনা।ঘটনাটি জার্মানির। সেখানকার লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের গরুরা এমনই দক্ষ। এই রাজ্যের একটি পশু খামারের কৃষক ভেস্টরুপ। তার মোবাইলেই সম্ভব হয় এই অদ্ভূত প্রযুক্তি। ভেস্টরুপ মাঠে কাজ করেন। তখনতো আর খামারের গরুদের খোঁজখবর রাখা সম্ভব নয়, তাই তিনি বড় ভক্ত এই প্রযুক্তিটির। এর মাধ্যমে তিনি সহজে গরুর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, তাদের গতিবিধিও পরিমাপ করতে পারেন।
প্রযুক্তিটিতে মূলত গরুর গলায় থাকে একটি সেন্সর। সেই সেন্সর থেকে তথ্য প্রথমে চলে যায় ফ্রান্সের পর্যবেক্ষণ সংস্থা মেদ্রিয়ায়। এরপর জার্মান টেলিকমের মাধ্যমে এসএমএস হয়ে তা পৌঁছে যায় ভেস্টরুপের মতো কৃষকের হাতে থাকা মোবাইলে। তবে ব্যাপার যাই হোক না কেন প্রযুক্তিটি পেয়ে খুবই খুশি ভেস্টরুপ।সুবিধা নেবেন কিন্তু টাকা খরচ করবেন না, তা কি হয় নাকি? গবাদি পশুর উপর নজর রাখার এই প্রযুক্তির দাম কিন্তু কম নয়। কেবল যাদের একশো’র বেশি গবাদি পশু রয়েছে সেসব কৃষকের পক্ষেই সম্ভব হয় এটি ঘরে আনা। কৃষক ভেস্টরুপের পশুর সংখ্যা প্রায় ছয়শো।
মাসে মাত্র একবার গর্ভধারণের উপযুক্ত ঋতুকাল পার করে গরু। সেকাজেই বেশি সহযোগিতা করে প্রযুক্তিটি। ‘পশুগুলি কোনো অস্বাভাবিক আচরণ করলে সেন্সর তা রেকর্ড করে। একটি পশু অপর একটি পশুর উপরে মাথা এলিয়ে দিলে বা অন্যের উপর উঠতে চেষ্টা করলে, বুঝতে হবে সে উত্তেজিত। কম্পিউটার তখন একে গর্ভধারণের ইঙ্গিত মনে করে। সঙ্গে সঙ্গে সেই তথ্য পৌঁছে যায় আমার মোবাইলে।’ এমনটাই জানান ভেস্টরুপ।ভেস্টরুপের কাছে ষাড়ের হিমায়িত শুক্রাণুও রয়েছে। এগুলোও অনেক দামি। খবর পাবার পর একটি নলের সাহায্যে গরুর দেহে শুক্রাণু প্রবেশ করিয়ে দেন তিনি। ফলে ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে গরুর সংখ্যা। এই প্রযুক্তির পেছনে ভেস্টরুপ বছরে খরচ করেছেন বিশ হাজার ইউরোর মতো। তবে এই বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগের সুফল তিনি ভোগও করছেন বেশ।
No comments:
Post a Comment