চিলির একটি বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে এই মরুভূমির বিস্তার।এর একদিকে রয়েছে প্রশান্ত মহাসগরের অথৈ জলরাশি, অন্যদিকে আন্দিজ পর্বতমালা। কি অদ্ভুত প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য একপাশে মহাসাগর অন্য পাশে বিশাল মরুভূমি।আতাকামা মুরুভুমিটি প্রায় ১০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ।এত বিশাল একটি জায়গায় যেখানে হাজার রকমের প্রাণী আর উদ্ভিদ বৈচিত্র্য থাকার কথা ছিল যুগের পর যুগ বৃষ্টিহীনতার কারনে এখানকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।মাইলের পর মাইল হেঁটে গেলেও দেখা পাবেন না কোন উদ্ভিদ বা প্রাণীর।
পৃথিবীর সবচেয়ে শুষ্কতম স্থান হচ্ছে এই আতাকামা মরুভূমি।বিজ্ঞানীরা এই মরুভুমিকে absolute desert বলে থাকেন।ক্লাইমেটলজিস্ট দের মতে এখানে প্রায় ১৫৭০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কোন বৃষ্টিই হয়নি। তাদের মতে এখানে প্রতি একশ বছরে গড়ে ৩ থেকে ৪ বার বৃষ্টি হয়।অবশ্য গত তিন চারশো বছরে এই নিয়মের ব্যাতিক্রম দেখা যায়। নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করেন, মঙ্গল গ্রহের মাটির সাথে এই মরুভূমির মাটির সাথে অনেক মিল আছে।
আরও একটি অবাক করা বিষয় হল এতটা অনাবৃষ্টি আর পৃথিবীর শুষ্কতম স্থান হওয়ার পর এই জায়গাটির তাপমাত্রা কম ই বলা চলে।গ্রীষ্মকালেও এখানকার গড় তাপমাত্রা ১৮-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকে।সত্যিই অদ্ভুত!!!!এত প্রতিকুলতা সত্তেও এই মরুভুমির আশেপাশের এলাকায় প্রায় দশ লক্ষ মানুষ বাস করে।আতাকামার নিচে রয়েছে খনিজ সম্পদের এক বিশাল ভাণ্ডার। খনিজ সম্পদের প্রাচুর্যের জন্যই এটি এক সময় বলিভিয়া,পেরু ও চিলির বিবাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধের শেষে মালিকানা নিয়ে শেষতক জয়ী হয় চিলি। আনকনের চুক্তির ফলে এটির অধিকার হারায় বলিভিয়া।
No comments:
Post a Comment